Announcement

Collapse
No announcement yet.

দ্য আর্ট অব জিহাদ (আর্ট অব ওয়ার অবলম্বনে)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দ্য আর্ট অব জিহাদ (আর্ট অব ওয়ার অবলম্বনে)

    ১ম পর্বঃ যুদ্ধ পরিকল্পনা


    যেকোন কাজের পূর্বে পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। প্রত্যেক রাষ্ট্র বা সংগঠনের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আলাদা একটি বিভাগ থাকে যে বিভাগের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন ইস্যুতে রাষ্ট্র বা সংগঠনকে পরিকল্পনা দিয়ে সহায়তা করা। আর তা যদি হয় যুদ্ধ সংক্রান্ত তাহলে তা আরো গুরুত্বপূর্ন। মূলত যুদ্ধ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এমন একটি বিভাগ নেই এরুপ কোন রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক সংগঠন খুঁজে পাওয়া যাবে না। যদি কোন জিহাদী সংগঠন শুধুমাত্র নিজ দেশে স্থানীয়ভাবে কাজ করে তবুও স্থানীয় তাগুতের সাথে প্রয়োজনানুসারে কূটনৈতিক আলোচনায় যাওয়ার জন্য তাদের এমন একটি পরিকল্পনা বিভাগ থাকা উচিত যারা আলোচনার টেবিলে তাগুতের বিপরীতে শক্ত অবস্থানে থেকে চৌকস ডিপ্লোমেটদের ন্যায় কথা বলতে পারে, তর্কে-বিতর্কে উপনীত হতে পারে, উম্মাহর স্বার্থ উদ্ধারে বিভিন্ন শর্তারোপ করে তাগুতকে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করতে পারে। কিন্তু কেউ যদি যুদ্ধ বা রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট কোন সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে যুদ্ধ পরিকল্পনায় সে একজন বিধ্বংসী পরিকল্পনাকারী বৈ আর কিছু না। তবে এ বিষয়ে নিম্নোক্ত তিনটি পয়েন্টে আমরা আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছি।


    ১. এমন কিছু লোক থাকে যারা যে কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যুদ্ধ ব্যতীত আর কোন পন্থাকে গ্রহণযোগ্য মনে করে না বা করতে পারে না। যেমনঃ


    => সম্মুখ সমর এড়িয়ে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা অথবা
    => যুদ্ধকে বিলম্বিত করে নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়িয়ে নেয়া ইত্যাদি।


    এরকম লোকদেরকে কয়েকটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়ঃ

    => দৃঢ় নিয়াত রাখেন কিন্তু অতি উৎসাহী এবং আবেগের বশবর্তী হয়ে কাজ করেন।
    => সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী কোন মুনাফিক বা তাগুত বা তাগুতের চর যে সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য শত্রুকে আক্রমনের উস্কানী দেয়।
    => ওয়ার স্ট্র্যাটেজিকে গুরুত্ব দেন না এমন কেউ, যে শত্রুর উস্কানী বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।



    ২. কিছু কিছু সংকট সবসময়ই ডিপ্লোমেসি দিয়ে সমাধান করা উচিত। যেমন – বর্তমানে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্থান তাদের ভূমিতে সংকট নিরসনে এবং নিজেদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে শান্তি আলোচনা জারি রেখেছে। ইমারাহ’র পক্ষ থেকে এখানে ডিপ্লোমেসি হচ্ছে আফগানের ভূমি হতে বহিরাগত সন্ত্রাসী সৈন্যদের বের করে দিয়ে সম্মুখ সমরে শত্রু সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে নিজেদের অবস্থানকে আরো দৃঢ় করা এবং পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূলে নেয়া। কিন্তু যদি ইমারাহ একগুয়ে অবস্থান গ্রহণ করতো এবং বলতো মার্কিনীদের সাথে কোন শান্তি আলোচনা নেই তাহলে চলমান সংকট নিরসনে যুদ্ধ ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকতো না। অথচ সিরাত থেকে আমরা জানি,


    => সম্মুখ সমরে শত্রু সংখ্যা কমিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করা,
    => কিছু পয়েন্টে সাহাবীগন (রদিয়াল্লাহু আনহুম) একমত হতে না পারলেও কাফিরদের সাথে সন্ধি করা,
    => সামর্থ্য থাকার পরও সব সময় শত্রুর পিছনে না ছুটে কখনো কখনো যুদ্ধ বিরতি দিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়িয়ে নেয়া,
    => ইসলামি রাষ্ট্র গঠন এবং তা সুবিন্যস্ত করার জন্য সময় ও শ্রম ব্যয় করা ইত্যাদি ছিলো প্রিয় নাবী’র (সল্লাল্লাহু আ’লাইহিওয়াসাল্লাম) সুন্নাহ বা কর্মপদ্ধতি।



