Announcement

Collapse
No announcement yet.

গণস্বাস্হ্যকেন্দ্রের করোনা পরীক্ষা কীট এবং সেক্যুলার রাষ্ট্রের বিজ্ঞানমনস্কতা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গণস্বাস্হ্যকেন্দ্রের করোনা পরীক্ষা কীট এবং সেক্যুলার রাষ্ট্রের বিজ্ঞানমনস্কতা।

    গণস্বাস্হ্যকেন্দ্রের করোনা পরীক্ষা কীট এবং সেক্যুলার রাষ্ট্রের বিজ্ঞানমনস্কতা।

    গণস্বাস্হ্যকেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং তার টিমের বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য কীট আবিষ্কার করেছেন।
    এরপরের ইতিহাস পত্র-পত্রিকা দেখে থাকলে সবারই জানা থাকার কথা।এমন ভয়াবহ সংকট সত্ত্বেও সেই কীট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষা করার জন্যও নিতে রাজি ছিলনা।নানারকম গড়িমসি তালবাহানার কথাবার্তা চলেছে।এরপর হাটে হাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় চাপে পড়ে এখন কীট পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।অনুমোদন পায় কি না তা দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে।
    (বেচারা কীট বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ কি না এ পরীক্ষা হবে কি না জানিনা।তবে সেক্যুলার কি না এবং আওয়ামী লিগ কি না,ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক পরীক্ষা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে)


    বুঝাই যায়-যদি সংকটকাল না হতো-তবে জাফরুলাহ বা অন্য কারো কোনো ধরনের আবিষ্কার দু পয়সা দিয়েও হাটে বিকোত না।কারণ সেক্যুলার রা ভীষণ বিজ্ঞান-মনা-বিজ্ঞান তাদের কাছে এতই অমূল্য-যে তারা বিজ্ঞানের জন্য কোন মূল্য দিতে রাজি নয়।আবিষ্কারকে উৎসাহিত করতে রাজি নয়।বিজ্ঞানীদেরকে(এমনকি তারা জাফরুল্লার মত সেক্যুলার হলেও) পৃষ্ঠপোষকতা দিতে রাজি নয়।জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনের চে তাদের কাছে ঢের মূল্যবান পুঁজিবাদী সালমান এফ রহমানের ওষুধ কোম্পানি।

    সেক্যুলাররা সত্যিই ভীষণ বিজ্ঞানমনস্ক-এ জন্যই চলচ্চিত্রের সেলিব্রেটীরা সকাল বিকাল নিউইয়র্ক-ব্যাংকক যায়, সরকারী পয়সায় মাউন্ট এলিজাবেথ থেকে চিকিৎসা করে আসে আর চিকিৎসক ডা.মইন হেলিকপ্টার পান না, অচিকিৎসায় ধুকে ধুকে মারা যায়।

    ওরা ভয়াবহ রকমের বিজ্ঞানমনস্ক-তাই তো রুপপুরের কয়েকটা বালিশ আর হাসপাতালের কয়েকটা পর্দার পেছনে মেডিক্যাল যন্ত্রাংশের চেয়ে বেশি খরচ করা হয়।

    ওরা একদম মহামারী আকারের বিজ্ঞান-মনা-এ জন্যই মন্দিরের পৌত্তলিক কুসংস্কারে ২০০ কোটি টাকা এবং এখানে সেখানে ভাস্কর্যের পেছনে শত শত কোটি টাকা ব্যায় হয়-কিন্তু দেশীয় বিজ্ঞানীরা পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেক ধরনের যন্ত্র তৈরি করেও ভাত পান না।
    এই জন্যেই ওদের কলা-বিজ্ঞানী বলে লোকে।

    কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর জীবন ও সমুদয় সঞ্চয়ের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে এই কুলাঙ্গারদের স্বার্থ।কারণ সেকুলাঙ্গারদের নির্বাচন ও অন্যান্য সময় পয়সার প্রয়োজন হলে এই পুঁজিবাদী জগৎশেঠরা তা ব্যবস্থা করে দেয়।এরপর ক্ষমতায় গেলে তারাও জনগণের পকেট থেকে তারা সুদে আসলে জগৎশেঠদের "মালামাল" করে দেয়।এত বিপুল কর্মযজ্ঞের মধ্যে আদৌ কি বেচারা মিসকিন বিজ্ঞানের দিকে তাদের তাকানের সময় আছে?

    আবার বেশি বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে গেলে,শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও কৃষিতে একটু পার্থিব উন্নতি করে ফেললে -দেশীয় জগৎশেঠ,মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানি,বিদেশী রফতানি-কারক প্রভু,আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মনে কষ্ট পাবেন না?

    সামান্য কিছু মূল্যায়ন পায় বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীরা যখন সেটা পুঁজিবাদ-সেক্যুলারিজম-অথবা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের খেদমতে কাজে লাগে।যদি একজন অনেক কিছু আবিষ্কার করা,নানারকম অবদান রাখা ডারউইন-বাদী বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে লিখতে শুরু করেন-তাকে "মূলধারা" থেকে ফেলে দিতে,লাইম-লাইটের সব আলো তার মুখের উপর থেকে নিভিয়ে দিতে সেক্যুলারদের কয় সেকেন্ড ভাবতে হবে?
    এক সেকেন্ডও না।উক্ত বিষয়ে আমরা এই লেখায় বিস্তারিত বলছিনা।

    সেক্যুলাররা এমনই হয়।সেক্যুলারিজম এমনই হয়।

    যদি জ্ঞান-বিজ্ঞান আর সভ্যতার মধ্য দিয়ে মানবজাতির উন্নতি করতে হয় তবে আপনাকে ইসলামের কাছেই ফিরে আসতে হবে-যার প্রথম ওয়াহী ছিল ইক্বরা...

    সেক্যুলার রা আপনাকে শিক্ষাক্ষেত্রে দিবে অন্ধত্ব,উৎপাদন ও আবিষ্কারের ক্ষেত্রে দেবে বন্ধ্যত্ব,কর্মক্ষেত্রে দেবে বেকারত্ব,ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে শেখাবে কর্পোরেট জগতের দাসত্ব,কৃষিক্ষেত্রে কৃষকের তীব্র হাহাকার-দাদনের বোঝা,কাঁচা ধানে কাচি চালানোর তামাশা,সংস্কৃতির নামে অশ্লীলতা আর উন্মাদনা,আর গণতান্ত্রিক বহুদলীয় রাজনীতির নামে-দলান্ধতা,সহিংসতা,প্রতারণা ও হিংস্রতা,আর ইসলাম-বিদ্বেষ ও বিরোধিতা।

    আর দিনশেষে বিজ্ঞানকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বলে প্রচার করার চেষ্টা করবে এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ছাগল পাগল নাস্তিকদের কণ্ঠে আপনাকে গান শোনাবে-যদি বেঁচে যাও এবারের মতো.......
    ডট ডট ডট.....ব্লা...ব্লা....ব্লা.....





  • #2
    আল্লাহ,, আপনি আমাদের বোবা শয়তান হওয়া থেকে হিফাজত করুন আমীন৷
    জিন্দা লাশ,,কোন উপকারে আসবে??? লাশ তো পড়ে থাকে নিস্তব্ধ,, এমনকি একটা মাছিও থাকে ভয় করে না। আজকে আমাদের অবস্থাও তাই।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ,,
      ভাই খুব চমৎকার বলেছেন
      মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ আঁখি, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে প্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন।

        Comment

        Working...
        X