হাকিমুল উম্মাহ শাইখ আ'ই'মান জা'ও'য়া'হী'রী হাফিঃ...
#পটভূমিঃ
এইতো রিসেন্টলি গ্লোবাল জি'হা'দের সম্মানিত আমীর হাকিমুক উম্মাহ শাইখ জা'ও'য়া'হী'রী হাফিঃ কর্ণাটকে ঘটে যাওয়া এক মুসলিম নারীর তাকবীরের প্রশংসা করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু কিছু মানুষ তা মেনে নিয়েছেন, কিছু মানুষ তা বিরোধিতা করছেন। আজকে সেই বিষয়েই কিঞ্চিৎ আলোকপাত করবো ইন-শাআল্লাহ। #কথাগুলো_কেন_বলতে_হচ্ছেঃ একদল বিশেষজ্ঞের দাবিদার বিশেষ-অজ্ঞ'রা অভিযোগ তুলছেন-[সারমর্ম] “ভারতে হিন্দুত্ববাদের নখর থাবায় এমনিতেই মুসলিমরা অতিষ্ঠ, সেখানে কর্নাটকের সেই হিজাবকে কেন্দ্র করে তাকবীর দেয়া মুসকানকে নিয়ে একিউ প্রধানের বক্তব্য সম্পূর্ণই অযৌক্তিক” তারা আরো বলছেন [সারমর্ম] “এই বার্তা থেকে উম্মাহ কী ফায়দা পেলো? বরং এই বার্তার কারণে হিজাব নিয়ে তখন আন্দোলনরত প্রত্যেকের কাছে সাংবাদিক গিয়ে তাদেরকে ঝামেলা করছে, তাদেরকে প্রশাসনিক ভাবে কতটা চাপে রাখা হয়েছে আর গোয়েন্দা নজরে রাখা হয়েছে এবং তারা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি” #আসল_কথাঃ উক্ত কথাগুলো ঠিকই, কিন্তু উক্ত কথা বলে মন্তব্যকারীরা যেই উদ্দেশ্য নিয়েছে সেটায় মূলত আমার যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। #কারণ- এই ভূপৃষ্ঠ চলমান সময়ে সামগ্রিক নিরাপত্তার দিকদিয়ে সবচেয়ে পারফেক্ট দল হলো তানজিমুল কায়েদা [যা শত্রুরাও স্বীকৃত দিতে বাধ্য]। যারা যুগযুগ ধরে উম্মাহর কল্যাণে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলে বার্তা দিয়ে থাকেন, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়গুলো যারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে থাকেন, বাস্তবতা সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন, তাদের বিষয়ে প্রথমে নেগেটিভ কোন মন্তব্য করাকে আমি অবশ্যই ভেটো দিবো। দেখুন আপনি দেখবেন আপনার দৃষ্টি দিয়ে, কিন্তু একজন চেয়ারম্যান দেখবে আরো বড় দৃষ্টি দিয়ে, এমপি দেখবে আরো বড় পরিধি, এরকম যে যত বড় এলাকা নিয়ে আছেন তার দৃষ্টি ভঙ্গি মূলতই ততটা দূরদর্শি ও গভীর যা উপলব্ধি করতে আমাদের সময় লাগবে। যারা উপরোক্ত বোন মুসকানের পারিবারিক সামান্য পেরেশানিকে পুঁজি করে একিউ প্রধানের বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, তারা মূলত ওই সমস্ত অভিযোকারীদের মতো যারা “জিহাদ করার কারণে যেই মুসিবত আসে, সেই মুসিবতের কারণে জিহাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে”
