“বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।” (৯ঃ৪০)
জিহাদের ময়দানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে ঝগড়া-বিবাদ চলছে তা অনেক মানুষকে ক্ষুব্ধ করছে এবং অনেকেরই রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যাঁরা ‘দাওয়াত ও জিহাদ’-এর কাজে নতুন তারা ভাবছেন এসব ঝগড়া-বিবাদ অশুভ লক্ষণ, জিহাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এর ফলে উম্মাহ বিভক্ত হচ্ছে ...ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু যাঁরা কয়েক দশক ধরে ‘দাওয়াত ও জিহাদ’-এর কাজের সাথে পরিচিত আছেন, তাঁরা তাদের অন্তর্দৃষ্টি ও অভিজ্ঞতার আলোকে এসব বিবাদকে অত্যন্ত উপকারী এবং পরিশুদ্ধতার জন্য প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করছেন। যদিও শত্রুপক্ষ একে কুলষিত করছে এবং খারাপভাবে উপস্থাপন করছে।
আসলে, শত্রুপক্ষের এই কষ্টভোগ করা, পীড়িত হওয়া, একত্রিত হওয়া, একে অপরের পাশে দাঁড়ানো ও মিথ্যা রটানো ইত্যাদি প্রমাণ করে যে 'তাওহিদ ও জিহাদের' অনুসারীরা একাগ্রচিত্ত ও সতর্ক এবং তাঁরা শত্রুপক্ষের হাত থেকে দ্বীন ও জিহাদের ফলাফলকে হেফাজতের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন।
যদি এই একাগ্রচিত্ততা ও সতর্কতা না থাকত, তবে আমরা এই হাহাকার, এখান-সেখান থেকে আর্তনাদ ও বুকচাপড়ানো, চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচন ও অজ্ঞতার প্রকাশ দেখতে পেতাম না। বরং তখন গোপনে বিপদ সংঘটিত হতে পারত এবং মানুষের অজ্ঞাতসারে ও কেউ কোন কিছু অনুভব করা ছাড়াই বিচ্যুতি প্রকাশ পেতে পারত! এই হাহাকার, আক্ষেপ ও আর্তনাদ ( যা তারা করছে) এবং এর পাশাপাশি ‘তাওহিদ ও শরীয়াহ’র প্রতি আহবানকারীদের বিরুদ্ধে অন্যায়, মিথ্যাচার, অপবাদ ও ভাবমূর্তি নষ্টকরা; আসলে এগুলো প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
কারণ, এর মাধ্যমে ( যেগুলো উপরে বর্ণনা করা হল), সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’লা ভাল থেকে মন্দকে পৃথক করবেন এবং যাঁরা শ্রেষ্ঠ ও মহৎ দাবীকে সমর্থন করছেন তাঁরা সম্মানিত হবেন। এবং এর দ্বারা আল্লাহ তা’লা তাঁদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করবেন যাঁরা তাওহিদকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন; আল্লাহ তা’লা যেভাবে চান সেভাবে পার্থক্য করবেন ফলে প্রত্যেকেই তার নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক জায়গায় স্থান পাবে। হয় তিনি তাওহিদের অনুসারী হবে নতুবা লোকজনের অনুসারী হবে; শরীয়াহর অনুসারী নতুবা সমালোচনাকারীদের অনুসারী।
প্রত্যেকেই যেকোন একটি দলে বিভক্ত হবেঃ
হয় তাওহিদকে সমর্থন করে নিজেকে মর্যাদাবান ও সম্মানিত করবে।
অথবা, তাওহিদকে ত্যাগ করে ও শিরক মিশ্রিত করে নিজেকে অপমানিত করবে।
অথবা, তাওহিদের অনুসারীদের সমালোচনা করার মাধ্যমে নিজেকে ধ্বংস করবে।
এবং প্রতিটি ময়দানে এই যুদ্ধ চলছে।
সর্বোত্তম যুদ্ধ হল, তাওহিদের জন্য যুদ্ধ।
সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জখম হল তা, যা তাওহিদের কারণে হয়ে থাকে।
সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ তীর হল সেটি, যেটি তাওহিদকে অনুসরণ করার কারণে তোমার বুকে বিদ্ধ হয় আর তুমি হাসতে থাকো।
সবথেকে বড় সফলতা হল, যখন আল্লাহ তা’লা তোমাকে তাওহিদের সহায়তাকারী হিসাবে মনোনীত করবেন।
এবং সবচেয়ে বড় বঞ্চনা হল, এই নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়া।
আর সবচেয়ে বড় বিসর্জন হল, তাওহিদকে বিসর্জন দেওয়া।
সুতরাং ঐসকল বিবাদের কারণে বিষন্নিত হয়ো না। বরং তাওহিদের সহায়তাকারীদের খাতায় নিজের নাম চিরদিনের জন্য লিখে নিতে একে সুবর্ণ সুযোগ হিসাবে কাজে লাগাও।
-শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাক্বদিসি হাফিজাহুল্লাহ