    ৩. সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধ একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জিহাদ ইসলামের চূড়া এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিমদের জন্য স্পষ্ট আবশ্যকীয় বিধান। ইসলামিক রাজনীতির পট পরিবর্তন করে দেয়ার ক্ষেত্রে জিহাদের আছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এর বিধান এবং সীমারেখা আসমান ও যমীনের স্রষ্টা আল্লাহ’র পক্ষ থেকে নির্ধারিত। কিয়ামত পর্যন্ত যা বলবৎ থাকবে। এর মাধ্যমে যেমন আখিরাতের পাথেয় অর্জিত হবে তেমনি ইসলামিক রাজনীতির সুদৃঢ় অবস্থান ও উম্মাহর মর্যাদা রক্ষার উপায় সমূহ বিস্তৃতি লাভ করবে। তবে আমাদের মনে রাখা জরুরী, যেকোন যুদ্ধের পিছনে কূটনৈতিক ব্যর্থতা অন্যতম একটি কারণ। অর্থাৎ যুদ্ধের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে কূটনৈতিকভাবে কোন ফলাফল না আসা। আমরা সিরাত থেকে পাই যে, কোন বিশেষ অপরাধী সম্প্রদায় ছাড়া সাধারণ কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে রসুল সল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম প্রথমেই যুদ্ধ পরিচালনা করতেন না। বরং প্রথমে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দেয়া হতো। আর এটা তারা প্রত্যাখ্যান করলে জিজিয়া’র শর্তারোপ করা হতো। যদি জিজিয়ার শর্তও প্রত্যাখ্যান করতো তখন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালিত হতো। জিহাদ পরিচলানার আগে কোন সাধারণ কাফির সম্প্রদায়ের প্রতি ইসলামের দাওয়াতকে একধরণের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলা যেতে পারে যেখানে আলোচনার মাধ্যমে প্রথমে ইসলাম গ্রহনের এবং পরে জিজিয়া প্রদানের শর্ত প্রদান করা হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত নেই তখন এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রেক্ষাপট হয়তো ভিন্ন রকম হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যখন মুসলিমদের তামক্বীন অর্জন করা একটি মুখ্য বিষয় তখন কোন বৈধ উপায়ে যুদ্ধকে বিলম্বিত করা নিসন্দেহে অনেক বড় ধরনের কূটনৈতিক সফলতা।


    প্রাইমারি ক্যালকুলেশন বা এস্টিমেশন বা লেইং প্ল্যানঃ


    ১. যুদ্ধ একটি রাষ্ট্র বা সংগঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর দু’টি দিক – জীবন অথবা মৃত্যু; ধ্বংস অথবা টিকে যাওয়া। আর প্রত্যেকটি যুদ্ধ নির্ধারিত কিছু ক্ষতি বয়ে নিতে বাধ্য। যুদ্ধের জন্য প্রথমেই আবশ্যক হচ্ছে একটি সেনাবাহিনী থাকা। এক্ষেত্রে –

    => সেনাবাহিনী গঠনে কিছু নির্ধারিত সময় ব্যয় হবে।
    => সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবিদ্যায় দক্ষ করে তুলতে হবে। যেমন কোন গেরিলা যোদ্ধা গেরিলা যুদ্ধের উপর তাত্ত্বিকভাবে পারদর্শীতা রাখবেন এটাই যুক্তিযুক্ত। আর যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শীতা না থাকলে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ফায়দা হাসিলের পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া সময়ের দাবি মাত্র।
    => সেনাবাহিনী’র যাবতীয় খরচ বহনের সামর্থ্য অর্জন করতে হবে।
    => এলাকা ও শত্রুভেদে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র থাকতে হবে।


    যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগে যা ভালোভাবে পর্যালোচনা করে নিতে হবেঃ


