কেন আমি আল কায়েদায় অংশগ্রহণ করলাম
মূল
শায়খ আবু মুসআব মুহাম্মদ উমায়ের আল কালাবী আল আওলাকী রহ.
ভাষান্তর
আবু হামযা আল হিন্দী
২. কারণ সাহায্য পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
প্রিয় পাঠক, আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন, এই হাদীসটি কি ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না- যে ইহুদী-খ্রিস্টান ও মুরতাদদের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে এবং তাদের সাথে তরবারির সম্পর্ক স্থাপন করেছে, ফলে কখনো সে আক্রমণ করে সফল হয়েছে, কখনো শত্রুরা সফল হয়েছে?
এই হাদীসটি কি এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না- যে জিহাদের ঘোষণা দিয়েছে এমন সময় যখন মসজিদগুলো ধ্বসিয়ে দেয়া হচ্ছে, কুরআন শরীফের কপিগুলো ছিন্ন-ভিন্ন করা হচ্ছে, মুসলিমদের সম্মান হরণ করা হচ্ছে, নিগ্রো রাফেদীরা মুসলমিদের ইজ্জত ভূলুণ্ঠতি করছে এবং কুফর ইসলামের উপর বিজয়ী হয়ে আছে?
এই হাদীসটি কি এমন লোকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না- যারা রাফেদী ও ক্রুশ-পূজারীদের দ্বারা উম্মাহর ধর্ষিতা মা-বোনদের আর্তচিত্কার শুনে বলেছে, ‘আমাদের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে না, আমাদের চোখ মুদিত হবে না, আমাদের তরবারি কোষবদ্ধ হবে না যতক্ষণ না আমরা তোমাদের সম্মানের প্রতিশোধ গ্রহণ করব।’ এবং তাদের কথা কাজে পরিণত করেছে? বলুন, এই হাদীসটি কি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে নাকি হবে না?
হে ভাই, আপনিই বলুন, তাঈফায়ে মানসূরাহ বা সাহায্যপ্রাপ্ত দলের গুণাবলী কি উল্লিখিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে নাকি ঐ সকল ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- যারা ইরাকের জিহাদকে অবৈধ মনে করে এবং এই জিহাদকে ফিতনা বলে আখ্যায়িত করে? সাহায্যপ্রাপ্ত দলের গুণাবলী কি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- যারা মুজাহিদদের সাহায্য ছেড়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে বসে দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে লিপ্ত? কিংবা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- যারা মুজাহিদদের তীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে এবং মুজাহিদদের সম্বন্ধে অযথা বিষোদগার করে, যারা মুজাহিদদের ভুল ধরার জন্য ওত পেতে থাকে, কোন কিছু পেলেই তা ছড়িয়ে দেয় এবং মুজাহিদদের উত্তম ও সুন্দর গুণাবলী থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখে? আপনিই বিচার করুন, কার ক্ষেত্রে হাদিসটি প্রযোজ্য হবে! বিষয়টির জন্য আপনাকে দীর্ঘ গবেষণার প্রয়োজন পড়বে না। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তাদের সাহায্য পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’ আপনিই বলুন, তাদের সাহায্য পরিত্যাগ কে করলো? কাফেরের মুকাবেলায় থাকা মুজাহিদগণ নাকি জিহাদ ছেড়ে নিজ বাড়িতে বসে থাকা ব্যক্তিরা? বিচারের দায়িত্ব পাঠকের কাছেই।
আপনি যদি এটা বিশ্বাস করে থাকেন যে, মুজাহিদগণ তঈফায়ে মানসূরাহ বা সাহায্যপ্রাপ্ত দলের গুণাবলীর যোগ্য অধিকারী তবে ভুল হবে না। কারণ শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. তাঁর যুগের শামের মুজাহিদগণকে তাঈফায়ে মানসূরাহ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
যে সকল ইসলামী দল আল কায়েদা ও অন্যান্য মুজাহিদগণকে ভুল বা ভ্রান্ত বলতে চান আমি তাদের প্রশ্ন করবো, ‘আমাদের এমন মুজাহিদ দেখান যারা আপনাদের পথে চলে এবং আপনাদের মানহাজ অনুসরণ করে।’ -তারা এমন মুজাহিদ বিশ্বের কোন জিহাদ-ভূমিতেই দেখাতে পারবে না।- তাহলে কিভাবে আপনারা জিহাদ ছাড়া থাকতে পারেন, অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে? নাকি আপনারা অন্যকিছু বলবেন?? আপনাদের হিসাব ফিরে দেখার সময় কি এখনো হয় নি? ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণরত মুজাহিদদের সম্বন্ধে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু পরিবর্তন করুন।
