১••••••••••
আমাদের অপারেশন ফিল্ড হবে ভারত+বাংলাদেশের বাংলাভাষি জনগণকে নিয়ে। তাদের মাইন্ডকে ম্যানিপুলেট করতে হলে আমাদের যেটা জানা প্রয়োজন সেটা হলো তাদের আইডিওলজি, তাদের চিন্তাধারা, দেশকে নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা, তাদের স্বাভাবিক জীবনের প্যাটার্ন, তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান, রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রভৃতি। এটা খুবই প্রয়োজন, এবং মাইন্ড ম্যানিপুলেশনবিদ্যার প্রথম ধাপ। কেননা কোনো কিছুকে এডিট করতে গেলে তা সম্পর্কে ভালো করে জানা লাগে। সেটা কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেই হোক আর ন্যাচার হোক। এজন্য আমি প্রথম স্টেপে ভারত+বিডির সেই নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কিছু মৌলিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করবো। এটার ওপরেই নির্ভর করছে আগামী স্টেপগুলোতে আমরা কী ডিসিশন নিবো।
>ধর্ম- বিডির ম্যাক্সিমাম মানুষ হলো মুসলিম। তারা এমন মুসলিম যে তারা না জানে তাওহিদ, আর না জানে মিল্লাতে ইবরাহীম। কুফর বিত ত্বগুত তাদের মাঝে অনুপস্থিত। জিহাদি জ্ঞান ও খিলাফাহর প্রতি ভালোবাসাকে তারা ভীতচক্ষে দেখে। কাফেরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।
ভারতের বাংলাভাষী জনগণের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলিম। তাদের অবস্থা বিডির মুসলিম থেকেও খারাপ। তারাও ইসলামের মৌলিক বিষয়াদীতে অজ্ঞ। অপর উল্লেখ্য অংশ মননে মগজে হিন্দুত্ববাদী। মালাউনগুলোর স্বপ্ন গ্রেটার হিন্দুস্তান তথা রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা। এদের অধিকাংশই সাইলেন্ট হিন্দুত্ববাদী, মুসলিমদের সাথে আলগা পিরিত দেখায়।
>পলিটিক্যাল আইডিলজি- বিডির মুসলিমরা বিম্পি আম্লীগ আর জামাত, এই তিন ভ্রান্ত মতাদর্শ ছাড়া আর অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা গোনায় ধরে না। আর জাতীয় পার্টির কথা বাদ থাক। এখন অবশ্য জামাত আর বিম্পি মৃত। আর অধিকাংশই আম্লীগকে ঘৃণা করে। বিডির মুসলিমদের বর্তমানে রাস্তায় নামানোর মতো রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব। অধিকাংশই রাজনীতির মেকানিজম বুঝে না। এজন্য যেভাবে নাচানো হয় সেভাবেই নাচে। অতি আবেগী হওয়াতে সহজেই নাচানো যায়। এর উদাহরণ হলো কোটা আন্দোলন আর সড়ক আন্দোলন। এগুলো করে তারা বিপ্লবী বিপ্লবী ফিল করে। রাজনৈতিক জ্ঞান কম হওয়ায় আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভাব দেখা যায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বহীন এবং স্ট্রাটেজিহীন মুভমেন্টের ফলাফল কী হতে পারে, এর ফলে লাভ ক্ষতির কী কী সম্ভাবনা আছে, আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই বা কী, বা আন্দোলনের বিপরীতে ক্র*্যাকডাউন আসলে ফিউচার প্ল্যান কী