খন্ডিত সংস্কার - প্রচেষ্টা বনাম ইদাদ ও জিহাদের নববি মানহাজ।
-শাইখ তামিম আল-আদনানী হাফিজাহুল্লাহ
best free photo sharing
প্রিয় ভাই! আমরা দ্বীনি অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়া ফিতনা নিয়ে আলোচনা করছিলাম বিগত বৈঠকে আমরা "দ্বীনের খণ্ডিত চর্চার ফিতনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ আমরা আলোচনা করব "দ্বীনের খণ্ডিত সংস্কার-প্রচেষ্টার গোমরাহি নিয়ে " দ্বীনি অঙ্গনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সেখানে এক অদ্ভুত বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে সবাই যার যার মতকরে দ্বীনের খেদমত করার দাবী করছে অজ্ঞতা ও জাহালতের কারণে দ্বীনের বিভিন্ন শাখা প্রশাখাগুলোকে পরস্পরের প্রতিযোগী ও প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে ফেলা হয়েছে। দ্বীনের যেই শাখায় যেই হাত দিয়েছে সেই ওঠাকেই পরিপূর্ণ দ্বীন মনে করে বসেছে।
ইমামুল মুজাহিদিন "শায়েখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ একটি উপমা দিয়ে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন তিনি বলেন......... দ্বীন ইসলাম এখন হয়ে গেছে অন্ধ মানুষের হাতির মতো। অন্ধ হাতড়াতে হাতড়াতে হাতির যে অংশটিই ধরেছে সেটিকেই সে হাতি মনে করে বসে আছে। যে অন্ধের হাত লেজে পড়েছে, সে মনে করল, হাতি ঝুলন্ত নরম রশির মতো; যার হাত হাতির পেটে পড়েছে, সে মনে করল, হাতি দেয়ালের মতো আর যার হাত হাতির পায়ে পড়েছে সে মনে করল হাতি মোটা খুঁটির মতো। আমাদের দ্বীনচর্চার অবস্থাও আজ অনেকটা এমনই। যারা তালিমের ময়দানে গেছেন তারা ভাবতে শুরু করেছেন যে দ্বীন হলো তালিম-তাঅাল্লুম তথা মাদরাসায় ইলম শেখা ও শেখানোর নাম দাওয়াহ, তাজকিয়া, ইদাদ, জিহাদ এগুলোর দরকার নেই; যারা দাওয়াহর ময়দানে আছেন, তারা ভাবছেন দ্বীন হলো কেবল তাবলীগের নাম তালিম, তাজকিয়া, ইদাদ, জিহাদ ইত্যাদির কোনো দরকার নেই। এভাবে সবাই দ্বীনের একেকটি শাখাকে আঁকড়ে ধরেছে এবং দ্বীনের মূল চাহিদা ও দাবি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
প্রিয় ভাই! দ্বীনের এই শাখাগুলো পরস্পরের বিকল্পনয় বরং পরস্পরের পরিপূরক এই সবগুলো মিলিয়েই দ্বীন। সবগুলো শাখা প্রশাখাকে সম্রিদ্য করে তুলার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার অান্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে ইকামতে দ্বীন তথা দ্বীন প্রতিষ্ঠার মানহায ও পদ্ধতি হল দাওয়াহ, ইদাদ ও জিহাদ এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই রাসূল ﷺআরবের মাটিতে দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেখান থেকে ইসলাম পরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
কেবল তালিম, তাআল্লুমের মাধ্যমে কখনো জাহিলি সমাজ ব্যবস্থার পতন গঠানো সম্ভব নয়। তাই যারা ভাবছেন কেবল ইলম চর্চা করেই ইকামতে দ্বীনের ফরজ আদায় করে ফেলবেন এবং দেশে দ্বীন কায়েম হয়ে যাবে তা অাত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নয়। একিই ভাবে যারা কেবল খানকায় বসে জিকির আজকার কিংবা ওয়াজ নসিহার মাধ্যমে ইকামতে দ্বীনের ফরজ আদায়ের কথা ভাবছেন তারাও অাত্মপ্রবঞ্চনায় লিপ্ত হয়েছে। কেবল তালিম কিংবা তাজকিয়ার মাধ্যমে ইতিহাসে কোনো জাতি তাদের ইমান ও দ্বীনের হিফাজত করতে সক্ষম হয়নি।
