কোথায় আজ দীনার দিরহামের গোলামরা।
এই ডলার, ইউরো আর টাকার নেশায় বুদ হয়ে থাকা জাহেল মুসলিমরা কোথায়?
.
যারা এই দুনিয়ার জিল্লতির লাইফে একটু ভাল থাকার আশায়,জমিনের বুকে উম্মতের শ্রেষ্ঠ মানুষদের দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। ক্বিতালকে জঙ্গিবাদ প্রমাণ করে তাগুতের কাছে ভাল(!) মুসলিম সাজার চেষ্টা করেছো। নিজেরদের আয়েশি জীবনে ব্যাঘাত না ঘটে তাই তোমরা ভুলে গিয়েছিলে মুজাহিদ ভাইদের অসহায় পরিবারকে। গুম, খুন হয়ে যাওয়া ভাইদের ইয়াতিম সন্তান ও আমাদের পর্দানশীন বিধবা বোনদের। একবারও তোমরা জানতে চাওনি তারা কেমন আছে, কোথায় আছে, কি দিয়ে ভাত খাচ্ছে, চিকিৎসা করানোর মত অর্থ হাতে আছে কিনা?
.
আমরা তাগুতের ভয়ে, সমাজ রক্ষার ভয়ে, জমাকৃত সম্পদের পাহাড়ে অভাব লাগার ভয়ে তাদের ভুলে গিয়েছি।
ওয়াল্লহি! সালাত, সিয়াম, ক্বিতাল যেমন ফরয, তেমনি এই প্রতিটি পরিবার, ইয়াতিম সন্তানদের দায়িত্ব ও নিয়মিত দেখাশোনা করাও আমাদের উপর ফরয। নয়ত মৃত্যুর পূর্বে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, বিচার দিবসে আফসোসের কারন হতে পারে।
.
আপনারা কি রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এই হাদীছ শুনেছেন?
‘‘যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে না, অথবা কোন মুজাহিদকে (জিহাদের সরঞ্জামাদি বা অর্থ দিয়ে) তৈরি করে না, অথবা কোন মুজাহিদের রেখে যাওয়া পরিবারের খোঁজ খবর রাখে না (বা দেখাশোনা করে না), আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামাতের আগে আকস্মিক আযাব দিয়ে শাস্তি দিবেন’’।[সহীহ,আবূ দাউদ]
.
শাইখ্ আবু বাসীর রহিমাহুল্লাহ এই হাদীছের ব্যাপারে বলেন:
‘তাই কোন মু’মিনের জন্য উল্লেখিত তিন শ্রেণী ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণীতে শামিল হওয়া উচিত নয়: হয় সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে, অথবা কোন মুজাহিদের রেখে যাওয়া পরিবারের খোঁজ খবর রাখবে (বা দেখাশোনা করবে) অথবা কোন মুজাহিদকে আল্লাহর রাস্তায় তৈরি করবে; অন্যথায় সে তার উপর ক্বিয়ামাতের পূর্বেই(আল্লাহর) আযাব আসার অপেক্ষা করুক; আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না এই আযাবের বিষয়বস্তু এবং প্রকৃতি কিরূপ হবে।’
.
কারণ এখানে শুধু আল্লাহর রাস্তায় মাল খরচ বা কোন মুজাহিদ পরিবারকে সাহায্য করাই মুখ্য বিষয় নয়, বরং এর সাথে এক পুরা মজবুত জিহাদ প্রক্রিয়া জড়িত। একজন মুজাহিদ যখন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে যায়; সে যখন দেখে যে, আমি যদি আল্লাহর রাস্তায় নিহতও হই, তাহলে পিছনে আমার সেইসব আন্তরিক প্রিয় ভাই-বোনেরা রয়েছে, যারা আমার স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি এবং পরিবারকে শুধু আর্থিক সহযোগীতা বা দেখা শোনাই নয়, বরং তাকওয়া, সবর এবং ইস্তিক্বামাতের সবকও শিখাবে। এমনকি প্রয়োজনে শহীদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আল্লাহর দিকে দাওয়াহও দেয়ার চেষ্টা করবে। আর যদি এর বিপরীত হয়, তাহলে একজন মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় আন্তরিক ভাবে তার জান কোরবান করতে দ্বিধাবোধ করবে। আমরা কি এটা ভেবে দেখেছি!
