Announcement

Collapse
No announcement yet.

ছাত্ররাজনীতিঃ মাওলানা আব্দুল মালেক (দা বা) সমীপে....

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ছাত্ররাজনীতিঃ মাওলানা আব্দুল মালেক (দা বা) সমীপে....

    ইলমের ময়দানে হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক (হাফিজাহুল্লাহ)'র শ্রেষ্ঠত্ব আলহামদুলিল্লাহ প্রমাণিত ও সুবিদিত।
    তবে আমাদের ইমামগণের আলোচনায় যেমন এসেছে যে, বর্তমান জামানায় শরঈ ইলম ও সিয়াসি/ ময়দানে গভীরতা একত্রিত হওয়া কিছুটা দূরূহই বটে। যেহেতু উভয় ক্ষেত্রেই গভীরতা অর্জনে গভীর অভিনিবেশ ও বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন।
    .
    তাই ইতিহাস বা বাস্তবতার বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় উলামাদেরও কিছু এমন সাধারণ ভুল হয়ে যেতে পারে, যা দীন প্রতিষ্ঠার মানহাজের সাথে সম্পর্ক রাখা অতিসাধারণ গাইরে আলেমেরও নাও হতে পারে।
    .
    কেননা, দীনের খেদমতের এদুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র।
    আর যেমন বলা হয়,
    لكل قن رجال
    "প্রত্যেক বিষয়েরই বিশেষজ্ঞ রয়েছে।"
    .
    আল্লাহর ইচ্ছায় ও তাওফিকে মাদ্রাসার তরুণ ছাত্র ভাইদের বিরাট এক অংশ ইলম তলবের পাশাপাশি ইসলাম, সমাজ, রাস্ট্র ও বিশ্ব নিয়ে ভাবছেন এবং প্রায়োগিক খেদমতে এগিয়ে আসছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
    .
    এর ফলে গতানুগতিক পূর্বের অনেক ফিকরি স্থবিরতাই আলহামদুলিল্লাহ ইতিবাচকভাবে বিদূরিত হচ্ছে।
    .
    ইসলামের মাধ্যমে ও অধীনে দুনিয়ার বিভিন্নমুখী সংকট নিরসনে মেধাবী-সাহসী ও উদ্যমী তালেবে ইলম ও তরুন আলেমগণের অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি, দুঃখজনকভাবে অনেকেই নেতিবাচকভাবে দেখছেন, নিরুৎসাহিত করছেন।
    .
    ইতিপূর্বে মারকাযুদ দাওয়াহর কর্নধার মুফতি আবুল হাসান আব্দুল্লাহ অনূরূপ বললেও, কিছুদিন আগে আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠতম আলেমদের অন্যতম মাওলানা আব্দুল মালেক (দা বা), ছাত্রাবস্থায় দীন পুনঃপ্রতিষ্ঠার মানহাজে ক্রিয়াশীল হওয়ার সমালোচনা করেছেন।
    এবং তিনি ছাত্রাবস্থায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টিকে 'দেওবন্দি মানহাজের খেলাফ' হিসেবে ইংগিত দিয়েছেন।