জিহাদের ময়দানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে ঝগড়া-বিবাদ চলছে তা অনেক মানুষকে ক্ষুব্ধ করছে এবং অনেকেরই রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যাঁরা ‘দাওয়াত ও জিহাদ’-এর কাজে নতুন তারা ভাবছেন এসব ঝগড়া-বিবাদ অশুভ লক্ষণ, জিহাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এর ফলে উম্মাহ বিভক্ত হচ্ছে ...ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু যাঁরা কয়েক দশক ধরে ‘দাওয়াত ও জিহাদ’-এর কাজের সাথে পরিচিত আছেন, তাঁরা তাদের অন্তর্দৃষ্টি ও অভিজ্ঞতার আলোকে এসব বিবাদকে অত্যন্ত উপকারী এবং পরিশুদ্ধতার জন্য প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করছেন। যদিও শত্রুপক্ষ একে কুলষিত করছে এবং খারাপভাবে উপস্থাপন করছে।
আসলে, শত্রুপক্ষের এই কষ্টভোগ করা, পীড়িত হওয়া, একত্রিত হওয়া, একে অপরের পাশে দাঁড়ানো ও মিথ্যা রটানো ইত্যাদি প্রমাণ করে যে 'তাওহিদ ও জিহাদের' অনুসারীরা একাগ্রচিত্ত ও সতর্ক এবং তাঁরা শত্রুপক্ষের হাত থেকে দ্বীন ও জিহাদের ফলাফলকে হেফাজতের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন।
যদি এই একাগ্রচিত্ততা ও সতর্কতা না থাকত, তবে আমরা এই হাহাকার, এখান-সেখান থেকে আর্তনাদ ও বুকচাপড়ানো, চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচন ও অজ্ঞতার প্রকাশ দেখতে পেতাম না। বরং তখন গোপনে বিপদ সংঘটিত হতে পারত এবং মানুষের অজ্ঞাতসারে ও কেউ কোন কিছু অনুভব করা ছাড়াই বিচ্যুতি প্রকাশ পেতে পারত! এই হাহাকার, আক্ষেপ ও আর্তনাদ ( যা তারা করছে) এবং এর পাশাপাশি ‘তাওহিদ ও শরীয়াহ’র প্রতি আহবানকারীদের বিরুদ্ধে অন্যায়, মিথ্যাচার, অপবাদ ও ভাবমূর্তি নষ্টকরা; আসলে এগুলো প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
কারণ, এর মাধ্যমে ( যেগুলো উপরে বর্ণনা করা হল), সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা’লা ভাল থেকে মন্দকে পৃথক করবেন এবং যাঁরা শ্রেষ্ঠ ও মহৎ দাবীকে সমর্থন করছেন তাঁরা সম্মানিত হবেন। এবং এর দ্বারা আল্লাহ তা’লা তাঁদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করবেন যাঁরা তাওহিদকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন; আল্লাহ তা’লা যেভাবে চান সেভাবে পার্থক্য করবেন ফলে প্রত্যেকেই তার নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক জায়গায় স্থান পাবে। হয় তিনি তাওহিদের অনুসারী হবে নতুবা লোকজনের অনুসারী হবে; শরীয়াহর অনুসারী নতুবা সমালোচনাকারীদের অনুসারী।
প্রত্যেকেই যেকোন একটি দলে বিভক্ত হবেঃ
হয় তাওহিদকে সমর্থন করে নিজেকে মর্যাদাবান ও সম্মানিত করবে।
অথবা, তাওহিদকে ত্যাগ করে ও শিরক মিশ্রিত করে নিজেকে অপমানিত করবে।
অথবা, তাওহিদের অনুসারীদের সমালোচনা করার মাধ্যমে নিজেকে ধ্বংস করবে।
এবং প্রতিটি ময়দানে এই যুদ্ধ চলছে।
সর্বোত্তম যুদ্ধ হল, তাওহিদের জন্য যুদ্ধ।
সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জখম হল তা, যা তাওহিদের কারণে হয়ে থাকে।
সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ তীর হল সেটি, যেটি তাওহিদকে অনুসরণ করার কারণে তোমার বুকে বিদ্ধ হয় আর তুমি হাসতে থাকো।
সবথেকে বড় সফলতা হল, যখন আল্লাহ তা’লা তোমাকে তাওহিদের সহায়তাকারী হিসাবে মনোনীত করবেন।
এবং সবচেয়ে বড় বঞ্চনা হল, এই নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়া।
আর সবচেয়ে বড় বিসর্জন হল, তাওহিদকে বিসর্জন দেওয়া।
সুতরাং ঐসকল বিবাদের কারণে বিষন্নিত হয়ো না। বরং তাওহিদের সহায়তাকারীদের খাতায় নিজের নাম চিরদিনের জন্য লিখে নিতে একে সুবর্ণ সুযোগ হিসাবে কাজে লাগাও।
-শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাক্বদিসি হাফিজাহুল্লাহ
Comment