৩. কারণ তাদের ও অন্যান্য মুজাহিদগণের ক্ষেত্রে তঈফায়ে মানসূরাহ-এর এই গুণটি প্রযোজ্য হয় যে, তারা সত্যের জন্য যুদ্ধ করবে।
’উকবা ইবনে ’আমির রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
এই হাদীসটি তাদের একটি গুণ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছে। তা হল সত্যের জন্য যুদ্ধ করা। আমরা যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করি, তাহলে দেখবো যে, আল কায়েদা হল সত্যের পক্ষে যুদ্ধরত শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর প্রমাণ হল ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সোমালিয়ায় আশ-শাবাব কর্তৃক তাদের চলমান যুদ্ধ। তাছাড়া আরব উপদ্বীপ ও মাগরিবে মুরতাদ শাসকদের সাথে তাদের যুদ্ধও একই প্রমাণ বহন করে। এই বর্ণনাটি একেবারেই স্পষ্ট। মুজাহিগণই এই গুণের উপর অধিক প্রতিষ্ঠিত। তাদের ক্ষেত্রেই এই হাদীস প্রযোজ্য হবে। এই হাদীসটি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না যারা জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে এবং জিহাদকে ভুলে থাকার ভান করেছে; বরং তাদের অনেকে তো জিাহাদ থেকে বিমুখতা প্রদর্শন করে এবং উপায়-উপকরণের স্বল্পতার ওজর দেখিয়ে নৈরাশ্য ছড়িয়ে বেড়ায়।
উল্লিখিত হাদীসটির ব্যাপারে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়; কতিপয় ইসলামী দল এই হাদীসটি বর্ণনা করতে অনীহা প্রকাশ করে এবং কতিপয় বিজ্ঞ আলেমও এই হাদীস থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। আমরা অনেক শায়েখ থেকে এই হাদীসটি শুনেছি। তারা পুরো হাদীসটি বর্ণনা করেন, শুধু ‘তারা কিতাল করবে’ এই অংশটুকু বাদ দেন, যেন মুসলিম শরীফে এর অস্তত্বিই নেই। একসময় আমি উত্তর ইয়েমেনে পড়ালেখা করতাম। একদিন আমার এক সহপাঠী মুসলিম শরীফ খুলে এই হাদীসটি দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমাদের শায়েখগণ এই অংশটুকু বর্ণনা করেন না কেন?! আমি তখন কোন উত্তর দিতে পারিনি।
সুতরাং হে ভাই, এটি একটি কঠিন গুণ; কেবল এর যোগ্য ব্যক্তিই এর দাবী করতে পারে। আল্লাহর রহমত যে, এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম يقاتلون বলেছেন, যাতে কোন ব্যাখ্যার অবকাশ নেই। যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম يجاهدون (তারা জিহাদ করে) বলতেন তাহলে কেউ কেউ ব্যাখ্যার আশ্রয় নিত। এতদ্*সত্ত্বেও কতিপয় প্রবৃত্তিপূজারী এ শব্দের অর্থ বিকৃতি করে অন্য অর্থ নেয়ার হীনপ্রয়াস পায়। (নাউজুবিল্লাহ।) এ সম্পর্কে একটি ঘটনা বর্ণনা করছি। আমাদের আল কায়েদার এক সাথী আমাকে বলেছে যে, একবার সে অন্য দলের এক সাথীর সাথে আলোচনা করছিল। এক পর্যায়ে সে বলল, আমরাই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, يقاتلون ‘তারা লড়াই করবে।’ তখন ঐ লোকটি বললো, يقاتلون এখানে يدعون ‘তারা দাওয়াতের কাজ করবে’ অর্থে এসেছে। তখন আল কায়েদার ভাই বলল, যদি আপনি আমাকে দেখাতে পারেন যে, অভিধানে يقاتلون অর্থ يدعون ‘তারা দাওয়াতের কাজ করবে’ তাহলে আমি আল কায়েদার মানহাজ ছেড়ে দিবো।
দেখুন, তারা এই স্পষ্ট হাদীসগুলো অর্থ বিকৃত করছে কেবল এ কারণে যে, এর বাহ্য অর্থ তাদের পক্ষে যায় না। সুতরাং এই পথ তথা জিহাদের পথই হলো সত্যের পথ। এই পথের কাঠিন্য আপনার কোন ক্ষতি করবে না। কেননা কিতালই তঈফায়ে মানসূরাহর অন্যতম গুণ।
আপনাদের নেক দো্*আয় ভুলবেন না.... পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকুন....
মূল
শায়খ আবু মুসআব মুহাম্মদ উমায়ের আল কালাবী আল আওলাকী রহ.