    ১. সঠিক প্রতিপক্ষ নির্বাচন। যেমন – হিন্দে প্রতিপক্ষ নির্বাচনে অগ্রাধিকার পাবে ভারত। আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে কম অগ্রবর্তী রাষ্ট্র যেমন শ্রীলঙ্কা এবং স্থানীয় শত্রু বাহিনী প্রাথমিক পর্যায়ে এড়িয়ে চলা। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য “জিহাদের সাধারণ দিক নির্দেশনা” এবং “উপমহাদেশীয় মুজাহিদীনদের আচরণবিধি” শীর্ষক নির্দেশিকা দু’টি দ্রষ্টব্য।

    ২. সঠিক সময়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া। এটা হতে পারে ঋতু ভিত্তিক অথবা যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আমাদের শক্তিমত্তার পরিধি ভিত্তিক অথবা যে অঞ্চলে যুদ্ধে জড়ানো হবে সে অঞ্চলের জনমত আমাদের পক্ষে সহায়ক হবে কি না তার উপর ভিত্তি করে। এগুলো মূলত যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের সঠিকতা নির্ধারক।

    ৩. উপযুক্ত ময়দানে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া। যেমন- আমরা কোন বাহিনীর বিরুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলে অথবা কোন বনাঞ্চলে যুদ্ধে জড়াতে পারি না যেখানে কি না এরুপ অঞ্চলে কিভাবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে টিকে থাকতে হয় তার উপর আমাদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। অর্থাৎ যুদ্ধের জন্য নিজের সুবিধানুযায়ী ময়দান নির্ধারণ করা নিতান্তই জরুরী। এর জন্য প্রয়োজনে শত্রুপক্ষকে কোন ময়দানে টেনে আনার দরকার হতে পারে যেমনটি ৯/১১ এর বরকতময় হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্থানের কঠিন ভূমিতে নিয়ে আসা হয়েছিলো।



    ২. পরিস্থিতি যুদ্ধের জন্য কতটা অনুকুল তা পাঁচটি মৌলিক ফ্যাক্টরের আলোকে যাচাই করতে হবে।


    প্রথম ফ্যাক্টরঃ
    “মোরাল ইনফ্লুয়েন্স” বা নৈতিক প্রভাব। আমরা জানি কুফ্ফার বাহিনী এবং তাদের গোলাম স্থানীয় তাগুত বাহিনীগুলোতে নৈতিক প্রভাবের কোন বালাই নেই। কিন্তু মুসলিম সেনাবাহিনীতে নৈতিক প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয়। নেতৃত্ব যদি নৈতিক প্রভাব আর উপযুক্ত কারণ নিশ্চিত করতে পারে তাহলে প্রতিটি সৈনিক এমনকি মুসলিম জনতাও ভয়ের বিপরীতে শেষ নিশ্বাঃস পর্যন্ত লড়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

    যুদ্ধে “Righteousness of Cause” বা সন্তোষজনক কারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মানে কেন যুদ্ধ করা হবে তার কোন সন্তোষজনক কারণ থাকতে হবে। ৭১’এ পাক বাহিনী এই ব্রিফিং পেয়ে বাঙ্গালীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যে, “পূর্ব পাকিস্থানে সব বিধর্মী বেঈমানদের বাস”। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সৈন্যরা বুঝতে পারলো বিধর্মীদের নয় বরং মুসলিমদেরকেই তারা হত্যা করছে। যা সৈন্যদেরকে দ্বিধান্বিত করে তোলে এবং নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন সামনে চলে আসে। ফলে, পাকিস্থান সেনাবাহিনী যথেষ্ট প্রশিক্ষিত ও উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও খুব দ্রুত তাদের সৈনিকসুলভতা হারালো এবং পরাজিত হলো। কারণ একটাই তা হলো, এ যুদ্ধে তারা কোন সন্তোষজনক কারণ খুঁজে পায়নি।

    ঠিক একইভাবে ২০১৪ সালে উম্মাহ’র বিষ ফোঁড়া আইএস যখন আত্মপ্রকাশ করে তখন অনেকেই আবেগের বশে তাদের হয়ে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে অনেক ভাই আইএস থেকে পালিয়ে আসেন শুধু এই কারণে যে, আইএসের জিহাদের পিছনে তারা কোন সন্তোষজনক কারন খুঁজে পায়নি এবং তারা নেতৃত্বের পর্যায় থেকে এমন অনেক মিথ্যাচারের সম্মুখীন হয়েছে যার ফলে নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা-বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। একই সাথে তারা এটাও প্রত্যক্ষ করেছে যে আইএস অধিকাংশ সময় কালিমার পতাকা বুলন্দ করার জন্য জিহাদ করছে এমন মুজাহিদদেরসহ সাধারণ মুসলিমদেরই রক্ত ঝড়িয়েছে শুধুমাত্র তাদের আনুগত্য মেনে না নেয়ার কারণে।

