আচ্ছা ভাই, আপনি কেন আমাকে তাকফিরি খারেজী মনে করছেন?
এইযে দেখুন, আমি আমার অবস্থান পরিস্কার করছি।
#আমি সরকারি মসজিদে কর্মরত ইমাম-খতিবকে কাফের মনে করিনা।
#আমি সড়ক শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ট্রাফিকদেরকে ঢালাওভাবে তাকফীর করিনা।
#আমি সিটি করপোরেশনের মেয়রদেরকে ঢালাওভাবে কাফের বলি না।
#আমি তো মেম্বার চেয়ারম্যানদেরকে তাদের এই রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ঢালাওভাবে কাফের বলি না।
#আমি সেকুলার দলের সমর্থক হলেই কাউকে তাকরির করে বসি না।
[ এ সকল শ্রেণীর লোকদেরকে আমার কাফের মনে না করার অর্থ হলো, ঢালাওভাবে কাফের মনে না করা। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যেহেতু যুগের বড় আল্লামাকেও কাফের মনে করা যায়,সেহেতু উপরোক্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত লোকদেরকে সেভাবে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে এককভাবে কাফের মনে না করার তো প্রশ্নই আসেনা।]
যা বলছিলাম, সেক্যুলার কুফরি সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্পর্শকাতর অবস্থানের এতগুলো শ্রেণীর লোকদেরকে আমি কাফের মনে না করেও আমি খারেজি? আমি তাকফিরি?? এ কেমন বিচার?!
হ্যাঁ, আমার উপরোক্ত অবস্থান স্পষ্ট করার পর আমি বলতে চাই—ইসলামের জন্য সত্যিকারার্থে আন্তরিক এরদোগানকে আমি কাফের মনে করি। আর এরদোগান যেখানে গেল তল, সেখানে ইমরান মাহাথির বুঝি বলবে "কত জল!"তারপর আসে, মোহাম্মদের মত পবিত্র নামের কতক জানোয়ারের কথা!
এক কথায়, গোটা মুসলিম বিশ্বর সকল স্বীকৃত শাসককে আমি ঢালাওভাবে তাকফীর করি।
ভয় পেয়ে গেলেন…?! আবার খারেজী খারিজি লাগছে?!
প্লিজ! আমাদের উপর এবং নিজের উপর রহম করুন।লেখার শুরুর অংশে উল্লেখিত শ্রেণীগুলোর ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জানার পর একটি বারও কি আপনার মনে হচ্ছে না যে, আমরা দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট শরয়ী দলিল প্রমাণ না পেলে কাউকে কাফের বলিনা। আমরা যদি খারেজী হই, তাহলে সাধারণ জনগণকে কেন ঢালাওভাবে কাফের বলি না,অথচ তাদের অধিকাংশই আজ মানব রচিত আইন বিধানের চর্চাস্থল ব্রিটিশ আদালতগুলোতে নিজেদের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে যাচ্ছে?!এমনকি সরাসরি সেক্যুলার দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া মেম্বার চেয়ারম্যানদেরকেও তো আমরা ঢালাওভাবে কাফের বলছি না?!
আরেকটু বলি, দুজন সংসদ সদস্যের জন্য দুজন ইমাম দোয়া করেছেন। একজনকে আমরা তার সেই দোয়ার কারণে কাফের মনে করি, কিন্তু অন্যজনকে তা মনে করিনা। প্রশ্ন জাগে না, কেন এত সূক্ষ্ম পার্থক্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিপাত?! তবু আমাদেরকে খারিজি বলবেন?!
আসলে কথা হল, ইসলামী আইন শাস্ত্রে الأشباه و النظائر নামে বিরাট এক অধ্যায় রয়েছে। ইসলামী ফিকহের একটি ছোট পুস্তিকা মানেই, তাতে এই অধ্যায়ের কিছু না কিছু মাসআলা রয়েছে। তবে এভাবে শিরোনাম দেয়া নেই। তবে হ্যাঁ, ঠিক এই নামেই বড় বড় দুটো গ্রন্থ প্রণীত হয়েছে। আর এই অধ্যায়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ না করার কারণেই পূর্ব যুগের ইসলামী স্কলারদের উদ্ধৃতি টেনে এনে আপনারা আমাদেরকে খারিজি বানানোর চেষ্টা করছেন। বিশ্বাস করুন! ইমাম আবু হানিফার এই উক্তি— "একজন মুসলমানের বক্তব্যের 99 টি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা যদি হয় কুফরি, একটি ব্যাখ্যা যদি হয় ঈমানী, তবে ঈমানী ব্যাখ্যাটিকেই গ্রহণ করা হবে—একজন মুসলমানকে কাফের বলার আগে ইমাম আজমের এই উক্তি আমাদের সামনে থাকে। তাকফীরের ভয়াবহতা নিয়ে আইম্মায়ে কেরামের আরো যত উক্তি আছে, সে সবই আমাদের চর্চায় রয়েছে।
এখানে আমি সে সকল মাসআলার তাত্ত্বিক ও ইলমী ব্যাখ্যা শোনাতে আসিনি, কেবল মুসলিম ভাই হিসাবে আপনাদেরকে একটু জাগাতে চেষ্টা করেছি।
তাই আসুন, সকলে মিলে ইলমী হালকা কায়েম করে ফরজে আইন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এসকল মাসালা নিয়ে পড়াশোনা করি। আর আমাদেরই কল্যাণকামী হিতাকাঙ্খী ভাইদেরকে খারেজি ট্যাগ দেয়া থেকে বিরত থাকি।
বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।এ নিয়ে গঠনমূলক ধারাবাহিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন! আমিন!!
