সেদিন আমাদের এক প্রিয় শায়খ বর্তমান জামাতে ইসলামী ভাবধারার বক্তাদের চলমান এক বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। তারা বিশেষ লক্ষ্য সামনে রেখে হোক কিংবা কাকতালীয়ভাবে, সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি খলিফা মাহাদীর আলোচনা করছেন।এক্ষেত্রে সহিহ হাদিসের আলোকে গঠনমূলক আলোচনার পরিবর্তে দুর্বল ও বানোয়াট হাদীসের মিশেলে তাদের কাল্পনিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সূত্রপাত যেমন দুঃখজনক, তার চেয়েও হতাশাজনক বিষয় হলো, তাওহীদের মূল কথার ব্যাপারে তাদের গুরুত্বহীনতা ও ও একরকম বিস্মৃতি আর অবহেলা।
দলের এই দুঃসময়ে জামাতে ইসলামের বক্তারা শুধু নয়, সব শ্রেণীর জামাত সমর্থকদের চিন্তাভঙ্গি, দৃষ্টিকোণ ও সময়ের অবলোকন কেমন? সমসাময়িক কুফরি ভ্রান্ত মতবাদের ব্যাপারে তাদের সচেতনতা কতটুকু? পূর্বে করে আসা ভুল গুলোর জন্য তাদের অনুতাপ আছে কিনা?জামাতুল মুজাহিদীন ও হরকাতুল জিহাদের মুসলিম ভাইদের প্রতি তাদের অবিচারকে তারা আত্মসমালোচনায় এনেছেন কিনা? সর্বশ্রেণীর ইসলামী আন্দোলন বিশেষত আঞ্চলিক জিহাদী আন্দোলনগুলোর সঙ্গে আচরণের প্রশ্নে দলান্ধতার ঊর্ধ্বে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠাতার ব্যাপারে তাদের দায়বদ্ধতার অনুভব ও অঙ্গীকার কতটুকু—এত সকল প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব আমাদের কাছে নেই। আল্লামা সাঈদী (আল্লাহ তাকে মুক্ত করুন) সাহেবের সে বক্তব্য এখনও কানে বাজে —"তাদেরকে যেখানে পাবেন, পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেবেন। যারা রাস্তায় রাস্তায় লিখে রাখে, গণতন্ত্র হারাম, সেসকল লোকগুলোই বোমাবাজি করে থাকে। নারী নেতৃত্বকে আমরা হারাম মনে করি না ইত্যাদি"। আহ…! অথচ কালের পরিক্রমায় আজ সে সাঈদী সাহেব কারাগারে আর তার কাছে গালি খাওয়া সেই আমরা এখন তার জন্য দোয়া করছি। হ্যাঁ আমরা তা করেই যাবো। আমাদের আদর্শ তো আমাদেরকে এই শিক্ষা দেয়, যদি দাড়ি টুপির মত সামান্য ইসলাম সম্পৃক্ততার কারণে ইসলামের বিপক্ষ শক্তি ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে (আল্লাহপাক তাকে হেদায়েত দান করুন অন্যথায় ধ্বংস করুন) কোণঠাসা করে ফেলে, আমরা তখন তার পক্ষে অবস্থান নেব।
এতগুলো কথা বলার উদ্দেশ্য হলো এই বিষয়টা হাইলাইট করা, জেহাদিদের ব্যাপারে অত্যন্ত রূঢ় ও বৈরী অবস্থান গ্রহণসহ জামায়াতে ইসলামীর ইসলামবিরোধী আর সকল অপরাধ আমরা ভুলে যেতে পারি কেবল আল্লাহর দিকে তাকিয়ে, কিন্তু এর জন্য তাদের ফিরে তো আসতে হবে।
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট বদ্ধ থাকাকালে ক্ষমতার জোরে জামাত তাদের এবং আমাদের ভাইদেরকে আল্লাহর দ্বীনের জন্য ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে যদিও নির্বিকার থেকেছেন এবং তৎকালীন ইসলামবিরোধী শক্তির সঙ্গে অপরাধ কর্মে অংশ নিয়েছেন, কিন্তু আজ তারা মজলুম। ক্ষমতার হিতাহিত জ্ঞানলোপকারী নেশা আজ তাদের মাঝে নেই। সেদিনের সাঈদী সাহেবে আর আজকের কারাবন্দী সাঈদী সাহেব এক চেতনার মানুষ নয়। তাই আমরা আশাবাদী, এখন তারা কথা শুনবেন।
কিন্তু এরপরও যেহেতু তাদের মাঝে সন্তোষজনক নড়চড় আমরা দেখতে পাচ্ছি না, তাই আমার মনে হয়, তাদের কানে আরো একবার আওয়াজ পৌঁছানোর লোকের আসলেই অভাব রয়েছে।
পরিশেষে বলব,
হে ভাই! আল্লাহর দ্বীনের জন্য আমাদের উপরের ভাইদের দিনরাত একাকার করা নিরন্তর সাধনা ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার কথা আল্লাহর ওয়াস্তে ভুলে যাবেন না। তাই আপনি আপনার অবস্থান থেকে পূর্ণ নিরাপত্তা বজায় রেখে সঠিক নীতিমালা অনুসরণ করে হেকমত ও মাওয়ায়েজে হাসানার যথার্থ ব্যবহারে দাওয়াহ'র কাজকে জোরদার ও গতিশীল করুন।
আল্লাহ তাআলা আমাকেসহ সকলকে আমলের তৌফিক দান করুন! আমিন!!
