‘আপনার বাড়ি কোথায় ?'
যদি এখন আমরা কোন মুসলিমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করিঃ ‘আপনার বাড়ি কোথায় ?’ সত্যিই, সে ইঙ্গিত করবে তার দেশের নাম; মিশরে... সিরিয়াতে... তিউনেশিয়াতে... সউদি আরবে... ইত্যাদি...
সে শুরুতেই তার শহরের নাম উল্লেখ করবেনা এবং সে বলবে না যে তার বাড়ি হচ্ছে দামেস্কে, বৈরুতে, কায়রোতে অথবা তাসখন্দে... কারণ সে স্যিকেস-পিকট (Sykes-Picot)১ এর সৃষ্ট রাষ্ট্রীয় বর্ডার লাইনের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যেটা উপনিবেশবাদদের দ্বারা তার মগজে অংকিত।
{Sykes–Picot Agreement আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত Asia Minor Agreement নামে, এটা ছিল যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের মধ্যে ১৯১৬ সালের একটা গোপন চুক্তি, যা রাশিয়ান সম্রাজ্যের সম্মতিপ্রাপ্ত। এগ্রিমেন্ট তাদের আন্তর্জাতিক বলয়ে সম্পর্ক এবং দক্ষিন পশ্চিম এশিয়াতে নিয়ন্ত্রণের পরস্পর সমজোতা নির্ধারণ করে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় ওসমানীয় খেলাফতকে পরাজিত করে সফলতার জন্য ত্রিশক্তি মৈত্রীর প্রতিজ্ঞার উপর ভিত্তি করে চুক্তিটি গঠিত হয়েছে। সন্ধিস্থাপনের প্রক্রিয়া ঘটেছে নভেম্বর ১৯১৫ এবং মার্চ ১৯১৭ সালের মধ্যে, চুক্তি, প্রকাশিত হয়েছে জনগণের কাছে ইযবেস্তিয়া এবং প্রাভদা পত্রিকার মাধ্যমে ১৯১৭ সালের ২৩ নভেম্বর এবং ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানে ১৯১৭ সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখে।;অনুবাদক }
এখন আমাদের যা মুজাহিদিনদের চিন্তায় প্রতিস্থাপন করতে হবে যারা জিহাদের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তা হচ্ছে দ্বীনের সেই বিশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি, যেটার ব্যাপারে আল্লাহ্* সুবহানা তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেনঃ
إ نَّ هَ ذ ه أُمَّتُكُمْ أُمَّة وَا حدَة وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُو ن
(সূরা আম্বিয়াঃ ৯২)।
“এ হচ্ছে তোমাদেরই জাতি এটা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক, অতএব আমারই এবাদত কর।”
এবং আলহামদুলিল্লাহ্*, শত্রুদের সামরিক হামলা এখন আমাদেরকে মানচিত্রের এক বর্ডারের অধীনে এনে দিয়েছে, যাকে বলে ‘অপারেশানের মধ্যবর্তী এলাকা’ (মানতিকাত আল-আমালিয়াত আল-ওয়াসিতা) এবং বাস্তবে, আরব ও ইসলামী দুনিয়ার অনেক দেশকে এটা একসাথ করে দিয়েছে, এটা একইভাবে রাজনৈতিক ময়দানে, মতাদর্শে, অর্থনৈতিক এবং সভ্যতাগত হামলায়...। সে (বুশ) আমাদের সবাইকে একটা মানচিত্রের মধ্যে এনে দিয়েছে, যেটা একত্রীকরণ হয়েছে একই এলাকায়, যার রাজনৈতিক নাম হচ্ছে ‘বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য’...