#আচ্ছা_ধরুনঃ মেনেই নিলাম যে, একিউ প্রধানের বক্তব্য দ্বারা তাদের উপর ও ভারতের মুসলিমদের উপর চাপ আসবে, কিন্তু আসলেই কি বাস্তবতা এমনই??? একিউ প্রধানের বক্তব্য না হলে তারা বিপদে পড়তোনা? কখনো কি পড়েনি? মুসলিমরা কী একিউ প্রধানের বক্তব্য না হওয়ার আগপর্যন্ত কখনো নির্যাতিত হয়নি? তাহলে একিউ প্রধানের বক্তব্য'কে কেন প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে?? #বিপ্লব_সূচনা_কীভাবেঃ দেখুন পৃথিবীতে যত বড় বড় ঘটনা/দুর্ঘটনা ঘটেছেন বা বড় বড় বিপ্লব হয়েছে, তার সূচনাটা সামান্যই ছিলো। পরে তা বড় আকৃতি ধারণ করে। কিন্তু কেউ তো আর এটা জানেননা যে, মূলত কোনটার কারণেই মূল বিপ্লব ঘটবে, তাই আমাদের প্রতিটি বিষয়কেই মূল্যায়ন করা উচিত [যার যথার্থতা একিউ প্রধানের পক্ষ থেকে বার্তা আসার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে] #এক_বড়_ভাইয়ের_কাছে_শুনেছিলামঃ আফগানে যখন রুশ বিরুদ্ধে জিহাদ হয়, বিশ্বব্যাপী মূলত তখনকার থেকেই মুজাহিদদের গননা করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভিন্ন। কিছু মুজাহিদ দীর্ঘদিন ধরেই জনগনকে বুঝাতে চেয়েছিলেন যে, মানব রচিত বিধান কুফর ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু জনগন তা আনলেই নেয়নি। “হঠাৎই একদিন কমিউনিস্ট সমর্থকরা বোরখা আগুনে পুড়ে ফেললো” ব্যাস মুজাহিদ ও হকপন্থিরা এই সুযোগটাকেও কাজে লাগাতে চাইলেন। তারা কিন্তু এটা জানতেননা যে, ফলাফল কী হবে, মূলত তারা এই কমিউনিস্টদের ধৃষ্টতা উম্মাহর কাছে পৌঁছে দিয়ে একটু জাগরণ সৃষ্টি করতে চাচ্ছিলো, যেমনটি তারা মানব রচিত বিধান কুফর বলে জনগনকে জাগাতে চেয়েছিলেন। আল্লাহর কি রহমত, বোরখা আগুনে পোড়ার ঘটনাটি আফগান জাতি মেনে নিলোনা, বরং তারা ভাবলো নিজেদের আত্মমর্যাদায় আঘাত লেগেছে, ব্যাস তারা ময়দানে ঝাপিয়ে পড়লো।
#অথচ_দেখুনঃ বোরখা আগুনে পোড়ার চাইতেও শতগুন বেশি বড় অন্যায় হলো আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত বিধান প্রণয়ন করা, কিন্তু জনগনের জাগরণ হয়েছে সামান্য বোরখা আগুনে পোড়ার কারণেই।
#অতএব_এটাই_যথার্থঃ
একিউ প্রধান মূলতই একটি দাওয়াহ পৌঁছে দিয়ে একটি জাগরণ ও বিপ্লবের দিকেই উম্মাহকে ডাকছেন [যা সুস্পষ্ট] তাই তিনি দাওয়াহ মূলক বার্তাটি দিয়েছেন। এদিকে মুসলিম নারীর বীরত্বের বাস্তবতা যা মুশরিকদের সামনেই ঘটেছে সেই জন্য সেই নারী অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার উপযোগী
[একিউ প্রধানের বক্তব্যে তাও ফুটে উঠেছে]
#আর_ক্ষতির_দিকটাঃ দেখুন বড় কিছু চাইলে তো কিছু ক্ষতি হবেইই, আপনি এমন কোন ইসলানি সফলতা দেখান যেখানে তূলনামূলক কোন ক্ষয়-ক্ষতি, ভয় ইত্যাদি ছিলোনা, জ্বী! মাত্র একটি দৃষ্টান্ত দিন, কিন্তু আমি জানি আপনি পারবেননা। অতএব কিছু ক্ষতির দিকেই তাকিয়ে থেকে এর বড় বড় ভালো পজিটিভ বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যাওয়া কতটা যৌক্তিক??
