জঙ্গিদের সঙ্গী হোন! কাফেলায় শামিল হোন!!
অন্যথায় দুনিয়ার জীবনে সাময়িকভাবে বিপদাপদ থেকে বেঁচে থাকতে পারলেও অচিরেই শোচনীয়ভাবে বিপদাক্রান্ত হবেন। তখন আফসোস করলে কোন লাভ হবে না। তাই সময় থাকতে আপনার ও আপনার পরিবারের পরকালকে নিরাপদ রাখতে চাইতে আজই জঙ্গিদের সঙ্গী হোন! তাদেরকে ভালোবাসুন! সাহায্য-সহযোগিতা করুন! তাদেরকে আশ্রয় দান করুন! সমর্থন করুন! শাহাদাতের তামান্না লালন করুন! জান-মালের বিনিময়ে জান্নাত ক্রয় করুন!
জঙ্গি কিভাবে চিহ্নিত করবেন? আসুন! জেনে নেয়া যাক।অন্যথায় দুনিয়ার জীবনে সাময়িকভাবে বিপদাপদ থেকে বেঁচে থাকতে পারলেও অচিরেই শোচনীয়ভাবে বিপদাক্রান্ত হবেন। তখন আফসোস করলে কোন লাভ হবে না। তাই সময় থাকতে আপনার ও আপনার পরিবারের পরকালকে নিরাপদ রাখতে চাইতে আজই জঙ্গিদের সঙ্গী হোন! তাদেরকে ভালোবাসুন! সাহায্য-সহযোগিতা করুন! তাদেরকে আশ্রয় দান করুন! সমর্থন করুন! শাহাদাতের তামান্না লালন করুন! জান-মালের বিনিময়ে জান্নাত ক্রয় করুন!
জঙ্গি হওয়ার আলামতসমূহঃ
১) তারা আপনাকে বিশ্বব্যাপী খিলাফাহ কায়েমের কথা বলবে।
২) তারা গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্রসহ ইসলাম ব্যতীত অন্য সকল মতবাদের বিরোধিতা করে।
৩) তারা আপনাকে ফরজ জিহাদের কথা বলবে।
৪) তারা "কুফর বিত তাগূত" তথা তাগূতকে অস্বীকার করতে বলে।
৫) তারা ভূখণ্ড কেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করে।
৬) তারা আপনার কাছে বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত উম্মাহর কথা বলবে, তাদেরকে উদ্ধারের জন্য জিহাদের কথা বলবে।
৭) "আল ওয়ালা ওয়াল বারা" তথা আল্লাহর জন্য ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্য ঘৃণার কথা বলবে। নিঃস্বার্থভাবে আপনাকে ভালবাসার দাবি করবে!
৮) তারা প্রচলিত গণতান্ত্রিক রাজনীতি, মিছিল, মিটিং, মানব্বন্ধনের বিরোধিতা করে।
৯) তারা শাতিমে রাসূল তথা নবী অবমাননাকারী নাস্তিক মুরতাদদের হত্যার ফাতাওয়া দেয় এবং হত্যা করে, পরে জেলে যায় কিংবা ফাঁসিতে ঝুলে। উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে না।
১০) তারা প্রতিটি বিষয়ে কোরআন ও সহীহ হাদিসের দলিল খুঁজে।
১১) তারা "নাওয়াক্বিদুল ঈমান" তথা ঈমান ভঙ্গের কারণের কথা বলে।
১২) এমনকি তারা ক্ষেত্রবিশেষে ক্রিকেট, ফুটবল খেলাধুলার মত মনের খোরাকগুলোকেও হারাম বলে, টিভির সামনে বসার তো প্রশ্নই ওঠে না।
১৩) দাঁড়ি লম্বা রাখে, সার্বক্ষণিক টাকনুর উপর কাপড় পরিধান করে।
১৪) সবসময় স্রোতের বিপরীতে চলে, সবাই আধুনিকতার স্রোতে গা ভাসালেও তারা ভাসায় না।
১৫) সালাত আদায়ের ক্ষেত্রেও তারা অধিকাংশ মানুষের বিপরীতে যথাসময়ে আদায় করে।
১৬) তারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে, এমনকি বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলোর বিরুদ্ধে।
১৭) তারা তথাকথিত পীর, সুফি, দরবেশের বিরোধিতা করে।
১৮) তারা প্রচলিত বিয়ের বেহায়াপনা, ইস্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, একুশে ফেব্রুয়ারীসহ এ ধরনের কোন অনুষ্ঠানে কখনো যায় না। অথচ তাদের বন্ধুবান্ধব সবাই এগুলোতে যায়।
১৯) গভীর রাতে উঠে নির্যাতন মুসলিম উম্মাহ্, মুজাহিদদের জন্যে দু'হাত তুলে রবের দরবারে কাঁদে।
২০) তারা লঘুকেন্দ্রীক সকল দলগুলোকে উম্মাহ্কেন্দ্রিক, তাওহীদকেন্দ্রিক জামাআহবদ্ধ করতে চায়।
২১) তারা মুসলিমদের প্রতি বিনয়ী এবং কাফেরদের প্রতি খুব কঠোর।
