بسم الله الرحمن الرحيم
জামাআবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব
إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرورأنفسنا ومن سيئات أعمالنا ومن يهده الله فلا مضل له ومن يضلله فلا هادي له وأشهد ان لا إلاه إلا لله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده و رسوله-صلي الله عليه و سلم-ثم أما بعد:
فيقول-سبحانه وتعالي – في محكم تنزيله:}واعتصموا بحبل الله جميعا و لا تفرقوا}(آل عمران: 103)
অত:পর আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা বলেন-তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে আকড়ে ধর এবং বিচ্ছিন্ন হয়ো না।
মুহাম্মদে আরাবী সা: ইরশাদ করেন-আমি তোমাদের কে আমার সাহাবীগণ ও তাঁদের পরবর্তীদের (তাবেয়ীগণের অনুস্বরণ) সম্পর্কে ওসিয়ত করছি। তাদের পর মিথ্যার সয়লাভ এমন ভাবে ঘটবে লোকেরা কসম খাবে অথচ তাদেরকে কসম খেতে বলা হবে না!সাক্ষ প্রদান করবে অথচ তাদের হতে সক্ষ চাওয়া হবে না!সাবধাণ তোমাদের কেহ যেন নির্জণে কোন পরনারীর সাথে একত্রিত না হয় কেননা তখন তাদের সাথে তৃতীয়জন থাকে শয়তান।তোমাদের জন্য আবশ্যক জমাআবদ্ধ হয়ে থাকা এবং বিচ্ছিন্ন হতে দূরে থাকা। কেননা একক ব্যক্তির সাথে শয়তান থাকে দু’জন হতে সে অনেক দূরে থাকে।(তিন জন হতে আরো দূরে থাকে এভাবে হক্ব জামাত যত বড় হয় শয়তান তত দূরিভূত হয়।)তোমাদের যে চায় জান্নাতের মধ্যভাগ হবে তার আবাস স্থান সে যেন জামাতকে আবশ্যক করে নেয়।আর যার সৎ কাজ করতে ভালো লাগে ও মন্দ কাজ করতে খারাপ লাগে সেই মুমিন।(নাসায়ী,আহমাদ,তিরমিযী ইমাম তিরমিযী রহ: উক্ত হাদিসটিকে হাসানুন সহিহুন বলেছেন।)
وقال عليه السلام "فعليكم بالجماعة فإنما يأكل الذئب القاصية
তিনি আরো ইরশাদ করেন- তোমাদের উপর জামআবদ্ধ হয়ে থাকা আবশ্যক কেননা এতে সন্দেহ নেই জামাআহ হতে পৃথক ব্যাক্তিকে বাঘে খেয়ে ফেলে। (رواه النسائ وأبو داؤد و أحمد اللفظ للنسائ و قال الألباني حسن صحيح في النسائ)
সহিহ মুসলিমে হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা: থেকে বর্ণিত নবী কারীম সা: বলেন-আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের তিনটি গুণকে ভালো-বাসেন আর অপর তিনটা গুণকে ঘৃণা করেন।তিনি ভালবাসেন ১-তোমরা তাঁর ইবাদাত করবে তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না।২-তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রশ্মিকে আকড়ে থাকবে।৩-তোমরা কল্যাণকামী হবে ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে আল্লাহ তোমাদের ওয়ালী বা আমীর নিযুক্ত করেছেন। আর তিনি অপছন্দ করেন ১- ক্বিল-ক্বাল তথা তাঁর ফায়সালার প্রতি সন্তোষ্ট না থেকে গড়িমষী করা।২- সম্পদের অপব্যায় করা।৩- অধিকহারে অনর্থক প্রশ্ন করাকে।সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের উপর ওয়াজিব করেছেন মত-পার্থক্যের সময় আমরা যেন আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের আদর্শকে গ্রহণ করি এবং চিন্তাগত ও কর্মগত ভাবে কুরআন-সুন্নাহকে আকড়ে ধরার ব্যপারে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়।কেননা এটাই হলো ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও শতদা বিভক্তির শৃঙ্খলার উৎস।আর এর দ্বারাই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ পূর্ণতা লাভ করে এবং সকল বিশৃঙ্খলা ণির্মূল হয়।সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে ঐক্যের আদেশ করেছেন এবং আহলে কিতাবদের মত অনৈক্য হওয়া থেকে নিষেধ করেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস রা: সাম্মাকে হানাফিয়াকে লক্ষ করে বলেন হে হানাফিয়া!জামাতকে আকড়ে ধর নিশ্চয় আগেকার উম্মত তাদের পরষ্পরের দ্বিমত পোষণের কারণে ধ্বংস হেয়েছে। তুমি কি শুননি আল্লাহর এই বাণী! واعتصموا بحبل الله جميعا و لاتفرقوا
সুতরাং দায়ীগণের জন্য আবশ্যক হলো আপন ভাইদের সাথে আদান-প্রদানে কুমল ও ভদ্র হওয়া আর গভীর সম্পর্ক ছাড়া সরবারাহ সুন্দর হয় না, তাকওয়া ছাড়া র্মযাদা বৃদ্ধি পায় না।
দুনিয়ার জীবনে খাবারের বরকত যেমন একত্রে খাওয়ার মধ্যে তেমনই মুমিনদের আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি পায় জামাতের সাথে হলে আমেলীনগণের র্মযাদাও বৃদ্ধি পায় কাফেলা বদ্ধ হলে।
জামাতের পরিচয়
ইমাম কুরতুবী রহ: জামাআর পরিচয় দিয়েছেন এভাবে-তাঁরা হলো ঐ সকল ভাই যারা একটি মাযহাবের উপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ দাওয়াহ ও কর্মের নিতিমালার ক্ষেত্রে তাঁরা এক ও অভিন্ন।অত:পর তিনি বলেন ইখওয়ান শব্দটি আখুন এর বহুবচন। তাকে ভাই বলে নাম করণ কনা হয়েছে কেননা সে তার ভায়ের মাযহাবকে ইখতিয়ার করেছে।
(ইমাম ইবনে কায়্যুম রহ:জামাআর পরিচয় বর্ণনা করে বলেন-
[وما أحسن ما قال أبو محمد عبد الرحمن بن إسماعيل المعروف بأبي شامة في كتاب الحوادث والبدع (حيث جاء الأمر بلزوم الجماعة فالمراد به لزوم الحق وأتباعه، وإن كان المتمسك به قليلا والمخالف له كثيرا)
অর্থাৎ আবু মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে ইসমাঈল যিনি আবু শামা নামে প্রশিদ্ধ তার কিতাবুল হাওয়াদেস ওয়াল বিদাতে কতইনা সুন্দর বলেছেন (কুরআন-সুন্নাহের) যেখানেই জামাতকে আকড়ে ধরার আদেশ এসেছে তার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো হক্ব ও হক্বের অনুস্বারীগণকে আকড়ে ধরা।যদিও হক্বকে ধারণকারীর সংখ্যা কম হয় এবং তার বিরুদ্ধাচারণকারীর সংখ্যা বেশী হয়।
হযরত ইবনে মাসউদ রা: জামাতের পরিচয় দিয়ে বলেন-
الجماعة ما وافق الحق، وإن كنت وحدك
জামাত হলো যা হক্বের মুওয়াফেক যদিও তুমি একা হও।)
জামাআবদ্ধ হওয়ার মূলনিতি