    অথচ উহুদ বদরের দিকে আপনি দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখুন। নৈতিকতার প্রভাব এবং সন্তোষজনক কারণ কি জিনিস তা স্পষ্টভাবে বুঝতে সক্ষম হবেন। ১২০০ সৈন্যের বিপরীতে ৩১৩ এর বিজয়, দুই লক্ষ সৈন্যের বিপরীতে ৪০ হাজারের বিজয়, সভ্যতা থেকে পিছিয়ে থাকা একটি মাত্র রাষ্ট্রের বিপরীতে ৪৮ টি তাগুত রাষ্ট্রের সম্মিলিত আক্রমণ অতঃপর ১৭ বছর পরে এসে শান্তি আলোচনার জন্য মুসলিমদের হাতে-পায়ে ধরা। এছাড়াও প্রত্যেকটি জিহাদে খলীফা আর সেনাপতিদের নৈতিক প্রভাবের অসংখ্য উদাহরণ আছে। সত্যি কথা বলতে কি, আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করা হবে এর চেয়ে বড় নৈতিকতাবোধ এর চেয়ে বড় সন্তোষজনক কারণ আর কিছু থাকতে পারে না। আর এই দ্বীন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আল্লাহ’র ইচ্ছায় ধাপে ধাপে এগুতে থাকে। যেখানে নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধের বিষয় আছে, কিসাসের বিধান আছে। এটা আল্লাহ’র বিধান যার মাধ্যমে আল্লাহ মুমিনদের এবং যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন।

    জনগনের পক্ষ থেকে যদি “নাহি আনিল মুনকার” তথা “অন্যায় কাজে বাধা” প্রদানের বিষয়টিকে শক্তিশালী করা হয় তাহলে একটি ইসলামি আন্দোলন তথা জিহাদী কার্যক্রম নিজের থেকেই গতিশীল হয়ে ওঠে। আর আজ অথবা কাল জনগন এটা করতে বাধ্য। কারণ, যে অন্যায় জনগনের সাথেই করা হয় তার বিরুদ্ধে একসময় জনগনই কঠোর অবস্থান গ্রহন করবে। বিষয়টি এইভাবে ভেবে দেখা যায়, বিগত ১০০ দিনে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫০ টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এটা যেমন সত্যি কথা যে ধর্ষিতারা আমাদেরই কারো মা কারো বোন ঠিক একইভাবে একথাও সত্যি যে, তাগুত সরকার ধর্ষন প্রতিরোধে অথবা ধর্ষককে শাস্তি প্রদানে জনগনকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। তাই এখানে নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধের বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামনে চলে আসবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে এমন অনেক জুলুমের নজির আছে যেগুলোতে এদেশের জনগন বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায় নির্যাতিত। তাই এসব জুলুমের বিরুদ্ধে জনগনই তাদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নিতে খুবই উৎকৃষ্ট একটি সন্তোষজনক কারণ খুঁজে পাবে ইনশাআল্লাহ।

    কেন সুবর্ণচরের ভাইয়েরা জেগে ওঠে না? কেন নোয়াখালীর ভাইয়েরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে না? কেন নুসরাত, তণুদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে অপরাধীদের লাশ ফেলা হয় না? – এসব প্রশ্নের উত্তর খুব অচিরেই বাস্তবতায় রুপ নেবে ইনশাআল্লাহ। কিভাবে? সুবর্ণচরে কিছু ভাই জেগে উঠবে, তারা একত্রিত হবে, অতঃপর রাতের অন্ধকারে এই অপরাধীদের শাস্তি দেয়া শুরু করবে। একইভাবে নোয়াখালীতে এবং এভাবে পুরো দেশেই। কারণ, এমন অপরাধীদের মারার জন্য অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। বুকে হিম্মত কম থাকলে এদেরকে জবাই করেও মারার দরকার নেই। মজবুত লাঠি দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করো, অতঃপর কোথাও লাশ ঝুলিয়ে দাও। একটা চিরকুট রেখে দাও “উমুককে ধর্ষনের শাস্তি”, “উমুককে হত্যার শাস্তি” ইত্যাদি। কারণ, অপরাধীদের অপরাধই তাকে শাস্তি দেয়ার সন্তোষজনক কারণ। ঠিক এমনিভাবে তাগুত-মুর্তাদদের বিরুদ্ধে জিহাদের পিছনেও বাংলার মুসলিমরা একটি সন্তোষজনক কারণ খুঁজে পেতে শুরু করেছে আলহামদুলিল্লাহ।

    এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বাস্তবিক অর্থে কুফ্ফার তাগুত-মুর্তাদদের কোন কাজ বিশেষত কোন তথ্য সন্ত্রাস বা কোন যুদ্ধ যা ইসলামের বিরুদ্ধে পরিচলিত হয় সেগুলোতে কখনোই সন্তোষজনক কারণ থাকে না। কিন্তু তাদের আছে হলুদ মিডিয়া। যারা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাদের প্রভূদের এসব মানবতাবিরোধী, নিয়ম বহির্ভূত কাজের সাফাই গাইতে থাকে, জনগনের সামনে বানোয়াট সন্তোষজনক কারণ উপস্থাপন করে তা প্রচার করতে থাকে। তবে আলহামদুলিল্লাহ, প্রাথমিকভাবে জনগন তাদের মিথ্যা প্রচারণায় প্রতারিত হলেও কিছু দিনের মধ্যেই সত্য তাদের কাছে দিবালোকের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। যেমন – জুলুমবাজ এ্যামেরিকার তথাকথিত “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ”র স্বরুপ আজ সবার কাছে পরিস্কার। একইভাবে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ জঙ্গীবাদ বলে যে আওয়াজ তোলা হয়েছিলো তার স্বরুপ হুজুগে বাঙ্গালীদের কাছেও আজ পরিস্কার। জঙ্গীবাদ শব্দ ব্যবহার করে মালাউনদের আজ্ঞাবাহী গোলাম তাগুত আওয়ামী সরকার কিভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, কিভাবে ২০০৯ সালে বায়তুল মুকাররমের ভিতর ৯ জন হাফেজে কুরআনকে শহীদ করেছে, কিভাবে শাপলা চত্বরের ট্র্যাজেডি সংগঠিত করেছে তা বাংলার ইসলাম প্রিয় জনগন আজ বুঝে গেছে। “অরাজকতার ব্যবস্থাপনা” অনুযায়ী এটাই হচ্ছে কোন জুলুমবাজ রাষ্ট্রের সেই নাজুক সময় যখন তাদের মিডিয়া প্রোপাগান্ডার স্বরুপ প্রকাশিত হয়ে যায় এবং এরফলে জনগন জুলুমের বিপরীতে দাঁড়াতে একটি সন্তোষজনক কারণ খুঁজে পায়।


    দ্বিতীয় ফ্যাক্টরঃ
    আবহাওয়া। একবার সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী একটি বিশেষ অভিযানের জন্য তার সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত করেছিলেন যেখানে তার বাহিনীকে শত্রুদের সাথে কনকনে শীতে পাহাড়ি অঞ্চলে লড়াই করতে হয়েছে। তো এই অভিযানে যাওয়ার আগে তিনি তার সেনাবাহিনীকে কয়েক মাস ধরে কনকনে শীতের রাতে পাহাড়ী অঞ্চলে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আল্লাহ’র ইচ্ছায় মুসলিম সেনাবাহিনী শত্রুর ভূমিতে গিয়ে এই রকম বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। যুদ্ধ বিশ্লেষকদের মতে, যদি সুলতানের সেনাবাহিনী এই রকম কঠিন প্রশিক্ষণ না নিতো তাহলে শুধুমাত্র বৈরি আবহাওয়ার কাছেই তারা পরাজিত হতে বাধ্য ছিলো।

    তাই আপনার সেনাবাহিনী যেখানে যুদ্ধ করবে সেই ময়দান সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় আপনাকে ভালোভাবে জেনে-বুঝে এগুতে হবে,

    => সেখানকার আবহাওয়ার সাথে আপনার বাহিনী কত দ্রুত খাপ খাওয়াতে পারবে?
    => আবহাওয়ার পারিপার্শ্বিকতার সাথে যুদ্ধ করে কতদিন টিকে থাকতে পারবে?
    => কতদিন আপনি আপনার বাহিনীর জন্য রসদ যুগিয়ে যেতে পারবেন?

