বইয়ের নাম:কালিমা তাইয়িবা
একটি জীবন-আদর্শের দাওয়াত
লেখক :মুহাম্মাদ আজিজুর রহমান খান
প্রকাশনা :খান প্রকাশনী
ইসলামী টাওয়ার ১১ বাংলাবাজার।
প্রকাশকাল
প্রথম প্রকাশ :জুন ২০১০
দ্বিতীয় প্রকাশ :জুন ২০১২
আমার জানামতে বইটা আমাদের ইমারার ভাইদের কাছে জনপ্রিয়।
উক্ত বইয়ের ১২-১৩ পৃষ্ঠায় যা লেখা আছে, তা আমি হুবহু লিখে দিলাম।নিচের [ ]বন্ধনীর মাঝের লেখাটা।
[নফসকে ইলাহ মান্য করা:
এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা নিজের নফসকে ইলাহ হিসেবে মান্য করছে।পাঠকের হয়তো মনে হতে পারে যে নিজের নফস কিভাবে ইলাহ হয়।আল্লাহ তায়ালা বলেছেন -
أرءيت من اتخذ الٰهه هوٰه
আপনি কি তাদের দেখেছেন, যে নিজের প্রবৃত্তিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে। (সুরা ফুরকান,আয়াত :৪৩)
এ আয়াতে ইলাহ বলতে নিজের নফস বা নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বুঝানো হয়েছে। নফসকে ইলাহ বানানোর অর্থ হচ্ছে নফসের দাসত্ব করা।মূলত:আল্লাহর আদেশকে অমান্য করে নিজের কামনা-বাসনা অনুযায়ী কাজ করার অর্থই হচ্ছে নফসকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করা। অর্থাৎ প্রবৃত্তির তাড়নায় আল্লাহর নির্দেশকে অমান্য করা বুঝায়।
মূর্তি পূজা করা অথবা অন্য কোন কাউকে ইলাহ হিসেবে মান্য করলে যেভাবে শিরক হবে, নফসের দাসত্ব করা হলে তাও একই রকম শিরক হবে। হযরত আবু উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে,নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -
"আসমানের নিচে আল্লাহ ছাড়া আর যত মাবুদের পূজা করা হয়, তন্মধ্যে আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট মাবুদ হচ্ছে নফসের খাহেশ যা অনুসরণ করা "।বর্তমান সমাজে এরুপ লোকের সংখ্যাই বেশি, যারা নিজের কামনা-বাসনার গোলাম হয়ে হক এবং বাতিলের কোন পার্থক্য করে না,ন্যায় অন্যায়ের কোন তোয়াক্কা করে না। এ সকল মানুষ নিজের খেয়ালের বশবর্তী হয়ে অবলীলায় আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করে। এভাবেই এসকল লোকেরা নফসকে ইলাহের আসনে অধিষ্ঠিত করে।
একজন ব্যক্তি যখন আল্লাহর কোন নির্দেশের বিরুদ্ধে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাধান্য দেয় তখন তার নফস ইলাহের পর্যায়ে চলে যায়।
যেমন আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে -সূদের লেনদেন করো না,ঘুষ নিওনা,ওজনে কম দিওনা,মজুতদারী করো না,ভেজাল দিওনা,কিংবা যিনার কাছে যেও না।কিন্তু নফসের লোভ সামলাতে না পেরে মানুষেরা এ কাজগুলো করে।এ সকল অন্যায়গুলো করার জন্য নফস মানুষকে প্রলুব্ধ করে থাকে। তখন নফস ইলাহের পর্যায়ে পরে।
যেমন,একজন কর্মচারীকে ঘুষ গ্রহণের জন্য নফস তাকে ভিতরে ভিতরে অভাবের যুক্তি দাড় করায় কিংবা উন্নত জীবনের মোহ দেখায়। অত:পর সে যখন কাজটি করে,তখন সে প্রবৃত্তি বা নফসকে আল্লাহর নিষেধের চেয়েও বেশি গুরুত্ব প্রদান করে এবং এভাবে নফসকে ইলাহের আসনে বসায় এবং কর্মের দ্বারা কালিমাকে অস্বীকার করে। এমনিভাবে নফস জীবনকে অন্যায়ভাবে উপভোগ করার চাহিদা দাড় করিয়ে কোন ব্যক্তিকে যিনায় প্রলুব্ধ করে এবং কোন ব্যক্তি যখন এ কাজটি করে তখন সে আল্লাহর হুকুমের চেয়েও নিজের নফসকে বিশি গুরুত্ব প্রদান করে।
