একজন মুজাহিদের প্রাথমিক প্রস্তুতি
শুরু করছি মহান আল্লাহ তা’আলার নামে, শান্তি বর্ষিত হোক রাসুল্লাল্লাহ (সঃ) ও উনার পরিবারের উপর এবং উনার মনোনীত সাহাবা (রাঃ) এর উপর, এবং যারা উনার প্রদর্শিত পথে অনুসরণ করে কেয়ামত পর্যন্ত।
ﯘ ﯙ ﯚ ﯛ ﯜ ﯝ ﯞ ﯟ ﯠ ﯡ ﯢ ﯣ ﯤ ﯥ ﯦ ﯧ ﯨ ﯩ ﯪ ﯫ ﯬ ﯭﯮ ﯯ ﯰ ﯱ ﯲ ﯳ ﯴ ﯵ ﯶ ﯷ ﯸ ﯹ ﯺ
(আল-আনফালঃ ৬০)
"তোমরা কাফিরদের মুকাবিলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদা সজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, যা দ্বারা আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করবে, এ ছাড়া অন্যান্যদেরকেও, যাদেরকে তোমারা জাননা; কিন্তু আল্লাহ জানেন; আর তোমরা আল্লাহর পথে যা কিছু ব্যয় কর তার প্রতিদান তোমাদেরকে পুরোপুরি দেয়া হবে, তোমাদের প্রতি ( কম দিয়ে ) অত্যাচার করা হবে না।"
ﮩ ﮪ ﮫ ﮬ ﮭ ﮮ ﮯ ﮰ ﮱ ﯓ ﯔ ﯕ ﯖ ﯗ ﯘ ﯙ
(আত-তাওবাঃ৪৬)
"আর যদি তারা (যুদ্ধে) যাত্রা করার ইচ্ছা করতো, তবে এর কিছু আসবাবপত্র তো প্রস্তুত করতো; কিন্তু আল্লাহ তাদের (যুদ্ধে যাওয়ার জাগরণকে) যাত্রাকে অপছন্দ করেছেন, এ জন্যে তাদেরকে বিরত রাখলেন এবং বলে দেয়া হলো, “তোমরাও এখানেই অক্ষম লোকদের সাথে বসে থাক।"
সুরা আল-আনফালের আয়াত অনুযায়ী, এটাঃ
১ – প্রতিষ্ঠিত করে যে প্রস্তুতি হচ্ছে একজন ব্যক্তির সামর্থ্য অনুযায়ী এবং তার সামর্থ্যের বাহিরে নয়। এবং এটা হচ্ছে শরয়িহ দায়িত্ব, অতএব মুসলিম শক্তি বর্ধন করবে অস্ত্রের ব্যবস্থা করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী।
২ – যুদ্ধের শক্তি এবং দৃঢ়প্রত্যয়। এই উপলব্ধির মাত্রা নির্দেশ করে সকল ধরনের হাতিয়ার, যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং যোগাযোগ এবং যানবাহনের। রাসুলাল্লাহ (সঃ) এই হাদিসের মাধ্যমে পরিষ্কার করেছেন, ‘কার্যত, ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যেই রয়েছে শক্তি’, তিনি (সঃ) এটা তিনবার বলেছেন। কোরআন সকল মুসলিমকে নির্দেশ করেছে অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার জন্য এবং এই ব্যাপারে উদাসীন হতে নিষিদ্ধ করেছেন এবং আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেনঃ
ﭩ ﭪ ﭫ ﭬﭭ ﭮ ﭯ ﭰ ﭱ ﭲ ﭳ ﭴ ﭵ ﭶ ﭷ ﭸ ﭹﭺ ﭻ ﭼ ﭽ ﭾ ﭿ ﮀ ﮁ ﮂ ﮃ ﮄ ﮅ ﮆ ﮇ ﮈ ﮉﮊ ﮋ ﮌﮍ ﮎ ﮏ ﮐ ﮑ ﮒ ﮓ
(আন-নিসাঃ ১০২)
"এবং যখন তুমি তাদের মধ্যে থাক, তখন তাদের জন্যে (নামাজে ইমামত করবে) নামাজ প্রতিষ্ঠিত কর, যেন তাদের একদল তোমার সাথে দণ্ডায়মান হয় এবং স্ব-স্ব অস্ত্র গ্রহন করে; অতঃপর যখন সিজদাহ সম্পন্ন করে তখন যেন তারা তোমার পশ্চাদ্বর্তী হয় এবং অন্য দল যারা পড়েনি তারা যেন অগ্রসর হয়ে তোমার সাথে নামাজ পড়ে এবং স্ব-স্ব সতর্কতা ও অস্ত্র গ্রহন করে। অবিশ্বাসীরা ইচ্ছে করে যে, তোমরা স্বীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও দ্রব্য সম্ভার সম্বন্ধে অসতর্ক হলেই তারা একযোগে তোমাদের উপর নিপতিত হয় এবং তাতে তোমাদের অপরাধ নেই— যদি তোমারা বৃষ্টিপাতে বিব্রত হয়ে অথবা পীড়িত অবস্থায় স্ব-স্ব অস্ত্র পরিত্যাগ কর এবং স্বীয় সতর্কতা অবলম্বন কর; এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্যে অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করেছেন।"
৩ – এই আয়াত এটাই পরিষ্কার করে যে প্রস্তুতির দায়িত্ব কেবল জ্ঞান অর্জন, অনুশীলন করা এবং এগুলোর মত অন্যান্য কিছু করা নয়, এটা এমন একটা আইডিয়া যেটা সম্প্রতিকালে ছড়িয়ে পড়ে, যে প্রস্তুতি হচ্ছে ছুটির দিনে কোন অভিপ্রায় ছাড়া জিহাদের লড়াইয়ে অংশগ্রহন করা। প্রস্তুতির রয়েছে এক বিশেষ লক্ষ্য... {ﯘ} তৈরি করা...
ﯡ ﯢ ﯣ ﯤ ﯥ ﯦএর মাধ্যমে আল্লাহর শত্রু এবং তোমাদের শত্রু এবং অন্যান্যদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করা, এবং এটা আমি আগেও উল্লেখ করেছি।
৪ – তারপর, এই আয়াত একটা সতর্ক নির্দেশনা নির্দেশ করে এর উপর ব্যয় করতে প্রস্তুতি এবং হাতিয়ার এবং যুদ্ধ সামগ্রী ধারনের জন্য, কারণ আল্লাহ জানেন এর মূল্য, এবং বেশীর ভাগই যারা জিহাদে লড়াই করতে ইচ্ছুক তারা এই পর্যন্ত পৌছতে অকৃতকার্য হয়। অতএব এই আয়াত আদেশ করে এবং শেষ করে এর হুকুম অনুযায়ী ব্যয় করতে এবং আল্লাহ এটার জন্য ওয়াদা করছে প্রচুর পুরষ্কারের।
সূরা তাওবাহের আয়াত অনুযায়ী, এটাঃ
প্রস্তুতি এবং ইমানের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে ধারন করে মহান নির্দেশনাবলী এবং মহান ফিকহ এবং এর সম্পর্কের সাথে ব্যাবহারিক জিহাদের, এবং নিম্মের নির্দেশনা থেকেঃ
এই আয়াত মুনাফিকিনদের ব্যাপারে পরিষ্কার করে এই আয়াতের দাবী হচ্ছে জিহাদের জন্যএকটা আকাঙ্খা থাকতে হবে, পূর্ববর্তী আয়াতগুলোর পরে ব্যাখ্যা করা হয় ইমানদার এবং তাদের সম্পদ ও আত্মত্যাগের সাথে লড়াইয়ের সম্পর্ক এবং জিহাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন বাতিল করা, যেটা মুনাফিকিনরা করে থাকে জিহাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার, যাদের অন্তর দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকে এবং পালিয়ে যাওয়ার জন্য একটা অনুমোদন খোঁজে। (এবং এই কারনে, সূরা আত-তাওবাহর পরিচ্ছেদকে বলা হয় “মুনাফিকিনদের মুখোশ উম্মোচনকারী”।) উপরে উল্লেখিত আয়াত প্রতিপাদ করে যে এটা মুনাফিকিনদের একটা মুনাফিকির আলামত যেটা হচ্ছে তারা লড়াই এবং জিহাদের প্রস্তুতি থেকে বিমুখ থাকে, এবং তাদের ব্যাপারে বলা হয় ﮩ ﮪ ﮫ ‘আর যদি তারা (যুদ্ধে) যাত্রা করার ইচ্ছা করতো’, অথবা যদি লড়াইয়ের জন্য তাদের দৃঢ়তা থাকত এবং বের হওয়ার জন্য আন্তরিক হত, ﮬ ﮭ ﮮ তবে এর কিছু আসবাবপত্র তো প্রস্তুত করতো, অথবা তারা নিজেদেরকে যুদ্ধের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুত রাখত, এছাড়াও এটা পরিষ্কার করে যে আল্লাহ সুবহানা তাআলা তাদেরকে যুদ্ধের জন্য বের হতে বিমুখ রেখেছে, এবং তাদেরকে পেছনেই স্থগিত রাখে কারণ তিনি তাদের অবস্থা জানেন, এবং তাদের বসে থাকাদের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত রাখেন, মুজাহিদিনদের মঙ্গলের জন্য, কারন তাদের অগ্র যাত্রা মুজাহিদিনদের যন্ত্রণা এবং বিশৃঙ্খলার কারণই হবে।
চলুন আমরা আমাদের মূল বিষয়ে ফিরে যাই, যেটা হচ্ছে জিহাদ এবং প্রস্তুতির মধ্যে সম্পর্ক। অতএব এই আয়াত নির্দেশ করে আল্লাহ তাআলার বানীর এই স্তরের দিকেঃ
ﮩ ﮪ ﮫ ﮬ ﮭ ﮮ ﮯ ﮰ ﮱ ﯓ ﯔ ﯕ ﯖ ﯗ ﯘ ﯙ
(আত-তাওবাঃ৪৬) "আর যদি তারা (যুদ্ধে) যাত্রা করার ইচ্ছা করতো, তবে এর কিছু আসবাবপত্র তো প্রস্তুত করতো; কিন্তু আল্লাহ তাদের (যুদ্ধে যাওয়ার জাগরণকে) যাত্রাকে অপছন্দ করেছেন, এ জন্যে তাদেরকে বিরত রাখলেন এবং বলে দেয়া হলো, “তোমরাও এখানেই অক্ষম লোকদের সাথে বসে থাক”।
এই আয়াতের শিক্ষা হতে আমরা বুঝতে পারি যে এখানে তিনটি স্তর রয়েছেঃ
১ – ইচ্ছাঃ লড়াইয়ের জন্য ইচ্ছা পোষণ হচ্ছে প্রস্তুতির পূর্বসূচক, এবং পরবর্তীতে জিহাদঃ
সকল মিলিটারি স্কুল একমত যে লড়াইয়ের ইচ্ছা এবং যোদ্ধার নৈতিক শক্তিমত্তা হচ্ছে বিজয়ের জন্য ভিত্তি এবং কৃতিত্ব। এছাড়াও, ইচ্ছা হচ্ছে সকল কর্ম এবং মানুষের সকল প্রত্যাশিত কার্যক্রমের ভিত্তি।
যেকেউ খেতে, পান করতে, বিয়ে করতে, ব্যবসা করতে, ভ্রমন করতে অথবা যেকোনো কিছু করতে ইচ্ছা করে, তাহলে সেটা শুরু করতে হবে আন্তরিক ইচ্ছার সাথে। এই ইচ্ছার আন্তরিকতার প্রমান হচ্ছে যে সেই সিদ্ধান্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন...