.
আমাদের মুজাহিদ শাইখ আনোয়ার আল আওলাক্বী রহিমাহুল্লাহ তার এক লেকচারে আফসোস করে বলেছেনঃ
‘‘ইয়ামানের এক ভাই আমাকে বলেছেন, কোন এক জন বোনের স্বামী জিহাদে শহীদ হওয়ার পর, সেই বোন আর্থিক অভাবের সম্মুখীন হন, এমনকি সেই বোন ঈদের দিন মানুষের কাছে তার বাচ্চাদের ঈদের জন্য পুরানা জামা-কাপড় তালাশ করছে। ’’
আল্লাহু আকবার! হায় আফসোস আমাদের, আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘য়ালার সামনে কি জবাব দেব? আমাদের কি অশ্রুসিক্ত হচ্ছে না!
রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবী এবং এইসব ভাইদের রক্তের বিনিময়েই তো আজ আমাদের কাছে ইসলাম এসেছে।
কেননা পূর্বেই বলেছি, আল্লাহ আপনাকে আজ আল্লাহর রাস্তায় মাল খরচ করার সুযোগ দিয়েছেন, হয়ত এই সুযোগ সব সময় থাকবে না, হয়ত আর আসবেও না। কেননা কত সময় আছে যে, আমরা আল্লাহর কাছে দো’আ করিঃ হে আল্লাহ আমাকে আপনার রাস্তায় জান এবং মাল দিয়ে জিহাদ করার তৌফিক্ব দ্বান করুন; আর যখন আল্লাহ আমাদের দো’আ ক্ববুল করেন এবং আর আমাদের সামনে এর সুযোগ খুলে দেন, তখন যদি আমরা দ্রুততা এবং আন্তরিকতার সাথে সাড়া না দেই; তখন কি আমাদের সূরা তাওবার এই আয়াত জানা নেই!
‘‘আর তাদের মধ্যে এমন কতিপয় লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করে, আল্লাহ যদি আমাদেরকে নিজ অনুগ্রহে (প্রচুর সম্পদ) দান করেন, তবে আমরা অবশ্যই খুব দান-খয়রাত করবো এবং সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবো। কার্যত: যখন আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে (প্রচুর সম্পদ) দান করলেন, তখন তারা তাতে কার্পণ্য করতে লাগলো এবং (আনুগত্য করা হতে) তারা গোঁড়ামীর সাথেই বিমুখতা অবলম্বন করলো। সুতরাং আল্লাহ তাদের শাস্তি স্বরুপ তাদের অন্তরসমূহে নিফাক্ব ঢেলে দিলেন, যা আল্লাহর সামনে হাযির হওয়ার দিন পর্যন্ত থাকবে, এই কারণে যে, তারা আল্লাহর সাথে নিজেদের ওয়াদার খিলাফ করেছে, আর এই কারণে যে, তারা (পূর্ব হতেই) মিথ্যা বলছিল।’’
[সূরা আত্-তাওবা(৯): ৭৫-৭৭ ]
.
এখন সময় এসেছে কথাকে আ’মলে পরিণত করার। সাদাকাহ কালেকশন, সাদাকাহ প্রদানে অধিনস্ত ভাইদের বেশি বেশি উৎসাহ দেওয়া। নিরাপত্তা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করা, আলিম সমাজের নিকট এর গুরুত্ব তুলে ধরা।
.
আমি আল্লাহর কাছে দো’আ করি, তিনি যেন আমাদের ভাই-বোনদের সিরাতুল মুস্তাক্বিমের উপর দৃঢ় রাখেন,উম্মাহর মুজাহিদ,গুম-খুন হওয়া আলিম, দাঈ, ত্বলিব ভাইদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার তাওফিক দান করুক,আমাদেরকে নাবী, সিদ্দীক্ব, সালিহীন এবং শুহাদাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। আমীন!
