যদ্দুর দেখলাম এদেশের আহলে সুন্নাহ নামধারী গোঁড়া ফিরকাবাজরা আল কায়দাকে "ওহাবী" আখ্যা দিয়ে খারেজী ট্যাগ লাগিয়ে দেয়ার কারণ হলো :
আল ক্বাইদা সেক্যুলারদের তাকফিরের ক্ষেত্রে অনেক মূলনীতিই "ওহাবী" ট্যাগ পাওয়া আলেমদের কাছ থেকেই নেয়।
আর পশ্চিমা স্রোতের প্রতিরোধের ব্যাপারে যেখানে আহলুস সুন্নাহর হাতেগোনা কিছু আলেম ছাড়া অধিকাংশ আলেম যেখানে পশ্চাদপসারণ ও আপোষের নীতি অবলম্বন করেছেন
সেখানে সবচেয়ে বেশি আপোষহীন ভূমিকা পালন করেছেন এই "ওহাবী" ট্যাগ পাওয়া আআলেমরাই
এখানে আমি মাদখালি বা রাজপরিবারের সান্নিধ্য প্রাপ্ত আলেমদের কথা বলছিনা।
মজার ব্যাপার হলো এই ওহাবী ট্যাগ পাওয়া আলেমদের শুধু ফিরকাবাজরাই ভয় পায় না!
ইংরেজরাও এই ওহাবীদের ভয়ে ভীত ছিলো।
কেউ আল্লামা জাফর থানেশ্বরী (রহ) এর "আন্দামান বন্দির আত্মকাহিনী" গ্রন্থখানি মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন
কোনো মুসলিম ওহাবী আন্দোলনের সাথে জড়িত এমন সংবাদ পেলে ইংরেজরা তাকে কেমন মোস্ট ওয়ান্টেড বানিয়ে ফেলতো।
তার সকল সম্পত্তি ক্রোক করা, নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েই শান্ত হতো তারা।
খোদ জাফর থানেশ্বরী (রহ) বিশ বছর আন্দামান নির্বাসনে কাটিয়ে আসেন "ওহাবী বিদ্রোহ" এর আসামী হিসেবে।
যাই হোক, ফিরকাবাজরা আল ক্বাইদ্দাকে খারেজী ঘোষণা দিতে যে কারণসমূহ উল্লেখ করে:-
১. আল ক্বাইদা মুসলিম দেশগুলোর সেক্যুলার ও গণতান্ত্রিক শাসকদের তাকফির করে।
২. আল ক্বাইদার মতানুসারে কোনো শাসক যদি ৯০% শরিয়াহকে গ্রহণ করে এবং ১০% প্রত্যাখ্যান করে তাহলে ঐ শাসক কাফের।
৩. আল ক্বাইদার মতানুসারে মুসলিমদের মধ্যে কেউ যদি কাফের রাষ্ট্র যারা নাকি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত তাদেরকে আর্থিক, সামরিক, বা অন্য কোনো উপায়ে সাহায্য করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। ৪. আল ক্বাইদা বিশ্বাস করে গণতন্ত্র কুফরী। ভোট দেয়া শিরক।
[আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে এই নীতি অনুসারে ৯৯% মুসলিম কাফের। কিন্তু আসলে তা না। আল ক্বাইদা এসব ব্যাপারে অজ্ঞ মুসলিমদের কোনোদিনই তাকফির করেনি।
যেখানে ৯৯% মুসলিমই এইসব মূলনীতির ব্যাপারে অজ্ঞ। এবং আল ক্বায়েদা কখনো বলেনি যে এতে ওজর গ্রহণযোগ্য না।]
গোঁড়া ফিরকাবাজদের দাবি অনুসারে আল ক্বাইদার এই বিশ্বাসগুলোর কারণে তারা খারেজী।
অথচ এসব কোনো লুকায়িত জিনিস না। আল কায়েদা এসব বিশ্বাস লালন করে এটা পৃথিবীর প্রায় সকল উলামায়ে কেরামই জানেন।
পাকিস্তান বা জাজিরাতুল আরবের বহু আলেম এসব নিয়ে অনেকেই মতানৈক্য করেছেন
কিন্তু খারেজী বলার সাহস পাননি। কারণ তারা জানেন খারেজী শব্দটা খুবই ভয়ংকর।
আল কায়দাকে এমন ট্যাগে ট্যাগায়িত করাটা নিঃসন্দেহে কয়েকশ বছর ক্রুসেডার ও ত্বাগুতের আন্ডারে কাটিয়ে আসা গোঁড়াদের আবেগ, খাহেশাত ও হটকারী মনোভাবের ফল
