এই যুগের আইয়ুবীর পরিচয়ঃ এসো কাফেলাবদ্ধ হই।
ড. আবু বকর নাজি হাফিজাহুল্লাহ তার অনবদ্য গ্রন্হ- إدارة التوحش (ম্যানেজমেন্ট অভ স্যাভেজারী) তে শায়খ আবু ক্বতাদা আল ফিলিস্তিনির একটা সুচিন্তিত গবেষণা উল্লেখ করেছেন-যেখানে তিনি বিস্মৃত একটা ধ্রুবসত্য সবার সামনে নতুন করে তুলে ধরেছেন।
শায়খ আবু ক্বতাদা (ফাঃআঃ) বলেন-
"যারাই ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস লিখেছেন-বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইতিহাসটাকে এমন কিছু ব্যাক্তি (বা বলা যায় নির্দিষ্ট ক্যারিশমাটিক লিডার) কেন্দ্রিক ভাবে তুলে ধরেছেন - যারা তাদের পূর্ব থেকে চলে আসা বিভিন্ন চেষ্টা সংগ্রামকে একত্রিত করে একটা গোছানো রূপ দিয়েছেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে পরিকল্পনা করে উৎসাহ তৈরী করে মিশনকে আরো প্রসারিত করেছেন।
(ফলে মনে হয় যেন বিজয় টা তার একক প্রচেষ্টা,আজ সেরকম কেউ একজন নেই বলেই বিজয় হচ্ছেনা,এবং তার ব্যাক্তিত্ব ও নেতৃত্বের কারিশমাটাকেই তুলে ধরা হয়, কিন্তু সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কি কি কাজ তাকে করতে হয়েছে,তার সঙ্গীরা কি করেছে, কি কি স্তর অতিক্রম করতে হয়েছে তা তুলে ধরা হয়না।)
ফলে পাঠক ভেবে বসে -ক্রসেড যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় বুঝি কোন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে,
{[(যেন নুরুদ্দীন জঙ্গি,সালাউদ্দীন আইয়ুবীদের হাতে মনে হয় রেডিমেইড রাষ্ট্র ছিল-আর সেই রেডিমেইড রাষ্ট্রের রেডি সৈন্যরা নির্দেশ পাওয়া মাত্র ক্রুসেডারদের হারিয়ে দিয়েছে,ব্যাপারটা যদি তাই হইতো, ত্যায়লে আমরা ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাসে আইউবি বা জঙ্গিরে স্মরণ করতাম না, বরং তখনকার আনুষ্ঠানিক আব্বাসী খলিফা যিনি ছিলেন তারেই স্মরণ করতাম,অথচ আমরা- আমি নিজেও - তার নামই জানিনা।
তা ছাড়া জঙ্গি পরিবারের হাতে যেমন সিরিয়ার কিছু অন্চল ছিল-আব্বাসী খেলাফতের অন্যান্য অন্চলের প্রসাশকদের হাতে তো এমন আরো দশটা অন্চল ছিল,কই তাগোরে দিয়া তো কাম হয় নাই।জঙ্গি পরিবারও রেডিমেড যা পাইছেন সেটা দিয়া আগাইতে পারেন নাই,জনগণের মধ্য থেকে দাওয়াহ, তাজনীদ, আর তাহরীদের মাধ্যমে তাকে গেরিলা দল তৈরী করতে হয়েছে, খেলাফতের একজন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অান্চলিক প্রশাসক হয়েও দীর্ঘদিন ইমাদুদ্দীন জঙ্গি রহঃকে রোহা-বর্তমান লেবাননের কিছু অন্চল- বিজয়ের আগে গেরিলা যুদ্ধ চালাতে হয়েছে-এইবার কন, কি কইবেন?
