Announcement

Collapse
No announcement yet.

বর্তমান শতাব্দীর উম্মাহর তিন মুজাদ্দিদঃ পর্যালোচনা ও সম্ভাবনা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বর্তমান শতাব্দীর উম্মাহর তিন মুজাদ্দিদঃ পর্যালোচনা ও সম্ভাবনা

    বর্তমান শতাব্দীর উম্মাহর তিন মুজাদ্দিদঃ পর্যালোচনা ও সম্ভাবনা

    عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "‏ إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا‏"‏‏
    আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মাতের জন্য প্রতি একশত বছরের শিরোভাগে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মাতের দ্বীনকে তার জন্য সঞ্জীবিত করবেন।

    তাজদীদ এর শাব্দিক অর্থ দুইটি, একটি হল; এমন বিষয় সংযোজন করা যা পূর্বে ছিল না। অপরটি হল; ক্ষয়ে যাওয়া জিনিসকে পূনরায় আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা।

    দ্বীনের ক্ষেত্রে প্রথম অর্থটি প্রজোয্য নয়, কারণ দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সংযোজন করা যা কুরআন-সুন্নাহে নেই, তা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
    الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
    (( আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। )) দ্বীনকে পুর্ন করে দেয়ার পরে নতুন কিছু দ্বীনে প্রবেশ করানোর অনুমতি নেই। কিন্তু এই অর্থ গ্রহণ করে অনেক ভ্রান্ত আলেম ইসলামের অকাট্য বিধানে পরিবর্তন তৈরি করছে।

    হাদীসের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অর্থটি প্রযোজ্য হবে, তা হল ক্ষয়প্রাপ্ত বিষয়কে ঠিক করা। অর্থাৎ প্রতি শতাব্দীতে এমন ব্যক্তি আসবেন যিনি দ্বীনের সঠিক অবস্থান থেকে যেসমস্ত বিষয়ে মানুষ বিচ্যুত হয়ে গেছে তা বুঝতে পারবেন। যে সমস্ত কারনে পূরা উম্মাহ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে তা দেখতে পাবেন। তখন তিনি তাদের জন্যে দ্বীনকে নবায়ন করবেন। অর্থাৎ মানুষকে ফিরিয়ে আনবেন সেই অবস্থায় যেমনটা ছিল নবুয়্যাত ও সাহাবীদের যামানায়, কোন ধরনের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ছাড়া। এমন কিছু সমাধান নিয়ে আসবেন, যা পূরো উম্মাহকে সমস্যা থেকে উত্তোলন করে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে।

    এই উম্মাহর প্রথম মুজাদ্দিদ ছিলেন, আবু বকর সিদ্দীক রাজিয়াল্লাহু আনহু। আল্লাহর নবীর ওফাতের পর যখন ইরতিদাদের ফিতনা ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পরেছিল তখন এমন কিছু স্বিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যার ব্যাপারে শুরুতে উমর রাজিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন অনড় এবং তা বাস্তবায়ন করেই দেখিয়েছেন। ফলে দ্বীন আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে, যেমনটা নবুয়্যাতের সময়ে ছিল। উনার বিখ্যাত উক্তি ছিলঃ “দ্বীন হ্রাস পাবে অথচ আমি জীবিত থাকব?!”

    দ্বিতীয় মুজাদ্দিদ যার ব্যাপারে সকলেই একমত, খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রাহিমাহুল্লাহ। যখন মুসলিমদের শাষণ ক্ষমতার মধ্যে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে যা পূরো উম্মাহকে কিছু বিপর্যস্ত করে তুলেছিল, তখন তিনি এসে আবার খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নবুয়্যাহকে ফিরিয়ে আনেন। উমাইয়্যাহ শাষকদের মধ্যে একমাত্র উনাকেই খলিফা হিসেবে অবিহিত করা হয়।

