হাকিমুল উম্মাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. বলেন :-
কিছু কিছু মানুষ অনেক চেষ্টা করে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ইসলামি বানাতে ব্যর্থ চেষ্টা করে ৷ ফলে তারা মূর্খের পরিচয় দিয়ে থাকে ৷ তারা প্রমাণ হিসাবে কোরআনের একটা আয়াত পেশ করে থাকে ৷ তাদের দলিল আল্লাহ তা'আলা বলেন :-
وَ شَاوِرْهُمْ فِى الاَمْر
আর তাদের নিকট হতে বিশেষ বিশেষ ব্যপারে পরামর্শ নিতে থাকুন ৷...........
কিন্তু তাদের এ প্রামাণ্য দলিলের স্থান নিতান্তই ভূল ৷.........
তারা মশওয়ারার বিষয়গুলোকেই মশওয়ারার মাধ্যমে বাতিল করে দেয় ৷ আর ইসলামে যে সকল বিষয়ে মশওয়ারার সুযোগ দিয়েছে,এর মধ্যে কোনটিরই মধ্যে গণতন্ত্রকে ধরা যায় না........
যে আয়াত দ্বারা তারা ইসলাম ধর্মে গণতন্ত্রের প্রমাণিকতা খুজে পায় সেই আয়াতের শেষাংশেই গণতন্ত্রকে ইসলাম বহির্ভুত জিনিস হিসাবে উল্লেখ করা আছে ৷ কিন্তু তারা আয়াতের এক অংশের উপর আমলের দাবি করতে গিয়ে আয়াতের অন্য অংশকে বাদ দিয়ে দেয় ৷ নিচে পুরা আয়াত লেখা হল ৷ আয়াত :-
وَ شَاوِرْهم فِى الاَمر،عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلى اللّٰه،اِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِيْنَ
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন,নিশ্চয় আল্লাহ এমন ভরসাকারীদেরকে ভালোবাসেন ৷ সূরা ইমরান -১৫৯
আয়াতের ব্যখা :-এখানে বিশেষ ব্যপার বলতে,যে সমস্ত বিষয়ে রাসূল (সঃ) উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন ওহী আসে নাই সে সকল বিষয়ে পরামর্শ করতে বলা হয়েছে ৷ কিন্তু যে সকল বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী এসেছে সে সকল বিষয়ে পরামর্শ করতে বলা হয় নাই ৷ কারণ ওহী আসার পরে সে সকল বিষয়ের উপর পরামর্শ করার কোন সুযোগ নেই ৷
এখানে রাষ্ট্র চালান বা আইনে প্রনয়নের সময় অধিকাংশের কথা ধর্তব্য হবে,এটা উদ্দেশ্য নয় ৷ কেননা এটা উদ্দেশ্য হলে,عزم বা সিদ্ধান্ত নেওয়া শব্দ না বলে বরং বলা হত আপনার রায় যেন অধিকাংশের বিরোধী না হয় ৷
এখানে তাওয়াক্কুল শব্দের বিভিন্ন উদ্দেশ্য হতে পারে ৷
মশওয়ারা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথার পরে আল্লাহ তা'আলা তিনার উপর ভরসা করার কথা বলেছেন ৷ যাতে করে মানুষে বুঝতে পারে মশওয়ারা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা তাওয়াক্কুলের একই অর্থ ৷ কেননা মশওয়ারা এবং সিদ্ধান্ত ফয়সালার মাধ্যমে হয়ে থাকে ৷ আর ফয়সালার পরে আল্লাহর উপর ভরসা করা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য জরুরি ৷
আর যদি ফয়সালা শব্দকে তাওয়াক্কুল শব্দের বিরোধী ধরা হয়,তাহলে ব্যখ্যা হবে,দ্বীনি ফয়সালা অমান্য করা গুনাহ আর দুনিয়াবি অকট্য ফয়সালা অমান্য করা না জায়েজ ৷ আর সন্দেহ মূলক প্রধান্য দিতে পারলে জায়েজ আর প্রাধান্য দিতে না পারলে তরক করতে পারে ৷
এছাড়া মুফতী শফী রহিমাহুল্লাহ তিনার মা'আরেফুল কুরআনে বলেন :-বর্তমানে গণতন্ত্রের যে অধিকাংশের রায় অনুযায়ি নেতা হয় সেটাই জুলুম অত্যাচারের পন্থা ৷ সুতরাং তারা ক্ষমতায় এসে কিভাবে ইসলামি আইন কায়েম করবে?তারা এতটাই বদমেজাজি ও বিকৃত মানসিকতার হয় যার ফলে আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা,সকল মানুষের রব,এবং আল্লাহ তা'আলার প্রকৃত হুকুমত ও রাজত্বের কথা মনেই করে না ৷ বরং তারা মনে করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা হওয়াকেও আল্লাহ তা'আলার দান মনে করে ৷
সার কথা হল,মশওয়ারা করতে হবে,যে সকল বিষয়ে শরিয়তের হুকুম আছে সেগুলোকে কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়?কিন্ত মশওয়ারার মাধ্যমে শরিয়তের মধ্যে কোন পরিবর্তন করা যাবে না ৷
কিছু কিছু মানুষ অনেক চেষ্টা করে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ইসলামি বানাতে ব্যর্থ চেষ্টা করে ৷ ফলে তারা মূর্খের পরিচয় দিয়ে থাকে ৷ তারা প্রমাণ হিসাবে কোরআনের একটা আয়াত পেশ করে থাকে ৷ তাদের দলিল আল্লাহ তা'আলা বলেন :-
وَ شَاوِرْهُمْ فِى الاَمْر
আর তাদের নিকট হতে বিশেষ বিশেষ ব্যপারে পরামর্শ নিতে থাকুন ৷...........