আম জনগণরে জিগাই, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ছেলের মতো কি খালি প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্ররেই জাদুর কাঠি আর সব সমস্যার সমাধান মনে করবেন নাকি যুগের আইয়ুবী মোল্লা উমরের দলে যোগ দিবেন? গেরিলা যুদ্ধ দেইখা নাক সিটকাইয়া কইবেন ময়দান কই, যুদ্ধ কই??!! নাকি আপনিও শরীক হইয়া ময়দান বানানোর মেহনতে নামবেন...গাজওয়া আর সারিয়্যা দিয়ে রাষ্ট্রটাকে প্রাসরিত করবেন, পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে এক উম্মাহ এক পতাকা এক খিলাফার এই মিশনকে সাহায্য করবেন,স্যাভেজারি কেমনে ম্যানেজ করতে হয় হেইডা শিখ্যা প্রয়োগ কইরা জনগণকে সঙ্গী করে নেবেন, আর তার আগে যেই অন্চল এখনো তাগুতের অধীন হেইডারে প্রশাসনশূন্য করবেন-যাতে স্যাভেজারী তৈরী হইলে ম্যানেজ করা যায়। )]}
যাই হোক, শায়খ বলছেন-সে বিজয়গুলো প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের মাধ্যমে হয়ে গেছে মনে করা "কিন্তু একটা সুস্পষ্ট ভুল ধারণা।
বাস্তবতা মোটেই এমন ছিলনা।
বরং- দেখা গেছে-মুসলমানদের সেই বিপুল সংগ্রাম আর বিশাল বিজয় সম্পন্ন হয়েছে ছোট ছোট অনেক (গেরিলা ও প্রকাশ্য দল) আর এদিক সেদিক ছড়ানো অনেক সামরিক সংগঠনের মাধ্যমে।
(এই গেরিলাগুলারে আইয়ুবী এক পতাকায় আনছেন,দীর্ঘ যুদ্ধ চালাইছেন অনেক বছরের, তার পূর্বপুরুষের সময় থেকেই এটা শুরু হইছিলো-ইমাদুদ্দীন জঙ্গী আর তারপর নুরুদ্দীন জঙ্গির নেতৃত্বে।এমন কইরা কইরা কিছু কিছু অন্চল বিজয় হইতে হইতে এক খানা রাষ্ট্রের মতো হইছে,আর শক্ত একখান সেনাবাহিনী খাড়ায়া গেছে।এহনকার আফগানিস্তান তালেবান আর সোমালিয়া আশ শাবাবের লগে মিলাইয়া লন, এরপর আইছে কুদস বিজয়-আমগোও ইনশাআল্লাহ ইলিয়ায় পতাকা গাড়ার দিন আইতাছে বি ইজনিল্লাহ,সুতরাং কাফেলাবদ্ধ হন,শক্ত কদমে লাইগা থাকেন।
কি বিশ্বাস হয় না?
তেয়লে জবাব দেন-আইয়ুবী কুদসমুক্তির হিত্তিন যুদ্ধ শেষ জীবনে করলেন ক্যান? এত দেরী ক্যান হইল?
তাও বিশ্বাস হইল না?
খাড়ান, দলীল দিতাছি।একটু পরেই শায়খ আবু ক্বতাদা একখান কিতাবের নাম কইব, ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে মুসলিম এক সেনাপতির,ওইডা পড়লেই বুঝবেন আসল ব্যাপারটা।চলেন, আবার শায়খের কাছে যাই,আসল ব্যাপারটা তাঁর মুখ থেইকা শুনি)
হয়তো দেখা গেছে-এখানে একটা ক্রুসেডবিরোধী কেল্লা-কোনো নবাব পরিবার যার শাসনভার পরিচালনা করে আসছে এবং নিজেদের নেতৃত্বে কিছু মানুষ(সৈনিক) জমা করেছে,ওখানে কোনো গ্রাম হয়তো কোনো একজন আলেমকে সেনাপতি মেনে তার নেতৃত্বে জিহাদ (বা গেরিলাযুদ্ধ) শুরু করেছে, অথবা কোনো একজন আলেম তার তালিবুল ইলমদের সঙ্গে নিয়ে একটা মুজাহিদ কাফেলা প্রস্তুত করেছেন, এভাবেই.....