এইযে দেখুন, আমি আমার অবস্থান পরিস্কার করছি।
#আমি সরকারি মসজিদে কর্মরত ইমাম-খতিবকে কাফের মনে করিনা।
#আমি সড়ক শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ট্রাফিকদেরকে ঢালাওভাবে তাকফীর করিনা।
#আমি সিটি করপোরেশনের মেয়রদেরকে ঢালাওভাবে কাফের বলি না।
#আমি তো মেম্বার চেয়ারম্যানদেরকে তাদের এই রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ঢালাওভাবে কাফের বলি না।
#আমি সেকুলার দলের সমর্থক হলেই কাউকে তাকরির করে বসি না।
[ এ সকল শ্রেণীর লোকদেরকে আমার কাফের মনে না করার অর্থ হলো, ঢালাওভাবে কাফের মনে না করা। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যেহেতু যুগের বড় আল্লামাকেও কাফের মনে করা যায়,সেহেতু উপরোক্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত লোকদেরকে সেভাবে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে এককভাবে কাফের মনে না করার তো প্রশ্নই আসেনা।]
যা বলছিলাম, সেক্যুলার কুফরি সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্পর্শকাতর অবস্থানের এতগুলো শ্রেণীর লোকদেরকে আমি কাফের মনে না করেও আমি খারেজি? আমি তাকফিরি?? এ কেমন বিচার?!
হ্যাঁ, আমার উপরোক্ত অবস্থান স্পষ্ট করার পর আমি বলতে চাই—ইসলামের জন্য সত্যিকারার্থে আন্তরিক এরদোগানকে আমি কাফের মনে করি। আর এরদোগান যেখানে গেল তল, সেখানে ইমরান মাহাথির বুঝি বলবে "কত জল!"তারপর আসে, মোহাম্মদের মত পবিত্র নামের কতক জানোয়ারের কথা!
এক কথায়, গোটা মুসলিম বিশ্বর সকল স্বীকৃত শাসককে আমি ঢালাওভাবে তাকফীর করি।
ভয় পেয়ে গেলেন…?! আবার খারেজী খারিজি লাগছে?!
প্লিজ! আমাদের উপর এবং নিজের উপর রহম করুন।লেখার শুরুর অংশে উল্লেখিত শ্রেণীগুলোর ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জানার পর একটি বারও কি আপনার মনে হচ্ছে না যে, আমরা দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট শরয়ী দলিল প্রমাণ না পেলে কাউকে কাফের বলিনা। আমরা যদি খারেজী হই, তাহলে সাধারণ জনগণকে কেন ঢালাওভাবে কাফের বলি না,অথচ তাদের অধিকাংশই আজ মানব রচিত আইন বিধানের চর্চাস্থল ব্রিটিশ আদালতগুলোতে নিজেদের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে যাচ্ছে?!এমনকি সরাসরি সেক্যুলার দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া মেম্বার চেয়ারম্যানদেরকেও তো আমরা ঢালাওভাবে কাফের বলছি না?!
আরেকটু বলি, দুজন সংসদ সদস্যের জন্য দুজন ইমাম দোয়া করেছেন। একজনকে আমরা তার সেই দোয়ার কারণে কাফের মনে করি, কিন্তু অন্যজনকে তা মনে করিনা। প্রশ্ন জাগে না, কেন এত সূক্ষ্ম পার্থক্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টিপাত?! তবু আমাদেরকে খারিজি বলবেন?!
আসলে কথা হল, ইসলামী আইন শাস্ত্রে الأشباه و النظائر নামে বিরাট এক অধ্যায় রয়েছে। ইসলামী ফিকহের একটি ছোট পুস্তিকা মানেই, তাতে এই অধ্যায়ের কিছু না কিছু মাসআলা রয়েছে। তবে এভাবে শিরোনাম দেয়া নেই। তবে হ্যাঁ, ঠিক এই নামেই বড় বড় দুটো গ্রন্থ প্রণীত হয়েছে। আর এই অধ্যায়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ না করার কারণেই পূর্ব যুগের ইসলামী স্কলারদের উদ্ধৃতি টেনে এনে আপনারা আমাদেরকে খারিজি বানানোর চেষ্টা করছেন। বিশ্বাস করুন! ইমাম আবু হানিফার এই উক্তি— "একজন মুসলমানের বক্তব্যের 99 টি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা যদি হয় কুফরি, একটি ব্যাখ্যা যদি হয় ঈমানী, তবে ঈমানী ব্যাখ্যাটিকেই গ্রহণ করা হবে—একজন মুসলমানকে কাফের বলার আগে ইমাম আজমের এই উক্তি আমাদের সামনে থাকে। তাকফীরের ভয়াবহতা নিয়ে আইম্মায়ে কেরামের আরো যত উক্তি আছে, সে সবই আমাদের চর্চায় রয়েছে।
এখানে আমি সে সকল মাসআলার তাত্ত্বিক ও ইলমী ব্যাখ্যা শোনাতে আসিনি, কেবল মুসলিম ভাই হিসাবে আপনাদেরকে একটু জাগাতে চেষ্টা করেছি।
তাই আসুন, সকলে মিলে ইলমী হালকা কায়েম করে ফরজে আইন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এসকল মাসালা নিয়ে পড়াশোনা করি। আর আমাদেরই কল্যাণকামী হিতাকাঙ্খী ভাইদেরকে খারেজি ট্যাগ দেয়া থেকে বিরত থাকি।
বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।এ নিয়ে গঠনমূলক ধারাবাহিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন! আমিন!!
Comment