২২) প্রকৃত জঙ্গিরা তালিবান ও আল কায়দা কে সমর্থন করে এবং আইএস কে খারিজি বলে। তাদের বিভিন্ন ক্রটিপূর্ণ কার্যক্রমের বিরোধিতা করে।
২৩) তারা সংস্কৃতি বা ধর্মের নামে বিভিন্ন বিদ‘আত, শিরক এর বিরুদ্ধে।
২৪) তারা আপনাকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে বলবে, দলিলভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করবে।
২৫) তারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন, ভোট-জোটের হিকমাহ বুঝেনা। এগুলোকে কাফেরদের ধোঁকা মনে করে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবীদের আমলকেই তারা সবচেয়ে বড় হিকমাহ মনে করে।
২৬) তারা তাওহীদের দাওয়াহ ও ক্বিতাল ফী সাবিলিল্লাহ্ মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীতে ইসলামী শারীআহ, হুদুদ কায়েম করতে চায়।
২৭) দুনিয়ার আরাম, আয়েশ, ক্যারিয়ারসহ সব কিছুর উপরে তারা দ্বীন ইসলামকে প্রাধান্য দেয়।
২৮) তারা বলে জিহাদ করে শহীদ হতে পারলে শহীদের রক্ত জমিনে পরার সঙ্গে সঙ্গে তাদের জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়, শহীদদের নাকি কবরের আজাব কিংবা কোন হিসাব-নিকাশ নেই বিনা হিসেবে নাকি জান্নাতী।
২৯) জঙ্গিদের লিডার ওসামা বিন লাদেন সৌদির সবচেয়ে ধনী পরিবারের হয়েও রাজকীয় জীবন ছেড়ে আফগানিস্তানে পাহাড়ের গুহাকে বেছে নিয়েছিল, ইমাম আনোয়ার আনোয়ার আল আওলাকি ইয়েমেনের মন্ত্রীর ছেলে ও আমেরিকায় বসবাসকারী, ইঞ্জিনিয়ার ও ইমাম হওয়া সত্ত্বেও জঙ্গিদের পথ বেছে নিয়েছিল, আব্দুল্লাহ আজ্জামের মত ফকীহও এ পথে হেঁটেছিল, ভাবা যায় তারা কি পরিমাণ কুরবানী পেশ করেছিলেন?
দেখুন না- বাংলাদেশের এক নাম্বার ইউনিভার্সিটি নর্থ সাউথে পড়েও ছেলেগুলো নিজেদের ক্যারিয়ারকে বিসর্জন দিয়ে নাস্তিকদের হত্যা করে ফাঁসির দড়িকে বেছে নিল।
আর এদেশের অধিকাংশ ধনী, উচ্চ শিক্ষিত, ছেলেই বেশি জঙ্গিবাদের দিকে ঝোঁকছে, আবার একদল কওমীর হুজুররাও এদিকে গণহারে ধাবিত হচ্ছে।
৩০) তারা সকল মুসলিমদেরকে একটি দেহের ন্যায় মনে করে, আর তাওহীদকেন্দ্রিক যাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে, তাদেরকে কলিজা দিয়ে ভালবাসে, তাদের জন্য অশ্রু ঝরাতেও দ্বিধা করেনা। প্রয়োজয়ে বুকের রক্তও ঢেলে দেয়।
সুতরাং এই লক্ষণগুলো যাদের মধ্যে পাওয়া যাবে দ্রুত তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন! মিস করবেন না কিছুতেই। নুতবা পরে সুযোগ নাও পেতে পারেন!
****
সাবধান!!!
মডারেটরা আপনাকে বলবে-
ইসলাম শান্তির ধর্ম! পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকুন, অযথা দুনিয়ার এই সুখময় জীবনে বিপদ ডেকে আনবেন না।
মডারেট চিন্তাধারায় এগিয়ে চলুন, ইসলামকে যুগোপযোগী করে মেনে চলুন।
তাদের খপ্পরে পড়বেন না, তাহলে তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে আপনার ব্রেনওয়াশ করে ফেলবে হুম(!)
তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে পরিহার করুন।
মডারেটরা আপনাকে বলবে-
ইসলাম শান্তির ধর্ম! পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকুন, অযথা দুনিয়ার এই সুখময় জীবনে বিপদ ডেকে আনবেন না।
মডারেট চিন্তাধারায় এগিয়ে চলুন, ইসলামকে যুগোপযোগী করে মেনে চলুন।
তাদের খপ্পরে পড়বেন না, তাহলে তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে আপনার ব্রেনওয়াশ করে ফেলবে হুম(!)
তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে পরিহার করুন।
-------------
সংগ্রহীত, পরিমার্জিত
সংগ্রহীত, পরিমার্জিত
Comment