Announcement

Collapse
No announcement yet.

যুদ্ধের ডাক যখন আসবে তখন প্রস্তুতি নেব

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যুদ্ধের ডাক যখন আসবে তখন প্রস্তুতি নেব


    যুদ্ধেরডাক যখন আসবে তখন প্রস্তুতি নেব

    ولو أرادوا الخروج لأعدوا له عدة ولكن كره الله انبعاثهم فثبطهم وقيل اقعدوا مع القعرين(٤٦)
    আর যদি তারা জিহাদের জন্য বের হতে চাইত তাহলে নিশ্চয়ই প্রস্তুতি নিত। আল্লাহ তায়ালা চান না তারা জিহাদে যাক, তাই তিনি তাদেরকে বিরত রাখল জিহাদের বের হওয়া থেকে। আর বলা হল তোমরা, যারা বসে আছে তাদের সাথে বসে থাক।


    এই আয়াত মনাফিকদের ব্যপারে নাযিল হয়েছে। মুনফিক আবু ওয়াব বলেছিল, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)! আমি তো ঋণগ্রস্ত, আমি আশংকা করি বনি আসফার তথা রোমানদের দেখলে সবর করতে পরব না। আমাকে পরিক্ষায় ফেলবেন না, আমাকে বসে থকার অনুমতি দিন। তখন রাসূল (সাঃ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তাকে অনুমতি দিলেন।
    তাই আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ঐ সমস্ত মুনাফিকরা যদি আপনার সাথে জিহাদে বের হতে চাইত অথবা যুদ্ধ করার নিয়ত যদি তাদের থাকত তাহলে অবশ্যই যুদ্ধের জন্য অস্ত্রের ও পাথেয়ের প্রস্তুতি নিত। তাদের প্রস্তুতি না নেয়াই যুদ্ধে না যাওয়ার প্রমান।
    কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অপছন্দ তারা আপনার সাথে জিহাদে বের হবে।
    তিনি তাদের দৃঢ়তাকে চুর্ণ করে দিলেন, এবং তাদের অন্তরে অলসতা দিয়ে দিলেন [যাতে তারা বের হতে না পারে]
    তাদেরকে বলা হয়েছে, তোমরা পিছনের লোকদের সাথে বসে থাক, যেমন, মহিলা, না বালেগ বাচ্চা, ওজর গ্রস্ত ব্যক্ত বসে আছে জিহাদ করতে পারবে না বলে।
    [জিহাদে বের হওয়ার উপরে তারা পিছনে বসে থাকাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এই জন্য নিন্দা করা হয়েছে।]
    আয়াতটি আল্লহর রাসূল (সাঃ) এর জন্য সান্তনা স্বরুপ নাযিল করেছেন যে তারা রাসূলের সাথে বের হবে না, কারণ তাদের বের হওয়াতে কোনো কল্যান নেই। বরং আষ্ট আর ক্ষতি।


    হায়! আমরা আমাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি যুদ্ধের ডাক যখন আসবে তখন আমরা ছুটে চলে যাব রনাঙ্গনে।
    যখন গাজওয়ায়ে হিন্দের ডাক দিবে আমরা ডাকে সাড়া দিব। অথচ তাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। প্রস্তুতির কোনো পরিকল্পনাও নেই। বলা হচ্ছে যখন যুদ্ধের ডাক দিবে তখন প্রস্ততি নেওয়ারও সুযোগ চলে আসবে।
    আমি বলি আরে ভাই! আসবে তো। তখন তুমি জিহাদ করবে না প্রস্তুতি নিবে।
    নাকি প্রস্তুতি না থাকায় বলবে আমি মাযুর আমার প্রস্তুতি নেই, শক্তি নেই এটা বলতে বলতে পিছন থেকে থেকে পালাবে!?!(আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন)আমিন।

    তখন তো এক ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, আপনি তো দিশে হারা হয়ে যাবেন। সময় থাকতে শরীরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। কোনো জিহদী সংগঠনে যুক্ত হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে থাকুন"
    আপনার কোনো প্রস্তুতি নেই আপনি তো মুজাহিদিনের কষ্টের কারণ হবেন।
    প্রস্তুতি না নেয়ার কারণে মুনাফিকদের কাতারেও পরে যেতে পারেন।
    মুনাফিকরা যুদ্ধে গেলে কষ্টই বৃদ্ধি করবে।
    আল্লাহ তায়ালা বলেন,


    لو خرجوا فيكم ما زادوكم الا خبالا و لأوضعوا خللكم يبغونكم الفتنة وفيكم سمعون لهم ، والله عليم بالظالمين
    যদি তারা তোমাদের সাথে বের হত তাহলে তোমাদের অকল্যাণ ও বিপর্যয় বৃদ্ধি করত। আর তোমাদের মাঝে কুৎসা রটনা করত। আর তারা তো তোমাদের মাঝে শত্রুতা লাগিয়ে ফিতনা তালাশ করে। আর তোমাদের মাঝে এমন কিছু দূর্বল অন্তরের লোক আছে যারা তাদের (মুনাফিকদের) কথার দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং তাদের আনুগত্য করে। এবং আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের বাহ্যিক অভ্যন্তরিন সকল বিষয় জানেন।


    আল্লাহ তায়ালা আমাদের যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবার আগে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার তাওফিক দান করে। আমিন।
    \---------------------/





    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-28-2022, 05:18 PM.

  • #2
    যাজাকাল্লাহু খাইরান!
    শাইখ শহিদ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিঃ বলেন - জিহাদের বিধান দুই ধরনের!
    ফরজে কিফায়া, ফরজে আইন। কিন্তু ইদাদ গ্রহণ করা ফরজে আইন! সবার জানতে হবে। যখন খিলাফাহ কায়েম থাকে। তখন ইকদামী জিহাদ পরিচালিত হয়। যেমন খুলাফায়ে রাশিদিনের যুগ। তখন সবার উপর জিহাদ ফরজ নয়। আর যখন খিলাফাহ না থাকে তখন ফরজে আইন। যেমন বর্তমান সময়ের জিহাদ। এটাকে দিফায়ী জিহাদও বলা হয়।
    বিঃদ্রঃ খিলাফাহ দ্বারা বর্তমান দাওলাতুল ইসলাম আই এস উদ্দেশ্য নয়! কেননা তারা দ্বীন কায়েমে ভ্রান্ত ফিরকা খারেজীদের মানহজ গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ তারা ঢালাওভাবে মুসলিমদেরকে তাকফীর ফাতওয়া দিয়েছে। যার অনিবার্য কাজ হলো ঢালাওভাবে হত্যা করা। এবং তারা শামে ইরাকে সোমালিয়া করেছে।
    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন! আমিন!

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লাহ খাইরান আঁখি

      Comment


      • #4
        Originally posted by salam bin kalam View Post
        আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন! আমিন!
        আমিন আমিন সুম্মা আমিন

        Comment


        • #5
          Originally posted by Jakaria Mahmood View Post
          জাজাকাল্লাহ খাইরান আঁখি
          ওয়া ইয়্যাকা

          Comment


          • #6
            জিহাদ অন্য কোন ইবাদতের মত নয় যে যখন তখন করা যাবে জিহাদের জন্য দুনিয়াবি অনেক উপকরনের প্রয়োজন হয়ে থাকে সুতরাং অন্যান্য কাজের জন্য যেমনি ভাবে এর সকল উপকরণ পূর্ব থেকে প্রস্তুত করে রাখতে হয় তেমনি ভাবে জিহাদের উপকরণ গুলোও পূর্ব থেকে প্রস্তুত করে রাখতে হবে।
            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

            Comment

            Working...
            X