তখনকার এই পরিস্হিতি সবচে ভালো যিনি আমাদেরকে ব্যাখ্যা করতে পারবেন, সম্ভবত তিনি হচ্ছেন- আমীর উসামা ইবনে মুনকিজ।সে জন্য পড়তে হবে তাঁর লেখা বই الاعتبار
তার পরিবার "আলে মুনকিজরা "ছিলেন শাইজার দুর্গের প্রশাসক।
ক্রুসেড যুদ্ধে ক্রুসেডারদের বিপক্ষে তাঁদের রয়েছে বড় ধরনের অবদান।আর তিনি হলেন সরাসরি ময়দানের একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
অন্য পয়েন্টে যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।সেটা হল- নুরুদ্দীন জঙ্গি বা সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহিমাহুমুল্লার মতো বড় বড় সেনানায়কদের মূল অবদানটা ছিল এসব ছড়ানো ছিটানো প্রচেষ্টাকে এক সুঁতোয় গাঁথা, একত্রিত করা,সুসংগঠিত ও সুসংহত করা,নেতৃত্ব দেওয়া ও পরিকল্পনা করা।
কিন্তু দিনশেষে সেসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ওই সব সেনাদল আর তাঁর সৈন্যরাই করেছেন আর সেই জিহাদের মৌলিক একটা ভূমিকা তারা পালন করেছেন।
(অর্থাৎ সালাউদ্দিন আইয়ুআী রহিমাহুল্লাহ এর ভূমিকা ৫০ % আর তাদের ভূমিকাও ৫০%, যদি একজন আইয়ুবী না থাকতেন তবে বিক্ষিপ্ত প্রচেষ্টাগুলো ব্যার্থ হতে পারতো, আবার তাঁর এই নিবেদিত প্রাণ সেনাদল যদি না থাকতো তবে হয়তো আইয়ুবী ময়দানে এক হাজার ক্রুসেডারের সাথে একা জিহাদ করে শাহাদাত লাভ করতেন, কিন্তু হিত্তিনের যুদ্ধের মারহালায় উম্মাহ পৌছতে পারতোনা।
এইবার চলেন একটু মিলাই,মাগরিব থেকে মাশরিক,ইন্দোনেশিয়া থেকে মালি,চেচনিয়া থেকে সোমালিয়া-সবাই কিন্তু আজ এক সুঁতোয় গাঁথা।এই ব্যাপারটা উপনিবেশ আমলে সম্ভব হয়নাই, তাই আমাদের এখানে সাইয়েদ আহমাদ শহীদ ছিলেন, লিবিয়ায় একজন উমর আল মুখতার ছিলেন,ওই অন্চলে সিনুসী আন্দোলন ছিল, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত শাহাদাত ও ইস্তেকামাতের নিআমত পেয়েছি কিন্তু নাসর ও ফাতহ-বিজয় অধরা ছিল,এবং আমাদের তখবকার প্রচেষ্টাগুলো একসময় বিলুপ্তির শিকার হয়েছে।আজকে আল্লাহর উপর উপর ভরসা করে বলতে ইচ্ছে হয়,-ভয় নেই।আমরা হেরে যাবোনা।বিলুপ্তির শিকার হবোনা ইনশাআল্লাহ।
ভালো করে তাকিয়ে দেখুন, উম্মাহ সঠিক মানহাজেই আছে,সালাউদ্দীন আইয়ুবীও আছে।প্রথাগত রাষ্ট্র থাক বা না থাক জামাআহ,শ্রবণ,আনুগত্য,হিজরত ও জিহাদই আমাদের পথ,এই পথে চললে রাষ্ট্র না থাকলে রাষ্ট্র হবে, আর থাকলে আরো বড় হবে।ভয় নাই, আসুন আর দেরী না করে কাফেলাবদ্ধ হই।)