হবে- এইসব নূন্যতম রাজনৈতিক দক্ষতা তাদের নেই। জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের ঘুণেধরা চেইন অফ কমান্ড, জীবনের মানোন্নয়নের ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক দুর্বলতা ইত্যাদি দেখার পরেও এখনও তারা মুক্তিযুদ্ধের ভুয়া ইতিহাসভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছে বন্দী। এখনও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দুর্বলতাকে ব্যবহার করে ত্বগুতরা তাদের মাইন্ড কন্ট্রোল করে। দেশপ্রেম নিয়ে তাদের ফ্যান্টসি তো আছেই।
অপর দিকে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮০% এর থেকেও বেশি জনগণ বাংলাভাষী। মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭শতাংশ মুসলিম। তাদের অবস্থা অবশ্যই বাংলাদেশি মুসলিমদের থেকেও জঘন্য। ইন্ডিয়া যেভাবে নাচায়, তাদের অধিকাংশই সেভাবেই নাচে। তারা রাজনীতির বলি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে তাদের বাঙালি ইন্ডিয়ান মুসলিমদের অবস্থা খুবই খারাপ হতে পারে। ইসলামি রাজনীতিতে তারা একেবারেই অজ্ঞ।
>সামাজিক জীবন- সামাজিক জীবনে বিডির মুসলিমরা হুজুগে মাতাল। নতুন নতুন কোনো দিবসের জন্ম হলেই তাতে ঝাপিয়ে পড়ে। এমনকি আজকাল মালাউন মুশরিকদের শিরকি অনুষ্ঠানে অনেকেই স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে। পহেলা বৈশাখের নোংরা সংস্কৃতি এখানে নর্মালাইজড। ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর ইত্যাদি জাতীয় দিবসগুলোতে সিমেন্টের খাম্বায় ফুল দেয়, আবার দুই ঈদে নামাজও পড়ে।
ভারতীয় মুসলিমদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না। তবে মুশরিকদের সাথে থাকতে থাকতে যে তাদের অবস্থা আমাদের থেকেও জঘন্য এত কোনো সন্দেহ নেই।
জিহাদ ও খিলাফাহর ব্যাপারে অবস্থান- জিহাদ ও খিলাফাহর কথা শুনলেই এ দেশের জনগণ আতঙ্কে ভুগে। ওরে বাবারে! আজকাল ইসলাম মানলে সবাই জঙ্গী হয়ে যাচ্ছে। উলি বাবালেএএএ! ইসলাম মানা ভালো, তবে এতো বেশির কী দরকার? --এই হচ্ছে তাদের অবস্থান। জিহাদভীতি খুব কঠোরভাবে প্রবেশ করিয়েছে ত্বগুত ও তার দোসররা।
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের অবস্থাও সেইম।
২•••••••••••
আমাদেরকে এই সকল পরিস্থিতি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। সত্যি বলতে মিডিয়ার ব্যাপারটা রণক্ষেত্রের ম্যানুভিয়ারিং এর মতো। ম্যানুভিয়ার মূলত দুই ধরণের, ডাইরেক্ট আর ইন্ডাইরেক্ট। ম্যানুভিয়ার দিয়ে হামলাও মূলত দুই প্রকার, ইট্রিশন(ডাইরেক্ট হামলা), অ্যাটাক বাই স্ট্রাটেজেম। মূলত এই দুটো দিয়েই অসংখ্য যৌগিক ম্যানুভেয়ার করা সম্ভব। অনেকটা মাত্র পঞ্চাশটা অক্ষর দিয়েই অসংখ্য বাক্য তৈরি করার মতো ব্যাপার। মিডিয়া ওয়ারফেয়ার ফোর্থ জেনারেশন ওয়ারের এক গুরুত্বপুর্ণ অংশ, বলা যায় ওয়ারফেয়ারের অর্ধেকই হলো মিডিয়া। তো এই মিডিয়া ওয়ারফেয়ারেও ম্যানুভিয়ারের ব্যাপারটা আছে। আপনি কী সরাসরি তাদের আইডিওলজিতে আঘাত করবেন(ইট্রিশন স্বরূপ)? নাকি ধীরে ধীরে তাদেরকে বুঝাবেন যে তাদের চিন্তাধারায় গলদ আছে? অতঃপর তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত আদর্শের দিকে রোটেট করাবেন? মূলত বেসিক মুভ এই দুইটিই।