কাজেই, শত্রু আমাদের উপর তাদের হামলার দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্যকে বিশ্বায়ন করে দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্*। এটা সাহায্য করেছে যারা তাদের বিশ্বাস এবং বোধশক্তি দ্বারা সমর্থন করত না দুনিয়াব্যাপী (উমামি) একীভূতকরণের চিন্তা চেতনায়, যা তাদেরকে এই চিন্তা চেতনা থেকে দূরে নিয়ে গেছে, যেটা হচ্ছে আমাদের ধর্মের মূলনীতির একটি।
অবশ্যই মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন এই বাস্তবতার দিকে যে উম্মাহর এই একীভূতকরণের প্রতিশ্রুতির একটা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মাত্রা বিদ্যমান রয়েছে, যেটা আমাদেরকে বিশ্বব্যাপী ইসলামী প্রতিরোধ যুদ্ধের আহবানের সামরিক থিয়োরি বুঝতে সাহায্য করবে।
কৌশলগত দিক থেকে বলতেছি, এই থিয়োরি উদ্ভূত হয়েছে বৃহত্তর সব ইসলামী দেশগুলোর (আল-ওয়াতান আল-ইসলামি) আন্তর্জাতিক মাত্রা (উমামি) থেকে এবং এটা সফল হতে পারবেনা যদি আমরা এই বিশ্বব্যাপী আন্তজাতিকতার (উমামি) মাত্রা থেকে সরে দাড়াই।
যদি আমাদের একটা সরাসরি জিহাদে প্রবেশ করতে হয় এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি আমেরিকার বিরুদ্ধে সম্মুখ মোকাবেলার, আমরা দেখব যে জিহাদের সফলতা থাকবে যেকোনো ফ্রন্টে, এর জন্য নিঃসন্দেহে প্রয়োজন কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ। পুরো ইসলামী দুনিয়াতে এই ধরণের পরিবেশ রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধ এলাকায়। যখন এই ওপেন ফ্রন্ট জিহাদগুলোর জন্য ইসলামী দুনিয়ার যেকোনো দেশ থেকে মুজাহিদিনদের প্রয়োজন হবে, যেকোনো দেশ থেকে বিশেষ দক্ষতার বিভিন্ন ধরণের সামরিক শক্তিবৃদ্ধি করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থানগুলো পুরন করবে ঐসব যুদ্ধগুলোতে যখনই তারা জিহাদের জন্য উদ্ভূত হয়।
একাকি গোপন জিহাদ, অপারেশানাল কার্যক্রমে অবস্থান নিতে পারে দুনিয়াব্যাপী যেকোনো জায়গায়। এই অপারেশানাল কার্যক্রম পৃথিবীর যেকোনো বলয়ের জন্য দেশ এবং বর্ডারগুলো নির্বিশেষে খোলা আছে। শত্রু ইরাক দখল করে নিয়েছে আমরা সেখানে লড়াই করতেছি এবং একই অবস্থা এখন ফিলিস্তিনেও... এটা মুজাহিদিনদের জন্য দায়িত্বে পরিণত হয়েছে তিউনেশিয়ায় অথবা মরক্কো অথবা ইন্দোনেশিয়ায়... ইরাকে গিয়ে তার ভাইদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের সাথে মিলিত হওয়া... কোনভাবে, এটা করা অল্প কিছু সংখ্যকের জন্য সম্ভব এবং এটা সময়ের প্রেক্ষাপটে কঠিনে পরিণত হয়েছে, কারণ জিহাদের ময়দানগুলোতে মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে মুরতাদ সরকারগুলো আমেরিকার সহযোগী হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু যেকোনো মুসলিম চাইলে জিহাদ এবং কুফরদের মোকাবেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, এই যুদ্ধের ময়দানে চাইলে আমেরিকার বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারে নিজ দেশ থেকেই অথবা যেকোনো জায়গা থেকে, যেটা খুব সম্ভব শতগুণ বেশী কার্যকরী হবে সে সম্মুখ ময়দানে পৌঁছে অংশগ্রহণের তুলনায়।
উম্মাহর জন্য অবশ্যই একটা চেতনার অঙ্গীকার থাকা জরুরী ভৌগোলিক, রাজনৈতিক এবং মিলিটারি মাত্রায় ও প্রত্যেক ক্ষেত্রে।
যেকেউই সংস্থাপিত এই বর্ডারগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখতে পাবে, বক্র এবং আশ্চর্যজনক ভাবে পেঁচিয়ে যখন তারা আমাদের দেশ গুলোর মানচিত্র অঙ্কিত করেছে, দেখা যায় উপনিবেশ শক্তির কাফের মন্ত্রিদের কলম এবং স্কেল দ্বারা আঁকা হয়েছে। এটা অদ্ভুদ যে, এরপর এই বর্ডারগুলো উম্মাহর অধিকাংশ সন্তাদের মন মগজে অন্তর্লিখিত হয়ে আছে। এটা বিস্ময়কর যে এই বিপর্যয়কারী ঘটনা কেবল কয়েক দশকের ছেয়ে বেশী নয়। এটা ঘটেছিল ১৯২৪ সালে উম্মাহর বিস্তীর্ণ রাজনৈতিক অবনতির পর, উম্মাহর শেষ প্রতীকমূলক খেলাফতের পতনের সাথে।
আমাদের অবশ্যই উম্মাহর যুবকদের চিন্তা এবং হৃদয়কে বিকশিত করা প্রয়োজন, তাহলে তারা তাদের অঙ্গীকার সামগ্রিকভাবে বুঝতে পারবে উম্মাহর জন্য। এটা হচ্ছে দ্বীন এবং বিশ্বাসের একটা ভিত্তি। এবং এর সাথে সাথে রাজনীতি এবং মিলিটারি কৌশলের ধারনার মধ্যেও।
শায়েখ আবু মুসআব আস সুরী (আল্লাহ উনাকে মুক্ত করে দিন।)
যদি এখন আমরা কোন মুসলিমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করিঃ ‘আপনার বাড়ি কোথায় ?’ সত্যিই, সে ইঙ্গিত করবে তার দেশের নাম; মিশরে... সিরিয়াতে... তিউনেশিয়াতে... সউদি আরবে... ইত্যাদি...
