Tweet
ভাইরাসে নয়, ক্বিতালের মাধ্যমেই মু'মিনদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে
আফসোস আমরা দায়িত্বে অবহেলা করেছি। মুসলিম উম্মাহর সাথে ১০০ বছর যাবত নির্যাতন কারীদের শায়েস্তা করতে পারিনি। আমরা নিকৃষ্ট হয়ে গিয়েছি।
পূর্ববর্তী আল্লাহদ্রোহী জাতিদের মালাঈকা দিয়ে শায়েস্তা করা হতো, আর ক্বিতালের বিধান ফরজ হওয়ার পর থেকে ক্বিতালের মাধ্যমে মুসলিমরা শায়েস্তা করতো।
আল্লাহ বলেন
.
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ
"ক্বিতাল কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মু'মিনীনদের অন্তরসমূহ প্রশান্ত করবেন। (সূরা তাওবা ১৪)
.
আমরা অধিকাংশ ক্বিতালের ফরযিয়াত ছেড়ে দেওয়ায় আজ আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা সুক্ষ্ম ভাইরাস 'করোনা' বাহিনী দিয়ে শায়েস্তা করছেন (আল্লাহু আলাম)
এটা আমাদের জন্য অপমানের, এটা উম্মতে মুহাম্মদীর পরিচয়কে ভুলিয়ে দেয়। আমরা কি বদর প্রান্তরে আল্লাহদ্রোহী কুরাইশদের লাঞ্ছিত করেনি? ইয়ারমুকের যুদ্ধে রোমান সাম্রাজ্যের কবর রচনা করেনি? উম্মতে মুহাম্মাদীর গর্ব উমার ইবনুল খাত্তাব অগ্নি পূজক মাজুসীদের অপদস্ত করে পারস্য বিজয় করেনি?
মুহাম্মদ বিন কাসিম, শাহ জালাল, নিজামুদ্দিন আওলিয়ারা কি গো পূজারীদের জোড়ায় জোড়ায় আঘাতের মাধ্যমে মু'মিনীনদের অন্তর প্রশান্ত করেনি?
সালাহউদ্দিন আইউবীরা কি ক্রুসেডদের অন্তর্জালা আর রক্তের নহর বৃদ্ধি করে বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয় করে মুমিনদের অন্তর প্রশান্ত করেনি?
হায় আফসোস! অন্তর প্রশান্তির নিয়ামত থেকে আমরা বঞ্চিত। আর সুক্ষ্ম ভাইরাস সে হক আদায় করে প্রশান্তির নিয়ামত ভোগ করছে। আজ তুমি ভাইরাসের আপডেট জানতে সারাদিন তোমার দৃষ্টি ইন্টারনেটে ছুঁড়ে মারো অথচ তুমি একটি তীর নিক্ষেপ শিখছো না?
আসলিহার অভাবে ১০ টা ঢিল তো লক্ষ্যভেদের আশায় নিয়মিত ছুঁড়তে পারো৷
আল্লাহ এ জন্যই আমাদের উদ্দেশ্যে তিরস্কার করে বলেন,
"আর যদি তারা (জিহাদে) বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হল বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাক। [ সুরা তাওবা :৪৬ ]
.
এই নেটের আপডেট আর লাইক-শেয়ার কি তোমায় স্থায়ী প্রশান্তি দিবে? নাকি তাগুতের খুনে হাত রঞ্জিত করে তৃপ্ত হবে। আমার তো অনেক অনেক তৃষ্ণা, ওরা যতটা মুসলিমের রক্ত শরীর থেকে ঝরিয়েছে, তত গুণ রক্ত আমি ভাসিয়ে তৃষ্ণা মেটাবো।
হে আমার রব! আমাকে তাগুতের ত্রাস হিসেবে কবুল করুন৷ যেভাবে আপনি সুক্ষ্ম করোনা ভাইরাসকে কবুল করেছেন। নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট ভাইরাসের চাইতেও সম্মানিত। কারণ আমি আপনার হাবিব মুহাম্মদে আরাবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত।
.
ওহে ঘুমন্ত শার্দূল জেগে ওঠো, দায়িত্ব কাধে তুলে নাও, গোপূজারীর রক্তে জমিন ভাসিয়ে দাও, গাযওয়া হিন্দের এলান পূর্ব থেকে পশ্চিমে ছড়িয়ে দাও আর বলে দাও আগামীকাল তোমাদের নেতাদের হাতে-পায়ে বেড়ি আর গলায় শেকলে বেধে নিয়ে যাবো, যেভাবে তোমরা নবী ওয়ারিশ উলামা, আশেকে রসূলদের লাঞ্ছিত করেছ। এটাই মুমিনদের অন্তর প্রশান্তির স্বাদ আস্বাদন করাবে বি ইয'নিল্লাহ।
.