আমাদের অবস্থানে, যেটা হচ্ছে জিহাদ... প্রস্তুতি হচ্ছে আন্তরিক ইচ্ছার ফল। যখন ইচ্ছা হচ্ছে আন্তরিক এবং সংকল্প হচ্ছে দৃঢ়, কেউ তার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে, আল্লাহর শত্রু এবং মুসলিমদের শত্রুদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে... প্রস্তুতির পরে, তাকে ময়দানে প্রেরণ করা হয়... সুতারাং, যদি আকাঙ্খা আন্তরিক হয় এবং প্রস্তুতি নেয়া হয় তার সামর্থ্য অনুযায়ী, জিহাদের জন্য একক যাত্রা শুরু করে যতক্ষণ না আল্লাহ সুবহানা তাআলা তাকে পেছনে রুখে দেয় বিশৃঙ্খলার এবং ক্ষতি হওয়ার কারনে [সে কারণ হতে পারে], এবং যতক্ষণ না সে শয়তান দ্বারা আক্রান্ত হয় অথবা তার নিজের প্রবৃত্তির দ্বারা আক্রান্ত হয় ভীরুতা এবং দুর্বলতার কারনে, রাসুলাল্লাহ (সঃ) যেটা বলেছেনঃ ‘দুনিয়ার জন্য ভালবাসা এবং মৃত্যুর প্রতি অনীহা’ – আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি উত্তম পরিস্থিতির জন্য এবং ধৈর্য ধারণের।
এই লড়াইয়ের ইচ্ছা হচ্ছে প্রস্তুতি এবং কাজের উদ্দীপনা। যদি এটা একজন রেগুলার সৈনিকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একটা ভিত্তি হয়, তাহলে এটা হচ্ছে সার্বিকভাবে গেরিলা ফাইটারদের এবং বিশেষ করে জিহাদি প্রতিরোধ ফাইটারদের জন্য মূল ভিত্তি। তদুপরি, এটা হচ্ছে তার বেসিক হাতিয়ার, যেটা তাকে সামনের দিকে নিয়ে যায় যেকোন কিছুই সে করতে সক্ষম হয়, এমনকি বেসামরিক হাতিয়ারের ব্যাবহার, যদি সেখানে এছাড়া কোন ধরনের সামরিক অস্ত্রের যোগান না থাকে।
দ্বিতীয় অংশ
ঘরের মধ্যে ট্রেনিং এর কসরতের সময় মিলিটারী প্রস্তুতিকরন হচ্ছে তুলনামূলক নিম্মস্তরের, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা হচ্ছে উচ্চ মানের, যদি এটা করা হয় গোপন অবস্থানের ভিত্তিতে এবং বিশেষ নিরাপত্তার পুর্বসতর্কতার ব্যবস্থা অনুযায়ী।
● ইনহাউজ এবং সিক্রেট মোবাইল ক্যাম্পে ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য সংক্ষিপ্ত আইডিয়াঃ
যদি আল্লাহ এটাকে সহজ করে দেয়, গেরিলা ওয়ারফেয়ারের জন্য কিছু মিলিটারি সায়েন্সের প্রয়োজনে
আমরা চেষ্টা করব প্রতিরোধ লড়াইয়ের গবেষণা গ্রন্থে বিস্তারিত পাঠের উপর প্রোগ্রামসহ একটা মিলিটারি এটাছমেন্টসংযোগ করতে, বিশেষ করে শহুরে এবং সিক্রেট প্রোগ্রাম, যেটা বর্তমান পরিস্থিতির উপর প্রতিরোধ ব্রিগেডের অপারেশানগত কার্যক্রমের জন্য একটা ভিত্তি। প্রোগ্রাম গঠন হবে লাইট উইপন্স, উইপন্সের শুটিং দক্ষতা, বিস্পোরক বিদ্যা এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রিসিটি এবং ইলেকট্রনিকসেরব্যাবহারের মধ্যমে... এবং কিছু শহুরে গেরিলা ওয়ারফেয়ারের কলাকৌশল, ইনশাআল্লাহ।
এখন, যাইহোক, আমি একটা ছোটখাটো প্রোগ্রামের দিকে নির্দেশনা করবো যেটা বাস্তবায়ন করা যাবে সবচেয়ে সিম্পল সেলগুলোর মাধ্যমে, এটাকে প্রতিরোধ লড়াইয়ের জন্য স্থির করা হয়েছে নিরাপত্তার এবং গোপনীয়তার সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির জন্য নির্ভর করে।
▪ যে এই প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হবে সে নিজেকে এবং যাদের সে তার সাথে অন্তর্ভুক্তি করতে চায়, তাদেরকে একটা শারীরিক ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য দৃঢ়বদ্ধ হতে হবে, কোন স্পোর্টস ক্লাবে যোগ দেয়ার মাধ্যমে সেখানে সে শিখতে পারে রেস্লিং, কারাটে, জুডো... বক্সিং... ইত্যাদি... অথবা ব্যক্তিগতভাবে ডেইলি ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে যেটা হতে পারে দীর্ঘ পথ এবং দীর্ঘ সময় ধরে দৌড়ানো এবং এমন পিজিকেল এক্সারসাইজ স্পোর্টসে অভ্যস্ত হওয়া যাতে শক্তিশালী ফিটনেস তৈরি হয়।
▪ কিভাবে রিভলভার এবং মেশিনগান ডিসএসেম্বল এবং এসেম্বল করতে হয় সেটার পাঠ, এগুলোর মেনুয়েল ব্যবহার এবং এগুলোর বিভিন্ন পার্ট এবং বিশেষত্বের বিশ্লেষণ, এগুলোর শুটিং এবং শুটিং পজিশান কিভাবে করতে হয় তার পাঠ।
▪ পাখী শিকার করার রাইফেল দিয়ে শুটিং প্র্যাকটিস করা যেতে পারে যেটা সব জায়গায় সহজলভ্য।
▪ হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরির একটা থিওরিকেল পাঠ, করা যেতে পারে মেনুয়েলি শিক্ষার মাধ্যমে, এবং সেগুলো নিক্ষেপ করার পদ্ধতি শিখতে হবে, নিক্ষেপের প্র্যাকটিস করা যেতে পারে গ্রেনেডের সাইজ এবং ওজনের কোন বস্তুকে নিক্ষেপ করার মাধ্যমে।
▪ বিস্পোরক তৈরির একটা থিওরিকেল পাঠ, এবং এর উপরকরনগুলোর সংরক্ষণ এবং ব্যাবহার। একজন শিক্ষার্থী আসল দ্রব্য ব্যাবহার না করে সামঞ্জস্য কিছু ব্যাবহার করবে, কাঠের দ্রব্য, ক্যাবল এবং প্লাস্টিক মডেল, ডেটনেটরের পরিবর্তে ইলেকট্রিক তার কানেক্ট করা ল্যাম্প এবং বাল্বের ব্যাবহার বিধি শিখা নমুনা হিসেবে। আমরা এই পদ্ধতি এর আগে প্র্যাকটিস করেছি এবং সফলতা পেয়েছি। বিস্পোরক তৈরির ৪০ ঘণ্টার একটা থিওরিকেল কোর্সের ব্যবস্থা করেছিলাম যেটার প্র্যাকটিস হয়েছিল কাঠ এবং প্লাস্টিক মডেল দিয়ে, শিক্ষার্থীকে এই প্র্যাকটিস করানো হয়েছিল তারা আসল বিস্পোরক তৈরিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠা পর্যন্ত এবং কেবল একটা জিনিস বাকী ছিল সেটা হচ্ছে সঠিক জায়গায় এর বাস্তবায়ন খুব ছোট বম্ব দিয়ে।
▪ ওয়ারলেস ডিভাইস ব্যাবহারে পারদর্শিতা এবং এটার ব্যাবহারের নিরাপত্তার উপর একটা মেনুয়েল শিক্ষা, প্রাইভেট হাউজে এগুলো ব্যাবহার এড়িয়ে চলা, কিন্তু কেবল খালি জায়গায় ব্যাবহার করতে পারবে, এবং ট্রান্সমিশানের সময় আধা মিনিটের বেশী হবেনা এতে করে ফ্রেকুয়েন্সি মনিটরের আওতায় আসবেনা এবং কথাবার্তার ধরন সরকারী এজেন্সিগুলোর কথাবার্তার সাথে সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
▪ থিওরিকেল শিক্ষা যেটা অন্তর্ভুক্ত করবে নিম্মের মিলিটারি এবং টেক্টিকেল বিষয়গুলো, মেনুয়েলি করতে হবে যেগুলো এখন অনুরূপ ইন্টারনেটে পাওয়া যায় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেনুয়েল যেগুলো হচ্ছেঃ
- লাইট এবং মিডিয়াম ধরনের উইপন্সের উপর মেন্যুয়েল।
- এক্সপ্লসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সের উপর মেন্যুয়েল।
- সামরিক ভুসংক্রান্ত বিজ্ঞানের উপর মেন্যুয়েল।
- ওয়ারলেস এবং এর কথাবার্তা এনকোডিং সায়েন্সের উপর মেন্যুয়েল।
- সিকিউরিটি এবং মুভমেন্ট, সিক্রেট একশান, শত্রুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে পশ্চাদ্ধাবন এবং তাদের পর্যবেক্ষণের ফলে টার্গেটে পরিণত থেকে লুকিয়ে থাকা এবং পালিয়ে যাওয়ার উপর মেন্যুয়েল।
- ইলেক্ট্রিসিটি এবং ইলেকট্রনিক সায়েন্সের উপর মেন্যুয়েল, এবং যেগুলোর সাথে এক্সপ্লসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সের সম্পর্ক রয়েছে।
- এক্সপ্লসিভ এসেম্বলিং এবং প্রস্তুতির উপর মেন্যুয়েল (বাস্তবায়নের জন্য সরবরাহ করা হবে একজন কেমিস্ট্রি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে, এবং এটা করতে হবে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে এবং স্বল্প পরিমানে)।
- যুদ্ধকৌশলের উপর মেন্যুয়েল, শহুরে ওয়ারফেয়ারের যুদ্ধকৌশল – পাহাড়ি ওয়ারফেয়ার – বন্য ওয়ারফেয়ার – গেরিলা ওয়ারফেয়ার – রেগুলার আর্মির যুদ্ধকৌশল এবং রেগুলার আর্মির বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার পদ্ধতি...ইত্যাদি...
- সিক্রেট পরিচালনার উপর মেন্যুয়েল,সাক্ষাৎকার সেট করা, সিক্রেটলি বার্তা পাঠানো এবং গ্রহন করা... ইত্যাদি...