ভাষান্তর
আবু হামযা আল হিন্দী
২. কারণ সাহায্য পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لا تزال طائفةٌ من أمتي ظاهرين على الحق لا يضرهم من خذلهم حتى يأتي أمر الله وهم كذلك
আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যারা তাদের সাহায্য পরিত্যাগ করবে তারা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না যতক্ষণ না আল্লাহর আদেশ এসে যায় এবং তারা এ অবস্থায়ই থাকে। (মুসলিম)প্রিয় পাঠক, আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন, এই হাদীসটি কি ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না- যে ইহুদী-খ্রিস্টান ও মুরতাদদের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে এবং তাদের সাথে তরবারির সম্পর্ক স্থাপন করেছে, ফলে কখনো সে আক্রমণ করে সফল হয়েছে, কখনো শত্রুরা সফল হয়েছে?
এই হাদীসটি কি এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না- যে জিহাদের ঘোষণা দিয়েছে এমন সময় যখন মসজিদগুলো ধ্বসিয়ে দেয়া হচ্ছে, কুরআন শরীফের কপিগুলো ছিন্ন-ভিন্ন করা হচ্ছে, মুসলিমদের সম্মান হরণ করা হচ্ছে, নিগ্রো রাফেদীরা মুসলমিদের ইজ্জত ভূলুণ্ঠতি করছে এবং কুফর ইসলামের উপর বিজয়ী হয়ে আছে?
এই হাদীসটি কি এমন লোকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না- যারা রাফেদী ও ক্রুশ-পূজারীদের দ্বারা উম্মাহর ধর্ষিতা মা-বোনদের আর্তচিত্কার শুনে বলেছে, ‘আমাদের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে না, আমাদের চোখ মুদিত হবে না, আমাদের তরবারি কোষবদ্ধ হবে না যতক্ষণ না আমরা তোমাদের সম্মানের প্রতিশোধ গ্রহণ করব।’ এবং তাদের কথা কাজে পরিণত করেছে? বলুন, এই হাদীসটি কি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে নাকি হবে না?
হে ভাই, আপনিই বলুন, তাঈফায়ে মানসূরাহ বা সাহায্যপ্রাপ্ত দলের গুণাবলী কি উল্লিখিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে নাকি ঐ সকল ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- যারা ইরাকের জিহাদকে অবৈধ মনে করে এবং এই জিহাদকে ফিতনা বলে আখ্যায়িত করে? সাহায্যপ্রাপ্ত দলের গুণাবলী কি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- যারা মুজাহিদদের সাহায্য ছেড়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে বসে দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে লিপ্ত? কিংবা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- যারা মুজাহিদদের তীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে এবং মুজাহিদদের সম্বন্ধে অযথা বিষোদগার করে, যারা মুজাহিদদের ভুল ধরার জন্য ওত পেতে থাকে, কোন কিছু পেলেই তা ছড়িয়ে দেয় এবং মুজাহিদদের উত্তম ও সুন্দর গুণাবলী থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখে? আপনিই বিচার করুন, কার ক্ষেত্রে হাদিসটি প্রযোজ্য হবে! বিষয়টির জন্য আপনাকে দীর্ঘ গবেষণার প্রয়োজন পড়বে না। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তাদের সাহায্য পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’ আপনিই বলুন, তাদের সাহায্য পরিত্যাগ কে করলো? কাফেরের মুকাবেলায় থাকা মুজাহিদগণ নাকি জিহাদ ছেড়ে নিজ বাড়িতে বসে থাকা ব্যক্তিরা? বিচারের দায়িত্ব পাঠকের কাছেই।
আপনি যদি এটা বিশ্বাস করে থাকেন যে, মুজাহিদগণ তঈফায়ে মানসূরাহ বা সাহায্যপ্রাপ্ত দলের গুণাবলীর যোগ্য অধিকারী তবে ভুল হবে না। কারণ শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. তাঁর যুগের শামের মুজাহিদগণকে তাঈফায়ে মানসূরাহ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
যে সকল ইসলামী দল আল কায়েদা ও অন্যান্য মুজাহিদগণকে ভুল বা ভ্রান্ত বলতে চান আমি তাদের প্রশ্ন করবো, ‘আমাদের এমন মুজাহিদ দেখান যারা আপনাদের পথে চলে এবং আপনাদের মানহাজ অনুসরণ করে।’ -তারা এমন মুজাহিদ বিশ্বের কোন জিহাদ-ভূমিতেই দেখাতে পারবে না।- তাহলে কিভাবে আপনারা জিহাদ ছাড়া থাকতে পারেন, অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে? নাকি আপনারা অন্যকিছু বলবেন?? আপনাদের হিসাব ফিরে দেখার সময় কি এখনো হয় নি? ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণরত মুজাহিদদের সম্বন্ধে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু পরিবর্তন করুন।