ড. আবু বকর নাজি হাফিজাহুল্লাহ তার অনবদ্য গ্রন্হ- إدارة التوحش (ম্যানেজমেন্ট অভ স্যাভেজারী) তে শায়খ আবু ক্বতাদা আল ফিলিস্তিনির একটা সুচিন্তিত গবেষণা উল্লেখ করেছেন-যেখানে তিনি বিস্মৃত একটা ধ্রুবসত্য সবার সামনে নতুন করে তুলে ধরেছেন।
শায়খ আবু ক্বতাদা (ফাঃআঃ) বলেন-
"যারাই ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস লিখেছেন-বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইতিহাসটাকে এমন কিছু ব্যাক্তি (বা বলা যায় নির্দিষ্ট ক্যারিশমাটিক লিডার) কেন্দ্রিক ভাবে তুলে ধরেছেন - যারা তাদের পূর্ব থেকে চলে আসা বিভিন্ন চেষ্টা সংগ্রামকে একত্রিত করে একটা গোছানো রূপ দিয়েছেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে পরিকল্পনা করে উৎসাহ তৈরী করে মিশনকে আরো প্রসারিত করেছেন।
(ফলে মনে হয় যেন বিজয় টা তার একক প্রচেষ্টা,আজ সেরকম কেউ একজন নেই বলেই বিজয় হচ্ছেনা,এবং তার ব্যাক্তিত্ব ও নেতৃত্বের কারিশমাটাকেই তুলে ধরা হয়, কিন্তু সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কি কি কাজ তাকে করতে হয়েছে,তার সঙ্গীরা কি করেছে, কি কি স্তর অতিক্রম করতে হয়েছে তা তুলে ধরা হয়না।)
ফলে পাঠক ভেবে বসে -ক্রসেড যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় বুঝি কোন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে,
{[(যেন নুরুদ্দীন জঙ্গি,সালাউদ্দীন আইয়ুবীদের হাতে মনে হয় রেডিমেইড রাষ্ট্র ছিল-আর সেই রেডিমেইড রাষ্ট্রের রেডি সৈন্যরা নির্দেশ পাওয়া মাত্র ক্রুসেডারদের হারিয়ে দিয়েছে,ব্যাপারটা যদি তাই হইতো, ত্যায়লে আমরা ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাসে আইউবি বা জঙ্গিরে স্মরণ করতাম না, বরং তখনকার আনুষ্ঠানিক আব্বাসী খলিফা যিনি ছিলেন তারেই স্মরণ করতাম,অথচ আমরা- আমি নিজেও - তার নামই জানিনা।
তা ছাড়া জঙ্গি পরিবারের হাতে যেমন সিরিয়ার কিছু অন্চল ছিল-আব্বাসী খেলাফতের অন্যান্য অন্চলের প্রসাশকদের হাতে তো এমন আরো দশটা অন্চল ছিল,কই তাগোরে দিয়া তো কাম হয় নাই।জঙ্গি পরিবারও রেডিমেড যা পাইছেন সেটা দিয়া আগাইতে পারেন নাই,জনগণের মধ্য থেকে দাওয়াহ, তাজনীদ, আর তাহরীদের মাধ্যমে তাকে গেরিলা দল তৈরী করতে হয়েছে, খেলাফতের একজন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অান্চলিক প্রশাসক হয়েও দীর্ঘদিন ইমাদুদ্দীন জঙ্গি রহঃকে রোহা-বর্তমান লেবাননের কিছু অন্চল- বিজয়ের আগে গেরিলা যুদ্ধ চালাতে হয়েছে-এইবার কন, কি কইবেন?