এই মিলিটারি শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা সম্ভব হবে কম্পিউটার ডিস্ক দ্বারা সরবরাহ করতে, এটাকে হস্তান্তর করা, এটা থেকে সুবিধা অর্জন করা এবং একটি নিবিড় প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে শিখানো যাবে, এবং ঘরের মধ্যে অনেক কার্যকরী প্রেক্টিকেল এক্সারসাইজ চালানো যাবে অথবা স্পোর্টস এবং স্কাউট ক্যাম্প অথবা অনুরূপ কিছু দ্বারা চালানো যাবে। অতঃপর কেবল বাকী রইল শুটিং প্র্যাকটিস এবং বিস্পোরকের ব্যাবহার। এটা করা যেতে পারে একটা উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বের করে করা যেতে পারে, এবং এটা করতে হবে বিশেষ সময়ে, অথবা মোবাইল সিক্রেট ক্যাম্পে করা যেতে পারে, অথবা যেভাবে সম্ভব হয়... এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি ব্যবস্থার প্রতি খেয়াল রাখা যখন এই ট্রেনিং পরিচালনা করা হয়। এবং একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সফলতা দানকারী।
ক্যাম্প, নিরাপত্তা এবং সময়ঃ
ক্যাম্প, এটা অবশ্যই হবে আপনার একমাত্র ব্যাড রুম এখান থেকে এক ইঞ্চি বাহিরে অন্য কোথাও নয়, আপনার যেটা আছে সেখানেই। আপনি যদি রুমে একা থাকেন তাহলে সেটা হবে অসাধারণ, আর যদি আপনার রুমমেট হয় আপনার বন্ধু অথবা আপনার ভাই, সে যদি আপনার হাম খেয়াল হয় তাহলে সেটা হবে ওয়াও। আর যদি না হয় চেষ্টা করতে হবে অবশ্যই একা রুমের ব্যবস্থা করতে। যদি বিবাহিত হন আপনার স্ত্রীকে মেনেজ করতে হবে, তাকে বুঝাতে হবে আপনি ফিটনেসের ব্যায়াম শুরু করে দিয়েছেন। তবে তাকে কিছুতেই বুঝাতে দেয়া যাবে না, ইউ বিকামিং এ সোলজার। এভাবে পরিবারের বাকি সবাইকেও। বিশেষ করে শিশুদেরকে কিছুই বুঝতে দেয়া যাবে না। সেদিন দেখলাম পাশের বাড়ির এক বাচ্চাকে তার স্কুল থেকে বলা হয়েছিল বাড়ি থেকে দুইটা যেকোনো ইসলামি বই নিয়ে আসতে। আমি বাচ্চাটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বই দিয়ে সারেরা কি করবে, সে বলল তারা এইগুলো সৃতি হিসেবে রাখার জন্য সংগ্রহ করতেছে, দেখুন কি মারাত্মক তাগুত কিভাবে আপনার ঘরের তথ্য সংগ্রহ করতেছে। আপনি যখন পরিপূর্ণ প্র্যাকটিস শুরু করবেন, আপনার মাঝে কিছুটা হলেও এর প্রতিফলন ঘটবে, যদি আপনার আশপাশের লোকদের মাঝে কিছুটা বহিঃপ্রকাশ পায়, তাহলে আপনার প্রতিক্রিয়াটা বোঝাতে হবে আপনি ইদানিং বডি ফিটনেস, রেসলিং এবং বডি বিল্ডিং এগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, তবে ধীরে ধীরে। সময়টা নির্ধারণ করতে হবে বিশেষ করে তাহাজ্জুত নামাজের পর থেকে ফজর পর্যন্ত হতে পারে, অথবা ফজরের পরে, অথবা সন্ধ্যার পরে। তবে বেষ্ট হবে আপনার নিরাপত্তার অবস্থান অনুযায়ী।
এখানে, প্র্যাকটিসকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, আপনি প্রথম দিন আধা ঘণ্টার জন্য করে শুরু করতে পারেন। প্রথম দশ দিন এই সময়কে ইনক্রিজ করে দুই ঘণ্টায় পরিণত করতে হবে। এরপর থেকে সর্বনিম্ম দুই ঘণ্টা করতে হবে, চেষ্টা করতে হবে এর চেয়েও বেশী করার যতটুকু সম্ভব আপনার সাধ্য অনুযায়ী। প্রথম দশ দিন শুধু পার্ট এক করবেন।
১ – ইনিশিয়াল ওয়ার্ম আপ ওয়ার্ক আউট
২ – ফিটনেস
৩ – মার্শাল আর্ট
• তাইকুণ্ডু বেসিক
• কিক বক্সিং বেসিক
৪ – উইপন্স
• উইপন্স রিভিও
• উইপন্স পজিশান
৫ – অন্যান্য
১ – ইনিশিয়াল ওয়ার্ম আপ ওয়ার্ক আউটঃ এখানে যে ওয়ার্ক আউট গুলো আছে, এগুলো যেকোনো ধরনের মিলিটারি লাইনের প্রাথমিক শরীরচর্চা। এগুলো আমি ইংরেজিতে দিয়েছি যাতে আপনারা শুদু লেখাটা কপি করে নিয়ে ইউ টিউবে সার্চ করবেন, সার্চ করার সময় প্রত্যেকটার লেখার আগে দিয়ে how to do লেখাটা লিখবেন, দেখবেন প্রত্যেকটার আলাদা আলাদা টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে। শুরু করার আগে এগুলোকে ডাউনলোড করে নিবেন। প্রথম দশ দিন বা পনেরো এই ব্যায়ামগুলো করবেন। প্রথম দিন আধা ঘণ্টা করবেন এরপর শেষ দিন পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় নিয়ে যাবেন ধীরে ধীরে, প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট করে বাড়াবেন। শুরু শুরুর দিকে শরীর ব্যথা হবে, কিন্তু এর জন্য কোন পেইন কিলার নেবেন না। কি খেতে হবে আমি সেটা খাদ্য তালিকার অংশে দিয়ে দেব।
1. Jumping jacks - এটা ৫-১০ বার করবেন।
2. Half Jumping Jacks - এটা ৫-১০ বার করবেন।
3. Windmills - এটা ৫-১০ বার করবেন।
4. Two count Windmills - এটা ৫-১০ বার করবেন।
5. Trunk side stretch - এটা ৫-১০ বার করবেন।
6. close grip pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
7. wide grip pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
8. Behind neck pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
9. Regular grip pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
নোটঃ ৬ – ৯ নাম্বার আপনি প্রথম দিন থেকে ৫ বার করে পারবেন না, দুইবার থেকে শুরু করতে পারেন। এগুলো ৫ – ১০ মরতবা করতে হবে। এই ব্যায়ামটা আপনার হেভি ওয়েট এক্সারসাইজ হিসেবেও কাজে আসবে। এই ব্যায়ামে যদি আপনি অভ্যস্ত হয়ে যান আপনি দেখতে পাবেন মিলিটারি কিছু ট্রেনিং আছে সেগুলো আপনার জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। এগুলো খুবই ইউসফুল।
10. Push ups - এটা ১০ - ২০ বার করবেন। এগুলো ৫ – ১০ মরতবা করতে হবে।
11. Situps
12. Cross arms situps
13. Flutter kicks
14. Cruncher situps
15. Atomic situps
নোটঃ ১১ - ১৫ হচ্ছে পেটের ব্যায়াম প্রত্যেকটা ৫- ১০ বার করে ৫ – ১০ মরতবা করতে পারেন।
16. Lizard stretch - এটা ৫-১০ বার করবেন।
17. Neck rotations - এটা ১০ - 12 বার করবেন।
Legs
18. Lunges - এটা ১০- ১২ বার করে ৫ – ৬ মরতবা করতে পারেন।
19. Squats - এটা ১০- ১২ বার করে ৫ – ৬ মরতবা করতে পারেন।
Flexibility: এগুলো মূলত মার্শাল আর্টের জন্য, এই ফ্লেক্সিবল এক্সারসাইজগুলো বেসিক ব্যায়ামের সাথে করতে হবে প্রতিদিন। এগুলো রপ্ত করতে এই ভিডিও তিনটা যথেষ্ট আমি মনে করি। লিঙ্ক গুলো দেয়া হল, ডাউনলোড করে নিবেন সাথে সাথে।
https://www.youtube.com/watch?v=aEYgYkdr42Y
https://www.youtube.com/watch?v=v6SdkwJpT5w
https://www.youtube.com/watch?v=qhpo9qKxO2c
২ – ফিটনেসঃ বডিবিল্ডিংঃ ফিটনেসের ক্ষেত্রে বডিবিল্ডিং এর এক্সারসাইজ করা যেতে পারে, সেটা হতে পারে লাইট ওয়েট অথবা মিড ওয়েট, হেভি ওয়েটের আশা করি প্রয়োজন নেই, কেউ যদি আগ্রহী হয় সেক্ষেত্রে হেলথ ক্লাবে ভর্তি হতে হবে, সেটা কিছু ব্যয় বহুল। লাইট ওয়েট অথবা মিড ওয়েটের জন্য আপনি কোন স্পোর্টস সপ থেকে একটা ৩ ফুটের বার, দুইটা হ্যান্ড বার এবং ১৫ কেজি ওয়েট কিনতে পারেন, এবং একটা ৪ ফুট বাই ৩/৪ ফুটের একটা শক্ত কাঠের বেঞ্চ কিনতে পারেন। বার এবং ওয়েটগুলোর মূল্য ২০০০ – ২৫০০ টাকা হবে। আপনি এই ইন্সট্রমেন্টগুলো দিয়ে ৮০ ভাগ লাইট ওয়েট অথবা মিড ওয়েট বডিবিল্ডিং এক্সারসাইজ করতে পারবেন। biceps and triceps, chest, back, hands and legs এই এক্সারসাইজগুলো কিভাবে করতে হবে বিস্তারিত দেখানো হবে। কেউ যদি বডিবিল্ডিং এর এক্সারসাইজ করতে অনিচ্ছুক হন তাহলে পার্ট অয়ান ডাবল করে করলে বডিবিল্ডিং এর মোটামুটি কাজ হয়ে যাবে।
দৌড়ানোঃ সাধারণ লাইফ বলেন মিলিটারি লাইফ বলেন দৌড় হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়াম। আপনাকে সপ্তাহে ৫-৬ দিন সন্ধ্যা অথবা সকালে ৫-৬ কিমি দৌড়তে হবে অথবা সপ্তাহে ২ দিন ১২-১৫ কিমি হলে চলবে। এগুলো হচ্ছে সাধারণ দৌড়।
হার্ডশিপঃ এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার এলাকার রেলওয়ে ব্যাবহার করতে পারেন। এই জন্য আপনি নরম স্যান্ডেল অথবা নরম সোলের কেডস পায়ে ব্যাবহার করবেন, এতে করে আপনার পায়ে পাথরগুলোর আঘাত লাগবে, ফলে আপনার পায়ে স্ত্রেংথনেস বৃদ্ধি পাবে। আপনি রেললাইন ধরে দৌড়াবেন ১০-১২ কিমি সপ্তাহে দুইদিন, সপ্তাহের মধ্য ভাগে এবং শেষ ভাগে। দৌড়ানোর সময় আপনি চেষ্টা করবেন রেললাইনের কাঠের পাটাতন এড়িয়ে যেতে, শুধু পাথরের উপর। আপনি নিরাপত্তার খাতিরে দৌড়ার পরিবর্তে হাঁটতে পারেন। কারন তাগুতের কোন গোয়েন্দা বিভাগের কোন ব্যক্তির নজরে পড়লে হয়ত ব্যাপারটা সহজভাবে নেবেনা। যদি নিরাপত্তা অনুভব করেন তাহলে দৌড়াতে পারেন। উত্তম হবে শহর থেকে বের হয়ে গ্রামের দিকের রেলওয়েতে।
