সাবধান! দ্বীনের ব্যাপারে আপনি প্রতারিত হচ্ছেন না তো?
-শায়েখ তামিম আল-আদনানী হাফিযাহুল্লাহ
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! অনেক দিন থেকে আপনাদের সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনা করতে চাচ্ছিলাম কিন্তু ব্যস্ততা ও কাজের ভিড়ে তা সম্ভব হয়ে উঠছিলনা। আকিদা নিয়ে মূল আলোচনা শুরু করার পূর্বে ভূমিকা স্বরূপ আমরা এই আলোচনা টি করে ফেলতে চাই আমরা আশা করব আপনারা বিষয়টি অন্তরের গভীর থেকে অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।
প্রিয় ভাই! একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবী যেন প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে চলমান ঘটনা প্রবাহ কানপাতলে আপনি শুনতে পাবেন নানান উত্থান পতনের অভিস্রান্ত পদধ্বনি, মুসলিম উম্মাহর মাঝে দেখা যাচ্ছে তাওহিদ ই'দাদ ও জিহাদের এক অাশ্চর্য জাগরণ। শতাব্দীর লাঞ্ছনা ছুড়ে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর এক আশ্চর্য প্রয়াস, একটু খিয়াল করলে আপনি আরো দেখতে পাবেন কাফেরদের ভীতসন্ত্রস্ত চেহারা।
উম্মাহর এই পুনর্জাগরণ দেখে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে, কিভাবে উত্তানকে থামিয়ে দেয়া যায় চার দিকে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে অসংখ্য ফিতনার জাল, আজ অত্যান্ত মারাত্মক একটি ফিতনা সম্পর্কে আপনাদের সর্তক করতে চাই। আর তা হল উম্মাহকে অনৈক্য ও দলাদলির দিকে ঠেলে দেওয়ার ফিতনা।
প্রিয় ভাই! মুসলিম উম্মাহর উত্থান ও জাগরণ নির্ভর করে তাদের ঈমানের দৃঢ়তা ও পারস্পরিক ঐক্যেরর উপর নিজেদের মধ্যে হানাহানি ও দলাদলির কোনো জাতি কখনো নিজের পায়ে দাড়াঁতে পারেনা। আল্লাহর অসীম রহমতে বাংলার এই ভূমিতে দাওয়ার ময়দানে বেশ কিছুদিন কজ করার সৌভাগ্য নসীব হয়েছে এই সময় গুলোতে এই দেশের দা'য়ী ভাইদের কাছ থেকে দেখেছি, দেখেছি তাদের দাওয়া দেওয়ার নানান পথ ও পদ্ধতি।
আমরা গভীর ভাবে লক্ষ্য করেছি আমাদেরও অনেক দা'য়ী ভাই জেনে বা না জেনে -বুঝে না বা না বুঝে, উম্মাহর মাঝে নতুন কোনো ফিতনার বীজ বপন করেছেন। কিংবা পূর্ব থেকে চলে আসা কোনো ফিতনাকে নতুনভাবে বাজারজাত করেছেন এই ফিতনা হল দ্বীনের ফুরুয়ী ও শাখাগত বিষয় নিয়ে মতবিরুদ্ধ উসকে দিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত করা, এটি একটি বড় জঘন্য ফিতনা যা উম্মাহর উদ্দ্যম ও শক্তিকে নিঃশেষ করে দেয়। জাতির ভবিষ্যৎকে গলাটিপে হত্যা করে উম্মাহকে অনিবার্য ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
প্রিয় ভাই! আপনার চারপাশে একটু লক্ষ্য করুন আপনি দেখবেন কিছু মুস্তাহাব আমল করবে কি করবেনা এটি নিয়ে একদল অবুঝ ভাই মুসলমানদেরকে দলাদলির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। রফে ইয়াদাইন করবে কি করবেনা আমীন জোড়ে বলবে নাকি অাস্তে বলবে হাত বুকের উপর বাধবে নাকি নাভির নিচে বাধবে ইত্যাদির মত মুস্তাহাব বিষয় নিয়ে মসজিদগুলোতে রীতিমত দাঙ্গাহাঙ্গামা হচ্ছে।
এই সামান্য বিষয়গুলো নিয়ে মুসলিমদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে ফেলা হচ্ছে এই মুস্তাহাব আমালগুলো করা বা না করার ভিত্তিতে মুসলিমদের কাফের পর্যন্ত বলা হচ্ছে -নাউজু বিল্লাহি মিন জালিক! আপনি আরো দেখবেন ইলমি অঙ্গনগুলো থেকে ছোট থেকে ছোট বিষয় নিয়েও চুলছেড়া বিশ্লেষণ আসছে,পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ব্যয়করা হচ্ছে ফুরুয়ী ও শাখাগত মাসঅালা গুলোতে, আবার অনেক সময় এই তারাই ই'দাদ জিহাদ ও ইকামতে দ্বীনের পথ ও পদ্ধতির মত মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে নতুন নতুন ভ্রান্তি জন্ম দিচ্ছেন।