যাইহোক, আমি বিশাল জনগোষ্টীর আইডিওলজি ম্যানিপুলেট করে জিহাদ ও খিলাফাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করার স্ট্রাটেজি তুলে ধরছি।
ক) আমরা মোট ১৬টি মিডিয়া খুলবো। মূলত চার প্রকারের। সাধারণ নিউজশেয়ারের, তবে পরিভাষাগুলোর অর্থ চেঞ্জ করা হবে সুকৌশলে। এটি হবে মোট চারটি, দুটি ফেসবুকে, দুটি ইউটিউবে। আরেক প্রকারের হলো ঠাণ্ডা ইসলামি মিডিয়া, অনেকটা বাসীরা মিডিয়ার মতো। এটি আবেগকে কাজে লাগাতে পারবে। এটিও দুটি ফেবুতে আর দুটি ইউটিউবে। আরেক প্রকার হলো ইসলামি আক্বীদার মিডিয়া, যেমন তাওহিদ, মিল্লাতে ইবরাহীম, আসাবিয়্যাহর কদর্যতা প্রভৃতি। এটির সংখ্যাও অনুরূপ। আর সর্বশেষ প্রকারটি হলো মুসলিম উম্মাহর নির্যাতন ও জিহাদ শেয়ারের মিডিয়া, আল ফিরদাউস মিডিয়ার অনুরূপ। এর সংখ্যাও অনুরূপ। তবে এই প্রকারের মিডিয়ার মধ্যে তৃতীয় প্রকারের মিডিয়ার বৈশিষ্ট্যও থাকবে। এই ধরণের মিডিয়ায় আল হিকমাহ মিডিয়া, আন নাসর, তীতুমির, বালাকোট প্রভৃতি মিডিয়ার কনটেন্টগুলো প্রচার করা হবে।
তৃতীয় আর চতুর্থ প্রকারের মিডিয়াগুলো হলো ডাইরেক্ট অ্যাটাকের অনুরূপ, অর্থাৎ ইট্রিশন। আর প্রথম দুটো ইন্ডাইরেক্ট।
এছাড়াও ফেক আইডি দিয়ে প্রয়োজন মতো ভাইরাল করা যাবে যা দরকার।
খ) কেন এতোগুলো মিডিয়া? কারণ মিডিয়ার সংখ্যা যতো বেশি হবে জনগণের সাথে আমাদের মিথস্ক্রিয়াও ততো বেশি হবে। এর ফলাফল দ্রুত তাদের মাইন্ড ম্যানিপুলেশন।
সংক্্ষেপে ফুলস্ক্রিন প্রসেসটা হলো-
ক) এই সকল মিডিয়া তাদের কাজ অনবরত করতে থাকবে যতক্ষণ না তাদের মাঝে আমরা উল্লেখ্য রিসার্জেন্সের আভাস পাবো। বিডিতে মুসলিম বনাম সেক্যুলার দল, পুলিশ র*্যাব আর্মি- এই রকম পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। আর ভারতে মুসলিম বনাম হিন্দু, ভারতীয় আর্মি, পুলিশ।
খ) তাদের রিসার্জেন্সের পর পরিস্তিতি অনুযায়ী তাদেরকে সংগঠিত হতে প্রবোধ দেওয়া হবে মিডিয়া দিয়েই।
ভালো হবে যদি একিউ নেতৃত্বাধীন হয়।
গ) এভাবে তারা সংগঠিত হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী অপারেশন পরিচালনা করবে তারা।
ঘ) যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেলে একিউ তাদের সাথে যোগ দিবে।
ঙ) আর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে কী প্ল্যান তা বলার দরকার নেই। সেটা সেই সময়ে ঠিক করা হবে।
এই ছিল আপাতত একটা কাঠামো। পরে আরো বিস্তারিত বলা যাবে।
[পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্ল্যানে চেঞ্জ আসতে পারে]