    মুসলিমদের ইতিহাস উন্নতি-অবনতি, বিজয় ও পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু সর্বশেষ শতাব্দীতে এসে উম্মাহ এতটাই বিপর্যয়ের মুখে পরে যা পূর্বে কখনোই ঘটেনি। পূরো বিশ্ব থেকে ইসলামী শাষন পূর্নভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়, শত্রুরা ইসলামী ভূখন্ডগুলকে ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলে। মুসলিমদের উপর নেমে আসে জুলুমের আগ্রাসন, শত্রুরা তাদের মাল-সম্পদ লুণ্ঠন করে, শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে ধর্ষণ ও হত্যা করতে থাকে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফেরদের গোলাম শাসকেরা তাদেরকে শাষণ করতে থাকে ও মনস্তাত্বিক যুদ্ধের মাধ্যমে তাদেরকে ব্যাপকভাবে সঠিক ইসলাম থেকে বের করে ফেলতে শুরু করে।

    মুসলিমদের এই দূর্দিনে এমন কিছু ব্যক্তির প্রয়োজন ছিল যারা উম্মাহর জন্যে ইসলামকে আবারও জাগিয়ে তুলবে। সেই ধারাবাহিকতায় আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের জন্যে কয়েকজন মুজাদ্দিদ পাঠিয়েছেন, যারা সকলেই পূরা উম্মাহর জন্যে দ্বীনকে তাজদীদ করেছেন।

    একজন হলেন, আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন)। যখন পৃথিবীর বুক থেকে ইসলামী শরিয়াহ বিলুপ্ত হয়ে যায়, যখন মানুষ শুধু ব্যক্তিগত দ্বীন পালন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। যখন সবাই ইসলামী শরিয়াহর বাস্তবায়ন ভুলতে বসেছিল, যখন কুফুরী মতবাদ দ্বারা প্রতিটি রাষ্ট্রের শাষণ ক্ষমতা পরিচালিত হচ্ছিল। তখন এই উম্মাহর সিংহ পুরুষ যাকে তৃতীয় উমর হিসেবে গন্য করা হয়, তালেবানদের ছোট একটি জামাত নিয়ে উঠে দাড়ালেন।

    তিনি প্রথমে আফগানের জিহাদকে সমস্ত বিচ্যুতি থেকে মুক্ত করে সঠিক রাস্তায় ফিয়ে আনেন, তারপর তাদের মাধ্যমে পূরা বিশ্বের তাবত কুফুরী শক্তির চোখের সামনে ঐতিহাসিক এক সফলতা অর্জন করে নেন। তা হল; ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠা। পূরা দ্বীনকে তাজদীদ করে সেই অবস্থায় নিয়ে আনেন, যে অবস্থায় সাহাবীরা রেখে গেছেন। ইসলামী শরিয়াহর প্রতিটা বিধানকে পূর্ণরুপে বাস্তবায়ন শুরু করেন।

    আরেকজন হলেন; গ্লোবাল বা উম্মাহ কেন্দ্রিক জিহাদের প্রতিষ্ঠাতা শাইখুল মুজাহিদ শহীদ আব্দুল্লাহ ইউসুফ আজ্জাম (জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন)। যখন উম্মাহ শতধা বিভক্ত ছিল, উম্মাহ কেন্দ্রিক ভ্রাতৃত্ববোধ সমাজ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। যখন মুসলিম উম্মাহর জিহাদের ফলগুলো নষ্ট হচ্ছিল, যখন ঐক্যের অভাবে কোন ভূমিতেই জিহাদ স্থায়ী হচ্ছিল না। যখন মরূসিংহ উমর মুখতার ও ইমাম শামীল রাহিঃর মত মহান কমান্ডাররা সাহায্যের অভাবে জিহাদ স্থায়ী হচ্ছিল না। তখন আল্লাহ তায়ালা শাইখ আব্দুল্লাহ আজ্জামকে পাঠালেন।

    তিনি আরব অঞ্চলের যুবকদের মধ্যে জিহাদের মানসিকতা জাগিয়ে তুলেন, অতঃপর অঞ্চল কেন্দ্রিক জিহাদের ধারণা থেকে বের করে উম্মাহ কেন্দ্রিক জিহাদের দিকে ধাবিত করেন। তিনি সবাইকে বুঝাতে সক্ষম হন, যতক্ষণ উম্মাহর সবাই একসাথে শত্রুর মুকাবেলা না করবে ততক্ষন উম্মাহর বিজয় ফিরে আসবে না। আফগানের প্রতিটা বিজয় সিরিয়ার বিজয়কে ত্বরান্বিত করবে, ইয়ামানের প্রতিটা বিজয় হিন্দুস্তানের বিজয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে কাশ্মীর-ফিলিস্তিনের প্রতিটা পরাজয় উম্মাহর সমস্ত ময়দানকেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে।

