Announcement

Collapse
No announcement yet.

মানহাজিরা উলামাদের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে? -১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মানহাজিরা উলামাদের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে? -১

    মানহাজিরা উলামাদের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে? -১
    ব্যাপকভাবে মূলধারা দাবীদার ভাইদের তরফ থেকে আমাদের প্রতি অভিযোগ উত্থাপন করা হয় যে, জিহাদিরা সাধারণ মানুষকে বা তালিবুল ইলমদেরকে আলিমদের প্রতি বিদ্বেষী করে তুলছে! আর এই পয়েন্টে চরমনাই তরিকার লোকেরা আরও বেশি উসকানি দিয়ে থাকে। এই প্রোপাগান্ডার ফলে আলিম সমাজের একটা অংশ মুজাহিদিন ভাইদের ভুল বুঝে থাকেন।
    আমার তরফ থেকে জবাব-
    ক) এই অভিযোগটি মোটাদাগে মিথ্যা ও অপপ্রচার! সত্য কথা হল- মুজাহিদিন উলামাদের মাথার তাজ মনে করেন! আশা করেন উলামারা জিহাদের কথা মানুষকে বলবেন, নাহলে অন্তত চুপ থাকবেন! কিন্তু সমস্যা হল অনেক আলিম চুপ তো থাকেনই না, উল্টো ভুল ব্যাখ্যা, মিথ্যা সমালোচনা করে বেড়ান! এখন এগুলো নিয়ে কথা বললে যদি বলেন যে আলিমদের বিরোধিতা তাহলে তো এটা মুজাহিদদের প্রতি মূলধারার ভাইদের জুলুম হিসেবেই বিবেচিত হবে।
    খ) আসলে মূলধারার দাবীদার অনেক আলিম-ই এমন এমন কাজ করেন, যা আসলে সাধারণ মানুষের কাছে গেলে উলামাদের প্রতি তাদের মন্দ ধারণা জন্ম নেয়। আমার নিজের জানা মতে এমন অনেক মাদরাসা শিক্ষক/মুহতামিম আছেন, যারা পাশের মাদরাসাকে উঠিয়ে দিতে এলাকার মাতব্বরের কাছে সুপারিশ করে। কারণ তাদের মাদরাসায় ছাত্র/ছাত্রী কমে যাবে। এখন বলুন উলামাদের প্রতি আওয়ামদের বিদ্বেষ সৃষ্টিতে কি এই আলিমদের অবদান নেই?
    গ) আলিমদের হজে গমন সম্পর্কে ধর্মমন্ত্রীর যে বক্তব্যটি ভাইরাল হয়েছে, এখানে তো আর জিহাদিদের কোন হাত নেই, তাহলে বলুন এই সকল ঘটনার কারণে আওয়াম যখন উলামাদের কারো কারো ব্যাপারে ভুল ধারণা করবেন, এক্ষেত্রে আমাদের অনেক আলিমদের অসতর্ক পদক্ষেপ দায়ী নয়?
    ঘ) এক/দুইটা উদাহরণ দিয়ে যেহেতু ব্যাপকভাবে বিচার করা যায়না, ফলে এই রকম কিছু ঘটনা দিয়ে যেমন সমগ্র মাদরাসা সমাজকে বিচার করা যাবে না, তেমনি ফেসবুকে লেখালেখি করে এমন কিছু লোককে দিয়ে পুরা জিহাদি জামাআতকে আক্রমণ করা উচিত নয়!
    যেখানে আমাদের-ই একের পর এক ভুল কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা বিতর্কিত হচ্ছি, সেখানে আসলে দোষটা জিহাদিদের গায়ে চাপিয়ে দিয়ে আত্মসুখ খোঁজা উচিত নয়! ও আমাদের মাথার তাজ নবীন/প্রবীণ আলিম ভাইয়েরা! একটু ভেবে দেখবেন কি?

  • #2
    আল্লাহ আপনি আমাদের সকলকে এক থাকার তাওফিক দান করুন আমীন। জিহাদী সংগঠনে জড়িত ভাইদের জন্য উচিৎ হবে না মুসলিম / আলিমদের নিয়ে সমালোচনা করা। হে কেউ ভুল ব্যখ্যা কররলে তার ভুল ব্যখ্যার সমুচিত জবাব দেওয়া। আমার সাধ্যমতো তানজিমের ভাইদের খুব সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আলিমদের নিয়ে আমাদের কর্মসূচি যেনো না হয়। আমাদের কাজ হচ্ছে শুধু কাফেরদের দৌড়ের উপর রাখা। কোন আলিম যদি ভুল পথে চলে যায় তাহলে তার ভুলগুলোকে তুলে ধরবেন ভিজ্ঞ উলামারা। জাতীয়তাবাদ,গোত্রবাদ, দেশবাদ। এগুলো ইসলামের শিক্ষা না। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে বিশ্বের সমস্ত মুসলিম এক দেহের মতো, দেহের কোন অঙে আঘাত প্রাপ্ত হলে যেমন সারা শরীরে ব্যাথা করে,ঠিক তেমনি বিশ্বের যেকোনো স্থানে মুসলিম আঘাত প্রাপ্ত হলে সমস্ত মুসলিমদের মনে, শরীরে আঘাত প্রাপ্ত হয়। ব্যথা অনুভব হয়। ব্যথা দূর করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়াই হলো একজন বুদ্ধিমান রোগীর কাজ।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।
      আনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
      আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ। খুব সুন্দর আলোচনা। চালিয়ে যান আখি। অপেক্ষায় থাকবো ইনশা আল্লাহ।
        বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
        কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ, অনেক উপকারী আলোচনা।
          আসলে এভাবেই অনলাইনে ও অফলাইনে শালীনতার সাথে তাদের জবাব দেওয়া কাম্য।
          আল্লাহ তা‘আলা আপনার মেহনত ও খেদমতকে কবুল করুন ও উত্তম জাযা দান করুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X