আমাদের অপারেশন ফিল্ড হবে ভারত+বাংলাদেশের বাংলাভাষি জনগণকে নিয়ে। তাদের মাইন্ডকে ম্যানিপুলেট করতে হলে আমাদের যেটা জানা প্রয়োজন সেটা হলো তাদের আইডিওলজি, তাদের চিন্তাধারা, দেশকে নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা, তাদের স্বাভাবিক জীবনের প্যাটার্ন, তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান, রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রভৃতি। এটা খুবই প্রয়োজন, এবং মাইন্ড ম্যানিপুলেশনবিদ্যার প্রথম ধাপ। কেননা কোনো কিছুকে এডিট করতে গেলে তা সম্পর্কে ভালো করে জানা লাগে। সেটা কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেই হোক আর ন্যাচার হোক। এজন্য আমি প্রথম স্টেপে ভারত+বিডির সেই নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর কিছু মৌলিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করবো। এটার ওপরেই নির্ভর করছে আগামী স্টেপগুলোতে আমরা কী ডিসিশন নিবো।
>ধর্ম- বিডির ম্যাক্সিমাম মানুষ হলো মুসলিম। তারা এমন মুসলিম যে তারা না জানে তাওহিদ, আর না জানে মিল্লাতে ইবরাহীম। কুফর বিত ত্বগুত তাদের মাঝে অনুপস্থিত। জিহাদি জ্ঞান ও খিলাফাহর প্রতি ভালোবাসাকে তারা ভীতচক্ষে দেখে। কাফেরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।
ভারতের বাংলাভাষী জনগণের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলিম। তাদের অবস্থা বিডির মুসলিম থেকেও খারাপ। তারাও ইসলামের মৌলিক বিষয়াদীতে অজ্ঞ। অপর উল্লেখ্য অংশ মননে মগজে হিন্দুত্ববাদী। মালাউনগুলোর স্বপ্ন গ্রেটার হিন্দুস্তান তথা রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা। এদের অধিকাংশই সাইলেন্ট হিন্দুত্ববাদী, মুসলিমদের সাথে আলগা পিরিত দেখায়।
>পলিটিক্যাল আইডিলজি- বিডির মুসলিমরা বিম্পি আম্লীগ আর জামাত, এই তিন ভ্রান্ত মতাদর্শ ছাড়া আর অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা গোনায় ধরে না। আর জাতীয় পার্টির কথা বাদ থাক। এখন অবশ্য জামাত আর বিম্পি মৃত। আর অধিকাংশই আম্লীগকে ঘৃণা করে। বিডির মুসলিমদের বর্তমানে রাস্তায় নামানোর মতো রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব। অধিকাংশই রাজনীতির মেকানিজম বুঝে না। এজন্য যেভাবে নাচানো হয় সেভাবেই নাচে। অতি আবেগী হওয়াতে সহজেই নাচানো যায়। এর উদাহরণ হলো কোটা আন্দোলন আর সড়ক আন্দোলন। এগুলো করে তারা বিপ্লবী বিপ্লবী ফিল করে। রাজনৈতিক জ্ঞান কম হওয়ায় আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভাব দেখা যায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বহীন এবং স্ট্রাটেজিহীন মুভমেন্টের ফলাফল কী হতে পারে, এর ফলে লাভ ক্ষতির কী কী সম্ভাবনা আছে, আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই বা কী, বা আন্দোলনের বিপরীতে ক্র*্যাকডাউন আসলে ফিউচার প্ল্যান কী হবে- এইসব নূন্যতম