সে শুরুতেই তার শহরের নাম উল্লেখ করবেনা এবং সে বলবে না যে তার বাড়ি হচ্ছে দামেস্কে, বৈরুতে, কায়রোতে অথবা তাসখন্দে... কারণ সে স্যিকেস-পিকট (Sykes-Picot)১ এর সৃষ্ট রাষ্ট্রীয় বর্ডার লাইনের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যেটা উপনিবেশবাদদের দ্বারা তার মগজে অংকিত।
{Sykes–Picot Agreement আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত Asia Minor Agreement নামে, এটা ছিল যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের মধ্যে ১৯১৬ সালের একটা গোপন চুক্তি, যা রাশিয়ান সম্রাজ্যের সম্মতিপ্রাপ্ত। এগ্রিমেন্ট তাদের আন্তর্জাতিক বলয়ে সম্পর্ক এবং দক্ষিন পশ্চিম এশিয়াতে নিয়ন্ত্রণের পরস্পর সমজোতা নির্ধারণ করে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় ওসমানীয় খেলাফতকে পরাজিত করে সফলতার জন্য ত্রিশক্তি মৈত্রীর প্রতিজ্ঞার উপর ভিত্তি করে চুক্তিটি গঠিত হয়েছে। সন্ধিস্থাপনের প্রক্রিয়া ঘটেছে নভেম্বর ১৯১৫ এবং মার্চ ১৯১৭ সালের মধ্যে, চুক্তি, প্রকাশিত হয়েছে জনগণের কাছে ইযবেস্তিয়া এবং প্রাভদা পত্রিকার মাধ্যমে ১৯১৭ সালের ২৩ নভেম্বর এবং ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানে ১৯১৭ সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখে।;অনুবাদক }
এখন আমাদের যা মুজাহিদিনদের চিন্তায় প্রতিস্থাপন করতে হবে যারা জিহাদের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তা হচ্ছে দ্বীনের সেই বিশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি, যেটার ব্যাপারে আল্লাহ্* সুবহানা তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেনঃ
إ نَّ هَ ذ ه أُمَّتُكُمْ أُمَّة وَا حدَة وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُو ن
(সূরা আম্বিয়াঃ ৯২)।
“এ হচ্ছে তোমাদেরই জাতি এটা তো একই জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক, অতএব আমারই এবাদত কর।”
এবং আলহামদুলিল্লাহ্*, শত্রুদের সামরিক হামলা এখন আমাদেরকে মানচিত্রের এক বর্ডারের অধীনে এনে দিয়েছে, যাকে বলে ‘অপারেশানের মধ্যবর্তী এলাকা’ (মানতিকাত আল-আমালিয়াত আল-ওয়াসিতা) এবং বাস্তবে, আরব ও ইসলামী দুনিয়ার অনেক দেশকে এটা একসাথ করে দিয়েছে, এটা একইভাবে রাজনৈতিক ময়দানে, মতাদর্শে, অর্থনৈতিক এবং সভ্যতাগত হামলায়...। সে (বুশ) আমাদের সবাইকে একটা মানচিত্রের মধ্যে এনে দিয়েছে, যেটা একত্রীকরণ হয়েছে একই এলাকায়, যার রাজনৈতিক নাম হচ্ছে ‘বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য’...