কেবল তালিম ও তাজকিয়ার মাধ্যমে নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর হিফাজত এবং তাদের নেতৃত্ব ও কর্তিত্ব ফারিয়ে আনা কখনই সম্ভব নয়। প্রিয় নবী ﷺও তাঁর সাহাবাদের মানহাযের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই তাঁরা কোনো খণ্ডিত সংস্কার পচেষ্টা চালাননি তাঁরা ছিলেন "রুহবানুল লাইল ওয়া ফুরসানুন নাহার" রাতের নিমগ্ন সাধক এবং দিনে অশ্বারোহী সৈনিক। তাঁরা একদিকে রাসূলﷺমের কাছ থেকে ইলম অাহরণ করেছেন দাওয়ার কাজও করেছেন, তাজকিয়া ও অাত্মশুদ্ধির কাজও করেছেন এবং অপর দিকে ইকামতের দ্বীনের জন্য সারা জীবন ই'দাদ ও জিহাদ অভ্যাহৃত রেখেছেন। সকল সাহাবি আলিম ছিলেন না, সকল সাহাবি ফকিহ ছিলেন না, সকল সাহাবি ক্বারি ছিলেন না, কিন্তু সকল সাহাবি মুজাহিদ ছিলেন। আপনি একজন সাহাবি এমন পাবেননা যিনি জিহাদ করেননি।
প্রিয় ভাই! রাসূলﷺও সাহাবায়ে কিরাম রাদিঅাল্লাহু আনহুম আমাদের আদর্শ তাদের অনুস্রিত পথেই উম্মাহর মুক্তির পথ রাসূলুল্লাহ এর দেখানো ইদাদ ও জিহাদের পথ বাদ দিয়ে কেউ যদি কেবল মাদ্রাসা ভিত্তিক তাত্রিক ইসলাম চর্চার দিকে আহবান করে কিংবা খানকা ভিত্তিক সুফিযম তথা বৈরাগ্য বাদের দাওয়াহ দেয় অথবা অন্য কোনো ভাবে খণ্ডিত সংস্কারের প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলে তবে এইটি নিঃসন্দেহে গোমরাহি। আপনার তালিম, আপনার তাজকিয়া এবং আপনার দাওয়াহ তখনই অর্থপূর্ণ হবে যখন তা ইকামতে দ্বীনের পথে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
যে তালিম ইদাদ ও জিহাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যে পির-মুরিদি ইকামতে দ্বীনের কথা ভুলিয়ে দেয়, যে দাওয়াহ রাষ্ট্রের কুফর ও শিরকের বিরুদ্ধে নীরবতা পালন করে এমন তালিম তাজকিয়া ও দাওয়াহ নিঃসন্দেহে গোমরাহি। জাহিলি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে মেনে নিয়ে মুসলিম সমাজকে তাগুতের দয়ার উপর ছেড়ে দিয়ে তাগুতের বেধে দেওয়া গণ্ডির ভিতর আরামে দ্বীন গুজরান এই শিক্ষা রাসূলুল্লাহর নয়, এই বিষক্রিয়তার মানহায সাহাবাদের মানহায নয়।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বর্তমানে মুসলিম সমাজে এই গোমরাহি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানান ফেরকা বাজি ও দালাদলি। বড় আফসোসের সঙ্গে বলতে হয় যেই মাদ্রাসাগুলো থেকে ই'দাদ ফরজ হওয়ার ফতোয়া আসার কথা ছিল, যে দারুল ইফতাগুলো থেকে জিহাদ ফরজ হওয়ার ফতোয়া আসার কথা ছিল সেখান থেকে এখন জিহাদ হারাম হওয়ার ফতোয়া আসছে। যাদের দায়িত্ব ছিল ই'দাদ ও জিহাদের ব্যাপারে প্রচলিত সংশয়গুলো নিরসন করা, তারাই এখন নতুন নতুন সংশয় বাজারজাত করছেন। যে দা'য়ীদের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের শিরক ও কুফরের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা তারা নিজেরা সর্তক করছেই না, বরং যারা সর্তক করার চেষ্টা করছেন তাদেরকে জঙ্গি ও খারেজি টেক লাগাচ্ছে নাউজু বিল্লাহি মিন জালিক!