যখন তুমি জানতে পেরেছ জামাআবদ্ধ হওয়া আবশ্যক তবে জেনে রাখ একজন আমীর বা পরিচালক ছাড়া জামাত সংঘটিত হয়না।তুমি যদি লক্ষ কর তাহলে দেখতে পাবে আল্লাহর সৃষ্টিজীবে এই তরীকা জারী আছে। কেননা মানুষ যদি তাকায় পশুপালের দিকে তাহলে দেখতে পাবে একটি পশুর পেছনে বাকিগুলো চলছে।যদি পানিতে মাছের দল আর আকাশে পাখির ঝাঁকের দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পাবে তারা দলবদ্ধ হয়ে চলছে।নিশ্চয় এটা আল্লাহ তা’য়ালার প্রজ্ঞার বহি:প্রকাশ।সুতরাং দুনিয়ার কোন কল্যাণ মাজাত ছাড়া পূ্র্ণতা লাভ করতে পারে না।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যাহ রহ: বলেন পৃথিবীতে বাসকারী প্রতিটা লোকের উপর আবশ্যক আদেশ-নিষেধ। আর এর জন্য আবশ্যক আদেশ করা ও নিষেধ করা।এমনকি একা হলেও নিজেকে আদেশ নিষেধের প্রয়োজন পড়ে!হয়ত ভাল কাজের আদেশ নয়ত মন্দ কাজের।যেমন আল্লাহ তা’য়ালা বলেন নিশ্চয় নফস মন্দকাজের প্রতি অধিক আদেশদাতা।ইউসুফ-৫৩
নিশ্চয় বনী আদম পরষ্পর দলবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করে থাকে।সুতরাং দুই বা তার অধিক লোক একত্রে হলে তাদের মাধ্যে কিছু বিষয়ের আদেশ আর কিছু বিষয় হতে নিষেধের প্রয়োজন পড়ে। আর এজন্যই নামাজে জামাতের সর্বনিম্ন সংখ্যা দুইজন। যেমন কথিত আছে দুই বা দুয়ের অধিক হলে তাকে জামাত বলে।
অত:পর সুন্নাহের আলোকে স্বাভাবিক বিষয়গুলো হল রাসূল সা: বলেছেন-তিন ব্যাক্তি সফরে বের হবে অথচ তাদের একজনকে আমীর নিযুক্ত করবে না তা তাদের জন্য বৈধ হবেনা।
জামাআবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব
إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرورأنفسنا ومن سيئات أعمالنا ومن يهده الله فلا مضل له ومن يضلله فلا هادي له وأشهد ان لا إلاه إلا لله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده و رسوله-صلي الله عليه و سلم-ثم أما بعد:
فيقول-سبحانه وتعالي – في محكم تنزيله:}واعتصموا بحبل الله جميعا و لا تفرقوا}(آل عمران: 103)
অত:পর আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা বলেন-তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে আকড়ে ধর এবং বিচ্ছিন্ন হয়ো না।
মুহাম্মদে আরাবী সা: ইরশাদ করেন-আমি তোমাদের কে আমার সাহাবীগণ ও তাঁদের পরবর্তীদের (তাবেয়ীগণের অনুস্বরণ) সম্পর্কে ওসিয়ত করছি। তাদের পর মিথ্যার সয়লাভ এমন ভাবে ঘটবে লোকেরা কসম খাবে অথচ তাদেরকে কসম খেতে বলা হবে না!সাক্ষ প্রদান করবে অথচ তাদের হতে সক্ষ চাওয়া হবে না!সাবধাণ তোমাদের কেহ যেন নির্জণে কোন পরনারীর সাথে একত্রিত না হয় কেননা তখন তাদের সাথে তৃতীয়জন থাকে শয়তান।তোমাদের জন্য আবশ্যক জমাআবদ্ধ হয়ে থাকা এবং বিচ্ছিন্ন হতে দূরে থাকা। কেননা একক ব্যক্তির সাথে শয়তান থাকে দু’জন হতে সে অনেক দূরে থাকে।(তিন জন হতে আরো দূরে থাকে এভাবে হক্ব জামাত যত বড় হয় শয়তান তত দূরিভূত হয়।)তোমাদের যে চায় জান্নাতের মধ্যভাগ হবে তার আবাস স্থান সে যেন জামাতকে আবশ্যক করে নেয়।আর যার সৎ কাজ করতে ভালো লাগে ও মন্দ কাজ করতে খারাপ লাগে সেই মুমিন।(নাসায়ী,আহমাদ,তিরমিযী ইমাম তিরমিযী রহ: উক্ত হাদিসটিকে হাসানুন সহিহুন বলেছেন।)
