. পশ্চিমা সমরবিদরা শুন্য থেকে এসব পূর্বাভাস করেননি।
তাদের এ পূর্বাভাস ও বিশ্লেষণ ছিল বাস্তবতার নিরিখেই।
তবে উম্মাহর মাঝে থাকা কাপুরুষরা এ বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে তাদের আয়ুষ্কাল কাটিয়ে দিতেন চান তাদের কল্পনার জগতেই।
বাস্তবতা হল চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গেছে।
এ যুদ্ধকৌশল সফল ভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই এ যুদ্ধে কাগজে-কলমে দুর্বল পক্ষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছে এবং একাধিক ক্ষেত্রে জাতি-রাস্ট্র পরাজিত হয়েছে রাষ্ট্রহীন জাতির কাছে।
উম্মাহর বিজয়ঃ
মুসলিম উম্মাহ ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধানে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সামরিক বিজয় অর্জন করেছে।
উসমানি সালতানাতের পর এতো কম সময়ের ব্যবধানে এরকম বিজয়ের ঘটনা আর ঘটে নি।
গত দুই দশকে উম্মাহ সামরিক বিজয় লাভ করেছে আ ফ গা নি স্তা নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে, সো মা লি য়া তে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে,
চে চ নি য়া তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবং দক্ষিণ লেবাননে যায়নিস্ট ইস্রাইলের বিরুদ্ধে ।
এ বিজয় গুলো অর্জিত হয়েছিল সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত, সর্বোত্তম প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত বিভিন্ন বাহিনীর বিরুদ্ধে
আরএ বিজয়গুলো অর্জিত হয়েছে, মরুভূমি, পাহাড়, শহর – বিভিন্ন ধরনের স্থানে।
. আ ফ গা নি স্তা নে মু জা হি দি ন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক শক্তিকে পরাজিত করে।
সো মা লি য়া তে একটি গোত্রের কাছে লাঞ্ছিত হয় অ্যা মে রি কা, বাধ্য হয় পিছু হটতে।
তার কিছুদিন পর শিশানী মু জা হি দি ন পরাজিত করে রাশিয়ান ভাল্লুককে।
আর তারপর লেবানীজদের কাছে পরাজিত হয়ে যায়নিস্ট ই স্রা ই ল দক্ষিণ লেবানন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
[এ প্রবন্ধটি লেখা হয়েছিলে ২০০২-০৩ এর দিকে।
বর্তমানে আমরা এখানে যোগ করতে পারি আ ফ গা নি স্তা নে ও ইরাকে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে বিজয়কে]
. একথা সত্য,
এসব সামরিক বিজয়ের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজয়ী শক্তি শাসনক্ষমতা অর্জনে সক্ষম হয় নি।
তবে এটি একটি ভিন্ন আলোচনা, আমাদের এ সামরিক-কৌশলগত বিশ্লেষণের জন্য প্রাসঙ্গিক না।
এ লেখাতে আমাদের ফোকাস সামরিক সংঘাত এবং অ্যামেরিকা ও মুজাহিদিনের মধ্য সামরিক শক্তির ভারসাম্যহীনতাকে নিয়ে।
এ ভারসাম্যহীনতার অজুহাত দিয়ে যে পরাজিত মানসিকতার ব্যাক্তি আজ জি হা দকে এবং বিজয়কে অসম্ভব বলে দাবি করেন তাদের বিভ্রান্তির জবাব দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য।
. উন্নত প্রযুক্তি আ ফ গা নি স্তা ন, সো মা লি য়া, শিশানে
(বর্তমানে ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়া) এসব বাহিনীকে বিজয় এনে দিতে পারেনি।
যদিও এসব বাহিনীর কাছে পৃথিবীকে কয়েকশো বার ধ্বংস করার মত আণবিক-পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
শুধুমাত্র হালকা অস্ত্র নিয়ে মু জা হি দি ন চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করেছেন।
মু জা হি দি ন জনসাধারনের মাঝে থেকে এসে আক্রমন করেছেন, এবং প্রয়োজনে জনগণের মাঝেই মিশে গেছেন।
একারনেই অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা মাইকেল ভিকারস মন্তব্য করেছিল –
আমাদের অস্ত্র-সরঞ্জাম-প্রযুক্তি ও যুদ্ধকৌশল এ ধরনের যুদ্ধের
(4th Generation Warfare) জন্য উপযুক্ত না।''
. এছাড়া মু জা হি দি নের তুলনায় শত্রুর যোদ্ধাদের সংখ্যাধিক্য থাকার পরও আ ফ গা নি স্তা ন, সো মা লি য়া ও শিশানে বিজয় অর্জিত হয়েছে।
সুতরাং,
দেখা যাচ্ছে গত শক্তির ও সংখ্যা ব্যাপক তারতম্য থাকা সত্ত্বেও দুই দশকে একাধিকবার একাধিক সুপারপাওয়ার মু জা হি দি নের ক্ষুদ্র দলের কাছে পরাজিত হবার নজীর আছে।
সুতরাং ,
যেসব কাপুরুষরা শক্তির তারতম্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে জি হা দের দায়িত্ব থেকে পালাতে চায় তাদের কুযুক্তি বাস্তবতার নিরিখে টেকে না।
[এ প্রবন্ধ লেখা হয়েছিল ২০০২-০৩ এর দিকে। এ প্রবন্ধ লেখার পরবর্তী ১৪ বছরে এরকম বিজয়ের আরো অনেক নজীর আল্লাহর ইচ্ছায় মুসলিম উম্মাহ প্রত্যক্ষ করেছে]
