Tweet
গতকাল হতে সোসাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের কাবুলে আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করছেন। এই ভিডিও ক্লিপ ইউজ করে আই এস সমর্থকরা পোস্ট করছে যে তালেবান অশ্লীলতা প্রমোট করছে এবং ইহুদি খ্রিস্টানদের নিকৃষ্ট দিবস গুলো উদযাপন করছে এবং করার সুযোগ করে দিয়েছে।
তাদের এই প্রপাগান্ডার বিষয়ে একটা নিরপেক্ষ ইনভেস্টিগেশন/ অনুসন্ধান করার পর আসল সত্য বের হয়ে এসেছে ।
যে ভিডিও ক্লিপটি ইউজ করে এই প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে সেই ভিডিও Vira tv নামক এক আফগান ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে।
ভিডিওটির লিংক
👇👇👇
ভিডিও দেখে আসুন এবং ভিডিওটি কবে আপলোড করা হয়েছে সময়টি নোট করে রাখুন বা মনে রাখুন
লিংকে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখলে পর আপনার মনে হবে তালেবান ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করার সুযোগ করে দিয়েছে।
এবং আমি যে বিষয়টি নোট করতে বলেছি সেটা নোট করলে দেখা যাবে ভিডিও টি আপলোড করা হয়েছে ২০২২ এর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে
যাইহোক
এবার আরেকটি লিংক দিচ্ছি এটায় প্রবেশ করুন
লিংকে ক্লিক করে ভিডিও টি দেখে আসুন এবং ভিডিওটি কবে আপলোড করা হয়েছে সেটা নোট করে রাখুন বা আপলোড করার সময়টি মনে রাখুন
লিংকে ক্লিক করে ভিডিও টি দেখলে আপনি দেখতে পাবেন প্রথমে দেখা ভিডিও এবং এই ভিডিও টি একই ভিডিও এবং এই ভিডিও টি আপলোড করা হয়েছে ২০২১ এর ১৪ ফেব্রুয়ারি।
ভিডিও দুটি দেখার পর নিশ্চয়ই আপনি চমকে গেছেন...!!
★কেননা প্রথম ভিডিও টি এবং দ্বিতীয় ভিডিওটি সম্পুর্ন একই
★এবং প্রথম ভিডিও টি আপলোড করা হয়েছে ২ দিন আগে অর্থ্যাৎ ২০২২ এর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে।
★এবং দ্বিতীয় ভিডিও টি আপলোড করা হয়েছে ১ বছর আগে অর্থাৎ ২০২১ এর ১৪ ফেব্রুয়ারীতে
একটা বিষয় চিন্তা করুন
ভাইরাল হওয়া ভিডিও টি যদি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির কাবুলের দৃশ্য হয় তাহলে ওই ভিডিও এক বছর পূর্বে ২০২১ ১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আপলোড করা হয়েছে কিভাবে...?
একটা অসম্ভব সমীকরণ হয়ে গেল না...?
আসলে ভিডিও টি এক বছর পূর্বের ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারীর যখন তালেবান মুজাহিদগন নয় বরং আমেরিকার গোলাম সরকার আফগানের ক্ষমতায় ছিলো ।
অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী [ https://m.youtube.com/watch?v=sieFT_Jsf-Y ] আসল ভিডিও টি আপলোড করা হয়েছে কিন্তু ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে একই ভিডিও টি [ https://m.youtube.com/watch?v=Emn39w8Su3Q ] আবার আপলোড করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে তালেবান অশ্লীলতা প্রমোট করছে এবং ইহুদি খ্রিস্টানদের নিকৃষ্ট দিবস গুলো উদযাপন করার সুযোগ করে দিয়েছে।
আপনারা যদি পোস্টে দেওয়া দুটি লিংকে ক্লিক করে দুটি ভিডিও এর আপলোড সময় যাচাই করেন তাহলে প্রকৃত সত্য আপনার সামনে উন্মোচন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ এবং ফেতনাবাজ আই এস খারেজিদের তালেবান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে চালানো মিথ্যা প্রপাগান্ডার অসারতা বুঝতে পারবেন।
তালেবানদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা প্রপাগান্ডার চালানোর সূত্রপাত vira tv চ্যানেল কতৃপক্ষের ১ বছর আগের ভিডিও নতুন করে আপলোড করার মাধ্যমে শুরু হয়েছে কিন্তু এই প্রপাগান্ডাকে বিশ্বের আনাচে কানাচে পৌঁছে দিয়েছে মিথ্যুক ফেতনাবাজ আই এস খারেজিরা।
আই এস খারেজিরা কি জানেনা
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُواقَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ .
হে মুমিনগণ! কোনো ফাসেক যদি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে, যাতে তোমরা অজ্ঞতাবশত কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বস। ফলে নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদেরকে অনুতপ্ত হতে হয়। সূরা হুজুরাত (৪৯) : ৬
আই এস খারেজিরা স্পষ্ট ভাবে পবিত্র কুরআনের এই আয়াতকে লঙ্ঘন করেছে। পবিত্র কুরআনের আয়াতের লঙ্ঘন অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুতরাং তালেবান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যে যে আই এস এই প্রপাগান্ডা চালিয়েছে প্রত্যেকেই কঠোর শাস্তির যোগ্য। তারা যদি তওবা করে খারেজিয়াত হতে ফিরে না আসে তবে তারা যেন দুনিয়া এবং আখেরাতের ভয়াবহ শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নেয়।
এখানে আরো একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তালেবান এবং আল কায়েদাকে নিয়ে আই এসের চালানো প্রত্যেক টা প্রপাগাণ্ডা নিয়ে একটু অনুসন্ধান চালালেই প্রকৃত সত্য উদঘাটন হয়ে যায় এবং আই এসের নির্লজ্জ মিথ্যাচার ধরা পড়ে।
✍️ আকিফ আল আদনান।
Comment