এছাড়া আপনার এলাকা যদি দুর্গম অথবা পাহাড়ি এলাকা হয় আপনি সেই পথ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করবেন। পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণে গিয়ে সেটা করা যেতে পারে। কাদাযুক্ত জলাশয়ে চলার অভ্যস্ত করতে হবে। বাংলাদেশে এবং এর আশপাশে ভারতের রাজ্যগুলোর বৈরি এলাকাগুলো প্রায় একই রকম। বৈরি অবস্থা এবং আবহাওয়াতে যাতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তপ্ত রোদের মধ্যে হেটে অভ্যস্ত হওয়া, ঘন মুষলধারে বৃষ্টির মাঝে ভিজে ভিজে হেটে অভ্যস্ত হওয়া, অমাবস্যার রাতে গ্রাম্য অচেনা আলো বিহীন অন্ধকার দীর্ঘ পথে হেটে অভ্যস্ত হওয়া। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে এগুলোকে কিভাবে সহজে আয়ত্ত করা যায় এর উপর একটা প্রোগ্রাম তৈরি করার চেষ্টা করবো। সাগরের বুকে যে কেউ চাইলে নৌকা করে যেতে পারে না ভয় এবং দুর্বলতার কারনে, কেউ সাহস করে গেলেও বমি করে দেয়। যারা সাগর উপকূলীয় অঞ্চলে বা নদী পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাস করেন, তারা চাইলে জেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে, ইঞ্জয়ের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে মাছ ধরতে যাওয়া।
দীর্ঘ সময় ধরে সাইকেলিং করা, ৬০-৭০-৮০-৯০-১০০ কিমি যতটুকু সম্ভব সাধ্যের অতিরিক্ত সময় ধরে একটানা সাইকেল চালানো মাঝে মাঝে।
৩ – মার্শাল আর্টঃ মার্শাল আর্ট হচ্ছে খুবই কার্যকরী, গেরিলা ওয়ারফেয়ারের বা কমান্ডো স্পেশাল ফোর্সের সদস্যদের ক্লোজ কমব্যাটের ট্রেনিং করানো হয়, সেগুলো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড টু হ্যান্ড টেক্টিকেল কমব্যাট, যেমন, মেস্ট্রো ডিফেন্স সিস্টেম। আমার প্রথম ট্রেনিং এর অর্জনের সময় আমাদের উস্তাদ আমাদের জুডোর আওতাভুক্ত অনেকগুলো টেকনিক শিখায়, যেগুলো ছিল খুবই কার্যকরী এবং দ্বিতীয় ট্রেনিং এর সময় আমাদের উস্তাদ আমাদের কুংফু শিখায়, উনি ছিলেন কুংফুতে ব্ল্যাক বেল্ট অর্জনকারী। কিন্তু তিনি আমাদের কুংফু এতবেশী শিখান নাই, তিনি আমাদেরকে ডামি হাতিয়ার ব্যাবহারের উপর এবং অন্যান্য মিলিটারি ট্রেনিংগুলোর উপর ফোকাস করেছিলেন। বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্ট রয়েছে, আমার কাছে সবচেয়ে বেশী ফলফ্রসু মনে হয়েছে ওয়িং চুন এবং এটা শিখাটা খুবই হার্ড। তবে আপনাদের জন্য আমি যেটা নির্বাচন করেছি সেটা হচ্ছে তাইকুন্ডু, যেটার হার্ড হচ্ছে শুদু ফ্লেক্সিবিলিটি। আপনার পায়ের ফ্লেক্সিবল ঠিক হয়ে গেলে এটা শিখা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে, বাড়তি দিক হচ্ছে আপনি এটা একা একা প্র্যাকটিস করতে পারবেন। আমি এটা একা একাই শিখেছি, ভিডিও দেখে। সেজন্য আমি আপনাদের জন্য সে ভিডিওগুলোর লিঙ্ক সিরিয়াল আকারে দিয়ে দিয়েছি, আপনারা ভিডিও গুলো ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে নিবেন। ভিডিওতে খুব সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছে কিভাবে প্র্যাকটিস করতে হবে। এবং কিছু কিক বক্সিং এর বক্সিং প্র্যাকটিসের ভিডিও দেয়া আছে নিম্মে।
• তাইকুণ্ডু বেসিক
1. https://www.youtube.com/watch?v=D01r29wCzwI
2. https://www.youtube.com/watch?v=r1O2aMq0akU
3. https://www.youtube.com/watch?v=X7A96CgJ4GQ
4. https://www.youtube.com/watch?v=ig1Oy-rzOS0
5. https://www.youtube.com/watch?v=P6PifDOklsg
6. https://www.youtube.com/watch?v=-ntpFTRZRoI
7. https://www.youtube.com/watch?v=D8-TAJeR0eY
8. https://www.youtube.com/watch?v=Um6dkPLStf8
9. https://www.youtube.com/watch?v=nyOER6U7TgM
10. https://www.youtube.com/watch?v=YANw1yTjDeY
11. https://www.youtube.com/watch?v=NMICZNCv4hE
12. https://www.youtube.com/watch?v=50RAVxgTeCY
13. https://www.youtube.com/watch?v=oxcACgbbAlw
14. https://www.youtube.com/watch?v=1Hb-1Uyeh1Q
15. https://www.youtube.com/watch?v=jjyOrlAf5lw
16. https://www.youtube.com/watch?v=Db098oKgzpk
17. https://www.youtube.com/watch?v=1vqL6DDM8ec
18. https://www.youtube.com/watch?v=3SaKycgcKfI
19. https://www.youtube.com/watch?v=NMICZNCv4hE
20. https://www.youtube.com/watch?v=UYEVnH1WN0E
21. https://www.youtube.com/watch?v=m5DocuF1vHo
22. https://www.youtube.com/watch?v=c1RBgLxPZuk
23. https://www.youtube.com/watch?v=WrVR26Dlvpo
24. https://www.youtube.com/watch?v=sMmh6o3oe0o
25. https://www.youtube.com/watch?v=oT_82a5CbPA
26. https://www.youtube.com/watch?v=grGiweSyUuw
27. https://www.youtube.com/watch?v=ywT1knycLns
28. https://www.youtube.com/watch?v=D_O4XhZu1bE
29. https://www.youtube.com/watch?v=HV4UYZVUS4s
30. https://www.youtube.com/watch?v=LZYtQk-4xvE
• কিক বক্সিং বেসিক
1. https://www.youtube.com/watch?v=7PGEGcTHHmg
2. https://www.youtube.com/watch?v=hWI6ojJzBww
3. https://www.youtube.com/watch?v=ToHtpegEhKI
4. https://www.youtube.com/watch?v=gVixuVE0-ek
5. https://www.youtube.com/watch?v=6F_6OExW5-I
6. https://www.youtube.com/watch?v=sbNhd0JLQXA
7. https://www.youtube.com/watch?v=1-EVNlNZiks
8. https://www.youtube.com/watch?v=dGcZzDnpyGQ
৪ – উইপন্সঃ এটা হচ্ছে পারমাণবিকের যুগ, আর আমাদের সামনের শ্ত্রু বিশাল পারমাণবিক শক্তিধর, তো এখানে হাত আর লাঠি দিয়ে কিইবা হবে, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অস্ত্রের ট্রেনিং করতে না পারলে আমরা অন্তত এগুলোর ভিতরে কি আছে এগুলো কিভাবে চলে এগুলোর ব্যাবহারের পজিশানগুলো অন্তত নিজের রুমে বসে দেখে আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে পারব। আমরা পজিশান প্র্যাকটিসের জন্য বাজার থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা পিস্তল পাওয়া যায় আপাতত সেগুলো কিনে ভিডিও দেখে পজিশান প্র্যাকটিস করতে পারি। আমি নিচে ভিডিও লিঙ্কগুলো দিয়ে দিলাম আপানারা ডাউনলোড করে নিবেন।
• উইপন্স রিভিও এবং Assembly Disassembly
https://www.youtube.com/watch?v=tGrH33uWCVk
https://www.youtube.com/watch?v=ZyajvvsuGcU
https://www.youtube.com/watch?v=3yqbhjbb-3g
https://www.youtube.com/watch?v=EjQrhDKDWFk
https://www.youtube.com/watch?v=BqZsSk5FFX4
https://www.youtube.com/watch?v=_eQLFVpOYm4
https://www.youtube.com/watch?v=wAqE-KLbiYc
https://www.youtube.com/watch?v=_q-s1yD774w
https://www.youtube.com/watch?v=umzYPNYjEiY
https://www.youtube.com/watch?v=50sbFXjdalU
https://www.youtube.com/watch?v=9MGfM9I_HDU
https://www.youtube.com/watch?v=tHi1f6IkMlA
• উইপন্স পজিশান
https://www.youtube.com/watch?v=pR3L0fcEzfk
https://www.youtube.com/watch?v=owKowHKhpxQ
https://www.youtube.com/watch?v=I01I-LkU3jA
https://www.youtube.com/watch?v=e4YpBdtUBaI
https://www.youtube.com/watch?v=NsTU_mD_Z70
https://www.youtube.com/watch?v=6MFCyeOy1pQ
https://www.youtube.com/watch?v=qzY4_DPp2Ks
https://www.youtube.com/watch?v=iwzo5DadAjo
https://www.youtube.com/watch?v=0Kb9yY_GzbI
https://www.youtube.com/watch?v=Q76rZPrha20
https://www.youtube.com/watch?v=n_jfON1iJf0
https://www.youtube.com/watch?v=FSvB9-pjv78
https://www.youtube.com/watch?v=yaLFtK3DP5Q
Full video https://www.youtube.com/watch?v=e4Yp...BBA09EBA018C38
https://www.youtube.com/watch?v=cBb_eDYzTSA
https://www.youtube.com/watch?v=NxyTFzgWjhk
Full video https://www.youtube.com/watch?v=Pk8N...C1F6E7C23E3051
কেউ যদি লাইভ শুটিং করার প্র্যাকটিস করতে চান বা কেউ অস্ত্রের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই তাকে উস্তাদ শায়েখ আবু মু’সাআব আস-সুরীর থিয়োরি ফলো করা উচিত, সেটা হলঃ
“শুটিং প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে, এটা সম্পন্ন করতে হবে নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে এবং গুহার ভিতর উপযুক্ত অবস্থায়... এবং জনবিরল পাহাড়ি এলাকায়... বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে... মরুভূমিতে... ইত্যাদি, প্র্যাকটিসের সময় শক্তিশালী নিরাপত্তাজনিত সতর্কতা নেয়া এবং প্র্যাকটিস এলাকা অনেক দূরত্ব রেখে সেখানে সতর্কতা পোস্টের ব্যবস্থা রাখা।”
