মুরজিয়া: যা*দের ধোকা চেনা মুশকিল।
.
শাব্দিক অর্থ: মুরজিয়া শব্দটি ইরজা থেকে, যার অর্থ বিলম্বিত করা, অবকাশ দেয়া, ছাড় দেয়া।
পরিভাষায়: কোন ব্যক্তি ইমান আনার পর কুফুরী কোন কাজ করলেও তারা কাফির হবে না- এই আকীদার প্রবক্তাদের মুরজিয়া বলা হয়।
.
বিস্তারিত পরিচয়: মুরজিয়া হলো ইসলামের অনুসারীদের একটি ফের্কা। এরা খারেজিদের বিপরীত। খারেজিরা অনেক সাহাবিগণকে কাফির ঘোষণা করেছিল। কবিরাগুণাহকারীকেও তারা কাফির মনে করে। তাদের মতে, যে কোন কবিরা গোণাহ করলেই সে আর মুসলিম থাকতে পারবেনা সঙ্গে সঙ্গে কাফির হয়ে যাবে।
-এই খারেজিদের বিপরীত দল মুরজিয়াদের আকীদা হলো, ঈমান হলো অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার পর মুখে স্বীকৃতি ও আমল করার নাম। তবে, তাদের প্রাকটিক্যাল বিশ্বাস হলো যদি কেউ শিরকে আকবর( সার্বভৌমত্বে) করে বা কুফুরি করে বা উপরে বর্ণিত ঈমান ভঙ্গের কারণ কারো মধ্যে পাওয়া যায় তবে তাকে কাফির বলা যাবে না। ( ঈমান ভঙ্গের কারণ আবার পড়ুন) তারা মনে করে ঈমান আনলেই হলো, আর ভাঙবে না। তওবা করলে মাফ হবে।
.
মুর্জিয়াদের দল উপদল -
১) চরমপন্থী মুরজিয়া
(২) হকপন্থী মুরজিয়া
(৩). বিদাতি মুরজিয়া
--
তাদের উপদলগুলি-
(১) খারেজি মনোভাবাপন্ন মুরজিয়া
(২) কাদরিয়া মনোভাবাপন্ন মুরজিয়া
(৩)জাবরিয়া মনোভাবাপন্ন মুরজিয়া
(৪) খালেছ মুরজিয়া
.
একনযরে তাদের আকীদা-
----------------
*অন্তর দ্বারা ঈমান আনাই যথেষ্ট আমলে পরিণত করলে ভালো না করলে কাফির হবে না এমনকি-
* আল্লাহ ও তার রাসুলকে গালি দিলেও ( শাহবাগিদের ব্যাপারে বাংলাদেশে মাদখালি মুরজিয়াদের খেয়াল করবেন)
*আল্লাহর অলিদের শক্রতা করলেও কোন ক্ষতি নেই।
* ইসলাম উৎপাটনের জন্য মসজিদ ধ্বংস করা, কুরআনের মাসহাফ কিংবা মুমিনদের চূড়ান্ত অবমাননা করে, কাফেরদের চূড়ান্ত পর্যায়ে সম্মান করা কোনটাই কুফুরি নয়। ( কুফুরীর লক্ষণ তবে স্বয়ং কুফর নয়)
* আল্লাহর আইন, সার্বভৌমত্ব, ত্বগুত গ্রহণ, ত্বগুতকে বিধানদাতা মনে করলেও কাফির হবে না। ( এদের ভাষায়- সিসি,বাশারসহ আশেপাশের এরা মুসলিম শাসক, এদের বিরুদ্ধাচারণ করা খারেজিপনা)
* আল্লাহ তাআলার সিফাতি নামগুলো অস্বীকার করে।
* এরা বিশর বিন গাইয়্যাস আল মুরিসি এর অনুসারী। সে বলত যে, ঈমান হচ্ছে অন্তরের স্বীকৃতি ও জিহ্বার উচ্চারণের সমন্বয়, আর কুফর হল অস্বীকার করা ও প্রত্যাখান করা। তাই তারা বলত যে কোন মূর্তির সামনে সিজদা করা কুফর নয়, কুফরের চিহ্ন মাত্র।
*মাদখালিদের মাঝে এখন এমনই সব উপসর্গ দেখা যায়।
----------------------------------------------------------
মুরজিয়াদের উৎপত্তি
শীআ, খারেজিদের উৎপত্তির পরেই এদের বিকাশ লাভ হয়। ইরাকের কুফা এদের *উৎপত্তিস্থল। মুহাম্মাদ ইবনে কাররাম এর মত লোকেরা এ মতবাদের নেতৃত্বে ছিল।
.