    সর্বশেষ হলেন, শাইখুল মুজাহিদ মুজাদ্দিদুল উম্মাহ উসামা বিন মুহাম্মাদ (আল্লাহ উনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন)। মুসলিম উম্মাহর জন্যে উনার অবদান অনেক। পূরা উম্মাহর জিহাদ এক হয়ে যাওয়া ও আফগানে জিহাদের জন্যে ভূমি থাকার পরেও উম্মাহর সামনে বড় একটি সমস্যা রয়ে যায়, যা সামগ্রিক বিজয়ের পথে বাধা হয়ে থাকে। তা হল; তখন সকল মুজাহিদরাই নিজ নিজ অঞ্চলে জালেমদের বিরোদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, ফলে শীশানের প্রথম যুদ্ধে বিজয় হলেও দ্বিতীয় যুদ্ধে পরাজয় নেমে আসে। তেমনি ভাবে অন্যান্য অঞ্চলেও দীর্ঘ যুদ্ধের পর জালেম শাষককে হটানোর পরে আবার ভিন্ন জালেম ক্ষমতা দখল করে নিচ্ছিল।

    তখন শাইখ উসামা উনার যুগান্তকারী মতামত প্রকাশ করলেন, যার মাধ্যমে পূরা উম্মাহর জিহাদকে তাজদীদ করে নেন, যার ফলে কুফুরী বিশ্বের বিরুদ্ধে উম্মাহর সামগ্রিক বিজয়ে ধারা শুরু হয়। তা হল; উম্মাহ কেন্দ্রিক জিহাদের পাশাপাশি সমস্ত মুজাহিদদের শত্রুও এক হতে হবে, সবাই একই টার্গেটে হামলা করবে। আর সেই টার্গেট শত্রু ছিল ‘সাপের মাথা আমেরিকা’। শাইখ শুধু মতামত পেশ করেই ক্ষান্ত ছিলেন না বরং ৯/১১ এর বরকতময় হামলার মাধ্যমে আমেরিকাকে মুসলিম উম্মাহর জিহাদী দস্তরখানে সুন্দরভাবে পরিবেশন করে দেন। এটা ছিল গত ১৪ শত বছরের ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী বিশাল ঘটনা সমূহের অন্যতম।

    যার ফলাফল ২০ বছর পরে এসে আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি। আন্তর্জাতিক শক্তির মাথা আমেরিকা নিজেদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার সমস্ত ব্যবস্থা থাকার পরেও তাদের সমস্ত দম্ভকে চুর্ণ করে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। এই ধারাবাহিকতায় যদি পরে আরো কোন শক্তি উম্মাহর সামনে দাঁড়াতে চেষ্টা করে, মুজাহিদগণ তাদেরকেও নিঃশেষ করতে থাকবে, শেষ পর্যন্ত এক সময় ইমাম মাহদীর হাতে ঝান্ডা তুলে দিবে ইনশাআল্লাহ।

    পূর্বের শাইখগন সবাই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু এই উম্মাহ এখনো টিকে আছে। এই ক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছু বিষয় গুরুত্বের সাথে বুঝতে হবে। তারা কিভাবে দ্বীনের তাজদীদের কাজ করেছেন? তারা অল্প দিনেই মুজাদ্দিদ হয়ে গেছেন? সব আল্লাহ তায়ালার তাওফীকেই ঘটেছে, কিন্তু তাদের করণীয় গুলো কি ছিল? আমাদের সময়ে তাজদীদের কাজ অসম্ভব?

    আমরা যদি তাদের জীবনীর দিকে লক্ষ করি, তাহলে দেখা যাবে তারা এক/দুই বছরের সেই পর্যায়ে এসে পৌছায় নি, বরং দীর্ঘ একটা সময় আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে এগিয়ে গেছেন। যে বৈশিষ্ট্যগুলো তাদেরকে এত মহান সম্মান এনে দিয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে কয়েকটা বিষয় পাওয়া যায়ঃ