আম জনগণরে জিগাই, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ছেলের মতো কি খালি প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্ররেই জাদুর কাঠি আর সব সমস্যার সমাধান মনে করবেন নাকি যুগের আইয়ুবী মোল্লা উমরের দলে যোগ দিবেন? গেরিলা যুদ্ধ দেইখা নাক সিটকাইয়া কইবেন ময়দান কই, যুদ্ধ কই??!! নাকি আপনিও শরীক হইয়া ময়দান বানানোর মেহনতে নামবেন...গাজওয়া আর সারিয়্যা দিয়ে রাষ্ট্রটাকে প্রাসরিত করবেন, পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে এক উম্মাহ এক পতাকা এক খিলাফার এই মিশনকে সাহায্য করবেন,স্যাভেজারি কেমনে ম্যানেজ করতে হয় হেইডা শিখ্যা প্রয়োগ কইরা জনগণকে সঙ্গী করে নেবেন, আর তার আগে যেই অন্চল এখনো তাগুতের অধীন হেইডারে প্রশাসনশূন্য করবেন-যাতে স্যাভেজারী তৈরী হইলে ম্যানেজ করা যায়। )]}
যাই হোক, শায়খ বলছেন-সে বিজয়গুলো প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের মাধ্যমে হয়ে গেছে মনে করা "কিন্তু একটা সুস্পষ্ট ভুল ধারণা।
বাস্তবতা মোটেই এমন ছিলনা।
বরং- দেখা গেছে-মুসলমানদের সেই বিপুল সংগ্রাম আর বিশাল বিজয় সম্পন্ন হয়েছে ছোট ছোট অনেক (গেরিলা ও প্রকাশ্য দল) আর এদিক সেদিক ছড়ানো অনেক সামরিক সংগঠনের মাধ্যমে।
(এই গেরিলাগুলারে আইয়ুবী এক পতাকায় আনছেন,দীর্ঘ যুদ্ধ চালাইছেন অনেক বছরের, তার পূর্বপুরুষের সময় থেকেই এটা শুরু হইছিলো-ইমাদুদ্দীন জঙ্গী আর তারপর নুরুদ্দীন জঙ্গির নেতৃত্বে।এমন কইরা কইরা কিছু কিছু অন্চল বিজয় হইতে হইতে এক খানা রাষ্ট্রের মতো হইছে,আর শক্ত একখান সেনাবাহিনী খাড়ায়া গেছে।এহনকার আফগানিস্তান তালেবান আর সোমালিয়া আশ শাবাবের লগে মিলাইয়া লন, এরপর আইছে কুদস বিজয়-আমগোও ইনশাআল্লাহ ইলিয়ায় পতাকা গাড়ার দিন আইতাছে বি ইজনিল্লাহ,সুতরাং কাফেলাবদ্ধ হন,শক্ত কদমে লাইগা থাকেন।
কি বিশ্বাস হয় না?
তেয়লে জবাব দেন-আইয়ুবী কুদসমুক্তির হিত্তিন যুদ্ধ শেষ জীবনে করলেন ক্যান? এত দেরী ক্যান হইল?
তাও বিশ্বাস হইল না?
খাড়ান, দলীল দিতাছি।একটু পরেই শায়খ আবু ক্বতাদা একখান কিতাবের নাম কইব, ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে মুসলিম এক সেনাপতির,ওইডা পড়লেই বুঝবেন আসল ব্যাপারটা।চলেন, আবার শায়খের কাছে যাই,আসল ব্যাপারটা তাঁর মুখ থেইকা শুনি)
হয়তো দেখা গেছে-এখানে একটা ক্রুসেডবিরোধী কেল্লা-কোনো নবাব পরিবার যার শাসনভার পরিচালনা করে আসছে এবং নিজেদের নেতৃত্বে কিছু মানুষ(সৈনিক) জমা করেছে,ওখানে কোনো গ্রাম হয়তো কোনো একজন আলেমকে সেনাপতি মেনে তার নেতৃত্বে জিহাদ (বা গেরিলাযুদ্ধ) শুরু করেছে, অথবা কোনো একজন আলেম তার তালিবুল ইলমদের সঙ্গে নিয়ে একটা মুজাহিদ কাফেলা প্রস্তুত করেছেন, এভাবেই.....