আশাকরি বিষয়ট৭র জটিলতা আপনাদের নিকট সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিফাজত করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন
Collected
#পটভূমিঃ
এইতো রিসেন্টলি গ্লোবাল জি'হা'দের সম্মানিত আমীর হাকিমুক উম্মাহ শাইখ জা'ও'য়া'হী'রী হাফিঃ কর্ণাটকে ঘটে যাওয়া এক মুসলিম নারীর তাকবীরের প্রশংসা করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু কিছু মানুষ তা মেনে নিয়েছেন, কিছু মানুষ তা বিরোধিতা করছেন। আজকে সেই বিষয়েই কিঞ্চিৎ আলোকপাত করবো ইন-শাআল্লাহ। #কথাগুলো_কেন_বলতে_হচ্ছেঃ একদল বিশেষজ্ঞের দাবিদার বিশেষ-অজ্ঞ'রা অভিযোগ তুলছেন-[সারমর্ম] “ভারতে হিন্দুত্ববাদের নখর থাবায় এমনিতেই মুসলিমরা অতিষ্ঠ, সেখানে কর্নাটকের সেই হিজাবকে কেন্দ্র করে তাকবীর দেয়া মুসকানকে নিয়ে একিউ প্রধানের বক্তব্য সম্পূর্ণই অযৌক্তিক” তারা আরো বলছেন [সারমর্ম] “এই বার্তা থেকে উম্মাহ কী ফায়দা পেলো? বরং এই বার্তার কারণে হিজাব নিয়ে তখন আন্দোলনরত প্রত্যেকের কাছে সাংবাদিক গিয়ে তাদেরকে ঝামেলা করছে, তাদেরকে প্রশাসনিক ভাবে কতটা চাপে রাখা হয়েছে আর গোয়েন্দা নজরে রাখা হয়েছে এবং তারা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি” #আসল_কথাঃ উক্ত কথাগুলো ঠিকই, কিন্তু উক্ত কথা বলে মন্তব্যকারীরা যেই উদ্দেশ্য নিয়েছে সেটায় মূলত আমার যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। #কারণ- এই ভূপৃষ্ঠ চলমান সময়ে সামগ্রিক নিরাপত্তার দিকদিয়ে সবচেয়ে পারফেক্ট দল হলো তানজিমুল কায়েদা [যা শত্রুরাও স্বীকৃত দিতে বাধ্য]। যারা যুগযুগ ধরে উম্মাহর কল্যাণে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলে বার্তা দিয়ে থাকেন, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়গুলো যারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে থাকেন, বাস্তবতা সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন, তাদের বিষয়ে প্রথমে নেগেটিভ কোন মন্তব্য করাকে আমি অবশ্যই ভেটো দিবো। দেখুন আপনি দেখবেন আপনার দৃষ্টি দিয়ে, কিন্তু একজন চেয়ারম্যান দেখবে আরো বড় দৃষ্টি দিয়ে, এমপি দেখবে আরো বড় পরিধি, এরকম যে যত বড় এলাকা নিয়ে আছেন তার দৃষ্টি ভঙ্গি মূলতই ততটা দূরদর্শি ও গভীর যা উপলব্ধি করতে আমাদের সময় লাগবে। যারা উপরোক্ত বোন মুসকানের পারিবারিক সামান্য পেরেশানিকে পুঁজি করে একিউ প্রধানের বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, তারা মূলত ওই সমস্ত অভিযোকারীদের মতো যারা “জিহাদ করার কারণে যেই মুসিবত আসে, সেই মুসিবতের কারণে জিহাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে”