وقال عليه السلام "فعليكم بالجماعة فإنما يأكل الذئب القاصية
তিনি আরো ইরশাদ করেন- তোমাদের উপর জামআবদ্ধ হয়ে থাকা আবশ্যক কেননা এতে সন্দেহ নেই জামাআহ হতে পৃথক ব্যাক্তিকে বাঘে খেয়ে ফেলে। (رواه النسائ وأبو داؤد و أحمد اللفظ للنسائ و قال الألباني حسن صحيح في النسائ)
সহিহ মুসলিমে হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা: থেকে বর্ণিত নবী কারীম সা: বলেন-আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের তিনটি গুণকে ভালো-বাসেন আর অপর তিনটা গুণকে ঘৃণা করেন।তিনি ভালবাসেন ১-তোমরা তাঁর ইবাদাত করবে তাঁর সাথে কাউকে শরিক করবে না।২-তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রশ্মিকে আকড়ে থাকবে।৩-তোমরা কল্যাণকামী হবে ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে আল্লাহ তোমাদের ওয়ালী বা আমীর নিযুক্ত করেছেন। আর তিনি অপছন্দ করেন ১- ক্বিল-ক্বাল তথা তাঁর ফায়সালার প্রতি সন্তোষ্ট না থেকে গড়িমষী করা।২- সম্পদের অপব্যায় করা।৩- অধিকহারে অনর্থক প্রশ্ন করাকে।সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের উপর ওয়াজিব করেছেন মত-পার্থক্যের সময় আমরা যেন আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের আদর্শকে গ্রহণ করি এবং চিন্তাগত ও কর্মগত ভাবে কুরআন-সুন্নাহকে আকড়ে ধরার ব্যপারে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়।কেননা এটাই হলো ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও শতদা বিভক্তির শৃঙ্খলার উৎস।আর এর দ্বারাই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ পূর্ণতা লাভ করে এবং সকল বিশৃঙ্খলা ণির্মূল হয়।সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে ঐক্যের আদেশ করেছেন এবং আহলে কিতাবদের মত অনৈক্য হওয়া থেকে নিষেধ করেছেন।
হযরত ইবনে আব্বাস রা: সাম্মাকে হানাফিয়াকে লক্ষ করে বলেন হে হানাফিয়া!জামাতকে আকড়ে ধর নিশ্চয় আগেকার উম্মত তাদের পরষ্পরের দ্বিমত পোষণের কারণে ধ্বংস হেয়েছে। তুমি কি শুননি আল্লাহর এই বাণী! واعتصموا بحبل الله جميعا و لاتفرقوا
সুতরাং দায়ীগণের জন্য আবশ্যক হলো আপন ভাইদের সাথে আদান-প্রদানে কুমল ও ভদ্র হওয়া আর গভীর সম্পর্ক ছাড়া সরবারাহ সুন্দর হয় না, তাকওয়া ছাড়া র্মযাদা বৃদ্ধি পায় না।
দুনিয়ার জীবনে খাবারের বরকত যেমন একত্রে খাওয়ার মধ্যে তেমনই মুমিনদের আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি পায় জামাতের সাথে হলে আমেলীনগণের র্মযাদাও বৃদ্ধি পায় কাফেলা বদ্ধ হলে।
জামাতের পরিচয়