এই ডলার, ইউরো আর টাকার নেশায় বুদ হয়ে থাকা জাহেল মুসলিমরা কোথায়?
.
যারা এই দুনিয়ার জিল্লতির লাইফে একটু ভাল থাকার আশায়,জমিনের বুকে উম্মতের শ্রেষ্ঠ মানুষদের দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। ক্বিতালকে জঙ্গিবাদ প্রমাণ করে তাগুতের কাছে ভাল(!) মুসলিম সাজার চেষ্টা করেছো। নিজেরদের আয়েশি জীবনে ব্যাঘাত না ঘটে তাই তোমরা ভুলে গিয়েছিলে মুজাহিদ ভাইদের অসহায় পরিবারকে। গুম, খুন হয়ে যাওয়া ভাইদের ইয়াতিম সন্তান ও আমাদের পর্দানশীন বিধবা বোনদের। একবারও তোমরা জানতে চাওনি তারা কেমন আছে, কোথায় আছে, কি দিয়ে ভাত খাচ্ছে, চিকিৎসা করানোর মত অর্থ হাতে আছে কিনা?
.
আমরা তাগুতের ভয়ে, সমাজ রক্ষার ভয়ে, জমাকৃত সম্পদের পাহাড়ে অভাব লাগার ভয়ে তাদের ভুলে গিয়েছি।
ওয়াল্লহি! সালাত, সিয়াম, ক্বিতাল যেমন ফরয, তেমনি এই প্রতিটি পরিবার, ইয়াতিম সন্তানদের দায়িত্ব ও নিয়মিত দেখাশোনা করাও আমাদের উপর ফরয। নয়ত মৃত্যুর পূর্বে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, বিচার দিবসে আফসোসের কারন হতে পারে।
.
আপনারা কি রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এই হাদীছ শুনেছেন?
‘‘যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে না, অথবা কোন মুজাহিদকে (জিহাদের সরঞ্জামাদি বা অর্থ দিয়ে) তৈরি করে না, অথবা কোন মুজাহিদের রেখে যাওয়া পরিবারের খোঁজ খবর রাখে না (বা দেখাশোনা করে না), আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামাতের আগে আকস্মিক আযাব দিয়ে শাস্তি দিবেন’’।[সহীহ,আবূ দাউদ]
.
শাইখ্ আবু বাসীর রহিমাহুল্লাহ এই হাদীছের ব্যাপারে বলেন:
‘তাই কোন মু’মিনের জন্য উল্লেখিত তিন শ্রেণী ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণীতে শামিল হওয়া উচিত নয়: হয় সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে, অথবা কোন মুজাহিদের রেখে যাওয়া পরিবারের খোঁজ খবর রাখবে (বা দেখাশোনা করবে) অথবা কোন মুজাহিদকে আল্লাহর রাস্তায় তৈরি করবে; অন্যথায় সে তার উপর ক্বিয়ামাতের পূর্বেই(আল্লাহর) আযাব আসার অপেক্ষা করুক; আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না এই আযাবের বিষয়বস্তু এবং প্রকৃতি কিরূপ হবে।’
.
কারণ এখানে শুধু আল্লাহর রাস্তায় মাল খরচ বা কোন মুজাহিদ পরিবারকে সাহায্য করাই মুখ্য বিষয় নয়, বরং এর সাথে এক পুরা মজবুত জিহাদ প্রক্রিয়া জড়িত। একজন মুজাহিদ যখন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে যায়; সে যখন দেখে যে, আমি যদি আল্লাহর রাস্তায় নিহতও হই, তাহলে পিছনে আমার সেইসব আন্তরিক প্রিয় ভাই-বোনেরা রয়েছে, যারা আমার স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি এবং পরিবারকে শুধু আর্থিক সহযোগীতা বা দেখা শোনাই নয়, বরং তাকওয়া, সবর এবং ইস্তিক্বামাতের সবকও শিখাবে। এমনকি প্রয়োজনে শহীদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আল্লাহর দিকে দাওয়াহও দেয়ার চেষ্টা করবে। আর যদি এর বিপরীত হয়, তাহলে একজন মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় আন্তরিক ভাবে তার জান কোরবান করতে দ্বিধাবোধ করবে। আমরা কি এটা ভেবে দেখেছি!