প্রিয় ভাই! দ্বীনের খণ্ডিত প্রচেষ্টার এই গোমরাহি থেকে সর্তক থাকোন, চলমান পরিস্থিতি ও বাস্তবতার আলোকে আপনার গারে কোন কোন ফরযগুলি আপতিত হয়েছে তা খিয়াল করুন ব্যক্তিগত এ পারিবারিক জীবনে পরিপূর্ণভাবে দ্বীন পালনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন দাওয়াহ, ই'দাদ ও জিহাদের ময়দানে সাধ্যানুযায়ী আপনার ফরয টুকু আদায় করুন ইনশাআল্লাহ......... দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানে আপনি সফল হবেন। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন আমীন, ইয়া রব্বাল আলামিন।
{দ্বীনচর্চা তখনই কাজে আসে যখন তা ইকামতে দ্বীনের সহায়ক হয়।}
-শাইখ তামিম আল-আদনানী হাফিজাহুল্লাহ
best free photo sharing
প্রিয় ভাই! আমরা দ্বীনি অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়া ফিতনা নিয়ে আলোচনা করছিলাম বিগত বৈঠকে আমরা "দ্বীনের খণ্ডিত চর্চার ফিতনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ আমরা আলোচনা করব "দ্বীনের খণ্ডিত সংস্কার-প্রচেষ্টার গোমরাহি নিয়ে " দ্বীনি অঙ্গনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সেখানে এক অদ্ভুত বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে সবাই যার যার মতকরে দ্বীনের খেদমত করার দাবী করছে অজ্ঞতা ও জাহালতের কারণে দ্বীনের বিভিন্ন শাখা প্রশাখাগুলোকে পরস্পরের প্রতিযোগী ও প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে ফেলা হয়েছে। দ্বীনের যেই শাখায় যেই হাত দিয়েছে সেই ওঠাকেই পরিপূর্ণ দ্বীন মনে করে বসেছে।
ইমামুল মুজাহিদিন "শায়েখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ একটি উপমা দিয়ে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন তিনি বলেন......... দ্বীন ইসলাম এখন হয়ে গেছে অন্ধ মানুষের হাতির মতো। অন্ধ হাতড়াতে হাতড়াতে হাতির যে অংশটিই ধরেছে সেটিকেই সে হাতি মনে করে বসে আছে। যে অন্ধের হাত লেজে পড়েছে, সে মনে করল, হাতি ঝুলন্ত নরম রশির মতো; যার হাত হাতির পেটে পড়েছে, সে মনে করল, হাতি দেয়ালের মতো আর যার হাত হাতির পায়ে পড়েছে সে মনে করল হাতি মোটা খুঁটির মতো। আমাদের দ্বীনচর্চার অবস্থাও আজ অনেকটা এমনই। যারা তালিমের ময়দানে গেছেন তারা ভাবতে শুরু করেছেন যে দ্বীন হলো তালিম-তাঅাল্লুম তথা মাদরাসায় ইলম শেখা ও শেখানোর নাম দাওয়াহ, তাজকিয়া, ইদাদ, জিহাদ এগুলোর দরকার নেই; যারা দাওয়াহর ময়দানে আছেন, তারা ভাবছেন দ্বীন হলো কেবল তাবলীগের নাম তালিম, তাজকিয়া, ইদাদ, জিহাদ ইত্যাদির কোনো দরকার নেই। এভাবে সবাই দ্বীনের একেকটি শাখাকে আঁকড়ে ধরেছে এবং দ্বীনের মূল চাহিদা ও দাবি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
প্রিয় ভাই! দ্বীনের এই শাখাগুলো পরস্পরের বিকল্পনয় বরং পরস্পরের পরিপূরক এই সবগুলো মিলিয়েই দ্বীন। সবগুলো শাখা প্রশাখাকে সম্রিদ্য করে তুলার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার অান্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে ইকামতে দ্বীন তথা দ্বীন প্রতিষ্ঠার মানহায ও পদ্ধতি হল দাওয়াহ, ইদাদ ও জিহাদ এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই রাসূল ﷺআরবের মাটিতে দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেখান থেকে ইসলাম পরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
কেবল তালিম, তাআল্লুমের মাধ্যমে কখনো জাহিলি সমাজ ব্যবস্থার পতন গঠানো সম্ভব নয়। তাই যারা ভাবছেন কেবল ইলম চর্চা করেই ইকামতে দ্বীনের ফরজ আদায় করে ফেলবেন এবং দেশে দ্বীন কায়েম হয়ে যাবে তা অাত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নয়। একিই ভাবে যারা কেবল খানকায় বসে জিকির আজকার কিংবা ওয়াজ নসিহার মাধ্যমে ইকামতে দ্বীনের ফরজ আদায়ের কথা ভাবছেন তারাও অাত্মপ্রবঞ্চনায় লিপ্ত হয়েছে। কেবল তালিম কিংবা তাজকিয়ার মাধ্যমে ইতিহাসে কোনো জাতি তাদের ইমান ও দ্বীনের হিফাজত করতে সক্ষম হয়নি।