এদিকে সাধারণ জনগণের সামনে এখনো আমরা ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে পারিনি "তাওহিদ, শিরক, ওয়ালা-বারা, নাওয়াকিজুল ইমানের মত অপরিহার্য আলোচনা যেগুলোর উপর মানুষের ঈমান ও আকিদার বিশুদ্ধতা নির্ভরকরে সেগুলোর কথা যেন সবাই ভুলে গেছে। ইসলামি ভূখন্ডের প্রতিরক্ষা, নিপীড়িত উম্মাহর হেফাজত এবং ইকামতের দ্বীনের জন্য ই'দাদ ও জিহাদের ফরজ আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে তা নিয়েও আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
অনেক দা'য়ী আছেন যারা কবর ও মাজার পূজার শিরক নিয়ে খুবই সোচ্চার, কিন্তু তারা কুফরি গনতন্ত্র রাষ্ট্রীয় শিরিকের ব্যাপারে একেবারেই নিরব বরং আমরা অত্যান্ত অাশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি যারা এই ঈমান বিধ্বংসী শিরিকের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তারা তাদেরকে জঙ্গি ও খারেজি টেক লাগাচ্ছেন। দূর্বল জনসাধারণের শিরক নিয়ে কথা বলা যেমন জরুরী তেমনি ভাবে রাষ্ট্রের শক্তিধর এমপি-মন্ত্রীদের শিরক নিয়ে কথা বলাও আরো বেশি জরুরী। কারণ তারা নিজেরা তো, শিরক করছেই আবার দেশের জনগণকেও শিরিকে লিপ্ত করতে বাধ্য করছে নাউজু বিল্লাহি মিন জালিক!
প্রিয় ভাই! যারা দ্বীনের শাখাগত মাসায়িল নিয়ে বির্তক উসকে দেয় দলাদলি করে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন, যারা আপনার মুসলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করে আপনার মুসলিম ভাইয়ের ব্যাপারে আপনার মনে ঘৃণা ও বিদ্ধেষের বীজবপন করে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করুন আপনার দুশমন সে সব কাফের ও মুশরিকের দল যারা পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিতে মুসলিমদের রক্ত ঝরাচ্ছে ফুলের মত শিশুদের বোমার অাঘাতে ছিন্ন-বিন্ন করছে।
আপনার মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করছে টনের পর টন বোমা ফেলে একের পর এক মুসলিম জনপথ গুলোতে ছারখার করে দিচ্ছে। আপনার দুশমন কাফেরদের বসানো ঐ তাগুত শাসকগোষ্ঠী যারা আল্লাহর কুরআনকে পিছনে ছুড়ে ফেলে মুসলিমদের উপর কুফুরি সংবিধান চাপিয়ে দিয়েছে যারা সমাজে কুফুর, শিরক, জুলুম, হত্যা, লুণ্ঠন, ব্যাভিচার ও লুটপাটের বিস্তার ঘটিয়ে সমাজকে জাহান্নামে পরিণত করেছে।
যারা সুদভিত্তিক অর্থনিতি প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে, যারা মদ-জুয়ার লাইসেন্স দিয়েছে, যারা জেলায় জেলায় পতিতালয় খুলেছে, যারা পতিতাদের যৌনকর্মী হিসাবে লাইসেন্স দিয়েছে, যারা বিয়েকে কঠিন করে ব্যাভিচারের পথকে সহজ করে দিয়েছে। আপনার দুশমন হল সেই সব মালাউন মুশরিক যারা উপমহাদেশে বৃহত্তম রামরাজত্ব কায়েম করতে চায়, আর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকেও সে রাম রামরাজত্বের অংশ বানাতে চায়।
ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ার "র" আর দেশিও ইস্কনের সন্ত্রাসীরা এই পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে এদের বিরুদ্ধে জেগে উঠাই সময়ের অনিবার্য দাবী। প্রিয় নবীﷺমের প্রতিশ্রুতি গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য বুদ্ধিবৃদ্ধিক ও সাময়িক প্রস্তুতি এখন যুগের অপরিহার্য দাবী।
প্রিয় ভাই! এই নাজুক মূহুর্তে যারা শাখাগত কিছু মাসায়িল ও মুস্তাহিব কিছু আমল নিয়ে আলোচনা করে আপনার অাবেগ নিয়ে খেলছে, যারা দ্বীনের মূল দাবী ও চাহিদা থেকে আপনার দৃষ্টি অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের দিকে সড়িয়ে আপনাকে প্রতারিত করছে, যারা ফুরুয়ী এখতেলাফ চর্চা করে নিজেদের মুহাক্কিক শাইখ হিসাবে জাহির করছে, যারা কাফিরদের পরিবর্তে আপনার মুসলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনাকে উসকে দিচ্ছে তাদের ফিতনা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখুন। দেশের হক্কানি ওলামায়ে কেরাম একং মুখলিস দা'য়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন যারা দ্বীন ও সময়ের চাহিদা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন।
প্রিয় ভাই! আপনি ইসলামের মৌলিক আকিদাগুলো অন্তরে গেঁথে নিন , ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আল্লাহর সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে মজবুত করুন আপনার মুমিন ভাইদের মাঝে ঐক্য ও ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করুন, সমাজে বিশুদ্ধ আকিদা ও নববী মানহাযের দাওয়াত ছড়িয়ে দিন আপনার আসল শত্রুদের চিহৃিত করুন, কুরআন সুন্নাহর নির্দেশিত ই'দাদ ও জিহাদের এই মোবারক অঙ্গনে আপনিও ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
পরিশেষে দোয়া করি আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন আমাদের সিরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল অবিচল রাখুন আমীন। ইয়া রব্বাল আলামিন।
-শায়েখ তামিম আল-আদনানী হাফিযাহুল্লাহ
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! অনেক দিন থেকে আপনাদের সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনা করতে চাচ্ছিলাম কিন্তু ব্যস্ততা ও কাজের ভিড়ে তা সম্ভব হয়ে উঠছিলনা। আকিদা নিয়ে মূল আলোচনা শুরু করার পূর্বে ভূমিকা স্বরূপ আমরা এই আলোচনা টি করে ফেলতে চাই আমরা আশা করব আপনারা বিষয়টি অন্তরের গভীর থেকে অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।
প্রিয় ভাই! একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবী যেন প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে চলমান ঘটনা প্রবাহ কানপাতলে আপনি শুনতে পাবেন নানান উত্থান পতনের অভিস্রান্ত পদধ্বনি, মুসলিম উম্মাহর মাঝে দেখা যাচ্ছে তাওহিদ ই'দাদ ও জিহাদের এক অাশ্চর্য জাগরণ। শতাব্দীর লাঞ্ছনা ছুড়ে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর এক আশ্চর্য প্রয়াস, একটু খিয়াল করলে আপনি আরো দেখতে পাবেন কাফেরদের ভীতসন্ত্রস্ত চেহারা।
উম্মাহর এই পুনর্জাগরণ দেখে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে, কিভাবে উত্তানকে থামিয়ে দেয়া যায় চার দিকে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে অসংখ্য ফিতনার জাল, আজ অত্যান্ত মারাত্মক একটি ফিতনা সম্পর্কে আপনাদের সর্তক করতে চাই। আর তা হল উম্মাহকে অনৈক্য ও দলাদলির দিকে ঠেলে দেওয়ার ফিতনা।