ওহে আগামীর সবুজ পাখির রুহ! শুহাদার নেশায় জিল্লতিকে ছুড়ে ফেল, হুর আলআঈনদের সাথে সহবাসের রাস্তা সহজ করো।
.
হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রেমিকরা, হাতে আবার চাপাতি তুলে নাও, রস রাজ আর টূটুল রায়দের পাওনা মিটিয়ে দাও। দেখবে তোমার হাতের ঐ চাপাতিও প্রশান্তি লাভ করবে। আর তুমি ইনশাআল্লাহ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করে অনন্তকালের জন্য প্রশান্তি লাভ করবে।
.
ওহে উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা(রদিঃ) সন্তানেরা, মায়ের পোশাকের সম্মানে ওদের জীব টেনে ছিড়ে ফেলো, যারা নিক্বাবকে তাবু (টেন্ট) আর অপসংস্কৃতি বলে। যারা আম্মাজানের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে চায়।
.
হে ভাই প্রস্তুত হোন আল মালহামার জন্য, প্রস্তুত হোন কালো পতাকা অধীনে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করার লক্ষ্যে, প্রস্তুত হোন সমস্ত তাগুতকে শায়েস্তা করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করার জন্য।
আর কত দিন অলসতায় কাটাবে? সবাই যখন করোনা ভাইরাসে ব্যস্ত, তখনো যুগের হুবাল আমেরিকা দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মহড়ায় ব্যস্ত। ভাই আপনি কি জানেন ৩০০০০ হাজার আমেরিকান আর্মি ও নাটো সোলজার, ২০০০০ যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে পূর্ব ইউরোপে মহড়া করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর আমরা প্রতিনিয়ত ভাইরাসের আপডেটে ব্যস্ত সময় পার করছি, নয়ত হাসি ঠাট্টা ট্রলবাজিতে মেতে আছি, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ এই জাতির যুবকদের অশ্লীলতা থেকে হিফাজত করুন, সবর দান করুন, ইস্তিগফারমুখী করুন।
ইয়া আল্লাহ! আমাদের ইলম, আমল এবং সময়ে বারাকাহ দান করুক আমীন। ইয়া রব্বাল আলামীন।
পূর্ববর্তী আল্লাহদ্রোহী জাতিদের মালাঈকা দিয়ে শায়েস্তা করা হতো, আর ক্বিতালের বিধান ফরজ হওয়ার পর থেকে ক্বিতালের মাধ্যমে মুসলিমরা শায়েস্তা করতো।
আল্লাহ বলেন
.
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ
"ক্বিতাল কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মু'মিনীনদের অন্তরসমূহ প্রশান্ত করবেন। (সূরা তাওবা ১৪)
.
আমরা অধিকাংশ ক্বিতালের ফরযিয়াত ছেড়ে দেওয়ায় আজ আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা সুক্ষ্ম ভাইরাস 'করোনা' বাহিনী দিয়ে শায়েস্তা করছেন (আল্লাহু আলাম)
এটা আমাদের জন্য অপমানের, এটা উম্মতে মুহাম্মদীর পরিচয়কে ভুলিয়ে দেয়। আমরা কি বদর প্রান্তরে আল্লাহদ্রোহী কুরাইশদের লাঞ্ছিত করেনি? ইয়ারমুকের যুদ্ধে রোমান সাম্রাজ্যের কবর রচনা করেনি? উম্মতে মুহাম্মাদীর গর্ব উমার ইবনুল খাত্তাব অগ্নি পূজক মাজুসীদের অপদস্ত করে পারস্য বিজয় করেনি?
মুহাম্মদ বিন কাসিম, শাহ জালাল, নিজামুদ্দিন আওলিয়ারা কি গো পূজারীদের জোড়ায় জোড়ায় আঘাতের মাধ্যমে মু'মিনীনদের অন্তর প্রশান্ত করেনি?
সালাহউদ্দিন আইউবীরা কি ক্রুসেডদের অন্তর্জালা আর রক্তের নহর বৃদ্ধি করে বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয় করে মুমিনদের অন্তর প্রশান্ত করেনি?