কিন্তু তাদের এ প্রামাণ্য দলিলের স্থান নিতান্তই ভূল ৷.........
তারা মশওয়ারার বিষয়গুলোকেই মশওয়ারার মাধ্যমে বাতিল করে দেয় ৷ আর ইসলামে যে সকল বিষয়ে মশওয়ারার সুযোগ দিয়েছে,এর মধ্যে কোনটিরই মধ্যে গণতন্ত্রকে ধরা যায় না........
যে আয়াত দ্বারা তারা ইসলাম ধর্মে গণতন্ত্রের প্রমাণিকতা খুজে পায় সেই আয়াতের শেষাংশেই গণতন্ত্রকে ইসলাম বহির্ভুত জিনিস হিসাবে উল্লেখ করা আছে ৷ কিন্তু তারা আয়াতের এক অংশের উপর আমলের দাবি করতে গিয়ে আয়াতের অন্য অংশকে বাদ দিয়ে দেয় ৷ নিচে পুরা আয়াত লেখা হল ৷ আয়াত :-
وَ شَاوِرْهم فِى الاَمر،عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلى اللّٰه،اِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِيْنَ
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন,নিশ্চয় আল্লাহ এমন ভরসাকারীদেরকে ভালোবাসেন ৷ সূরা ইমরান -১৫৯
আয়াতের ব্যখা :-এখানে বিশেষ ব্যপার বলতে,যে সমস্ত বিষয়ে রাসূল (সঃ) উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন ওহী আসে নাই সে সকল বিষয়ে পরামর্শ করতে বলা হয়েছে ৷ কিন্তু যে সকল বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী এসেছে সে সকল বিষয়ে পরামর্শ করতে বলা হয় নাই ৷ কারণ ওহী আসার পরে সে সকল বিষয়ের উপর পরামর্শ করার কোন সুযোগ নেই ৷
এখানে রাষ্ট্র চালান বা আইনে প্রনয়নের সময় অধিকাংশের কথা ধর্তব্য হবে,এটা উদ্দেশ্য নয় ৷ কেননা এটা উদ্দেশ্য হলে,عزم বা সিদ্ধান্ত নেওয়া শব্দ না বলে বরং বলা হত আপনার রায় যেন অধিকাংশের বিরোধী না হয় ৷
এখানে তাওয়াক্কুল শব্দের বিভিন্ন উদ্দেশ্য হতে পারে ৷
মশওয়ারা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথার পরে আল্লাহ তা'আলা তিনার উপর ভরসা করার কথা বলেছেন ৷ যাতে করে মানুষে বুঝতে পারে মশওয়ারা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা তাওয়াক্কুলের একই অর্থ ৷ কেননা মশওয়ারা এবং সিদ্ধান্ত ফয়সালার মাধ্যমে হয়ে থাকে ৷ আর ফয়সালার পরে আল্লাহর উপর ভরসা করা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য জরুরি ৷
আর যদি ফয়সালা শব্দকে তাওয়াক্কুল শব্দের বিরোধী ধরা হয়,তাহলে ব্যখ্যা হবে,দ্বীনি ফয়সালা অমান্য করা গুনাহ আর দুনিয়াবি অকট্য ফয়সালা অমান্য করা না জায়েজ ৷ আর সন্দেহ মূলক প্রধান্য দিতে পারলে জায়েজ আর প্রাধান্য দিতে না পারলে তরক করতে পারে ৷
এছাড়া মুফতী শফী রহিমাহুল্লাহ তিনার মা'আরেফুল কুরআনে বলেন :-বর্তমানে গণতন্ত্রের যে অধিকাংশের রায় অনুযায়ি নেতা হয় সেটাই জুলুম অত্যাচারের পন্থা ৷ সুতরাং তারা ক্ষমতায় এসে কিভাবে ইসলামি আইন কায়েম করবে?তারা এতটাই বদমেজাজি ও বিকৃত মানসিকতার হয় যার ফলে আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা,সকল মানুষের রব,এবং আল্লাহ তা'আলার প্রকৃত হুকুমত ও রাজত্বের কথা মনেই করে না ৷ বরং তারা মনে করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা হওয়াকেও আল্লাহ তা'আলার দান মনে করে ৷
সার কথা হল,মশওয়ারা করতে হবে,যে সকল বিষয়ে শরিয়তের হুকুম আছে সেগুলোকে কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়?কিন্ত মশওয়ারার মাধ্যমে শরিয়তের মধ্যে কোন পরিবর্তন করা যাবে না ৷
Comment