প্রিয় ভাই! মুসলিম উম্মাহর উত্থান ও জাগরণ নির্ভর করে তাদের ঈমানের দৃঢ়তা ও পারস্পরিক ঐক্যেরর উপর নিজেদের মধ্যে হানাহানি ও দলাদলির কোনো জাতি কখনো নিজের পায়ে দাড়াঁতে পারেনা। আল্লাহর অসীম রহমতে বাংলার এই ভূমিতে দাওয়ার ময়দানে বেশ কিছুদিন কজ করার সৌভাগ্য নসীব হয়েছে এই সময় গুলোতে এই দেশের দা'য়ী ভাইদের কাছ থেকে দেখেছি, দেখেছি তাদের দাওয়া দেওয়ার নানান পথ ও পদ্ধতি।
আমরা গভীর ভাবে লক্ষ্য করেছি আমাদেরও অনেক দা'য়ী ভাই জেনে বা না জেনে -বুঝে না বা না বুঝে, উম্মাহর মাঝে নতুন কোনো ফিতনার বীজ বপন করেছেন। কিংবা পূর্ব থেকে চলে আসা কোনো ফিতনাকে নতুনভাবে বাজারজাত করেছেন এই ফিতনা হল দ্বীনের ফুরুয়ী ও শাখাগত বিষয় নিয়ে মতবিরুদ্ধ উসকে দিয়ে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত করা, এটি একটি বড় জঘন্য ফিতনা যা উম্মাহর উদ্দ্যম ও শক্তিকে নিঃশেষ করে দেয়। জাতির ভবিষ্যৎকে গলাটিপে হত্যা করে উম্মাহকে অনিবার্য ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
প্রিয় ভাই! আপনার চারপাশে একটু লক্ষ্য করুন আপনি দেখবেন কিছু মুস্তাহাব আমল করবে কি করবেনা এটি নিয়ে একদল অবুঝ ভাই মুসলমানদেরকে দলাদলির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। রফে ইয়াদাইন করবে কি করবেনা আমীন জোড়ে বলবে নাকি অাস্তে বলবে হাত বুকের উপর বাধবে নাকি নাভির নিচে বাধবে ইত্যাদির মত মুস্তাহাব বিষয় নিয়ে মসজিদগুলোতে রীতিমত দাঙ্গাহাঙ্গামা হচ্ছে।
এই সামান্য বিষয়গুলো নিয়ে মুসলিমদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে ফেলা হচ্ছে এই মুস্তাহাব আমালগুলো করা বা না করার ভিত্তিতে মুসলিমদের কাফের পর্যন্ত বলা হচ্ছে -নাউজু বিল্লাহি মিন জালিক! আপনি আরো দেখবেন ইলমি অঙ্গনগুলো থেকে ছোট থেকে ছোট বিষয় নিয়েও চুলছেড়া বিশ্লেষণ আসছে,পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ব্যয়করা হচ্ছে ফুরুয়ী ও শাখাগত মাসঅালা গুলোতে, আবার অনেক সময় এই তারাই ই'দাদ জিহাদ ও ইকামতে দ্বীনের পথ ও পদ্ধতির মত মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে নতুন নতুন ভ্রান্তি জন্ম দিচ্ছেন।
এদিকে সাধারণ জনগণের সামনে এখনো আমরা ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে পারিনি "তাওহিদ, শিরক, ওয়ালা-বারা, নাওয়াকিজুল ইমানের মত অপরিহার্য আলোচনা যেগুলোর উপর মানুষের ঈমান ও আকিদার বিশুদ্ধতা নির্ভরকরে সেগুলোর কথা যেন সবাই ভুলে গেছে। ইসলামি ভূখন্ডের প্রতিরক্ষা, নিপীড়িত উম্মাহর হেফাজত এবং ইকামতের দ্বীনের জন্য ই'দাদ ও জিহাদের ফরজ আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে তা নিয়েও আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
অনেক দা'য়ী আছেন যারা কবর ও মাজার পূজার শিরক নিয়ে খুবই সোচ্চার, কিন্তু তারা কুফরি গনতন্ত্র রাষ্ট্রীয় শিরিকের ব্যাপারে একেবারেই নিরব বরং আমরা অত্যান্ত অাশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি যারা এই ঈমান বিধ্বংসী শিরিকের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তারা তাদেরকে জঙ্গি ও খারেজি টেক লাগাচ্ছেন। দূর্বল জনসাধারণের শিরক নিয়ে কথা বলা যেমন জরুরী তেমনি ভাবে রাষ্ট্রের শক্তিধর এমপি-মন্ত্রীদের শিরক নিয়ে কথা বলাও আরো বেশি জরুরী। কারণ তারা নিজেরা তো, শিরক করছেই আবার দেশের জনগণকেও শিরিকে লিপ্ত করতে বাধ্য করছে নাউজু বিল্লাহি মিন জালিক!