    তিনি বলেন,
    .
    "তলাবায়ে কেরামের যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল, তলবে ইলমের যামানায় কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বা তাদের কাজকর্মে অংশ নেওয়া-এটা তালিবে ইলমদের জন্য প্রাণহারী বিষ। তাদেরকে যে কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডথেকে একদম পৃথক থাকতে হবে। ইনহিমাক ও একাগ্রতা ব্যতীত ইলমে পরিপক্বতা অর্জন করা সম্ভব নয়।
    .
    এটা হযরত রাহ. বারবার বলতেন এবং সকল প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ শিক্ষাবেত্তার এটাই সিদ্ধান্ত। অধম একবার দারুল উলূমের বর্তমান একাধিক আকাবিরের কাছে জনৈক আলেমের মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলাম-আমাদের পূর্ববর্তী আকাবির রাজনৈতিক সংগঠন বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তালিবে ইলমদের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে কী বলতেন?
    .
    তাঁরা বললেন, এই মসিবত তো ওই সময় ছিলই না; এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য কীভাবে পাওয়া যাবে!
    .
    আজকাল কওমী মাদরাসায় অধ্যয়ন সম্পন্নকারী কিছু কিছু ব্যক্তির মাঝে এই রোগ দেখা দিয়েছে যে, তারা কতিপয় কট্টরপন্থী সালাফীর এবং সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনাকারী কিছু লোকের বিচ্ছিন্ন চিন্তা-ভাবনাকে এই বলে প্রচার করছে যে, এটাই কুরআন-সুন্নাহর দাবি এবং এটাই আসল দেওবন্দিয়াত!
    .
    অথচ তাদের ‘বিশেষ’ চিন্তা-ভাবনা উলামায়ে দেওবন্দের নীতি-আদর্শ এবং গোটা দুনিয়ার জুমহুর আকাবির উলামায়ে কেরামের নীতি-আদর্শের বিপরীত। জানা নেই, কে তাদেরকে ‘মানহাজী’ নাম দিয়েছে আর কিসের ভিত্তিতে দিয়েছে?
    হযরত মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী রাহ. এ ধরনের লোকদের চিন্তা-ভাবনার বিরোধী ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে সরাসরি আমাকে বলেছেন এবং আশংকা ব্যক্ত করেছেন। আর বলেছেন, এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।"
    .
    .
    হযরত মাওলানা বলছেন দারুল উলুম দেওবন্দের পূর্ববর্তী আকাবিরদের সময় ছাত্রদের রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার ইতিহাস/মুসীবত ছিলই না!
    .
    অথচ দারুল উলুম দেওবন্দের শীর্ষ মুখপাত্র মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী (রহ.) ছাত্রদের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোন অবস্থানে ছিলেন দেখা যাক।
    .

    তিনি এক পত্রে লিখেন-
    “যুবক ও ছাত্রদের অবশ্য লেখাপড়ার পাঠ চুকানাে উচিৎ এবং এ সময় রাষ্ট্রীয় কোন রাজনৈতিক দলে যােগদান না করা উচিৎ তবে অবসর সময়ে তারা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে তাতে কোন অসুবিধা নেই।”
    (মাকতুবাতে শাইখুল ইসলাম, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৬২)
    .
    অপর একটি পত্রে হযরত মাদানী লিখেন-
    "ছাত্ররা রাজনৈতিক বৈঠক করেছে, সমাবেশ করেছে, মাদরাসার প্রশাসন তাদের রুখেনি। এর থেকে বড় কোন অপরাধ তাে আর তারা (মাদ্রাসা প্রশাসন) করেনি।"
    (মাকতুবাতে শাইখুল ইসলাম, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫৩)
    .
    অন্যত্র উল্লেখিত আছে,
    "মাওলানা থানভী মনে করতেন, ছাত্ররা যদি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তাদের লেখাপড়া ব্যাহত হবে। অথচ লিখাপড়াই এখন তাদের মূল লক্ষ্য। অপরদিকে মাওলানা মাদানী ছাত্রদের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণে আগ্রহী ছিলেন।"
    (আশরাফ আলী থানভীর রাজনৈতিক চিন্তাধারা, পৃষ্ঠা ৫৬)
    ___________
    আশা করি বিষয়টি অনুধাবন করা সম্ভব হলো।
    আল্লাহ তা আলা সহজ করুন।

  • #2

    আমি মনে করি ছাত্রজীবনে ছাত্ররা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাবে এবং আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালনে মনোনিবেশ করবে তাহলে আল্লাহ তাদেরকে ইলম দান করবেন দলীল
    وَجَعَلنا مِنهُم أَئِمَّةً يَهدونَ بِأَمرِنا لَمّا صَبَروا ۖ وَكانوا بِـٔايٰتِنا يوقِنونَ

    [24] তারা সবর করত বিধায় আমি তাদের মধ্য থেকে নেতা মনোনীত করেছিলাম, যারা আমার আদেশে পথ প্রদর্শন করত। তারা আমার আয়াতসমূহে দৃঢ় বিশ্বাসী ছিল।







    Comment


    • #3
      আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সঠিক পথের অনুসারী হিসাবে কবুল করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        দ্বিতীয় পত্রের বাক্যটিতে ভুল হয়েছে মনে হচ্ছে। মাদরাসার প্রশাসন তাদের ’রুখেছে’ হবে হয়ত।

        Comment

        Working...
        X