হাল যামানায় খারেজি, মু‘তাযেলা বিদ্যমান থাকলেও যেমন চেনা যায়না ঠিক তেমনি বর্তমানের মুরজিয়াদের চেনা খুবই মুশকিল। এরা এখন অনেক উচ্চ শিক্ষিত। বিশেষ করে সৌদি আরবের রাস্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতায় এরা বিভিন্ন ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম ধারণ করে এরা এদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এদের চেনা খুবই মুশকিল।
’
ক্রমবিকাশ ও ধারাহিকতা
যুগে যুগে এ চিন্তার লালন হতে থাকে। কখনও স্বেচ্চায় আর কখনও বাধ্য হয়ে। কারণ হকপন্থি দল হলো ‘ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামআহ’ এইটা হলো রাসুলের রেখে যাওয়া আকীদার ধারক-বাহক। কিন্তু ইসলামে সামরিক শক্তি কমে যাওয়ার পর এই হক দলের উপর খড়গ নেমে আসে যা এখনো চলমান।
.
বিপরীতে সকল বাতিল শক্তিই ত্বগুতের পৃষ্ঠপোষক। তাই মুরজিয়ারা রাস্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় এখনো অনেকে অজান্তেই তাদের বিশ্বাস লালন করেন। কারণ, ছহীহ বিশ্বাস মানেই ত্বগুতের রক্তচক্ষু যা দূর্বল ঈমানদাররা দেখে ভয় পেয়ে এমনিতেই চুপসে যায় এবং মুরজিয়া আকীদার অনুসারী হয়। এবং এটা এই চরম সংকটময় মুহুর্তেও তারা নিরাপদ। ভাইয়েরা ভাবুন তারা কারা? কোন লিবাসে কারা পশ্চিমাদের নিরাপত্তা ও দাওয়াত পায়?
-
নব্য মুরজিয়া
.
মুরজিয়া আকীদা যে ভ্রান্ত এটা বুঝা খুবই কঠিন। এবং এ যামানায় আরো কঠিন। নব্য মুরজিয়াগণ বর্তমান কোনঠাসা ইসলামের এ প্রতিকুল পরিবেশে ত্বগুত সরকারের সকল ঈমান বিধ্বংসি কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিয়ে যায় এমনকি বিশ্বের কুফফার শক্তিকেও তারা ইসলামের খাদেম বলে প্রচার করে।
--
পরিশেষ: ইসলামের ঘোষণা হলো, ক. বর্জন করা খ. গ্রহণ করা।
এই নীতির আলোকে প্রথমে এই মুর্জিয়াদের বর্জন করা ঈমানের দায়ীত্ব। এরপর আল্লাহর দ্বীনকে গ্রহণ করা। ভাইয়েরা, অনেকে দ্বীন গ্রহণ করেছেন কিন্তু ত*গুতকে বর্জন করেন নি বা ভাবেন নি। তাই আসুন, নতুন মুর্জিয়াদের বর্জন করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।
-সংগৃহীত
.
শাব্দিক অর্থ: মুরজিয়া শব্দটি ইরজা থেকে, যার অর্থ বিলম্বিত করা, অবকাশ দেয়া, ছাড় দেয়া।
পরিভাষায়: কোন ব্যক্তি ইমান আনার পর কুফুরী কোন কাজ করলেও তারা কাফির হবে না- এই আকীদার প্রবক্তাদের মুরজিয়া বলা হয়।
.
বিস্তারিত পরিচয়: মুরজিয়া হলো ইসলামের অনুসারীদের একটি ফের্কা। এরা খারেজিদের বিপরীত। খারেজিরা অনেক সাহাবিগণকে কাফির ঘোষণা করেছিল। কবিরাগুণাহকারীকেও তারা কাফির মনে করে। তাদের মতে, যে কোন কবিরা গোণাহ করলেই সে আর মুসলিম থাকতে পারবেনা সঙ্গে সঙ্গে কাফির হয়ে যাবে।
-এই খারেজিদের বিপরীত দল মুরজিয়াদের আকীদা হলো, ঈমান হলো অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার পর মুখে স্বীকৃতি ও আমল করার নাম। তবে, তাদের প্রাকটিক্যাল বিশ্বাস হলো যদি কেউ শিরকে আকবর( সার্বভৌমত্বে) করে বা কুফুরি করে বা উপরে বর্ণিত ঈমান ভঙ্গের কারণ কারো মধ্যে পাওয়া যায় তবে তাকে কাফির বলা যাবে না। ( ঈমান ভঙ্গের কারণ আবার পড়ুন) তারা মনে করে ঈমান আনলেই হলো, আর ভাঙবে না। তওবা করলে মাফ হবে।
.
মুর্জিয়াদের দল উপদল -
১) চরমপন্থী মুরজিয়া
(২) হকপন্থী মুরজিয়া
(৩). বিদাতি মুরজিয়া
--
তাদের উপদলগুলি-
(১) খারেজি মনোভাবাপন্ন মুরজিয়া
(২) কাদরিয়া মনোভাবাপন্ন মুরজিয়া
(৩)জাবরিয়া মনোভাবাপন্ন মুরজিয়া
(৪) খালেছ মুরজিয়া
.