    যেমন প্রথমে নেপলিয়ন পরে হিটলার রাশিয়া আক্রমন করে হেরেছে। আদতে তারা হেরেছে রাশিয়ান ঠান্ডার কাছে। রাশিয়ার মাটিতে রাশিয়াকে হারানোর মতো ট্রেনিং ও লজেস্টিক সাপোর্ট কোনটাই না থাকার কারণে হিটলারের অপারেশন বার্বারাসো হয়ে গেছে ইতিহাসের অন্যতম ভূল আর মর্মান্তিক সামরিক অভিযান।

    এমনিভাবে আমাদের ভূমিতেও আবহাওয়া কেন্দ্রিক বৈরিতা আছে। কিন্তু একটি সাহায্যকারী ভূমি হিসেবে আমরা কখনোই আমাদের শত্রুকে এদেশে টেনে আনবো না। বরং শত্রু ভূমিতে গিয়েই আমাদেরকে ত্রাস সৃষ্টি করতে হবে। তাই, আমাদেরকে জানতে হবে শত্রুদেশের ঋতু বৈচিত্র্য এবং অঞ্চলভেদে সেদেশের বৈরি আবহাওয়া সম্পর্কে।

    তৃতীয় ফ্যাক্টরঃ
    টেরেইন আরেকটি বিশাল ফ্যাক্টর। ইংরেজী Terrain শব্দের প্রাসঙ্গিক মানে হলো একটি যুদ্ধক্ষেত্র সংলগ্ন গাছপালা, পাহাড়-উপত্যকা, নদ-নদী, রাস্তাঘাট, বসতি ইত্যাদি। তাই আপনি যে অঞ্চলে লড়বেন সে অঞ্চলের টেরেইন সম্পর্কে আপনার বাহিনীর খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে। এক কথায় বললে বিষয়টি এরকম হয় যে, ময়দানের টেরেইন সম্পর্কে আপনাকে ঠিক সেই রকম অবগত থাকতে হবে যেমনটি আপনি নিজের এলাকা সম্পর্কে অবগত।টেরেইনের উপর নির্ভর করে আপনার ক্যাপাসিটি যাচাই করতে হবে। যদি এমন হয় যে দু’টি নদী পেরিয়ে আপনাকে আক্রমন পরিচলনা করতে হবে তাহলে হিসেব কষে দেখতে হবে সামরিক ব্রীজ বানিয়েঃ

    => মেইন স্পটে আপনার ফোর্স কন্সেন্ট্রেট করার এবং
    => বিশেষ সময়ে আপনার ফোর্স রেসিও শক্রর চেয়ে বেটার রাখার ক্যাপাসিটি আপনার আছে কি না।

    এক্ষেত্রে টেরেইনের উপর ভিত্তি করে যে বিষয়গুলো পূর্বেই নির্ধারন করে নিতে হবে তা হচ্ছেঃ

    => প্রয়োজনীয় সময়ে ফোর্স কন্সেন্ট্রেশন এচিভ করা।
    => কোন পথে কোথা থেকে ফোর্স আনা হবে তা নির্ধারন করা।
    => কোথায় বিশ্রাম নেবেন তা নির্ধারন করা।
    => কোথায় শক্রকে ক্যানালাইজ করবেন তা নিশ্চিত করা।
    => প্রয়োজন হলে কোন পথে পিছু হটবেন তা নির্ধারন করা।

    এখন ইদাদের ক্ষেত্রে এই টেরেইনের প্রয়োগ আমরা কিভাবে করতে পারি তা আমাদেরকে জানতে হবে। এটা সাধারণ একটা মিটের ক্ষেত্রে বা আসলিহাত স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আমরা প্রয়োগ করতে পারি ইনশাআল্লাহ। কিভাবে –

    => প্রথমে আমাদেরকে শিখতে হবে কিভাবে টেরেইনের উপর স্টাডি করতে হয়।
    => কিভাবে গুগল ম্যাপ ইউজ করে ঘড়ে বসে আমরা টেরেইন স্টাডি করতে পারি।
    => কিভাবে জিআইএস (জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম) স্টাডি প্রয়োগ করে টেরেইন স্কেচ তৈরি করতে পারি।
    => সাক্ষাতের আগেই সাক্ষাতের স্থান পরিদর্শন করে টেরেইন অনুযায়ী পরিকল্পনা করে প্রাকটিস করতে পারি। যেমন – কোন পথে সাক্ষাতে যাবো, কোন পথে ফিরে আসবো, সমস্যা হলে কোন অলি-গলি পথ ব্যবহার করে সেফ জোনে চলে যাবো ইত্যাদি।