৩. কারণ তাদের ও অন্যান্য মুজাহিদগণের ক্ষেত্রে তঈফায়ে মানসূরাহ-এর এই গুণটি প্রযোজ্য হয় যে, তারা সত্যের জন্য যুদ্ধ করবে।
’উকবা ইবনে ’আমির রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول:"لا تزال عصابة من أُمتي يقاتلون على أمر الله، قاهرين لعدوهم لا يضرهم من خالفهم حتى تأتيهم الساعة وهم على ذلك"
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা আল্লাহর আদেশের উপর লড়াই করে যাবে, তারা তাদের শত্রুদের পরাজিত করবে, তাদের বিরোধীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তারা এ অবস্থায়ই থাকবে যতক্ষণ না তাদের কাছে কিয়ামত এসে যায়। (মুসলিম) এই হাদীসটি তাদের একটি গুণ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছে। তা হল সত্যের জন্য যুদ্ধ করা। আমরা যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করি, তাহলে দেখবো যে, আল কায়েদা হল সত্যের পক্ষে যুদ্ধরত শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর প্রমাণ হল ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সোমালিয়ায় আশ-শাবাব কর্তৃক তাদের চলমান যুদ্ধ। তাছাড়া আরব উপদ্বীপ ও মাগরিবে মুরতাদ শাসকদের সাথে তাদের যুদ্ধও একই প্রমাণ বহন করে। এই বর্ণনাটি একেবারেই স্পষ্ট। মুজাহিগণই এই গুণের উপর অধিক প্রতিষ্ঠিত। তাদের ক্ষেত্রেই এই হাদীস প্রযোজ্য হবে। এই হাদীসটি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না যারা জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে এবং জিহাদকে ভুলে থাকার ভান করেছে; বরং তাদের অনেকে তো জিাহাদ থেকে বিমুখতা প্রদর্শন করে এবং উপায়-উপকরণের স্বল্পতার ওজর দেখিয়ে নৈরাশ্য ছড়িয়ে বেড়ায়।
উল্লিখিত হাদীসটির ব্যাপারে একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়; কতিপয় ইসলামী দল এই হাদীসটি বর্ণনা করতে অনীহা প্রকাশ করে এবং কতিপয় বিজ্ঞ আলেমও এই হাদীস থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। আমরা অনেক শায়েখ থেকে এই হাদীসটি শুনেছি। তারা পুরো হাদীসটি বর্ণনা করেন, শুধু ‘তারা কিতাল করবে’ এই অংশটুকু বাদ দেন, যেন মুসলিম শরীফে এর অস্তত্বিই নেই। একসময় আমি উত্তর ইয়েমেনে পড়ালেখা করতাম। একদিন আমার এক সহপাঠী মুসলিম শরীফ খুলে এই হাদীসটি দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমাদের শায়েখগণ এই অংশটুকু বর্ণনা করেন না কেন?! আমি তখন কোন উত্তর দিতে পারিনি।
সুতরাং হে ভাই, এটি একটি কঠিন গুণ; কেবল এর যোগ্য ব্যক্তিই এর দাবী করতে পারে। আল্লাহর রহমত যে, এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম يقاتلون বলেছেন, যাতে কোন ব্যাখ্যার অবকাশ নেই। যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম يجاهدون (তারা জিহাদ করে) বলতেন তাহলে কেউ কেউ ব্যাখ্যার আশ্রয় নিত। এতদ্*সত্ত্বেও কতিপয় প্রবৃত্তিপূজারী এ শব্দের অর্থ বিকৃতি করে অন্য অর্থ নেয়ার হীনপ্রয়াস পায়। (নাউজুবিল্লাহ।) এ সম্পর্কে একটি ঘটনা বর্ণনা করছি। আমাদের আল কায়েদার এক সাথী আমাকে বলেছে যে, একবার সে অন্য দলের এক সাথীর সাথে আলোচনা করছিল। এক পর্যায়ে সে বলল, আমরাই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, يقاتلون ‘তারা লড়াই করবে।’ তখন ঐ লোকটি বললো, يقاتلون এখানে يدعون ‘তারা দাওয়াতের কাজ করবে’ অর্থে এসেছে। তখন আল কায়েদার ভাই বলল, যদি আপনি আমাকে দেখাতে পারেন যে, অভিধানে يقاتلون অর্থ يدعون ‘তারা দাওয়াতের কাজ করবে’ তাহলে আমি আল কায়েদার মানহাজ ছেড়ে দিবো।
দেখুন, তারা এই স্পষ্ট হাদীসগুলো অর্থ বিকৃত করছে কেবল এ কারণে যে, এর বাহ্য অর্থ তাদের পক্ষে যায় না। সুতরাং এই পথ তথা জিহাদের পথই হলো সত্যের পথ। এই পথের কাঠিন্য আপনার কোন ক্ষতি করবে না। কেননা কিতালই তঈফায়ে মানসূরাহর অন্যতম গুণ।
আপনাদের নেক দো্*আয় ভুলবেন না.... পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকুন....
Comment