কাজেই, শত্রু আমাদের উপর তাদের হামলার দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্যকে বিশ্বায়ন করে দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্*। এটা সাহায্য করেছে যারা তাদের বিশ্বাস এবং বোধশক্তি দ্বারা সমর্থন করত না দুনিয়াব্যাপী (উমামি) একীভূতকরণের চিন্তা চেতনায়, যা তাদেরকে এই চিন্তা চেতনা থেকে দূরে নিয়ে গেছে, যেটা হচ্ছে আমাদের ধর্মের মূলনীতির একটি।
অবশ্যই মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন এই বাস্তবতার দিকে যে উম্মাহর এই একীভূতকরণের প্রতিশ্রুতির একটা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মাত্রা বিদ্যমান রয়েছে, যেটা আমাদেরকে বিশ্বব্যাপী ইসলামী প্রতিরোধ যুদ্ধের আহবানের সামরিক থিয়োরি বুঝতে সাহায্য করবে।
কৌশলগত দিক থেকে বলতেছি, এই থিয়োরি উদ্ভূত হয়েছে বৃহত্তর সব ইসলামী দেশগুলোর (আল-ওয়াতান আল-ইসলামি) আন্তর্জাতিক মাত্রা (উমামি) থেকে এবং এটা সফল হতে পারবেনা যদি আমরা এই বিশ্বব্যাপী আন্তজাতিকতার (উমামি) মাত্রা থেকে সরে দাড়াই।
যদি আমাদের একটা সরাসরি জিহাদে প্রবেশ করতে হয় এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি আমেরিকার বিরুদ্ধে সম্মুখ মোকাবেলার, আমরা দেখব যে জিহাদের সফলতা থাকবে যেকোনো ফ্রন্টে, এর জন্য নিঃসন্দেহে প্রয়োজন কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ। পুরো ইসলামী দুনিয়াতে এই ধরণের পরিবেশ রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধ এলাকায়। যখন এই ওপেন ফ্রন্ট জিহাদগুলোর জন্য ইসলামী দুনিয়ার যেকোনো দেশ থেকে মুজাহিদিনদের প্রয়োজন হবে, যেকোনো দেশ থেকে বিশেষ দক্ষতার বিভিন্ন ধরণের সামরিক শক্তিবৃদ্ধি করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ শূন্যস্থানগুলো পুরন করবে ঐসব যুদ্ধগুলোতে যখনই তারা জিহাদের জন্য উদ্ভূত হয়।
একাকি গোপন জিহাদ, অপারেশানাল কার্যক্রমে অবস্থান নিতে পারে দুনিয়াব্যাপী যেকোনো জায়গায়। এই অপারেশানাল কার্যক্রম পৃথিবীর যেকোনো বলয়ের জন্য দেশ এবং বর্ডারগুলো নির্বিশেষে খোলা আছে। শত্রু ইরাক দখল করে নিয়েছে আমরা সেখানে লড়াই করতেছি এবং একই অবস্থা এখন ফিলিস্তিনেও... এটা মুজাহিদিনদের জন্য দায়িত্বে পরিণত হয়েছে তিউনেশিয়ায় অথবা মরক্কো অথবা ইন্দোনেশিয়ায়... ইরাকে গিয়ে তার ভাইদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের সাথে মিলিত হওয়া... কোনভাবে, এটা করা অল্প কিছু সংখ্যকের জন্য সম্ভব এবং এটা সময়ের প্রেক্ষাপটে কঠিনে পরিণত হয়েছে, কারণ জিহাদের ময়দানগুলোতে মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে মুরতাদ সরকারগুলো আমেরিকার সহযোগী হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু যেকোনো মুসলিম চাইলে জিহাদ এবং কুফরদের মোকাবেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, এই যুদ্ধের ময়দানে চাইলে আমেরিকার বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারে নিজ দেশ থেকেই অথবা যেকোনো জায়গা থেকে, যেটা খুব সম্ভব শতগুণ বেশী কার্যকরী হবে সে সম্মুখ ময়দানে পৌঁছে অংশগ্রহণের তুলনায়।
উম্মাহর জন্য অবশ্যই একটা চেতনার অঙ্গীকার থাকা জরুরী ভৌগোলিক, রাজনৈতিক এবং মিলিটারি মাত্রায় ও প্রত্যেক ক্ষেত্রে।
যেকেউই সংস্থাপিত এই বর্ডারগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখতে পাবে, বক্র এবং আশ্চর্যজনক ভাবে পেঁচিয়ে যখন তারা আমাদের দেশ গুলোর মানচিত্র অঙ্কিত করেছে, দেখা যায় উপনিবেশ শক্তির কাফের মন্ত্রিদের কলম এবং স্কেল দ্বারা আঁকা হয়েছে। এটা অদ্ভুদ যে, এরপর এই বর্ডারগুলো উম্মাহর অধিকাংশ সন্তাদের মন মগজে অন্তর্লিখিত হয়ে আছে। এটা বিস্ময়কর যে এই বিপর্যয়কারী ঘটনা কেবল কয়েক দশকের ছেয়ে বেশী নয়। এটা ঘটেছিল ১৯২৪ সালে উম্মাহর বিস্তীর্ণ রাজনৈতিক অবনতির পর, উম্মাহর শেষ প্রতীকমূলক খেলাফতের পতনের সাথে।
আমাদের অবশ্যই উম্মাহর যুবকদের চিন্তা এবং হৃদয়কে বিকশিত করা প্রয়োজন, তাহলে তারা তাদের অঙ্গীকার সামগ্রিকভাবে বুঝতে পারবে উম্মাহর জন্য। এটা হচ্ছে দ্বীন এবং বিশ্বাসের একটা ভিত্তি। এবং এর সাথে সাথে রাজনীতি এবং মিলিটারি কৌশলের ধারনার মধ্যেও।
শায়েখ আবু মুসআব আস সুরী (আল্লাহ উনাকে মুক্ত করে দিন।)
Comment