( নোটঃ শায়েখ এখানে শুটিং এর শব্দজনিত নিরাপত্তা কথা তুলে ধরেছেন, বাংলাদেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করলে দেখা যায় এটা কিভাবে করা যেতে পারে, প্রথমত এটা অবশ্যই করতে হবে জনবিরল এলাকায়। যদি সম্ভব হয় শুটিং প্র্যাকটিসের সময় গানের সাথে সাইলেন্সার ব্যাবহার করা। সাউন্ড সিস্টেম হচ্ছে এমন আপনি খেয়াল করবেন যখন দুই দিক থেকে দুই ধরনের শব্দ হতে থাকে যেটা তুলনা মূলক খুব কম শব্দ হয় সেটা অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। তবে প্রযুক্তির এই যুগে কিছু সাউন্ড সিস্টেম মেশিন তৈরি হয়েছে, বড় শব্দের মাঝে যত সুক্ষ শব্দই থাকুক না কেন সেটা নির্ণয় করা যায়। যাইহোক, এই দেশের পরিবেশের ক্ষেত্রে আমরা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি, কোন জনবিরল এলাকায় অবস্থিত রেললাইনের পাশে করা যেতে পারে যখন রেলগাড়ি আসাযাওয়া করে, তবে এলাকাটা অবশ্যই কিছুটা ঘন গাছ পালায় ঘেরা হতে হবে এবং সবচেয়ে উপযোগী হতে পারে হচ্ছে এটা, বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকার দেশ, যখন মুষলধারে ঘন বৃষ্টিপাত হয় তখন আপনি শুটিং প্র্যাকটিস করতে পারেন তবে পূর্ণ সতর্কতা সাথে এবং লোকচক্ষুর আড়ালে।ঃ অনুবাদক)
শুরু করছি মহান আল্লাহ তা’আলার নামে, শান্তি বর্ষিত হোক রাসুল্লাল্লাহ (সঃ) ও উনার পরিবারের উপর এবং উনার মনোনীত সাহাবা (রাঃ) এর উপর, এবং যারা উনার প্রদর্শিত পথে অনুসরণ করে কেয়ামত পর্যন্ত।
ﯘ ﯙ ﯚ ﯛ ﯜ ﯝ ﯞ ﯟ ﯠ ﯡ ﯢ ﯣ ﯤ ﯥ ﯦ ﯧ ﯨ ﯩ ﯪ ﯫ ﯬ ﯭﯮ ﯯ ﯰ ﯱ ﯲ ﯳ ﯴ ﯵ ﯶ ﯷ ﯸ ﯹ ﯺ
(আল-আনফালঃ ৬০)
"তোমরা কাফিরদের মুকাবিলা করার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও সদা সজ্জিত অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, যা দ্বারা আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করবে, এ ছাড়া অন্যান্যদেরকেও, যাদেরকে তোমারা জাননা; কিন্তু আল্লাহ জানেন; আর তোমরা আল্লাহর পথে যা কিছু ব্যয় কর তার প্রতিদান তোমাদেরকে পুরোপুরি দেয়া হবে, তোমাদের প্রতি ( কম দিয়ে ) অত্যাচার করা হবে না।"
ﮩ ﮪ ﮫ ﮬ ﮭ ﮮ ﮯ ﮰ ﮱ ﯓ ﯔ ﯕ ﯖ ﯗ ﯘ ﯙ
(আত-তাওবাঃ৪৬)
"আর যদি তারা (যুদ্ধে) যাত্রা করার ইচ্ছা করতো, তবে এর কিছু আসবাবপত্র তো প্রস্তুত করতো; কিন্তু আল্লাহ তাদের (যুদ্ধে যাওয়ার জাগরণকে) যাত্রাকে অপছন্দ করেছেন, এ জন্যে তাদেরকে বিরত রাখলেন এবং বলে দেয়া হলো, “তোমরাও এখানেই অক্ষম লোকদের সাথে বসে থাক।"
সুরা আল-আনফালের আয়াত অনুযায়ী, এটাঃ
১ – প্রতিষ্ঠিত করে যে প্রস্তুতি হচ্ছে একজন ব্যক্তির সামর্থ্য অনুযায়ী এবং তার সামর্থ্যের বাহিরে নয়। এবং এটা হচ্ছে শরয়িহ দায়িত্ব, অতএব মুসলিম শক্তি বর্ধন করবে অস্ত্রের ব্যবস্থা করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী।
২ – যুদ্ধের শক্তি এবং দৃঢ়প্রত্যয়। এই উপলব্ধির মাত্রা নির্দেশ করে সকল ধরনের হাতিয়ার, যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং যোগাযোগ এবং যানবাহনের। রাসুলাল্লাহ (সঃ) এই হাদিসের মাধ্যমে পরিষ্কার করেছেন, ‘কার্যত, ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যেই রয়েছে শক্তি’, তিনি (সঃ) এটা তিনবার বলেছেন। কোরআন সকল মুসলিমকে নির্দেশ করেছে অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার জন্য এবং এই ব্যাপারে উদাসীন হতে নিষিদ্ধ করেছেন এবং আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেনঃ
ﭩ ﭪ ﭫ ﭬﭭ ﭮ ﭯ ﭰ ﭱ ﭲ ﭳ ﭴ ﭵ ﭶ ﭷ ﭸ ﭹﭺ ﭻ ﭼ ﭽ ﭾ ﭿ ﮀ ﮁ ﮂ ﮃ ﮄ ﮅ ﮆ ﮇ ﮈ ﮉﮊ ﮋ ﮌﮍ ﮎ ﮏ ﮐ ﮑ ﮒ ﮓ
(আন-নিসাঃ ১০২)
"এবং যখন তুমি তাদের মধ্যে থাক, তখন তাদের জন্যে (নামাজে ইমামত করবে) নামাজ প্রতিষ্ঠিত কর, যেন তাদের একদল তোমার সাথে দণ্ডায়মান হয় এবং স্ব-স্ব অস্ত্র গ্রহন করে; অতঃপর যখন সিজদাহ সম্পন্ন করে তখন যেন তারা তোমার পশ্চাদ্বর্তী হয় এবং অন্য দল যারা পড়েনি তারা যেন অগ্রসর হয়ে তোমার সাথে নামাজ পড়ে এবং স্ব-স্ব সতর্কতা ও অস্ত্র গ্রহন করে। অবিশ্বাসীরা ইচ্ছে করে যে, তোমরা স্বীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও দ্রব্য সম্ভার সম্বন্ধে অসতর্ক হলেই তারা একযোগে তোমাদের উপর নিপতিত হয় এবং তাতে তোমাদের অপরাধ নেই— যদি তোমারা বৃষ্টিপাতে বিব্রত হয়ে অথবা পীড়িত অবস্থায় স্ব-স্ব অস্ত্র পরিত্যাগ কর এবং স্বীয় সতর্কতা অবলম্বন কর; এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্যে অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করেছেন।"
৩ – এই আয়াত এটাই পরিষ্কার করে যে প্রস্তুতির দায়িত্ব কেবল জ্ঞান অর্জন, অনুশীলন করা এবং এগুলোর মত অন্যান্য কিছু করা নয়, এটা এমন একটা আইডিয়া যেটা সম্প্রতিকালে ছড়িয়ে পড়ে, যে প্রস্তুতি হচ্ছে ছুটির দিনে কোন অভিপ্রায় ছাড়া জিহাদের লড়াইয়ে অংশগ্রহন করা। প্রস্তুতির রয়েছে এক বিশেষ লক্ষ্য... {ﯘ} তৈরি করা...
ﯡ ﯢ ﯣ ﯤ ﯥ ﯦএর মাধ্যমে আল্লাহর শত্রু এবং তোমাদের শত্রু এবং অন্যান্যদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করা, এবং এটা আমি আগেও উল্লেখ করেছি।
৪ – তারপর, এই আয়াত একটা সতর্ক নির্দেশনা নির্দেশ করে এর উপর ব্যয় করতে প্রস্তুতি এবং হাতিয়ার এবং যুদ্ধ সামগ্রী ধারনের জন্য, কারণ আল্লাহ জানেন এর মূল্য, এবং বেশীর ভাগই যারা জিহাদে লড়াই করতে ইচ্ছুক তারা এই পর্যন্ত পৌছতে অকৃতকার্য হয়। অতএব এই আয়াত আদেশ করে এবং শেষ করে এর হুকুম অনুযায়ী ব্যয় করতে এবং আল্লাহ এটার জন্য ওয়াদা করছে প্রচুর পুরষ্কারের।
সূরা তাওবাহের আয়াত অনুযায়ী, এটাঃ
প্রস্তুতি এবং ইমানের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপারে ধারন করে মহান নির্দেশনাবলী এবং মহান ফিকহ এবং এর সম্পর্কের সাথে ব্যাবহারিক জিহাদের, এবং নিম্মের নির্দেশনা থেকেঃ
এই আয়াত মুনাফিকিনদের ব্যাপারে পরিষ্কার করে এই আয়াতের দাবী হচ্ছে জিহাদের জন্যএকটা আকাঙ্খা থাকতে হবে, পূর্ববর্তী আয়াতগুলোর পরে ব্যাখ্যা করা হয় ইমানদার এবং তাদের সম্পদ ও আত্মত্যাগের সাথে লড়াইয়ের সম্পর্ক এবং জিহাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন বাতিল করা, যেটা মুনাফিকিনরা করে থাকে জিহাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার, যাদের অন্তর দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকে এবং পালিয়ে যাওয়ার জন্য একটা অনুমোদন খোঁজে। (এবং এই কারনে, সূরা আত-তাওবাহর পরিচ্ছেদকে বলা হয় “মুনাফিকিনদের মুখোশ উম্মোচনকারী”।) উপরে উল্লেখিত আয়াত প্রতিপাদ করে যে এটা মুনাফিকিনদের একটা মুনাফিকির আলামত যেটা হচ্ছে তারা লড়াই এবং জিহাদের প্রস্তুতি থেকে বিমুখ থাকে, এবং তাদের ব্যাপারে বলা হয় ﮩ ﮪ ﮫ ‘আর যদি তারা (যুদ্ধে) যাত্রা করার ইচ্ছা করতো’, অথবা যদি লড়াইয়ের জন্য তাদের দৃঢ়তা থাকত এবং বের হওয়ার জন্য আন্তরিক হত, ﮬ ﮭ ﮮ তবে এর কিছু আসবাবপত্র তো প্রস্তুত করতো, অথবা তারা নিজেদেরকে যুদ্ধের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুত রাখত, এছাড়াও এটা পরিষ্কার করে যে আল্লাহ সুবহানা তাআলা তাদেরকে যুদ্ধের জন্য বের হতে বিমুখ রেখেছে, এবং তাদেরকে পেছনেই স্থগিত রাখে কারণ তিনি তাদের অবস্থা জানেন, এবং তাদের বসে থাকাদের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত রাখেন, মুজাহিদিনদের মঙ্গলের জন্য, কারন তাদের অগ্র যাত্রা মুজাহিদিনদের যন্ত্রণা এবং বিশৃঙ্খলার কারণই হবে।
চলুন আমরা আমাদের মূল বিষয়ে ফিরে যাই, যেটা হচ্ছে জিহাদ এবং প্রস্তুতির মধ্যে সম্পর্ক। অতএব এই আয়াত নির্দেশ করে আল্লাহ তাআলার বানীর এই স্তরের দিকেঃ
ﮩ ﮪ ﮫ ﮬ ﮭ ﮮ ﮯ ﮰ ﮱ ﯓ ﯔ ﯕ ﯖ ﯗ ﯘ ﯙ
(আত-তাওবাঃ৪৬) "আর যদি তারা (যুদ্ধে) যাত্রা করার ইচ্ছা করতো, তবে এর কিছু আসবাবপত্র তো প্রস্তুত করতো; কিন্তু আল্লাহ তাদের (যুদ্ধে যাওয়ার জাগরণকে) যাত্রাকে অপছন্দ করেছেন, এ জন্যে তাদেরকে বিরত রাখলেন এবং বলে দেয়া হলো, “তোমরাও এখানেই অক্ষম লোকদের সাথে বসে থাক”।
এই আয়াতের শিক্ষা হতে আমরা বুঝতে পারি যে এখানে তিনটি স্তর রয়েছেঃ
‘ইচ্ছা’ ... ‘প্রস্তুতি’ ... এবং ‘অভিগমন’ ...
এই ডাইনামিক এবং যৌক্তিক বিন্যাস অপারেশানগত মেকানিজম সংক্ষেপণ করে জিহাদ এবং প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রদর্শনে।১ – ইচ্ছাঃ লড়াইয়ের জন্য ইচ্ছা পোষণ হচ্ছে প্রস্তুতির পূর্বসূচক, এবং পরবর্তীতে জিহাদঃ
সকল মিলিটারি স্কুল একমত যে লড়াইয়ের ইচ্ছা এবং যোদ্ধার নৈতিক শক্তিমত্তা হচ্ছে বিজয়ের জন্য ভিত্তি এবং কৃতিত্ব। এছাড়াও, ইচ্ছা হচ্ছে সকল কর্ম এবং মানুষের সকল প্রত্যাশিত কার্যক্রমের ভিত্তি।
যেকেউ খেতে, পান করতে, বিয়ে করতে, ব্যবসা করতে, ভ্রমন করতে অথবা যেকোনো কিছু করতে ইচ্ছা করে, তাহলে সেটা শুরু করতে হবে আন্তরিক ইচ্ছার সাথে। এই ইচ্ছার আন্তরিকতার প্রমান হচ্ছে যে সেই সিদ্ধান্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন...