তখনকার এই পরিস্হিতি সবচে ভালো যিনি আমাদেরকে ব্যাখ্যা করতে পারবেন, সম্ভবত তিনি হচ্ছেন- আমীর উসামা ইবনে মুনকিজ।সে জন্য পড়তে হবে তাঁর লেখা বই الاعتبار
তার পরিবার "আলে মুনকিজরা "ছিলেন শাইজার দুর্গের প্রশাসক।
ক্রুসেড যুদ্ধে ক্রুসেডারদের বিপক্ষে তাঁদের রয়েছে বড় ধরনের অবদান।আর তিনি হলেন সরাসরি ময়দানের একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
অন্য পয়েন্টে যাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।সেটা হল- নুরুদ্দীন জঙ্গি বা সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহিমাহুমুল্লার মতো বড় বড় সেনানায়কদের মূল অবদানটা ছিল এসব ছড়ানো ছিটানো প্রচেষ্টাকে এক সুঁতোয় গাঁথা, একত্রিত করা,সুসংগঠিত ও সুসংহত করা,নেতৃত্ব দেওয়া ও পরিকল্পনা করা।
কিন্তু দিনশেষে সেসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ওই সব সেনাদল আর তাঁর সৈন্যরাই করেছেন আর সেই জিহাদের মৌলিক একটা ভূমিকা তারা পালন করেছেন।
(অর্থাৎ সালাউদ্দিন আইয়ুআী রহিমাহুল্লাহ এর ভূমিকা ৫০ % আর তাদের ভূমিকাও ৫০%, যদি একজন আইয়ুবী না থাকতেন তবে বিক্ষিপ্ত প্রচেষ্টাগুলো ব্যার্থ হতে পারতো, আবার তাঁর এই নিবেদিত প্রাণ সেনাদল যদি না থাকতো তবে হয়তো আইয়ুবী ময়দানে এক হাজার ক্রুসেডারের সাথে একা জিহাদ করে শাহাদাত লাভ করতেন, কিন্তু হিত্তিনের যুদ্ধের মারহালায় উম্মাহ পৌছতে পারতোনা।
এইবার চলেন একটু মিলাই,মাগরিব থেকে মাশরিক,ইন্দোনেশিয়া থেকে মালি,চেচনিয়া থেকে সোমালিয়া-সবাই কিন্তু আজ এক সুঁতোয় গাঁথা।এই ব্যাপারটা উপনিবেশ আমলে সম্ভব হয়নাই, তাই আমাদের এখানে সাইয়েদ আহমাদ শহীদ ছিলেন, লিবিয়ায় একজন উমর আল মুখতার ছিলেন,ওই অন্চলে সিনুসী আন্দোলন ছিল, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত শাহাদাত ও ইস্তেকামাতের নিআমত পেয়েছি কিন্তু নাসর ও ফাতহ-বিজয় অধরা ছিল,এবং আমাদের তখবকার প্রচেষ্টাগুলো একসময় বিলুপ্তির শিকার হয়েছে।আজকে আল্লাহর উপর উপর ভরসা করে বলতে ইচ্ছে হয়,-ভয় নেই।আমরা হেরে যাবোনা।বিলুপ্তির শিকার হবোনা ইনশাআল্লাহ।
ভালো করে তাকিয়ে দেখুন, উম্মাহ সঠিক মানহাজেই আছে,সালাউদ্দীন আইয়ুবীও আছে।প্রথাগত রাষ্ট্র থাক বা না থাক জামাআহ,শ্রবণ,আনুগত্য,হিজরত ও জিহাদই আমাদের পথ,এই পথে চললে রাষ্ট্র না থাকলে রাষ্ট্র হবে, আর থাকলে আরো বড় হবে।ভয় নাই, আসুন আর দেরী না করে কাফেলাবদ্ধ হই।)
Comment