    তাদের প্রত্যেকের মাঝেই বিশেষ বৈশিষ্ট ছিল, উম্মাহর প্রতি দরদ। তারা উম্মাহর প্রতি প্রচন্ডতম দরদ অন্তরে লালন করতেন, যা তাদেরকে উম্মাহর সমস্যা সমাধানের দিকে ধাবিত করেছে। সেই সাথে তাদের সকলেই দ্বীনের জন্যে নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। সবাই দ্বীনের জন্যে ত্যাগের বিরল নযির স্থাপন করেছেন।

    আমরা যদি শাইখ উসামা রাহিঃর দিকে লক্ষ্য করি, যদিও জিহাদের আসার পূর্বে বিলাসী জীবন যাপন করতেন। কিন্তু শাইখ আজ্জামের হাত ধরে জিহাদের আসার পর, দ্বীন প্রতিষ্ঠার চিন্তা নিয়ে আরব থেকে আফ্রীকা, একের পর একে দেশে ছুটতে থাকেন। বিভিন্ন দেশে কাজের মাধ্যমে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জনের পর শেষ পর্যন্ত আফগানে এসে ঘাটি গাড়েন।

    উনার এই যুগান্তরী স্বিদ্ধান্ত নিতে পারার পিছনে অনেকগুলো সাহায্যকারী বিষয় ছিল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দুইটা বিষয় ছিল;

    প্রথমত; জিহাদের আসার আগে বিশ্বের ভিবিন্ন দেশে ভ্রমন করেছেন, পূরা বিশ্বের ক্ষমতার পরিচালনার পরিস্থিতি দেখেছেন। জিহাদে আসার পরেও উনি কখনো এক অঞ্চল কেন্দ্রিক চিন্তা করেন নি বরং বিভিন্ন দেশে জিহাদের ময়দান শুরু করার চেষ্টা করেছেন। যার ফলে উনার চিন্তার পরিধি ছিল বিশাল, বাস্তব অভিজ্ঞতার ফলে সব ভূমিতেই মূল শত্রু কারা তা উনার সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

    দ্বিতীয়ত; সামরিক বিদ্যা, সেই আশির দশকের উনার সামরিক স্বিদ্ধান্তগুলো লক্ষ্য করলে বুঝা যায় তখনই তিনি সামরিক বিদ্যায় কতটা দক্ষ ছিলেন। আজকে আমরা যে নীতিগুলো বিভিন্ন স্ট্রেটেজিক বই পরে শিখছি, তা তিনি সেই সময় বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন । যুদ্ধ পরিকল্পনার অর্ধেক হচ্ছে, শত্রুর মূলকেন্দ্র নির্ধারণ করতে পারা; সেই সময় যখন সবাই বিচ্ছিন্ন টার্গেটে হামলা করছিল, তখন তিনি হামলা করেছেন পূরা বিশ্বের সমস্ত শত্রুর শক্তির মূল রাষ্ট্রে। শুধু তাই নয়, একেবারে তাদের শক্তির মূলকেন্দ্র টুইন টাওয়ারে। যা যুদ্ধের শুরুতেই আমেরিকার অর্থনীতিতে বিশাল পরিবর্তনের সৃষ্টি করে, যা এক সময় তাদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।

    পূর্বের বৈশিষ্টগুলো পাশাপাশি তাদের সবার মধ্যেই নেতৃত্বের অপূর্ব যোগ্যতা ছিল, মোল্লা মুহাম্মাদ উমর নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমারাত ইসলামিয়াহর, শাইখ আব্দুল্লাহ আজ্জাম নেতৃত্ব দিয়েছেন অন্যান্য আরব মুজাহিদদের এবং শাইখ উসামা নেতৃত্ব দিয়েছেন পূরো বিশ্বের মুজাহিদদের।

    মুসলিম উম্মাহ এখন টিকে আছে, এখনো মানুষ ইসলাম পালনে হাজারো সমস্যা জর্জরিত। উনাদের থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে, দ্বীনকে পূনরায় সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্যে তাদের মত আমাদেরকেও কাজ করতে হবে, আমাদেরকেও নিজেদের অবস্থান থেকে দ্বীনের তাজদীদের কাজ করতে হবে।