আমাদের অবস্থানে, যেটা হচ্ছে জিহাদ... প্রস্তুতি হচ্ছে আন্তরিক ইচ্ছার ফল। যখন ইচ্ছা হচ্ছে আন্তরিক এবং সংকল্প হচ্ছে দৃঢ়, কেউ তার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে, আল্লাহর শত্রু এবং মুসলিমদের শত্রুদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে... প্রস্তুতির পরে, তাকে ময়দানে প্রেরণ করা হয়... সুতারাং, যদি আকাঙ্খা আন্তরিক হয় এবং প্রস্তুতি নেয়া হয় তার সামর্থ্য অনুযায়ী, জিহাদের জন্য একক যাত্রা শুরু করে যতক্ষণ না আল্লাহ সুবহানা তাআলা তাকে পেছনে রুখে দেয় বিশৃঙ্খলার এবং ক্ষতি হওয়ার কারনে [সে কারণ হতে পারে], এবং যতক্ষণ না সে শয়তান দ্বারা আক্রান্ত হয় অথবা তার নিজের প্রবৃত্তির দ্বারা আক্রান্ত হয় ভীরুতা এবং দুর্বলতার কারনে, রাসুলাল্লাহ (সঃ) যেটা বলেছেনঃ ‘দুনিয়ার জন্য ভালবাসা এবং মৃত্যুর প্রতি অনীহা’ – আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি উত্তম পরিস্থিতির জন্য এবং ধৈর্য ধারণের।
এই লড়াইয়ের ইচ্ছা হচ্ছে প্রস্তুতি এবং কাজের উদ্দীপনা। যদি এটা একজন রেগুলার সৈনিকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একটা ভিত্তি হয়, তাহলে এটা হচ্ছে সার্বিকভাবে গেরিলা ফাইটারদের এবং বিশেষ করে জিহাদি প্রতিরোধ ফাইটারদের জন্য মূল ভিত্তি। তদুপরি, এটা হচ্ছে তার বেসিক হাতিয়ার, যেটা তাকে সামনের দিকে নিয়ে যায় যেকোন কিছুই সে করতে সক্ষম হয়, এমনকি বেসামরিক হাতিয়ারের ব্যাবহার, যদি সেখানে এছাড়া কোন ধরনের সামরিক অস্ত্রের যোগান না থাকে।
দ্বিতীয় অংশ
ঘরের মধ্যে ট্রেনিং এর কসরতের সময় মিলিটারী প্রস্তুতিকরন হচ্ছে তুলনামূলক নিম্মস্তরের, কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা হচ্ছে উচ্চ মানের, যদি এটা করা হয় গোপন অবস্থানের ভিত্তিতে এবং বিশেষ নিরাপত্তার পুর্বসতর্কতার ব্যবস্থা অনুযায়ী।
● ইনহাউজ এবং সিক্রেট মোবাইল ক্যাম্পে ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য সংক্ষিপ্ত আইডিয়াঃ
যদি আল্লাহ এটাকে সহজ করে দেয়, গেরিলা ওয়ারফেয়ারের জন্য কিছু মিলিটারি সায়েন্সের প্রয়োজনে
আমরা চেষ্টা করব প্রতিরোধ লড়াইয়ের গবেষণা গ্রন্থে বিস্তারিত পাঠের উপর প্রোগ্রামসহ একটা মিলিটারি এটাছমেন্টসংযোগ করতে, বিশেষ করে শহুরে এবং সিক্রেট প্রোগ্রাম, যেটা বর্তমান পরিস্থিতির উপর প্রতিরোধ ব্রিগেডের অপারেশানগত কার্যক্রমের জন্য একটা ভিত্তি। প্রোগ্রাম গঠন হবে লাইট উইপন্স, উইপন্সের শুটিং দক্ষতা, বিস্পোরক বিদ্যা এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রিসিটি এবং ইলেকট্রনিকসেরব্যাবহারের মধ্যমে... এবং কিছু শহুরে গেরিলা ওয়ারফেয়ারের কলাকৌশল, ইনশাআল্লাহ।
এখন, যাইহোক, আমি একটা ছোটখাটো প্রোগ্রামের দিকে নির্দেশনা করবো যেটা বাস্তবায়ন করা যাবে সবচেয়ে সিম্পল সেলগুলোর মাধ্যমে, এটাকে প্রতিরোধ লড়াইয়ের জন্য স্থির করা হয়েছে নিরাপত্তার এবং গোপনীয়তার সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির জন্য নির্ভর করে।
▪ যে এই প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হবে সে নিজেকে এবং যাদের সে তার সাথে অন্তর্ভুক্তি করতে চায়, তাদেরকে একটা শারীরিক ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য দৃঢ়বদ্ধ হতে হবে, কোন স্পোর্টস ক্লাবে যোগ দেয়ার মাধ্যমে সেখানে সে শিখতে পারে রেস্লিং, কারাটে, জুডো... বক্সিং... ইত্যাদি... অথবা ব্যক্তিগতভাবে ডেইলি ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে যেটা হতে পারে দীর্ঘ পথ এবং দীর্ঘ সময় ধরে দৌড়ানো এবং এমন পিজিকেল এক্সারসাইজ স্পোর্টসে অভ্যস্ত হওয়া যাতে শক্তিশালী ফিটনেস তৈরি হয়।
▪ কিভাবে রিভলভার এবং মেশিনগান ডিসএসেম্বল এবং এসেম্বল করতে হয় সেটার পাঠ, এগুলোর মেনুয়েল ব্যবহার এবং এগুলোর বিভিন্ন পার্ট এবং বিশেষত্বের বিশ্লেষণ, এগুলোর শুটিং এবং শুটিং পজিশান কিভাবে করতে হয় তার পাঠ।
▪ পাখী শিকার করার রাইফেল দিয়ে শুটিং প্র্যাকটিস করা যেতে পারে যেটা সব জায়গায় সহজলভ্য।
▪ হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরির একটা থিওরিকেল পাঠ, করা যেতে পারে মেনুয়েলি শিক্ষার মাধ্যমে, এবং সেগুলো নিক্ষেপ করার পদ্ধতি শিখতে হবে, নিক্ষেপের প্র্যাকটিস করা যেতে পারে গ্রেনেডের সাইজ এবং ওজনের কোন বস্তুকে নিক্ষেপ করার মাধ্যমে।
▪ বিস্পোরক তৈরির একটা থিওরিকেল পাঠ, এবং এর উপরকরনগুলোর সংরক্ষণ এবং ব্যাবহার। একজন শিক্ষার্থী আসল দ্রব্য ব্যাবহার না করে সামঞ্জস্য কিছু ব্যাবহার করবে, কাঠের দ্রব্য, ক্যাবল এবং প্লাস্টিক মডেল, ডেটনেটরের পরিবর্তে ইলেকট্রিক তার কানেক্ট করা ল্যাম্প এবং বাল্বের ব্যাবহার বিধি শিখা নমুনা হিসেবে। আমরা এই পদ্ধতি এর আগে প্র্যাকটিস করেছি এবং সফলতা পেয়েছি। বিস্পোরক তৈরির ৪০ ঘণ্টার একটা থিওরিকেল কোর্সের ব্যবস্থা করেছিলাম যেটার প্র্যাকটিস হয়েছিল কাঠ এবং প্লাস্টিক মডেল দিয়ে, শিক্ষার্থীকে এই প্র্যাকটিস করানো হয়েছিল তারা আসল বিস্পোরক তৈরিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠা পর্যন্ত এবং কেবল একটা জিনিস বাকী ছিল সেটা হচ্ছে সঠিক জায়গায় এর বাস্তবায়ন খুব ছোট বম্ব দিয়ে।
▪ ওয়ারলেস ডিভাইস ব্যাবহারে পারদর্শিতা এবং এটার ব্যাবহারের নিরাপত্তার উপর একটা মেনুয়েল শিক্ষা, প্রাইভেট হাউজে এগুলো ব্যাবহার এড়িয়ে চলা, কিন্তু কেবল খালি জায়গায় ব্যাবহার করতে পারবে, এবং ট্রান্সমিশানের সময় আধা মিনিটের বেশী হবেনা এতে করে ফ্রেকুয়েন্সি মনিটরের আওতায় আসবেনা এবং কথাবার্তার ধরন সরকারী এজেন্সিগুলোর কথাবার্তার সাথে সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
▪ থিওরিকেল শিক্ষা যেটা অন্তর্ভুক্ত করবে নিম্মের মিলিটারি এবং টেক্টিকেল বিষয়গুলো, মেনুয়েলি করতে হবে যেগুলো এখন অনুরূপ ইন্টারনেটে পাওয়া যায় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেনুয়েল যেগুলো হচ্ছেঃ
- লাইট এবং মিডিয়াম ধরনের উইপন্সের উপর মেন্যুয়েল।
- এক্সপ্লসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সের উপর মেন্যুয়েল।
- সামরিক ভুসংক্রান্ত বিজ্ঞানের উপর মেন্যুয়েল।
- ওয়ারলেস এবং এর কথাবার্তা এনকোডিং সায়েন্সের উপর মেন্যুয়েল।
- সিকিউরিটি এবং মুভমেন্ট, সিক্রেট একশান, শত্রুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে পশ্চাদ্ধাবন এবং তাদের পর্যবেক্ষণের ফলে টার্গেটে পরিণত থেকে লুকিয়ে থাকা এবং পালিয়ে যাওয়ার উপর মেন্যুয়েল।
- ইলেক্ট্রিসিটি এবং ইলেকট্রনিক সায়েন্সের উপর মেন্যুয়েল, এবং যেগুলোর সাথে এক্সপ্লসিভ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সের সম্পর্ক রয়েছে।
- এক্সপ্লসিভ এসেম্বলিং এবং প্রস্তুতির উপর মেন্যুয়েল (বাস্তবায়নের জন্য সরবরাহ করা হবে একজন কেমিস্ট্রি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে, এবং এটা করতে হবে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে এবং স্বল্প পরিমানে)।
- যুদ্ধকৌশলের উপর মেন্যুয়েল, শহুরে ওয়ারফেয়ারের যুদ্ধকৌশল – পাহাড়ি ওয়ারফেয়ার – বন্য ওয়ারফেয়ার – গেরিলা ওয়ারফেয়ার – রেগুলার আর্মির যুদ্ধকৌশল এবং রেগুলার আর্মির বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার পদ্ধতি...ইত্যাদি...
- সিক্রেট পরিচালনার উপর মেন্যুয়েল,সাক্ষাৎকার সেট করা, সিক্রেটলি বার্তা পাঠানো এবং গ্রহন করা... ইত্যাদি...