দলের এই দুঃসময়ে জামাতে ইসলামের বক্তারা শুধু নয়, সব শ্রেণীর জামাত সমর্থকদের চিন্তাভঙ্গি, দৃষ্টিকোণ ও সময়ের অবলোকন কেমন? সমসাময়িক কুফরি ভ্রান্ত মতবাদের ব্যাপারে তাদের সচেতনতা কতটুকু? পূর্বে করে আসা ভুল গুলোর জন্য তাদের অনুতাপ আছে কিনা?জামাতুল মুজাহিদীন ও হরকাতুল জিহাদের মুসলিম ভাইদের প্রতি তাদের অবিচারকে তারা আত্মসমালোচনায় এনেছেন কিনা? সর্বশ্রেণীর ইসলামী আন্দোলন বিশেষত আঞ্চলিক জিহাদী আন্দোলনগুলোর সঙ্গে আচরণের প্রশ্নে দলান্ধতার ঊর্ধ্বে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠাতার ব্যাপারে তাদের দায়বদ্ধতার অনুভব ও অঙ্গীকার কতটুকু—এত সকল প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব আমাদের কাছে নেই। আল্লামা সাঈদী (আল্লাহ তাকে মুক্ত করুন) সাহেবের সে বক্তব্য এখনও কানে বাজে —"তাদেরকে যেখানে পাবেন, পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেবেন। যারা রাস্তায় রাস্তায় লিখে রাখে, গণতন্ত্র হারাম, সেসকল লোকগুলোই বোমাবাজি করে থাকে। নারী নেতৃত্বকে আমরা হারাম মনে করি না ইত্যাদি"। আহ…! অথচ কালের পরিক্রমায় আজ সে সাঈদী সাহেব কারাগারে আর তার কাছে গালি খাওয়া সেই আমরা এখন তার জন্য দোয়া করছি। হ্যাঁ আমরা তা করেই যাবো। আমাদের আদর্শ তো আমাদেরকে এই শিক্ষা দেয়, যদি দাড়ি টুপির মত সামান্য ইসলাম সম্পৃক্ততার কারণে ইসলামের বিপক্ষ শক্তি ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে (আল্লাহপাক তাকে হেদায়েত দান করুন অন্যথায় ধ্বংস করুন) কোণঠাসা করে ফেলে, আমরা তখন তার পক্ষে অবস্থান নেব।
এতগুলো কথা বলার উদ্দেশ্য হলো এই বিষয়টা হাইলাইট করা, জেহাদিদের ব্যাপারে অত্যন্ত রূঢ় ও বৈরী অবস্থান গ্রহণসহ জামায়াতে ইসলামীর ইসলামবিরোধী আর সকল অপরাধ আমরা ভুলে যেতে পারি কেবল আল্লাহর দিকে তাকিয়ে, কিন্তু এর জন্য তাদের ফিরে তো আসতে হবে।
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট বদ্ধ থাকাকালে ক্ষমতার জোরে জামাত তাদের এবং আমাদের ভাইদেরকে আল্লাহর দ্বীনের জন্য ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে যদিও নির্বিকার থেকেছেন এবং তৎকালীন ইসলামবিরোধী শক্তির সঙ্গে অপরাধ কর্মে অংশ নিয়েছেন, কিন্তু আজ তারা মজলুম। ক্ষমতার হিতাহিত জ্ঞানলোপকারী নেশা আজ তাদের মাঝে নেই। সেদিনের সাঈদী সাহেবে আর আজকের কারাবন্দী সাঈদী সাহেব এক চেতনার মানুষ নয়। তাই আমরা আশাবাদী, এখন তারা কথা শুনবেন।
কিন্তু এরপরও যেহেতু তাদের মাঝে সন্তোষজনক নড়চড় আমরা দেখতে পাচ্ছি না, তাই আমার মনে হয়, তাদের কানে আরো একবার আওয়াজ পৌঁছানোর লোকের আসলেই অভাব রয়েছে।
পরিশেষে বলব,
হে ভাই! আল্লাহর দ্বীনের জন্য আমাদের উপরের ভাইদের দিনরাত একাকার করা নিরন্তর সাধনা ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার কথা আল্লাহর ওয়াস্তে ভুলে যাবেন না। তাই আপনি আপনার অবস্থান থেকে পূর্ণ নিরাপত্তা বজায় রেখে সঠিক নীতিমালা অনুসরণ করে হেকমত ও মাওয়ায়েজে হাসানার যথার্থ ব্যবহারে দাওয়াহ'র কাজকে জোরদার ও গতিশীল করুন।
আল্লাহ তাআলা আমাকেসহ সকলকে আমলের তৌফিক দান করুন! আমিন!!
Comment