    চতুর্থ ফ্যাক্টরঃ
    সেনাপতিদের কোয়ালিটি। মুসলিম বাহিনীগুলোর মধ্যে সবসময় কুফফার তাগুত বাহিনীগুলোর চেয়ে একটি গুণ অতিরিক্ত থাকা আবশ্যক। তা হচ্ছে, পরহেযগারিতা। তবে এর সাথে প্রাসঙ্গিক গুণাবলীরও চমৎকার সমন্বয় থাকা জরুরী। এক দৃষ্টিতে গুণাবলীগুলো এমন যা একজন কমান্ডার বা সেনাপতির মধ্যে থাকতে হবে বা থাকেঃ


    পরহেযগারিতা। চিন্তা করে দেখুন, নববী যুগ সাহাবীদের যুগের কথা। একজন কমান্ডার সারাদিন ময়দানে শত্রুর বিরুদ্ধে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন আর সারারাত তাহাজ্জুদে মশগুল থেকেছেন। সিয়ামরত অবস্থায় সারাদিন জিহাদ করেছেন, রাতে তাহাজ্জুদে আল্লাহর দরবারে লুটিয়ে পড়েছেন। আমরা তাঁদের পর্যায়ে কখনোই যেতে পারবো না এটা সত্য, কিন্তু তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণে উচু মানের আধ্যাত্মিকতা অর্জন করা, অল্প খাওয়া অল্প বিশ্রামে কঠিন কায়িক শ্রমে অভ্যস্ত হতে পারা সম্ভব ইনশাআল্লাহ। সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর কমান্ডো ইউনিটের এক এক জন কমান্ডার টানা ৩/৪ দিন পানি ও খাবার না খেয়ে এবং স্বল্প বিশ্রামে টিকে থাকতে পারতেন।

    বিচক্ষণতা। একজন বিচক্ষণ কমান্ডার পরিবর্তিত পরিস্থিতি দ্রুত অনুধাবন করে সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।

    প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দেয়ার দৃঢ়তা। উহুদের ময়দানের কথা ভেবে দেখুন। যখন মিথ্যা সংবাদ প্রচারিত হলো মুসলিমদের সেনাপতি প্রিয় নাবী (সল্লাল্লাহু আ’লাইহিওয়াসাল্লাম) শহীদ হয়ে গেছেন তখন মুসলিম বাহিনী দিগ্বিদিক ময়দান ছেড়ে পালাতে শুরু করলো। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো তাদের সুবিন্যস্ত বাহিনী, ভেঙ্গে গেলো তাদের শৃঙ্খল। অতঃপর রসুলের এক আহ্বানে মুসলিম সেনারা একত্রিত হলেন ফলশ্রুতিতে শত্রু বাহিনী বিজয়ীবেশে মুসলিমদের পিছু ধাওয়া করার পরিবর্তে ময়দান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলো।

    দুর্দান্ত সাহসিকতা যা শত্রুর মনে ত্রাস সৃষ্টি করে। চিন্তা করে দেখুন আমাদের বোন খাওলা বেগোভিচের কথা। সার্ভিয়ান সাদা চামড়ার কুকুরদের বিরুদ্ধে যিনি একজন নারী হয়েও উম্মাহ’র তরে অস্ত্র তুলে নিতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করেননি। যখনই কোন ময়দানে এই বোনের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হতো তখনই সাদা চামড়ার এই কুকুরগুলো ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যেতো। চিন্তা করুন ভাই সাজ্জাদ আফগানির কথা। ময়দানে সাজ্জাদ আফগানির নাম উচ্চারিত হওয়া মানেই শত্রুদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়ার মহড়া শুরু হয়ে যেতো।

    তাই আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, মুসলিম সেনাপতিদের নামে ও উপস্থিতিতে ময়দান অতীতে প্রভাবিত হয়েছে বর্তমানে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে ইনশাআল্লাহ। আর আমাদেরকে এমনই সেনাপতি তৈরি করতে হবে, এমনভাবেই নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে ইনশাআল্লাহ।