.
আমাদের মুজাহিদ শাইখ আনোয়ার আল আওলাক্বী রহিমাহুল্লাহ তার এক লেকচারে আফসোস করে বলেছেনঃ
‘‘ইয়ামানের এক ভাই আমাকে বলেছেন, কোন এক জন বোনের স্বামী জিহাদে শহীদ হওয়ার পর, সেই বোন আর্থিক অভাবের সম্মুখীন হন, এমনকি সেই বোন ঈদের দিন মানুষের কাছে তার বাচ্চাদের ঈদের জন্য পুরানা জামা-কাপড় তালাশ করছে। ’’
আল্লাহু আকবার! হায় আফসোস আমাদের, আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘য়ালার সামনে কি জবাব দেব? আমাদের কি অশ্রুসিক্ত হচ্ছে না!
রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবী এবং এইসব ভাইদের রক্তের বিনিময়েই তো আজ আমাদের কাছে ইসলাম এসেছে।
কেননা পূর্বেই বলেছি, আল্লাহ আপনাকে আজ আল্লাহর রাস্তায় মাল খরচ করার সুযোগ দিয়েছেন, হয়ত এই সুযোগ সব সময় থাকবে না, হয়ত আর আসবেও না। কেননা কত সময় আছে যে, আমরা আল্লাহর কাছে দো’আ করিঃ হে আল্লাহ আমাকে আপনার রাস্তায় জান এবং মাল দিয়ে জিহাদ করার তৌফিক্ব দ্বান করুন; আর যখন আল্লাহ আমাদের দো’আ ক্ববুল করেন এবং আর আমাদের সামনে এর সুযোগ খুলে দেন, তখন যদি আমরা দ্রুততা এবং আন্তরিকতার সাথে সাড়া না দেই; তখন কি আমাদের সূরা তাওবার এই আয়াত জানা নেই!
‘‘আর তাদের মধ্যে এমন কতিপয় লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করে, আল্লাহ যদি আমাদেরকে নিজ অনুগ্রহে (প্রচুর সম্পদ) দান করেন, তবে আমরা অবশ্যই খুব দান-খয়রাত করবো এবং সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবো। কার্যত: যখন আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে (প্রচুর সম্পদ) দান করলেন, তখন তারা তাতে কার্পণ্য করতে লাগলো এবং (আনুগত্য করা হতে) তারা গোঁড়ামীর সাথেই বিমুখতা অবলম্বন করলো। সুতরাং আল্লাহ তাদের শাস্তি স্বরুপ তাদের অন্তরসমূহে নিফাক্ব ঢেলে দিলেন, যা আল্লাহর সামনে হাযির হওয়ার দিন পর্যন্ত থাকবে, এই কারণে যে, তারা আল্লাহর সাথে নিজেদের ওয়াদার খিলাফ করেছে, আর এই কারণে যে, তারা (পূর্ব হতেই) মিথ্যা বলছিল।’’
[সূরা আত্-তাওবা(৯): ৭৫-৭৭ ]
.
এখন সময় এসেছে কথাকে আ’মলে পরিণত করার। সাদাকাহ কালেকশন, সাদাকাহ প্রদানে অধিনস্ত ভাইদের বেশি বেশি উৎসাহ দেওয়া। নিরাপত্তা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করা, আলিম সমাজের নিকট এর গুরুত্ব তুলে ধরা।
.
আমি আল্লাহর কাছে দো’আ করি, তিনি যেন আমাদের ভাই-বোনদের সিরাতুল মুস্তাক্বিমের উপর দৃঢ় রাখেন,উম্মাহর মুজাহিদ,গুম-খুন হওয়া আলিম, দাঈ, ত্বলিব ভাইদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার তাওফিক দান করুক,আমাদেরকে নাবী, সিদ্দীক্ব, সালিহীন এবং শুহাদাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। আমীন!
Comment