#আচ্ছা_ধরুনঃ মেনেই নিলাম যে, একিউ প্রধানের বক্তব্য দ্বারা তাদের উপর ও ভারতের মুসলিমদের উপর চাপ আসবে, কিন্তু আসলেই কি বাস্তবতা এমনই??? একিউ প্রধানের বক্তব্য না হলে তারা বিপদে পড়তোনা? কখনো কি পড়েনি? মুসলিমরা কী একিউ প্রধানের বক্তব্য না হওয়ার আগপর্যন্ত কখনো নির্যাতিত হয়নি? তাহলে একিউ প্রধানের বক্তব্য'কে কেন প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে?? #বিপ্লব_সূচনা_কীভাবেঃ দেখুন পৃথিবীতে যত বড় বড় ঘটনা/দুর্ঘটনা ঘটেছেন বা বড় বড় বিপ্লব হয়েছে, তার সূচনাটা সামান্যই ছিলো। পরে তা বড় আকৃতি ধারণ করে। কিন্তু কেউ তো আর এটা জানেননা যে, মূলত কোনটার কারণেই মূল বিপ্লব ঘটবে, তাই আমাদের প্রতিটি বিষয়কেই মূল্যায়ন করা উচিত [যার যথার্থতা একিউ প্রধানের পক্ষ থেকে বার্তা আসার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে] #এক_বড়_ভাইয়ের_কাছে_শুনেছিলামঃ আফগানে যখন রুশ বিরুদ্ধে জিহাদ হয়, বিশ্বব্যাপী মূলত তখনকার থেকেই মুজাহিদদের গননা করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভিন্ন। কিছু মুজাহিদ দীর্ঘদিন ধরেই জনগনকে বুঝাতে চেয়েছিলেন যে, মানব রচিত বিধান কুফর ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু জনগন তা আনলেই নেয়নি। “হঠাৎই একদিন কমিউনিস্ট সমর্থকরা বোরখা আগুনে পুড়ে ফেললো” ব্যাস মুজাহিদ ও হকপন্থিরা এই সুযোগটাকেও কাজে লাগাতে চাইলেন। তারা কিন্তু এটা জানতেননা যে, ফলাফল কী হবে, মূলত তারা এই কমিউনিস্টদের ধৃষ্টতা উম্মাহর কাছে পৌঁছে দিয়ে একটু জাগরণ সৃষ্টি করতে চাচ্ছিলো, যেমনটি তারা মানব রচিত বিধান কুফর বলে জনগনকে জাগাতে চেয়েছিলেন। আল্লাহর কি রহমত, বোরখা আগুনে পোড়ার ঘটনাটি আফগান জাতি মেনে নিলোনা, বরং তারা ভাবলো নিজেদের আত্মমর্যাদায় আঘাত লেগেছে, ব্যাস তারা ময়দানে ঝাপিয়ে পড়লো।
#অথচ_দেখুনঃ বোরখা আগুনে পোড়ার চাইতেও শতগুন বেশি বড় অন্যায় হলো আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত বিধান প্রণয়ন করা, কিন্তু জনগনের জাগরণ হয়েছে সামান্য বোরখা আগুনে পোড়ার কারণেই।
#অতএব_এটাই_যথার্থঃ
একিউ প্রধান মূলতই একটি দাওয়াহ পৌঁছে দিয়ে একটি জাগরণ ও বিপ্লবের দিকেই উম্মাহকে ডাকছেন [যা সুস্পষ্ট] তাই তিনি দাওয়াহ মূলক বার্তাটি দিয়েছেন। এদিকে মুসলিম নারীর বীরত্বের বাস্তবতা যা মুশরিকদের সামনেই ঘটেছে সেই জন্য সেই নারী অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার উপযোগী
[একিউ প্রধানের বক্তব্যে তাও ফুটে উঠেছে]
#আর_ক্ষতির_দিকটাঃ দেখুন বড় কিছু চাইলে তো কিছু ক্ষতি হবেইই, আপনি এমন কোন ইসলানি সফলতা দেখান যেখানে তূলনামূলক কোন ক্ষয়-ক্ষতি, ভয় ইত্যাদি ছিলোনা, জ্বী! মাত্র একটি দৃষ্টান্ত দিন, কিন্তু আমি জানি আপনি পারবেননা। অতএব কিছু ক্ষতির দিকেই তাকিয়ে থেকে এর বড় বড় ভালো পজিটিভ বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যাওয়া কতটা যৌক্তিক??
আশাকরি বিষয়ট৭র জটিলতা আপনাদের নিকট সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিফাজত করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন
Collected
Comment