প্রিয় ভাই! যারা দ্বীনের শাখাগত মাসায়িল নিয়ে বির্তক উসকে দেয় দলাদলি করে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন, যারা আপনার মুসলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করে আপনার মুসলিম ভাইয়ের ব্যাপারে আপনার মনে ঘৃণা ও বিদ্ধেষের বীজবপন করে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করুন আপনার দুশমন সে সব কাফের ও মুশরিকের দল যারা পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিতে মুসলিমদের রক্ত ঝরাচ্ছে ফুলের মত শিশুদের বোমার অাঘাতে ছিন্ন-বিন্ন করছে।
আপনার মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করছে টনের পর টন বোমা ফেলে একের পর এক মুসলিম জনপথ গুলোতে ছারখার করে দিচ্ছে। আপনার দুশমন কাফেরদের বসানো ঐ তাগুত শাসকগোষ্ঠী যারা আল্লাহর কুরআনকে পিছনে ছুড়ে ফেলে মুসলিমদের উপর কুফুরি সংবিধান চাপিয়ে দিয়েছে যারা সমাজে কুফুর, শিরক, জুলুম, হত্যা, লুণ্ঠন, ব্যাভিচার ও লুটপাটের বিস্তার ঘটিয়ে সমাজকে জাহান্নামে পরিণত করেছে।
যারা সুদভিত্তিক অর্থনিতি প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে, যারা মদ-জুয়ার লাইসেন্স দিয়েছে, যারা জেলায় জেলায় পতিতালয় খুলেছে, যারা পতিতাদের যৌনকর্মী হিসাবে লাইসেন্স দিয়েছে, যারা বিয়েকে কঠিন করে ব্যাভিচারের পথকে সহজ করে দিয়েছে। আপনার দুশমন হল সেই সব মালাউন মুশরিক যারা উপমহাদেশে বৃহত্তম রামরাজত্ব কায়েম করতে চায়, আর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকেও সে রাম রামরাজত্বের অংশ বানাতে চায়।
ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ার "র" আর দেশিও ইস্কনের সন্ত্রাসীরা এই পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে এদের বিরুদ্ধে জেগে উঠাই সময়ের অনিবার্য দাবী। প্রিয় নবীﷺমের প্রতিশ্রুতি গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য বুদ্ধিবৃদ্ধিক ও সাময়িক প্রস্তুতি এখন যুগের অপরিহার্য দাবী।
প্রিয় ভাই! এই নাজুক মূহুর্তে যারা শাখাগত কিছু মাসায়িল ও মুস্তাহিব কিছু আমল নিয়ে আলোচনা করে আপনার অাবেগ নিয়ে খেলছে, যারা দ্বীনের মূল দাবী ও চাহিদা থেকে আপনার দৃষ্টি অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের দিকে সড়িয়ে আপনাকে প্রতারিত করছে, যারা ফুরুয়ী এখতেলাফ চর্চা করে নিজেদের মুহাক্কিক শাইখ হিসাবে জাহির করছে, যারা কাফিরদের পরিবর্তে আপনার মুসলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনাকে উসকে দিচ্ছে তাদের ফিতনা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখুন। দেশের হক্কানি ওলামায়ে কেরাম একং মুখলিস দা'য়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন যারা দ্বীন ও সময়ের চাহিদা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন।
প্রিয় ভাই! আপনি ইসলামের মৌলিক আকিদাগুলো অন্তরে গেঁথে নিন , ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আল্লাহর সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে মজবুত করুন আপনার মুমিন ভাইদের মাঝে ঐক্য ও ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করুন, সমাজে বিশুদ্ধ আকিদা ও নববী মানহাযের দাওয়াত ছড়িয়ে দিন আপনার আসল শত্রুদের চিহৃিত করুন, কুরআন সুন্নাহর নির্দেশিত ই'দাদ ও জিহাদের এই মোবারক অঙ্গনে আপনিও ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
পরিশেষে দোয়া করি আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন আমাদের সিরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল অবিচল রাখুন আমীন। ইয়া রব্বাল আলামিন।
Comment