    আসলে উম্মাহ কখনোই তাজদীদের প্রয়োজন থেকে মুক্ত ছিল না। পূর্বের যুগে যেমন আল্লাহ তায়ালা একের পর এক নবী পাঠিয়েছেন, বর্তমানে আসছেন মুজাদ্দিদগণ। ইবনে হাজার আসক্বালানী সহ অনেকেই বলেছেন, প্রত্যেক জামানায় মুজাদ্দিদ কয়েক জন হতে পারেন। আমরাও যাতে তাজদীদের কাজ করতে পারি সে জন্য তিনজন মুজাদ্দিদকে আমরা তাদের অবস্থান থেকে বুঝার চেষ্টা করব, তারা কিভাবে সেই সম্মানের অধিকারী হয়েছেন খুঁজে বের করব।

    শাইখদের জীবনী থেকে যা বুঝে আসে, তাজদীদের জন্যে প্রথমে আমাদের নিজদের মাঝে পূর্ণরুপে দ্বীনকে ধারণ করতে হবে। উম্মাহর প্রতি প্রচন্ড দরদ জাগিয়ে তুলতে হবে ও নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে। যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা পরিচালনার দায়িত্ব বা তার কাছাকাছি অবস্থান দিয়েছেন, তাদের উচিত নিজেদেরকে পূর্ণরূপে দ্বীনের জন্যে বিলিয়ে দেয়া, যোগ্যতাগুলোকে সর্বদা উন্নতিতে নিয়ে যাওয়া।

    অতঃপর উম্মাহর সামগ্রিক বিষয়ে পূর্ণ ইলম অর্জন করতে হবে এবং ধীর্ঘ সময় ব্যয় করে সেগুলোর বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তারপর সেই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে উম্মাহর সমস্যা গুলোর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। অন্যান্য অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সেই সমাধান বাস্তবায়নের জন্যে উম্মাহকে নেতৃত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে। আল্লাহর তাওফীক হলে এইভাবে আমাদের পক্ষেও উম্মাহর জন্যে দ্বীনকে আবার সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।
    মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
    রোম- ৪৭

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,,
    খুব সুন্দর পর্যালোচনা।
    আল্লাহ তা'আলা আপনাকে কবুল করুন,,,
    আমিন
    মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

    Comment


    • #3
      আমাদের হাতেই রচিত হবে আগামীর পৃথিবী...ইনশা-আল্লাহ।
      نحن الذين بايعوا محمدا، على الجهاد ما بقينا أبدا

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ,,,
        খুব সুন্দর পর্যালোচনা।
        আল্লাহ তা'আলা আমাদের তাদের কদমে কদমে চলার তাওফিক দান করুন।
        আমিন

        Comment


        • #5
          আখি,জাযাকাল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ ও উৎসাহ মূলক, আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন, আমীন।
          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

          Comment


          • #6
            আল্লহ তাবারক ওয়া তাআলা আমাদেরকে সঠিকভাবে বোঝার ও আমাল করার জন্য কবুল করুন,
            লেখকের চিন্তা ও কলমের ক্ষুরধারকে আরো বাড়িয়ে দিন। আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন
            আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

            Comment


            • #7
              মাশা'আল্লাহ! খুবই উত্তম পর্যালোচনা। আল্লাহ তা'আলা কবুল করুন,আমীন। ইনশা'আল্লাহ আমাদের হাতেই রচিত হবে আগামীর পৃথিবী...
              বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
              কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ, খুবই গুরত্বপূণ আলোচনা। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
                " শহিদের মিছিলে নাম লিখাতে চলো মুসলিম ভাই "

                Comment


                • #9
                  আখি, জাযাকাল্লাহ
                  খুবই সুন্দর পর্যালোচনা,
                  আল্লাহ তাদের সবাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস এর সর্বোচ্চ মাকাম দান করুক।

                  Comment


                  • #10
                    মাশাআল্লাহ
                    অনেক সুন্দর আলোচনা
                    আল্লাহ আপনার লেখায় বারাকাহ দান করুন। আমিন
                    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                    Comment


                    • #11
                      জাঝাকাল্লাহ আখি, খুবই সুন্দর পর্যালোচনা। ইংশাআল্লাহ আমাদের হাতে রচিত হবে আগামীর মুসলিম মানচিত্র।
                      আমরা গড়তে চাই, ধ্বংস নয়; আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই, বিভক্তি নয়; আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, পিছনে নয়! শাইখুনা আবু মোহাম্মাদ আইমান হাফিঃ

                      Comment

                      Working...
                      X