এই মিলিটারি শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা সম্ভব হবে কম্পিউটার ডিস্ক দ্বারা সরবরাহ করতে, এটাকে হস্তান্তর করা, এটা থেকে সুবিধা অর্জন করা এবং একটি নিবিড় প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে শিখানো যাবে, এবং ঘরের মধ্যে অনেক কার্যকরী প্রেক্টিকেল এক্সারসাইজ চালানো যাবে অথবা স্পোর্টস এবং স্কাউট ক্যাম্প অথবা অনুরূপ কিছু দ্বারা চালানো যাবে। অতঃপর কেবল বাকী রইল শুটিং প্র্যাকটিস এবং বিস্পোরকের ব্যাবহার। এটা করা যেতে পারে একটা উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বের করে করা যেতে পারে, এবং এটা করতে হবে বিশেষ সময়ে, অথবা মোবাইল সিক্রেট ক্যাম্পে করা যেতে পারে, অথবা যেভাবে সম্ভব হয়... এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি ব্যবস্থার প্রতি খেয়াল রাখা যখন এই ট্রেনিং পরিচালনা করা হয়। এবং একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সফলতা দানকারী।
ক্যাম্প, নিরাপত্তা এবং সময়ঃ
ক্যাম্প, এটা অবশ্যই হবে আপনার একমাত্র ব্যাড রুম এখান থেকে এক ইঞ্চি বাহিরে অন্য কোথাও নয়, আপনার যেটা আছে সেখানেই। আপনি যদি রুমে একা থাকেন তাহলে সেটা হবে অসাধারণ, আর যদি আপনার রুমমেট হয় আপনার বন্ধু অথবা আপনার ভাই, সে যদি আপনার হাম খেয়াল হয় তাহলে সেটা হবে ওয়াও। আর যদি না হয় চেষ্টা করতে হবে অবশ্যই একা রুমের ব্যবস্থা করতে। যদি বিবাহিত হন আপনার স্ত্রীকে মেনেজ করতে হবে, তাকে বুঝাতে হবে আপনি ফিটনেসের ব্যায়াম শুরু করে দিয়েছেন। তবে তাকে কিছুতেই বুঝাতে দেয়া যাবে না, ইউ বিকামিং এ সোলজার। এভাবে পরিবারের বাকি সবাইকেও। বিশেষ করে শিশুদেরকে কিছুই বুঝতে দেয়া যাবে না। সেদিন দেখলাম পাশের বাড়ির এক বাচ্চাকে তার স্কুল থেকে বলা হয়েছিল বাড়ি থেকে দুইটা যেকোনো ইসলামি বই নিয়ে আসতে। আমি বাচ্চাটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বই দিয়ে সারেরা কি করবে, সে বলল তারা এইগুলো সৃতি হিসেবে রাখার জন্য সংগ্রহ করতেছে, দেখুন কি মারাত্মক তাগুত কিভাবে আপনার ঘরের তথ্য সংগ্রহ করতেছে। আপনি যখন পরিপূর্ণ প্র্যাকটিস শুরু করবেন, আপনার মাঝে কিছুটা হলেও এর প্রতিফলন ঘটবে, যদি আপনার আশপাশের লোকদের মাঝে কিছুটা বহিঃপ্রকাশ পায়, তাহলে আপনার প্রতিক্রিয়াটা বোঝাতে হবে আপনি ইদানিং বডি ফিটনেস, রেসলিং এবং বডি বিল্ডিং এগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, তবে ধীরে ধীরে। সময়টা নির্ধারণ করতে হবে বিশেষ করে তাহাজ্জুত নামাজের পর থেকে ফজর পর্যন্ত হতে পারে, অথবা ফজরের পরে, অথবা সন্ধ্যার পরে। তবে বেষ্ট হবে আপনার নিরাপত্তার অবস্থান অনুযায়ী।
এখানে, প্র্যাকটিসকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, আপনি প্রথম দিন আধা ঘণ্টার জন্য করে শুরু করতে পারেন। প্রথম দশ দিন এই সময়কে ইনক্রিজ করে দুই ঘণ্টায় পরিণত করতে হবে। এরপর থেকে সর্বনিম্ম দুই ঘণ্টা করতে হবে, চেষ্টা করতে হবে এর চেয়েও বেশী করার যতটুকু সম্ভব আপনার সাধ্য অনুযায়ী। প্রথম দশ দিন শুধু পার্ট এক করবেন।
১ – ইনিশিয়াল ওয়ার্ম আপ ওয়ার্ক আউট
২ – ফিটনেস
৩ – মার্শাল আর্ট
• তাইকুণ্ডু বেসিক
• কিক বক্সিং বেসিক
৪ – উইপন্স
• উইপন্স রিভিও
• উইপন্স পজিশান
৫ – অন্যান্য
১ – ইনিশিয়াল ওয়ার্ম আপ ওয়ার্ক আউটঃ এখানে যে ওয়ার্ক আউট গুলো আছে, এগুলো যেকোনো ধরনের মিলিটারি লাইনের প্রাথমিক শরীরচর্চা। এগুলো আমি ইংরেজিতে দিয়েছি যাতে আপনারা শুদু লেখাটা কপি করে নিয়ে ইউ টিউবে সার্চ করবেন, সার্চ করার সময় প্রত্যেকটার লেখার আগে দিয়ে how to do লেখাটা লিখবেন, দেখবেন প্রত্যেকটার আলাদা আলাদা টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে। শুরু করার আগে এগুলোকে ডাউনলোড করে নিবেন। প্রথম দশ দিন বা পনেরো এই ব্যায়ামগুলো করবেন। প্রথম দিন আধা ঘণ্টা করবেন এরপর শেষ দিন পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় নিয়ে যাবেন ধীরে ধীরে, প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট করে বাড়াবেন। শুরু শুরুর দিকে শরীর ব্যথা হবে, কিন্তু এর জন্য কোন পেইন কিলার নেবেন না। কি খেতে হবে আমি সেটা খাদ্য তালিকার অংশে দিয়ে দেব।
1. Jumping jacks - এটা ৫-১০ বার করবেন।
2. Half Jumping Jacks - এটা ৫-১০ বার করবেন।
3. Windmills - এটা ৫-১০ বার করবেন।
4. Two count Windmills - এটা ৫-১০ বার করবেন।
5. Trunk side stretch - এটা ৫-১০ বার করবেন।
6. close grip pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
7. wide grip pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
8. Behind neck pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
9. Regular grip pull-ups - এটা ৫ বার করবেন।
নোটঃ ৬ – ৯ নাম্বার আপনি প্রথম দিন থেকে ৫ বার করে পারবেন না, দুইবার থেকে শুরু করতে পারেন। এগুলো ৫ – ১০ মরতবা করতে হবে। এই ব্যায়ামটা আপনার হেভি ওয়েট এক্সারসাইজ হিসেবেও কাজে আসবে। এই ব্যায়ামে যদি আপনি অভ্যস্ত হয়ে যান আপনি দেখতে পাবেন মিলিটারি কিছু ট্রেনিং আছে সেগুলো আপনার জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে। এগুলো খুবই ইউসফুল।
10. Push ups - এটা ১০ - ২০ বার করবেন। এগুলো ৫ – ১০ মরতবা করতে হবে।
11. Situps
12. Cross arms situps
13. Flutter kicks
14. Cruncher situps
15. Atomic situps
নোটঃ ১১ - ১৫ হচ্ছে পেটের ব্যায়াম প্রত্যেকটা ৫- ১০ বার করে ৫ – ১০ মরতবা করতে পারেন।
16. Lizard stretch - এটা ৫-১০ বার করবেন।
17. Neck rotations - এটা ১০ - 12 বার করবেন।
Legs
18. Lunges - এটা ১০- ১২ বার করে ৫ – ৬ মরতবা করতে পারেন।
19. Squats - এটা ১০- ১২ বার করে ৫ – ৬ মরতবা করতে পারেন।
Flexibility: এগুলো মূলত মার্শাল আর্টের জন্য, এই ফ্লেক্সিবল এক্সারসাইজগুলো বেসিক ব্যায়ামের সাথে করতে হবে প্রতিদিন। এগুলো রপ্ত করতে এই ভিডিও তিনটা যথেষ্ট আমি মনে করি। লিঙ্ক গুলো দেয়া হল, ডাউনলোড করে নিবেন সাথে সাথে।
https://www.youtube.com/watch?v=aEYgYkdr42Y
https://www.youtube.com/watch?v=v6SdkwJpT5w
https://www.youtube.com/watch?v=qhpo9qKxO2c
২ – ফিটনেসঃ বডিবিল্ডিংঃ ফিটনেসের ক্ষেত্রে বডিবিল্ডিং এর এক্সারসাইজ করা যেতে পারে, সেটা হতে পারে লাইট ওয়েট অথবা মিড ওয়েট, হেভি ওয়েটের আশা করি প্রয়োজন নেই, কেউ যদি আগ্রহী হয় সেক্ষেত্রে হেলথ ক্লাবে ভর্তি হতে হবে, সেটা কিছু ব্যয় বহুল। লাইট ওয়েট অথবা মিড ওয়েটের জন্য আপনি কোন স্পোর্টস সপ থেকে একটা ৩ ফুটের বার, দুইটা হ্যান্ড বার এবং ১৫ কেজি ওয়েট কিনতে পারেন, এবং একটা ৪ ফুট বাই ৩/৪ ফুটের একটা শক্ত কাঠের বেঞ্চ কিনতে পারেন। বার এবং ওয়েটগুলোর মূল্য ২০০০ – ২৫০০ টাকা হবে। আপনি এই ইন্সট্রমেন্টগুলো দিয়ে ৮০ ভাগ লাইট ওয়েট অথবা মিড ওয়েট বডিবিল্ডিং এক্সারসাইজ করতে পারবেন। biceps and triceps, chest, back, hands and legs এই এক্সারসাইজগুলো কিভাবে করতে হবে বিস্তারিত দেখানো হবে। কেউ যদি বডিবিল্ডিং এর এক্সারসাইজ করতে অনিচ্ছুক হন তাহলে পার্ট অয়ান ডাবল করে করলে বডিবিল্ডিং এর মোটামুটি কাজ হয়ে যাবে।
দৌড়ানোঃ সাধারণ লাইফ বলেন মিলিটারি লাইফ বলেন দৌড় হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়াম। আপনাকে সপ্তাহে ৫-৬ দিন সন্ধ্যা অথবা সকালে ৫-৬ কিমি দৌড়তে হবে অথবা সপ্তাহে ২ দিন ১২-১৫ কিমি হলে চলবে। এগুলো হচ্ছে সাধারণ দৌড়।
হার্ডশিপঃ এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার এলাকার রেলওয়ে ব্যাবহার করতে পারেন। এই জন্য আপনি নরম স্যান্ডেল অথবা নরম সোলের কেডস পায়ে ব্যাবহার করবেন, এতে করে আপনার পায়ে পাথরগুলোর আঘাত লাগবে, ফলে আপনার পায়ে স্ত্রেংথনেস বৃদ্ধি পাবে। আপনি রেললাইন ধরে দৌড়াবেন ১০-১২ কিমি সপ্তাহে দুইদিন, সপ্তাহের মধ্য ভাগে এবং শেষ ভাগে। দৌড়ানোর সময় আপনি চেষ্টা করবেন রেললাইনের কাঠের পাটাতন এড়িয়ে যেতে, শুধু পাথরের উপর। আপনি নিরাপত্তার খাতিরে দৌড়ার পরিবর্তে হাঁটতে পারেন। কারন তাগুতের কোন গোয়েন্দা বিভাগের কোন ব্যক্তির নজরে পড়লে হয়ত ব্যাপারটা সহজভাবে নেবেনা। যদি নিরাপত্তা অনুভব করেন তাহলে দৌড়াতে পারেন। উত্তম হবে শহর থেকে বের হয়ে গ্রামের দিকের রেলওয়েতে।
এছাড়া আপনার এলাকা যদি দুর্গম অথবা পাহাড়ি এলাকা হয় আপনি সেই পথ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করবেন। পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণে গিয়ে সেটা করা যেতে পারে। কাদাযুক্ত জলাশয়ে চলার অভ্যস্ত করতে হবে। বাংলাদেশে এবং এর আশপাশে ভারতের রাজ্যগুলোর বৈরি এলাকাগুলো প্রায় একই রকম। বৈরি অবস্থা এবং আবহাওয়াতে যাতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তপ্ত রোদের মধ্যে হেটে অভ্যস্ত হওয়া, ঘন মুষলধারে বৃষ্টির মাঝে ভিজে ভিজে হেটে অভ্যস্ত হওয়া, অমাবস্যার রাতে গ্রাম্য অচেনা আলো বিহীন অন্ধকার দীর্ঘ পথে হেটে অভ্যস্ত হওয়া। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে এগুলোকে কিভাবে সহজে আয়ত্ত করা যায় এর উপর একটা প্রোগ্রাম তৈরি করার চেষ্টা করবো। সাগরের বুকে যে কেউ চাইলে নৌকা করে যেতে পারে না ভয় এবং দুর্বলতার কারনে, কেউ সাহস করে গেলেও বমি করে দেয়। যারা সাগর উপকূলীয় অঞ্চলে বা নদী পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাস করেন, তারা চাইলে জেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে, ইঞ্জয়ের উদ্দেশ্যে তাদের সাথে মাছ ধরতে যাওয়া।
