আমরা মুরজিয়াদের বিরোধীতা করি কেন?
মুরজিয়া হচ্ছে, যারা কোন ব্যক্তিকে কুফুরী কাজ করা ও কুফুরী কথা বলার পরেও কাফের সাব্যস্ত করে না। কেহ আল্লাহ তায়ালার বিধান পরিবর্তন বা মুসলিমদের বিরোদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্যের মত স্পষ্ট কুফুরী করলেও তাকে কাফের বলে না, যতক্ষণ না কুফুরকারী ব্যক্তি নিজের মুখে তার অন্তরে কুফুরী গ্রহনের কথা স্বীকার করে নেয়। তারা ঈমান ও কুফরীর বিষয়ে কোন ধরণের কথা গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়, কারণ তারা আহলুস সুন্নাহর পথ পরিহার করে ভিন্ন মত আবিষ্কার করেছে।
তারা নিজেরা এই ভ্রান্ত আকীদা বিশ্বাস করছে এবং সমাজের মানুষের মাঝেও এই বিষাক্ত আকীদা ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সমাজের মধ্যে ভয়ানক ভাবে কুফুরী সয়লাব হয়ে যাওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছে। কারণ তারা মানুষের জন্য কুফরী কার্যক্রমকে একেবারেই সহজ ও স্বাভাবিক করে তুলে ধরেছে। যার ফলে কোন সাধারন মানুষ যখন দেখে এই সমস্ত কুফুরী কাজ করার পরেও তাকে কাফের বলা হচ্ছে না, তখন তারা নির্দ্বিধায় কুফরী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। কারণ তারা ভাবে এগুলোর দ্বারা আসলে মানুষ কাফের হয় না বরং এগুলো সাধরণ গুনাহের কাজ, এর মাধ্যমে নিজের স্বার্থ আদায়ের পর তাওবা করে নিলেই মাফ হয়ে যাবে। অথচ প্রকৃত পক্ষে যা ছিল কুফরী কাজ।
মুজাহিদরা ত্বাগুত শাষক ও তাদের অনুগত সেনা থেকে নিয়ে যত মুরতাদকে তাকফীর করে, তাদের অধিকাংশই নিজেরকে বাচাতে যুক্তি দেয়, অমুক বড় আলেমরা তো আমাদেরকে কাফের বলে না বা আমাদের কাজকে কুফুরী বলে না। আর এইভাবেই তাকফীরের আবশ্যকীয় বিধান ব্যপকভাবে পরিত্যাগ করা অনেক সাধারন মুসলিমের ঈমান হারানোর কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
তাই আমাদেরকে যেমন ভুল তাকফীর থেকে বেচে থাকতে হবে, তেমনি যারা সত্যিই মুরতাদ হয়ে গেছে তাদেরকে মুসলিম বলা থেকে বেচে থাকতে হবে। আর মুরজিয়াদের আকীদা মানুষের সামনে বেশি বেশি স্পষ্ট করার মাধ্যমে সমাজে কুফুরী ছড়িয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
Comment