ফলে তার নফস ইলাহের আসনে পর্যবশিত হয়।এভাবে নফসকে ইলাহ বানিয়ে কালিমাকে অস্বীকার করে।
এভাবে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে নফসের তাড়নায় মানুষ যখন আল্লাহর কোন হুকুমকে অমান্য করে, তখন নফস তাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আল্লাহর হুকুমের চেয়ে নিজের নফসকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে। তখন নফস ইলাহের পর্যায়ে উপনীত হয়।ফলে সে শিরকের মধ্যে লিপ্ত হলো।কিংবা একশ্রেণির শাসকরা যখন আল্লাহর বিধানের তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে। তখন তাদের নফস ইলাহের পর্যায়ে পরে। কারণ তারা এক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুমের চেয়ে নিজের নফসকে বেশি প্রাধান্য দেয়। তারা তখন কালিমাকে অস্বীকার করল এবং শিরকের মধ্যে লিপ্ত হলো।
⊕শিক্ষণীয়ঃনিজের খেয়ালের বশবর্তী হয়ে আল্লাহর কোন হুকুম অমান্য করার মাধ্যমে নিজের নফসকে ইলাহ বানানো হয় এবং "আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই " কালিমার এ বাণীকে কর্ম দ্বারা অস্বীকার করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যক্তি কালিমার ঘোষণা থেকে সরে দাড়ায় আল্লাহর সাথে শিরকে লিপ্ত হয়।তাই এ অবস্থা থেকে আমাদের সব সময় বেচে থাকতে হবে। ]
আমার মনে হচ্ছে, লেখক এখানে যারা নফসের প্ররোচনায় গুনাহে লিপ্ত হয়,তাদেরকে মুশরিক সাব্যস্ত করেছেন।
আসলে বিষয়টা কি তাই??নাকি আমি ভুল বুঝেছি?? দলিলসহ বিষয়টা খোলাসা করার অনুরোধ করছি,
আর লেখক যদি ভুল করে থাকেন, তাহলে বইটার হুকুম কী??এ বই প্রচার করার হুকুম কী??
একটি জীবন-আদর্শের দাওয়াত
লেখক :মুহাম্মাদ আজিজুর রহমান খান
প্রকাশনা :খান প্রকাশনী
ইসলামী টাওয়ার ১১ বাংলাবাজার।
প্রকাশকাল
প্রথম প্রকাশ :জুন ২০১০
দ্বিতীয় প্রকাশ :জুন ২০১২
আমার জানামতে বইটা আমাদের ইমারার ভাইদের কাছে জনপ্রিয়।
উক্ত বইয়ের ১২-১৩ পৃষ্ঠায় যা লেখা আছে, তা আমি হুবহু লিখে দিলাম।নিচের [ ]বন্ধনীর মাঝের লেখাটা।
[নফসকে ইলাহ মান্য করা:
এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যারা নিজের নফসকে ইলাহ হিসেবে মান্য করছে।পাঠকের হয়তো মনে হতে পারে যে নিজের নফস কিভাবে ইলাহ হয়।আল্লাহ তায়ালা বলেছেন -
أرءيت من اتخذ الٰهه هوٰه
আপনি কি তাদের দেখেছেন, যে নিজের প্রবৃত্তিকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে। (সুরা ফুরকান,আয়াত :৪৩)
এ আয়াতে ইলাহ বলতে নিজের নফস বা নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বুঝানো হয়েছে। নফসকে ইলাহ বানানোর অর্থ হচ্ছে নফসের দাসত্ব করা।মূলত:আল্লাহর আদেশকে অমান্য করে নিজের কামনা-বাসনা অনুযায়ী কাজ করার অর্থই হচ্ছে নফসকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করা। অর্থাৎ প্রবৃত্তির তাড়নায় আল্লাহর নির্দেশকে অমান্য করা বুঝায়।
মূর্তি পূজা করা অথবা অন্য কোন কাউকে ইলাহ হিসেবে মান্য করলে যেভাবে শিরক হবে, নফসের দাসত্ব করা হলে তাও একই রকম শিরক হবে। হযরত আবু উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে,নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -
"আসমানের নিচে আল্লাহ ছাড়া আর যত মাবুদের পূজা করা হয়, তন্মধ্যে আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট মাবুদ হচ্ছে নফসের খাহেশ যা অনুসরণ করা "।বর্তমান সমাজে এরুপ লোকের সংখ্যাই বেশি, যারা নিজের কামনা-বাসনার গোলাম হয়ে হক এবং বাতিলের কোন পার্থক্য করে না,ন্যায় অন্যায়ের কোন তোয়াক্কা করে না। এ সকল মানুষ নিজের খেয়ালের বশবর্তী হয়ে অবলীলায় আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করে। এভাবেই এসকল লোকেরা নফসকে ইলাহের আসনে অধিষ্ঠিত করে।
একজন ব্যক্তি যখন আল্লাহর কোন নির্দেশের বিরুদ্ধে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাধান্য দেয় তখন তার নফস ইলাহের পর্যায়ে চলে যায়।
যেমন আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে -সূদের লেনদেন করো না,ঘুষ নিওনা,ওজনে কম দিওনা,মজুতদারী করো না,ভেজাল দিওনা,কিংবা যিনার কাছে যেও না।কিন্তু নফসের লোভ সামলাতে না পেরে মানুষেরা এ কাজগুলো করে।এ সকল অন্যায়গুলো করার জন্য নফস মানুষকে প্রলুব্ধ করে থাকে। তখন নফস ইলাহের পর্যায়ে পরে।
যেমন,একজন কর্মচারীকে ঘুষ গ্রহণের জন্য নফস তাকে ভিতরে ভিতরে অভাবের যুক্তি দাড় করায় কিংবা উন্নত জীবনের মোহ দেখায়। অত:পর সে যখন কাজটি করে,তখন সে প্রবৃত্তি বা নফসকে আল্লাহর নিষেধের চেয়েও বেশি গুরুত্ব প্রদান করে এবং এভাবে নফসকে ইলাহের আসনে বসায় এবং কর্মের দ্বারা কালিমাকে অস্বীকার করে। এমনিভাবে নফস জীবনকে অন্যায়ভাবে উপভোগ করার চাহিদা দাড় করিয়ে কোন ব্যক্তিকে যিনায় প্রলুব্ধ করে এবং কোন ব্যক্তি যখন এ কাজটি করে তখন সে আল্লাহর হুকুমের চেয়েও নিজের নফসকে বিশি গুরুত্ব প্রদান করে।
ফলে তার নফস ইলাহের আসনে পর্যবশিত হয়।এভাবে নফসকে ইলাহ বানিয়ে কালিমাকে অস্বীকার করে।
এভাবে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে নফসের তাড়নায় মানুষ যখন আল্লাহর কোন হুকুমকে অমান্য করে, তখন নফস তাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আল্লাহর হুকুমের চেয়ে নিজের নফসকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে। তখন নফস ইলাহের পর্যায়ে উপনীত হয়।ফলে সে শিরকের মধ্যে লিপ্ত হলো।কিংবা একশ্রেণির শাসকরা যখন আল্লাহর বিধানের তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে। তখন তাদের নফস ইলাহের পর্যায়ে পরে। কারণ তারা এক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুমের চেয়ে নিজের নফসকে বেশি প্রাধান্য দেয়। তারা তখন কালিমাকে অস্বীকার করল এবং শিরকের মধ্যে লিপ্ত হলো।
⊕শিক্ষণীয়ঃনিজের খেয়ালের বশবর্তী হয়ে আল্লাহর কোন হুকুম অমান্য করার মাধ্যমে নিজের নফসকে ইলাহ বানানো হয় এবং "আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই " কালিমার এ বাণীকে কর্ম দ্বারা অস্বীকার করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যক্তি কালিমার ঘোষণা থেকে সরে দাড়ায় আল্লাহর সাথে শিরকে লিপ্ত হয়।তাই এ অবস্থা থেকে আমাদের সব সময় বেচে থাকতে হবে। ]
আমার মনে হচ্ছে, লেখক এখানে যারা নফসের প্ররোচনায় গুনাহে লিপ্ত হয়,তাদেরকে মুশরিক সাব্যস্ত করেছেন।
আসলে বিষয়টা কি তাই??নাকি আমি ভুল বুঝেছি?? দলিলসহ বিষয়টা খোলাসা করার অনুরোধ করছি,
আর লেখক যদি ভুল করে থাকেন, তাহলে বইটার হুকুম কী??এ বই প্রচার করার হুকুম কী??
Comment