    পঞ্চম ফ্যাক্টরঃ
    ডক্ট্রিন। ইংরেজী ডক্ট্রিন শব্দ বলতে বুঝায় ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রশিক্ষণ বা নির্দেশনার একটি সমন্বিত রুপ। যে সেনাবাহিনীর ইউনিটি, র*্যাঙ্ক স্ট্রাকচার, চেইন অব কমান্ড আর লজিস্টিক সিস্টেম যত উন্নত সে বাহনীর জয়ের সম্ভাবন তত বেশি। যা শ্রবন ও আনুগত্যের এক বিস্তৃত রুপরেখা। তবে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, মুসলিম বাহিনীর বিজয় সৈন্য সংখ্যা বা অস্ত্রবলে আসে না বরং তা আসে আল্লাহ’র পক্ষ থেকে, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলের পুরস্কার স্বরুপ। তাই পার্থিব আসবাব সাধ্যানুযায়ী গ্রহণ করে আল্লাহ’র উপর তাওয়াক্কুল করে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এক্ষেত্রে একটি বিষয়ে পরিচ্ছন্ন ধারণা রাখা জরুরী। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষণিক পিছু হটা ময়দান থেকে পলায়নের নামান্তর নয়। তোরাবোরা পাহাড় থেকে পিছু হটা আলকায়দার কর্মীবৃন্দ পরিবর্তীতে সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৩ সালে কুফ্ফার জোটের সম্মিলিত আক্রমণে ইসলামিক ইমারাতের কর্মীরা তাদের রাজধানী ছেড়ে পাহাড়ী অঞ্চলে অবস্থান গ্রহণ করে। অতঃপর আল্লাহ’র ইচ্ছায় সেই পিছু হটার মাধ্যমে পুনরায় ট্র্যাকে ফিরে আসা বর্তমান মুজাহিদদের দৃঢ় অবস্থান ও শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে অর্জন আমাদের সামনে এক জ্বলজ্যান্ত পরিসংখ্যান হয়ে আছে।

    নোটঃ আমাদের দেশের জিহাদ সমর্থক ভাইদের উচিত নিজ নিজ এলাকার উপর গভীর স্টাডি করা। যেমন – ঢাকা এর ভাই ঢাকাসহ দেশের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার উপর, চট্টগ্রামের ভাই চট্টগ্রামসহ দেশের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার উপর এভাবে প্রত্যেক এলাকার ভাইয়েরা নিজ এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ববর্তী এলাকার উপর স্টাডি জারি রাখতে পারেন ইনশাআল্লাহ। নিজ নিজ এলাকার আবহাওয়া বৈচিত্র্য কেমন? ঋতুভেদে কি ধরনের বৈরিতা দেখা যায়? কিভাবে সেই সব বৈরিতার বিরুদ্ধে সহজে টিকে থাকা যায়? ইত্যাদি। পাশাপাশি রাস্তা-ঘাট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা, বিশেষ বিশেষ জায়গা চেনা, বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানা ইত্যাদি। একইভাবে যথাসম্ভব আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উপর উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে স্টাডি করা বিশেষ করে ভারত ও মায়ানমারের উপর। যেন আমরা এদেরকে এদেরই ভূমিতে, এদেরই পাহাড়ে, এদেরই জঙ্গলে এদেরই সমুদ্রে কবর দিতে পারি বিইযনিল্লাহ।

    চলবে ইনশাআল্লাহ......

  • #2
    মাশা আল্লাহ্ খুব গুরুত্বপূর্ণ আালোচনা। পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনার এই লিখার গুরুত্ব অপরিসীম। এই ধারা চলমান থাকুক প্রিয় ভাই। ইনশা আল্লাহ্। জাযাকাল্লাহু খাইরান

    Comment


    • #3
      খুব গুরুত্বপূর্ণ আলচনা,আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন, আমীন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, চালিয়ে যান।

        আল্লাহ আপনার ইলম ও লিখনিতে বারাকাহ দান করুন।
        কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

        Comment


        • #5
          চালিয়ে যান হজরত। সত্যের কলম অগ্রভাগে থাকবে ও চলবে ইনশাআল্লাহ
          যে ব্যক্তি নবীকে গালি দেয়,তাকে হত্যা কর।
          জামেউল আহাদীস হাদীস নং-২২৩৬৬

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ্!খুব গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনা।আল্লাহ্ আমাদের সকলকে তার ওপর আমল করার তৌফিক দান করুন!
            আমীন!!!!!!!!

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহু খাইরান অন্য পর্ব গুলোর জন্য অপেক্ষাই থাকবো ইংশাআল্লাহ
              ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

              Comment

              Working...
              X