✍️ এক মুয়াহিদ
তাদের এ পূর্বাভাস ও বিশ্লেষণ ছিল বাস্তবতার নিরিখেই।
তবে উম্মাহর মাঝে থাকা কাপুরুষরা এ বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে তাদের আয়ুষ্কাল কাটিয়ে দিতেন চান তাদের কল্পনার জগতেই।
বাস্তবতা হল চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গেছে।
এ যুদ্ধকৌশল সফল ভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই এ যুদ্ধে কাগজে-কলমে দুর্বল পক্ষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছে এবং একাধিক ক্ষেত্রে জাতি-রাস্ট্র পরাজিত হয়েছে রাষ্ট্রহীন জাতির কাছে।
উম্মাহর বিজয়ঃ
মুসলিম উম্মাহ ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধানে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সামরিক বিজয় অর্জন করেছে।
উসমানি সালতানাতের পর এতো কম সময়ের ব্যবধানে এরকম বিজয়ের ঘটনা আর ঘটে নি।
গত দুই দশকে উম্মাহ সামরিক বিজয় লাভ করেছে আ ফ গা নি স্তা নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে, সো মা লি য়া তে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে,
চে চ নি য়া তে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবং দক্ষিণ লেবাননে যায়নিস্ট ইস্রাইলের বিরুদ্ধে ।
এ বিজয় গুলো অর্জিত হয়েছিল সর্বাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত, সর্বোত্তম প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত বিভিন্ন বাহিনীর বিরুদ্ধে
আরএ বিজয়গুলো অর্জিত হয়েছে, মরুভূমি, পাহাড়, শহর – বিভিন্ন ধরনের স্থানে।
. আ ফ গা নি স্তা নে মু জা হি দি ন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক শক্তিকে পরাজিত করে।
সো মা লি য়া তে একটি গোত্রের কাছে লাঞ্ছিত হয় অ্যা মে রি কা, বাধ্য হয় পিছু হটতে।
তার কিছুদিন পর শিশানী মু জা হি দি ন পরাজিত করে রাশিয়ান ভাল্লুককে।
আর তারপর লেবানীজদের কাছে পরাজিত হয়ে যায়নিস্ট ই স্রা ই ল দক্ষিণ লেবানন থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
[এ প্রবন্ধটি লেখা হয়েছিলে ২০০২-০৩ এর দিকে।
বর্তমানে আমরা এখানে যোগ করতে পারি আ ফ গা নি স্তা নে ও ইরাকে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে বিজয়কে]
. একথা সত্য,
এসব সামরিক বিজয়ের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজয়ী শক্তি শাসনক্ষমতা অর্জনে সক্ষম হয় নি।
তবে এটি একটি ভিন্ন আলোচনা, আমাদের এ সামরিক-কৌশলগত বিশ্লেষণের জন্য প্রাসঙ্গিক না।
এ লেখাতে আমাদের ফোকাস সামরিক সংঘাত এবং অ্যামেরিকা ও মুজাহিদিনের মধ্য সামরিক শক্তির ভারসাম্যহীনতাকে নিয়ে।
এ ভারসাম্যহীনতার অজুহাত দিয়ে যে পরাজিত মানসিকতার ব্যাক্তি আজ জি হা দকে এবং বিজয়কে অসম্ভব বলে দাবি করেন তাদের বিভ্রান্তির জবাব দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য।
. উন্নত প্রযুক্তি আ ফ গা নি স্তা ন, সো মা লি য়া, শিশানে
(বর্তমানে ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়া) এসব বাহিনীকে বিজয় এনে দিতে পারেনি।
যদিও এসব বাহিনীর কাছে পৃথিবীকে কয়েকশো বার ধ্বংস করার মত আণবিক-পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
শুধুমাত্র হালকা অস্ত্র নিয়ে মু জা হি দি ন চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করেছেন।
মু জা হি দি ন জনসাধারনের মাঝে থেকে এসে আক্রমন করেছেন, এবং প্রয়োজনে জনগণের মাঝেই মিশে গেছেন।
একারনেই অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা মাইকেল ভিকারস মন্তব্য করেছিল –
আমাদের অস্ত্র-সরঞ্জাম-প্রযুক্তি ও যুদ্ধকৌশল এ ধরনের যুদ্ধের
(4th Generation Warfare) জন্য উপযুক্ত না।''
. এছাড়া মু জা হি দি নের তুলনায় শত্রুর যোদ্ধাদের সংখ্যাধিক্য থাকার পরও আ ফ গা নি স্তা ন, সো মা লি য়া ও শিশানে বিজয় অর্জিত হয়েছে।
সুতরাং,
দেখা যাচ্ছে গত শক্তির ও সংখ্যা ব্যাপক তারতম্য থাকা সত্ত্বেও দুই দশকে একাধিকবার একাধিক সুপারপাওয়ার মু জা হি দি নের ক্ষুদ্র দলের কাছে পরাজিত হবার নজীর আছে।
সুতরাং ,
যেসব কাপুরুষরা শক্তির তারতম্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে জি হা দের দায়িত্ব থেকে পালাতে চায় তাদের কুযুক্তি বাস্তবতার নিরিখে টেকে না।
[এ প্রবন্ধ লেখা হয়েছিল ২০০২-০৩ এর দিকে। এ প্রবন্ধ লেখার পরবর্তী ১৪ বছরে এরকম বিজয়ের আরো অনেক নজীর আল্লাহর ইচ্ছায় মুসলিম উম্মাহ প্রত্যক্ষ করেছে]
✍️ এক মুয়াহিদ