রাজনৈতিক দক্ষতা তাদের নেই। জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের ঘুণেধরা চেইন অফ কমান্ড, জীবনের মানোন্নয়নের ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক দুর্বলতা ইত্যাদি দেখার পরেও এখনও তারা মুক্তিযুদ্ধের ভুয়া ইতিহাসভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছে বন্দী। এখনও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দুর্বলতাকে ব্যবহার করে ত্বগুতরা তাদের মাইন্ড কন্ট্রোল করে। দেশপ্রেম নিয়ে তাদের ফ্যান্টসি তো আছেই।
অপর দিকে, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৮০% এর থেকেও বেশি জনগণ বাংলাভাষী। মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭শতাংশ মুসলিম। তাদের অবস্থা অবশ্যই বাংলাদেশি মুসলিমদের থেকেও জঘন্য। ইন্ডিয়া যেভাবে নাচায়, তাদের অধিকাংশই সেভাবেই নাচে। তারা রাজনীতির বলি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে তাদের বাঙালি ইন্ডিয়ান মুসলিমদের অবস্থা খুবই খারাপ হতে পারে। ইসলামি রাজনীতিতে তারা একেবারেই অজ্ঞ।
>সামাজিক জীবন- সামাজিক জীবনে বিডির মুসলিমরা হুজুগে মাতাল। নতুন নতুন কোনো দিবসের জন্ম হলেই তাতে ঝাপিয়ে পড়ে। এমনকি আজকাল মালাউন মুশরিকদের শিরকি অনুষ্ঠানে অনেকেই স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে। পহেলা বৈশাখের নোংরা সংস্কৃতি এখানে নর্মালাইজড। ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর ইত্যাদি জাতীয় দিবসগুলোতে সিমেন্টের খাম্বায় ফুল দেয়, আবার দুই ঈদে নামাজও পড়ে।
ভারতীয় মুসলিমদের সামাজিক জীবন সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না। তবে মুশরিকদের সাথে থাকতে থাকতে যে তাদের অবস্থা আমাদের থেকেও জঘন্য এত কোনো সন্দেহ নেই।
জিহাদ ও খিলাফাহর ব্যাপারে অবস্থান- জিহাদ ও খিলাফাহর কথা শুনলেই এ দেশের জনগণ আতঙ্কে ভুগে। ওরে বাবারে! আজকাল ইসলাম মানলে সবাই জঙ্গী হয়ে যাচ্ছে। উলি বাবালেএএএ! ইসলাম মানা ভালো, তবে এতো বেশির কী দরকার? --এই হচ্ছে তাদের অবস্থান। জিহাদভীতি খুব কঠোরভাবে প্রবেশ করিয়েছে ত্বগুত ও তার দোসররা।
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের অবস্থাও সেইম।
২•••••••••••
আমাদেরকে এই সকল পরিস্থিতি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। সত্যি বলতে মিডিয়ার ব্যাপারটা রণক্ষেত্রের ম্যানুভিয়ারিং এর মতো। ম্যানুভিয়ার মূলত দুই ধরণের, ডাইরেক্ট আর ইন্ডাইরেক্ট। ম্যানুভিয়ার দিয়ে হামলাও মূলত দুই প্রকার, ইট্রিশন(ডাইরেক্ট হামলা), অ্যাটাক বাই স্ট্রাটেজেম। মূলত এই দুটো দিয়েই অসংখ্য যৌগিক ম্যানুভেয়ার করা সম্ভব। অনেকটা মাত্র পঞ্চাশটা অক্ষর দিয়েই অসংখ্য বাক্য তৈরি করার মতো ব্যাপার। মিডিয়া ওয়ারফেয়ার ফোর্থ জেনারেশন ওয়ারের এক গুরুত্বপুর্ণ অংশ, বলা যায় ওয়ারফেয়ারের অর্ধেকই হলো মিডিয়া। তো এই মিডিয়া ওয়ারফেয়ারেও ম্যানুভিয়ারের ব্যাপারটা আছে। আপনি কী সরাসরি তাদের আইডিওলজিতে আঘাত করবেন(ইট্রিশন স্বরূপ)? নাকি ধীরে ধীরে তাদেরকে বুঝাবেন যে তাদের চিন্তাধারায় গলদ আছে? অতঃপর তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত আদর্শের দিকে রোটেট করাবেন? মূলত বেসিক মুভ এই দুইটিই।