কেবল তালিম ও তাজকিয়ার মাধ্যমে নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর হিফাজত এবং তাদের নেতৃত্ব ও কর্তিত্ব ফারিয়ে আনা কখনই সম্ভব নয়। প্রিয় নবী ﷺও তাঁর সাহাবাদের মানহাযের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই তাঁরা কোনো খণ্ডিত সংস্কার পচেষ্টা চালাননি তাঁরা ছিলেন "রুহবানুল লাইল ওয়া ফুরসানুন নাহার" রাতের নিমগ্ন সাধক এবং দিনে অশ্বারোহী সৈনিক। তাঁরা একদিকে রাসূলﷺমের কাছ থেকে ইলম অাহরণ করেছেন দাওয়ার কাজও করেছেন, তাজকিয়া ও অাত্মশুদ্ধির কাজও করেছেন এবং অপর দিকে ইকামতের দ্বীনের জন্য সারা জীবন ই'দাদ ও জিহাদ অভ্যাহৃত রেখেছেন। সকল সাহাবি আলিম ছিলেন না, সকল সাহাবি ফকিহ ছিলেন না, সকল সাহাবি ক্বারি ছিলেন না, কিন্তু সকল সাহাবি মুজাহিদ ছিলেন। আপনি একজন সাহাবি এমন পাবেননা যিনি জিহাদ করেননি।
প্রিয় ভাই! রাসূলﷺও সাহাবায়ে কিরাম রাদিঅাল্লাহু আনহুম আমাদের আদর্শ তাদের অনুস্রিত পথেই উম্মাহর মুক্তির পথ রাসূলুল্লাহ এর দেখানো ইদাদ ও জিহাদের পথ বাদ দিয়ে কেউ যদি কেবল মাদ্রাসা ভিত্তিক তাত্রিক ইসলাম চর্চার দিকে আহবান করে কিংবা খানকা ভিত্তিক সুফিযম তথা বৈরাগ্য বাদের দাওয়াহ দেয় অথবা অন্য কোনো ভাবে খণ্ডিত সংস্কারের প্রচেষ্টা চালানোর কথা বলে তবে এইটি নিঃসন্দেহে গোমরাহি। আপনার তালিম, আপনার তাজকিয়া এবং আপনার দাওয়াহ তখনই অর্থপূর্ণ হবে যখন তা ইকামতে দ্বীনের পথে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
যে তালিম ইদাদ ও জিহাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যে পির-মুরিদি ইকামতে দ্বীনের কথা ভুলিয়ে দেয়, যে দাওয়াহ রাষ্ট্রের কুফর ও শিরকের বিরুদ্ধে নীরবতা পালন করে এমন তালিম তাজকিয়া ও দাওয়াহ নিঃসন্দেহে গোমরাহি। জাহিলি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে মেনে নিয়ে মুসলিম সমাজকে তাগুতের দয়ার উপর ছেড়ে দিয়ে তাগুতের বেধে দেওয়া গণ্ডির ভিতর আরামে দ্বীন গুজরান এই শিক্ষা রাসূলুল্লাহর নয়, এই বিষক্রিয়তার মানহায সাহাবাদের মানহায নয়।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বর্তমানে মুসলিম সমাজে এই গোমরাহি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানান ফেরকা বাজি ও দালাদলি। বড় আফসোসের সঙ্গে বলতে হয় যেই মাদ্রাসাগুলো থেকে ই'দাদ ফরজ হওয়ার ফতোয়া আসার কথা ছিল, যে দারুল ইফতাগুলো থেকে জিহাদ ফরজ হওয়ার ফতোয়া আসার কথা ছিল সেখান থেকে এখন জিহাদ হারাম হওয়ার ফতোয়া আসছে। যাদের দায়িত্ব ছিল ই'দাদ ও জিহাদের ব্যাপারে প্রচলিত সংশয়গুলো নিরসন করা, তারাই এখন নতুন নতুন সংশয় বাজারজাত করছেন। যে দা'য়ীদের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের শিরক ও কুফরের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা তারা নিজেরা সর্তক করছেই না, বরং যারা সর্তক করার চেষ্টা করছেন তাদেরকে জঙ্গি ও খারেজি টেক লাগাচ্ছে নাউজু বিল্লাহি মিন জালিক!
প্রিয় ভাই! দ্বীনের খণ্ডিত প্রচেষ্টার এই গোমরাহি থেকে সর্তক থাকোন, চলমান পরিস্থিতি ও বাস্তবতার আলোকে আপনার গারে কোন কোন ফরযগুলি আপতিত হয়েছে তা খিয়াল করুন ব্যক্তিগত এ পারিবারিক জীবনে পরিপূর্ণভাবে দ্বীন পালনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন দাওয়াহ, ই'দাদ ও জিহাদের ময়দানে সাধ্যানুযায়ী আপনার ফরয টুকু আদায় করুন ইনশাআল্লাহ......... দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানে আপনি সফল হবেন। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন আমীন, ইয়া রব্বাল আলামিন।
{দ্বীনচর্চা তখনই কাজে আসে যখন তা ইকামতে দ্বীনের সহায়ক হয়।}
Comment