দীর্ঘ সময় ধরে সাইকেলিং করা, ৬০-৭০-৮০-৯০-১০০ কিমি যতটুকু সম্ভব সাধ্যের অতিরিক্ত সময় ধরে একটানা সাইকেল চালানো মাঝে মাঝে।
৩ – মার্শাল আর্টঃ মার্শাল আর্ট হচ্ছে খুবই কার্যকরী, গেরিলা ওয়ারফেয়ারের বা কমান্ডো স্পেশাল ফোর্সের সদস্যদের ক্লোজ কমব্যাটের ট্রেনিং করানো হয়, সেগুলো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড টু হ্যান্ড টেক্টিকেল কমব্যাট, যেমন, মেস্ট্রো ডিফেন্স সিস্টেম। আমার প্রথম ট্রেনিং এর অর্জনের সময় আমাদের উস্তাদ আমাদের জুডোর আওতাভুক্ত অনেকগুলো টেকনিক শিখায়, যেগুলো ছিল খুবই কার্যকরী এবং দ্বিতীয় ট্রেনিং এর সময় আমাদের উস্তাদ আমাদের কুংফু শিখায়, উনি ছিলেন কুংফুতে ব্ল্যাক বেল্ট অর্জনকারী। কিন্তু তিনি আমাদের কুংফু এতবেশী শিখান নাই, তিনি আমাদেরকে ডামি হাতিয়ার ব্যাবহারের উপর এবং অন্যান্য মিলিটারি ট্রেনিংগুলোর উপর ফোকাস করেছিলেন। বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্ট রয়েছে, আমার কাছে সবচেয়ে বেশী ফলফ্রসু মনে হয়েছে ওয়িং চুন এবং এটা শিখাটা খুবই হার্ড। তবে আপনাদের জন্য আমি যেটা নির্বাচন করেছি সেটা হচ্ছে তাইকুন্ডু, যেটার হার্ড হচ্ছে শুদু ফ্লেক্সিবিলিটি। আপনার পায়ের ফ্লেক্সিবল ঠিক হয়ে গেলে এটা শিখা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে, বাড়তি দিক হচ্ছে আপনি এটা একা একা প্র্যাকটিস করতে পারবেন। আমি এটা একা একাই শিখেছি, ভিডিও দেখে। সেজন্য আমি আপনাদের জন্য সে ভিডিওগুলোর লিঙ্ক সিরিয়াল আকারে দিয়ে দিয়েছি, আপনারা ভিডিও গুলো ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে নিবেন। ভিডিওতে খুব সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছে কিভাবে প্র্যাকটিস করতে হবে। এবং কিছু কিক বক্সিং এর বক্সিং প্র্যাকটিসের ভিডিও দেয়া আছে নিম্মে।
• তাইকুণ্ডু বেসিক
1. https://www.youtube.com/watch?v=D01r29wCzwI
2. https://www.youtube.com/watch?v=r1O2aMq0akU
3. https://www.youtube.com/watch?v=X7A96CgJ4GQ
4. https://www.youtube.com/watch?v=ig1Oy-rzOS0
5. https://www.youtube.com/watch?v=P6PifDOklsg
6. https://www.youtube.com/watch?v=-ntpFTRZRoI
7. https://www.youtube.com/watch?v=D8-TAJeR0eY
8. https://www.youtube.com/watch?v=Um6dkPLStf8
9. https://www.youtube.com/watch?v=nyOER6U7TgM
10. https://www.youtube.com/watch?v=YANw1yTjDeY
11. https://www.youtube.com/watch?v=NMICZNCv4hE
12. https://www.youtube.com/watch?v=50RAVxgTeCY
13. https://www.youtube.com/watch?v=oxcACgbbAlw
14. https://www.youtube.com/watch?v=1Hb-1Uyeh1Q
15. https://www.youtube.com/watch?v=jjyOrlAf5lw
16. https://www.youtube.com/watch?v=Db098oKgzpk
17. https://www.youtube.com/watch?v=1vqL6DDM8ec
18. https://www.youtube.com/watch?v=3SaKycgcKfI
19. https://www.youtube.com/watch?v=NMICZNCv4hE
20. https://www.youtube.com/watch?v=UYEVnH1WN0E
21. https://www.youtube.com/watch?v=m5DocuF1vHo
22. https://www.youtube.com/watch?v=c1RBgLxPZuk
23. https://www.youtube.com/watch?v=WrVR26Dlvpo
24. https://www.youtube.com/watch?v=sMmh6o3oe0o
25. https://www.youtube.com/watch?v=oT_82a5CbPA
26. https://www.youtube.com/watch?v=grGiweSyUuw
27. https://www.youtube.com/watch?v=ywT1knycLns
28. https://www.youtube.com/watch?v=D_O4XhZu1bE
29. https://www.youtube.com/watch?v=HV4UYZVUS4s
30. https://www.youtube.com/watch?v=LZYtQk-4xvE
• কিক বক্সিং বেসিক
1. https://www.youtube.com/watch?v=7PGEGcTHHmg
2. https://www.youtube.com/watch?v=hWI6ojJzBww
3. https://www.youtube.com/watch?v=ToHtpegEhKI
4. https://www.youtube.com/watch?v=gVixuVE0-ek
5. https://www.youtube.com/watch?v=6F_6OExW5-I
6. https://www.youtube.com/watch?v=sbNhd0JLQXA
7. https://www.youtube.com/watch?v=1-EVNlNZiks
8. https://www.youtube.com/watch?v=dGcZzDnpyGQ
৪ – উইপন্সঃ এটা হচ্ছে পারমাণবিকের যুগ, আর আমাদের সামনের শ্ত্রু বিশাল পারমাণবিক শক্তিধর, তো এখানে হাত আর লাঠি দিয়ে কিইবা হবে, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অস্ত্রের ট্রেনিং করতে না পারলে আমরা অন্তত এগুলোর ভিতরে কি আছে এগুলো কিভাবে চলে এগুলোর ব্যাবহারের পজিশানগুলো অন্তত নিজের রুমে বসে দেখে আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে পারব। আমরা পজিশান প্র্যাকটিসের জন্য বাজার থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা পিস্তল পাওয়া যায় আপাতত সেগুলো কিনে ভিডিও দেখে পজিশান প্র্যাকটিস করতে পারি। আমি নিচে ভিডিও লিঙ্কগুলো দিয়ে দিলাম আপানারা ডাউনলোড করে নিবেন।
• উইপন্স রিভিও এবং Assembly Disassembly
https://www.youtube.com/watch?v=tGrH33uWCVk
https://www.youtube.com/watch?v=ZyajvvsuGcU
https://www.youtube.com/watch?v=3yqbhjbb-3g
https://www.youtube.com/watch?v=EjQrhDKDWFk
https://www.youtube.com/watch?v=BqZsSk5FFX4
https://www.youtube.com/watch?v=_eQLFVpOYm4
https://www.youtube.com/watch?v=wAqE-KLbiYc
https://www.youtube.com/watch?v=_q-s1yD774w
https://www.youtube.com/watch?v=umzYPNYjEiY
https://www.youtube.com/watch?v=50sbFXjdalU
https://www.youtube.com/watch?v=9MGfM9I_HDU
https://www.youtube.com/watch?v=tHi1f6IkMlA
• উইপন্স পজিশান
https://www.youtube.com/watch?v=pR3L0fcEzfk
https://www.youtube.com/watch?v=owKowHKhpxQ
https://www.youtube.com/watch?v=I01I-LkU3jA
https://www.youtube.com/watch?v=e4YpBdtUBaI
https://www.youtube.com/watch?v=NsTU_mD_Z70
https://www.youtube.com/watch?v=6MFCyeOy1pQ
https://www.youtube.com/watch?v=qzY4_DPp2Ks
https://www.youtube.com/watch?v=iwzo5DadAjo
https://www.youtube.com/watch?v=0Kb9yY_GzbI
https://www.youtube.com/watch?v=Q76rZPrha20
https://www.youtube.com/watch?v=n_jfON1iJf0
https://www.youtube.com/watch?v=FSvB9-pjv78
https://www.youtube.com/watch?v=yaLFtK3DP5Q
Full video https://www.youtube.com/watch?v=e4Yp...BBA09EBA018C38
https://www.youtube.com/watch?v=cBb_eDYzTSA
https://www.youtube.com/watch?v=NxyTFzgWjhk
Full video https://www.youtube.com/watch?v=Pk8N...C1F6E7C23E3051
কেউ যদি লাইভ শুটিং করার প্র্যাকটিস করতে চান বা কেউ অস্ত্রের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই তাকে উস্তাদ শায়েখ আবু মু’সাআব আস-সুরীর থিয়োরি ফলো করা উচিত, সেটা হলঃ
“শুটিং প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে, এটা সম্পন্ন করতে হবে নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে এবং গুহার ভিতর উপযুক্ত অবস্থায়... এবং জনবিরল পাহাড়ি এলাকায়... বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে... মরুভূমিতে... ইত্যাদি, প্র্যাকটিসের সময় শক্তিশালী নিরাপত্তাজনিত সতর্কতা নেয়া এবং প্র্যাকটিস এলাকা অনেক দূরত্ব রেখে সেখানে সতর্কতা পোস্টের ব্যবস্থা রাখা।”
( নোটঃ শায়েখ এখানে শুটিং এর শব্দজনিত নিরাপত্তা কথা তুলে ধরেছেন, বাংলাদেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করলে দেখা যায় এটা কিভাবে করা যেতে পারে, প্রথমত এটা অবশ্যই করতে হবে জনবিরল এলাকায়। যদি সম্ভব হয় শুটিং প্র্যাকটিসের সময় গানের সাথে সাইলেন্সার ব্যাবহার করা। সাউন্ড সিস্টেম হচ্ছে এমন আপনি খেয়াল করবেন যখন দুই দিক থেকে দুই ধরনের শব্দ হতে থাকে যেটা তুলনা মূলক খুব কম শব্দ হয় সেটা অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। তবে প্রযুক্তির এই যুগে কিছু সাউন্ড সিস্টেম মেশিন তৈরি হয়েছে, বড় শব্দের মাঝে যত সুক্ষ শব্দই থাকুক না কেন সেটা নির্ণয় করা যায়। যাইহোক, এই দেশের পরিবেশের ক্ষেত্রে আমরা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি, কোন জনবিরল এলাকায় অবস্থিত রেললাইনের পাশে করা যেতে পারে যখন রেলগাড়ি আসাযাওয়া করে, তবে এলাকাটা অবশ্যই কিছুটা ঘন গাছ পালায় ঘেরা হতে হবে এবং সবচেয়ে উপযোগী হতে পারে হচ্ছে এটা, বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকার দেশ, যখন মুষলধারে ঘন বৃষ্টিপাত হয় তখন আপনি শুটিং প্র্যাকটিস করতে পারেন তবে পূর্ণ সতর্কতা সাথে এবং লোকচক্ষুর আড়ালে।ঃ অনুবাদক)
Comment