যাইহোক, আমি বিশাল জনগোষ্টীর আইডিওলজি ম্যানিপুলেট করে জিহাদ ও খিলাফাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করার স্ট্রাটেজি তুলে ধরছি।
ক) আমরা মোট ১৬টি মিডিয়া খুলবো। মূলত চার প্রকারের। সাধারণ নিউজশেয়ারের, তবে পরিভাষাগুলোর অর্থ চেঞ্জ করা হবে সুকৌশলে। এটি হবে মোট চারটি, দুটি ফেসবুকে, দুটি ইউটিউবে। আরেক প্রকারের হলো ঠাণ্ডা ইসলামি মিডিয়া, অনেকটা বাসীরা মিডিয়ার মতো। এটি আবেগকে কাজে লাগাতে পারবে। এটিও দুটি ফেবুতে আর দুটি ইউটিউবে। আরেক প্রকার হলো ইসলামি আক্বীদার মিডিয়া, যেমন তাওহিদ, মিল্লাতে ইবরাহীম, আসাবিয়্যাহর কদর্যতা প্রভৃতি। এটির সংখ্যাও অনুরূপ। আর সর্বশেষ প্রকারটি হলো মুসলিম উম্মাহর নির্যাতন ও জিহাদ শেয়ারের মিডিয়া, আল ফিরদাউস মিডিয়ার অনুরূপ। এর সংখ্যাও অনুরূপ। তবে এই প্রকারের মিডিয়ার মধ্যে তৃতীয় প্রকারের মিডিয়ার বৈশিষ্ট্যও থাকবে। এই ধরণের মিডিয়ায় আল হিকমাহ মিডিয়া, আন নাসর, তীতুমির, বালাকোট প্রভৃতি মিডিয়ার কনটেন্টগুলো প্রচার করা হবে।
তৃতীয় আর চতুর্থ প্রকারের মিডিয়াগুলো হলো ডাইরেক্ট অ্যাটাকের অনুরূপ, অর্থাৎ ইট্রিশন। আর প্রথম দুটো ইন্ডাইরেক্ট।
এছাড়াও ফেক আইডি দিয়ে প্রয়োজন মতো ভাইরাল করা যাবে যা দরকার।
খ) কেন এতোগুলো মিডিয়া? কারণ মিডিয়ার সংখ্যা যতো বেশি হবে জনগণের সাথে আমাদের মিথস্ক্রিয়াও ততো বেশি হবে। এর ফলাফল দ্রুত তাদের মাইন্ড ম্যানিপুলেশন।
সংক্্ষেপে ফুলস্ক্রিন প্রসেসটা হলো-
ক) এই সকল মিডিয়া তাদের কাজ অনবরত করতে থাকবে যতক্ষণ না তাদের মাঝে আমরা উল্লেখ্য রিসার্জেন্সের আভাস পাবো। বিডিতে মুসলিম বনাম সেক্যুলার দল, পুলিশ র*্যাব আর্মি- এই রকম পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। আর ভারতে মুসলিম বনাম হিন্দু, ভারতীয় আর্মি, পুলিশ।
খ) তাদের রিসার্জেন্সের পর পরিস্তিতি অনুযায়ী তাদেরকে সংগঠিত হতে প্রবোধ দেওয়া হবে মিডিয়া দিয়েই।
ভালো হবে যদি একিউ নেতৃত্বাধীন হয়।
গ) এভাবে তারা সংগঠিত হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী অপারেশন পরিচালনা করবে তারা।
ঘ) যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেলে একিউ তাদের সাথে যোগ দিবে।
ঙ) আর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে কী প্ল্যান তা বলার দরকার নেই। সেটা সেই সময়ে ঠিক করা হবে।
এই ছিল আপাতত একটা কাঠামো। পরে আরো বিস্তারিত বলা যাবে।
[পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্ল্যানে চেঞ্জ আসতে পারে]
Comment