ইমাম কুরতুবী রহ: জামাআর পরিচয় দিয়েছেন এভাবে-তাঁরা হলো ঐ সকল ভাই যারা একটি মাযহাবের উপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ দাওয়াহ ও কর্মের নিতিমালার ক্ষেত্রে তাঁরা এক ও অভিন্ন।অত:পর তিনি বলেন ইখওয়ান শব্দটি আখুন এর বহুবচন। তাকে ভাই বলে নাম করণ কনা হয়েছে কেননা সে তার ভায়ের মাযহাবকে ইখতিয়ার করেছে।
(ইমাম ইবনে কায়্যুম রহ:জামাআর পরিচয় বর্ণনা করে বলেন-
[وما أحسن ما قال أبو محمد عبد الرحمن بن إسماعيل المعروف بأبي شامة في كتاب الحوادث والبدع (حيث جاء الأمر بلزوم الجماعة فالمراد به لزوم الحق وأتباعه، وإن كان المتمسك به قليلا والمخالف له كثيرا)
অর্থাৎ আবু মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে ইসমাঈল যিনি আবু শামা নামে প্রশিদ্ধ তার কিতাবুল হাওয়াদেস ওয়াল বিদাতে কতইনা সুন্দর বলেছেন (কুরআন-সুন্নাহের) যেখানেই জামাতকে আকড়ে ধরার আদেশ এসেছে তার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো হক্ব ও হক্বের অনুস্বারীগণকে আকড়ে ধরা।যদিও হক্বকে ধারণকারীর সংখ্যা কম হয় এবং তার বিরুদ্ধাচারণকারীর সংখ্যা বেশী হয়।
হযরত ইবনে মাসউদ রা: জামাতের পরিচয় দিয়ে বলেন-
الجماعة ما وافق الحق، وإن كنت وحدك
জামাত হলো যা হক্বের মুওয়াফেক যদিও তুমি একা হও।)
জামাআবদ্ধ হওয়ার মূলনিতি
যখন তুমি জানতে পেরেছ জামাআবদ্ধ হওয়া আবশ্যক তবে জেনে রাখ একজন আমীর বা পরিচালক ছাড়া জামাত সংঘটিত হয়না।তুমি যদি লক্ষ কর তাহলে দেখতে পাবে আল্লাহর সৃষ্টিজীবে এই তরীকা জারী আছে। কেননা মানুষ যদি তাকায় পশুপালের দিকে তাহলে দেখতে পাবে একটি পশুর পেছনে বাকিগুলো চলছে।যদি পানিতে মাছের দল আর আকাশে পাখির ঝাঁকের দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পাবে তারা দলবদ্ধ হয়ে চলছে।নিশ্চয় এটা আল্লাহ তা’য়ালার প্রজ্ঞার বহি:প্রকাশ।সুতরাং দুনিয়ার কোন কল্যাণ মাজাত ছাড়া পূ্র্ণতা লাভ করতে পারে না।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যাহ রহ: বলেন পৃথিবীতে বাসকারী প্রতিটা লোকের উপর আবশ্যক আদেশ-নিষেধ। আর এর জন্য আবশ্যক আদেশ করা ও নিষেধ করা।এমনকি একা হলেও নিজেকে আদেশ নিষেধের প্রয়োজন পড়ে!হয়ত ভাল কাজের আদেশ নয়ত মন্দ কাজের।যেমন আল্লাহ তা’য়ালা বলেন নিশ্চয় নফস মন্দকাজের প্রতি অধিক আদেশদাতা।ইউসুফ-৫৩
নিশ্চয় বনী আদম পরষ্পর দলবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করে থাকে।সুতরাং দুই বা তার অধিক লোক একত্রে হলে তাদের মাধ্যে কিছু বিষয়ের আদেশ আর কিছু বিষয় হতে নিষেধের প্রয়োজন পড়ে। আর এজন্যই নামাজে জামাতের সর্বনিম্ন সংখ্যা দুইজন। যেমন কথিত আছে দুই বা দুয়ের অধিক হলে তাকে জামাত বলে।
অত:পর সুন্নাহের আলোকে স্বাভাবিক বিষয়গুলো হল রাসূল সা: বলেছেন-তিন ব্যাক্তি সফরে বের হবে অথচ তাদের একজনকে আমীর নিযুক্ত করবে না তা তাদের জন্য বৈধ হবেনা।
Comment