একনযরে তাদের আকীদা-
----------------
*অন্তর দ্বারা ঈমান আনাই যথেষ্ট আমলে পরিণত করলে ভালো না করলে কাফির হবে না এমনকি-
* আল্লাহ ও তার রাসুলকে গালি দিলেও ( শাহবাগিদের ব্যাপারে বাংলাদেশে মাদখালি মুরজিয়াদের খেয়াল করবেন)
*আল্লাহর অলিদের শক্রতা করলেও কোন ক্ষতি নেই।
* ইসলাম উৎপাটনের জন্য মসজিদ ধ্বংস করা, কুরআনের মাসহাফ কিংবা মুমিনদের চূড়ান্ত অবমাননা করে, কাফেরদের চূড়ান্ত পর্যায়ে সম্মান করা কোনটাই কুফুরি নয়। ( কুফুরীর লক্ষণ তবে স্বয়ং কুফর নয়)
* আল্লাহর আইন, সার্বভৌমত্ব, ত্বগুত গ্রহণ, ত্বগুতকে বিধানদাতা মনে করলেও কাফির হবে না। ( এদের ভাষায়- সিসি,বাশারসহ আশেপাশের এরা মুসলিম শাসক, এদের বিরুদ্ধাচারণ করা খারেজিপনা)
* আল্লাহ তাআলার সিফাতি নামগুলো অস্বীকার করে।
* এরা বিশর বিন গাইয়্যাস আল মুরিসি এর অনুসারী। সে বলত যে, ঈমান হচ্ছে অন্তরের স্বীকৃতি ও জিহ্বার উচ্চারণের সমন্বয়, আর কুফর হল অস্বীকার করা ও প্রত্যাখান করা। তাই তারা বলত যে কোন মূর্তির সামনে সিজদা করা কুফর নয়, কুফরের চিহ্ন মাত্র।
*মাদখালিদের মাঝে এখন এমনই সব উপসর্গ দেখা যায়।
----------------------------------------------------------
মুরজিয়াদের উৎপত্তি
শীআ, খারেজিদের উৎপত্তির পরেই এদের বিকাশ লাভ হয়। ইরাকের কুফা এদের *উৎপত্তিস্থল। মুহাম্মাদ ইবনে কাররাম এর মত লোকেরা এ মতবাদের নেতৃত্বে ছিল।
.
হাল যামানায় খারেজি, মু‘তাযেলা বিদ্যমান থাকলেও যেমন চেনা যায়না ঠিক তেমনি বর্তমানের মুরজিয়াদের চেনা খুবই মুশকিল। এরা এখন অনেক উচ্চ শিক্ষিত। বিশেষ করে সৌদি আরবের রাস্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতায় এরা বিভিন্ন ভালো ও গ্রহণযোগ্য নাম ধারণ করে এরা এদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এদের চেনা খুবই মুশকিল।
’
ক্রমবিকাশ ও ধারাহিকতা
যুগে যুগে এ চিন্তার লালন হতে থাকে। কখনও স্বেচ্চায় আর কখনও বাধ্য হয়ে। কারণ হকপন্থি দল হলো ‘ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামআহ’ এইটা হলো রাসুলের রেখে যাওয়া আকীদার ধারক-বাহক। কিন্তু ইসলামে সামরিক শক্তি কমে যাওয়ার পর এই হক দলের উপর খড়গ নেমে আসে যা এখনো চলমান।
.
বিপরীতে সকল বাতিল শক্তিই ত্বগুতের পৃষ্ঠপোষক। তাই মুরজিয়ারা রাস্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় এখনো অনেকে অজান্তেই তাদের বিশ্বাস লালন করেন। কারণ, ছহীহ বিশ্বাস মানেই ত্বগুতের রক্তচক্ষু যা দূর্বল ঈমানদাররা দেখে ভয় পেয়ে এমনিতেই চুপসে যায় এবং মুরজিয়া আকীদার অনুসারী হয়। এবং এটা এই চরম সংকটময় মুহুর্তেও তারা নিরাপদ। ভাইয়েরা ভাবুন তারা কারা? কোন লিবাসে কারা পশ্চিমাদের নিরাপত্তা ও দাওয়াত পায়?
-
নব্য মুরজিয়া
.
মুরজিয়া আকীদা যে ভ্রান্ত এটা বুঝা খুবই কঠিন। এবং এ যামানায় আরো কঠিন। নব্য মুরজিয়াগণ বর্তমান কোনঠাসা ইসলামের এ প্রতিকুল পরিবেশে ত্বগুত সরকারের সকল ঈমান বিধ্বংসি কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিয়ে যায় এমনকি বিশ্বের কুফফার শক্তিকেও তারা ইসলামের খাদেম বলে প্রচার করে।
--
পরিশেষ: ইসলামের ঘোষণা হলো, ক. বর্জন করা খ. গ্রহণ করা।
এই নীতির আলোকে প্রথমে এই মুর্জিয়াদের বর্জন করা ঈমানের দায়ীত্ব। এরপর আল্লাহর দ্বীনকে গ্রহণ করা। ভাইয়েরা, অনেকে দ্বীন গ্রহণ করেছেন কিন্তু ত*গুতকে বর্জন করেন নি বা ভাবেন নি। তাই আসুন, নতুন মুর্জিয়াদের বর্জন করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।
-সংগৃহীত
Comment