হায় আফসোস! অন্তর প্রশান্তির নিয়ামত থেকে আমরা বঞ্চিত। আর সুক্ষ্ম ভাইরাস সে হক আদায় করে প্রশান্তির নিয়ামত ভোগ করছে। আজ তুমি ভাইরাসের আপডেট জানতে সারাদিন তোমার দৃষ্টি ইন্টারনেটে ছুঁড়ে মারো অথচ তুমি একটি তীর নিক্ষেপ শিখছো না?
আসলিহার অভাবে ১০ টা ঢিল তো লক্ষ্যভেদের আশায় নিয়মিত ছুঁড়তে পারো৷
আল্লাহ এ জন্যই আমাদের উদ্দেশ্যে তিরস্কার করে বলেন,
"আর যদি তারা (জিহাদে) বের হবার সংকল্প নিত, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হল বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাক। [ সুরা তাওবা :৪৬ ]
.
এই নেটের আপডেট আর লাইক-শেয়ার কি তোমায় স্থায়ী প্রশান্তি দিবে? নাকি তাগুতের খুনে হাত রঞ্জিত করে তৃপ্ত হবে। আমার তো অনেক অনেক তৃষ্ণা, ওরা যতটা মুসলিমের রক্ত শরীর থেকে ঝরিয়েছে, তত গুণ রক্ত আমি ভাসিয়ে তৃষ্ণা মেটাবো।
হে আমার রব! আমাকে তাগুতের ত্রাস হিসেবে কবুল করুন৷ যেভাবে আপনি সুক্ষ্ম করোনা ভাইরাসকে কবুল করেছেন। নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট ভাইরাসের চাইতেও সম্মানিত। কারণ আমি আপনার হাবিব মুহাম্মদে আরাবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত।
.
ওহে ঘুমন্ত শার্দূল জেগে ওঠো, দায়িত্ব কাধে তুলে নাও, গোপূজারীর রক্তে জমিন ভাসিয়ে দাও, গাযওয়া হিন্দের এলান পূর্ব থেকে পশ্চিমে ছড়িয়ে দাও আর বলে দাও আগামীকাল তোমাদের নেতাদের হাতে-পায়ে বেড়ি আর গলায় শেকলে বেধে নিয়ে যাবো, যেভাবে তোমরা নবী ওয়ারিশ উলামা, আশেকে রসূলদের লাঞ্ছিত করেছ। এটাই মুমিনদের অন্তর প্রশান্তির স্বাদ আস্বাদন করাবে বি ইয'নিল্লাহ।
.
ওহে আগামীর সবুজ পাখির রুহ! শুহাদার নেশায় জিল্লতিকে ছুড়ে ফেল, হুর আলআঈনদের সাথে সহবাসের রাস্তা সহজ করো।
.
হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রেমিকরা, হাতে আবার চাপাতি তুলে নাও, রস রাজ আর টূটুল রায়দের পাওনা মিটিয়ে দাও। দেখবে তোমার হাতের ঐ চাপাতিও প্রশান্তি লাভ করবে। আর তুমি ইনশাআল্লাহ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে হাউজে কাউসারের পানি পান করে অনন্তকালের জন্য প্রশান্তি লাভ করবে।
.
ওহে উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা(রদিঃ) সন্তানেরা, মায়ের পোশাকের সম্মানে ওদের জীব টেনে ছিড়ে ফেলো, যারা নিক্বাবকে তাবু (টেন্ট) আর অপসংস্কৃতি বলে। যারা আম্মাজানের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে চায়।
.
হে ভাই প্রস্তুত হোন আল মালহামার জন্য, প্রস্তুত হোন কালো পতাকা অধীনে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করার লক্ষ্যে, প্রস্তুত হোন সমস্ত তাগুতকে শায়েস্তা করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করার জন্য।
আর কত দিন অলসতায় কাটাবে? সবাই যখন করোনা ভাইরাসে ব্যস্ত, তখনো যুগের হুবাল আমেরিকা দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মহড়ায় ব্যস্ত। ভাই আপনি কি জানেন ৩০০০০ হাজার আমেরিকান আর্মি ও নাটো সোলজার, ২০০০০ যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে পূর্ব ইউরোপে মহড়া করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর আমরা প্রতিনিয়ত ভাইরাসের আপডেটে ব্যস্ত সময় পার করছি, নয়ত হাসি ঠাট্টা ট্রলবাজিতে মেতে আছি, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ এই জাতির যুবকদের অশ্লীলতা থেকে হিফাজত করুন, সবর দান করুন, ইস্তিগফারমুখী করুন।
ইয়া আল্লাহ! আমাদের ইলম, আমল এবং সময়ে বারাকাহ দান করুক আমীন। ইয়া রব্বাল আলামীন।
Comment