যাই হোক এই মূলনীতিগুলোর ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হওয়া উচিত এবং এগুলোর স্বপক্ষে শক্তিশালী প্রমাণ হাজির করতে হবে।
এক্ষেত্রে হকপন্থী উলামায়ে কেরাম কর্তৃক প্রদত্ত দলিল ও প্রমানসমুহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন।
✍️ এক মুওয়াহিদ
আল ক্বাইদা সেক্যুলারদের তাকফিরের ক্ষেত্রে অনেক মূলনীতিই "ওহাবী" ট্যাগ পাওয়া আলেমদের কাছ থেকেই নেয়।
আর পশ্চিমা স্রোতের প্রতিরোধের ব্যাপারে যেখানে আহলুস সুন্নাহর হাতেগোনা কিছু আলেম ছাড়া অধিকাংশ আলেম যেখানে পশ্চাদপসারণ ও আপোষের নীতি অবলম্বন করেছেন
সেখানে সবচেয়ে বেশি আপোষহীন ভূমিকা পালন করেছেন এই "ওহাবী" ট্যাগ পাওয়া আআলেমরাই
এখানে আমি মাদখালি বা রাজপরিবারের সান্নিধ্য প্রাপ্ত আলেমদের কথা বলছিনা।
মজার ব্যাপার হলো এই ওহাবী ট্যাগ পাওয়া আলেমদের শুধু ফিরকাবাজরাই ভয় পায় না!
ইংরেজরাও এই ওহাবীদের ভয়ে ভীত ছিলো।
কেউ আল্লামা জাফর থানেশ্বরী (রহ) এর "আন্দামান বন্দির আত্মকাহিনী" গ্রন্থখানি মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন
কোনো মুসলিম ওহাবী আন্দোলনের সাথে জড়িত এমন সংবাদ পেলে ইংরেজরা তাকে কেমন মোস্ট ওয়ান্টেড বানিয়ে ফেলতো।
তার সকল সম্পত্তি ক্রোক করা, নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েই শান্ত হতো তারা।
খোদ জাফর থানেশ্বরী (রহ) বিশ বছর আন্দামান নির্বাসনে কাটিয়ে আসেন "ওহাবী বিদ্রোহ" এর আসামী হিসেবে।
যাই হোক, ফিরকাবাজরা আল ক্বাইদ্দাকে খারেজী ঘোষণা দিতে যে কারণসমূহ উল্লেখ করে:-
১. আল ক্বাইদা মুসলিম দেশগুলোর সেক্যুলার ও গণতান্ত্রিক শাসকদের তাকফির করে।
২. আল ক্বাইদার মতানুসারে কোনো শাসক যদি ৯০% শরিয়াহকে গ্রহণ করে এবং ১০% প্রত্যাখ্যান করে তাহলে ঐ শাসক কাফের।
৩. আল ক্বাইদার মতানুসারে মুসলিমদের মধ্যে কেউ যদি কাফের রাষ্ট্র যারা নাকি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত তাদেরকে আর্থিক, সামরিক, বা অন্য কোনো উপায়ে সাহায্য করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। ৪. আল ক্বাইদা বিশ্বাস করে গণতন্ত্র কুফরী। ভোট দেয়া শিরক।
[আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে এই নীতি অনুসারে ৯৯% মুসলিম কাফের। কিন্তু আসলে তা না। আল ক্বাইদা এসব ব্যাপারে অজ্ঞ মুসলিমদের কোনোদিনই তাকফির করেনি।
যেখানে ৯৯% মুসলিমই এইসব মূলনীতির ব্যাপারে অজ্ঞ। এবং আল ক্বায়েদা কখনো বলেনি যে এতে ওজর গ্রহণযোগ্য না।]
গোঁড়া ফিরকাবাজদের দাবি অনুসারে আল ক্বাইদার এই বিশ্বাসগুলোর কারণে তারা খারেজী।
অথচ এসব কোনো লুকায়িত জিনিস না। আল কায়েদা এসব বিশ্বাস লালন করে এটা পৃথিবীর প্রায় সকল উলামায়ে কেরামই জানেন।
পাকিস্তান বা জাজিরাতুল আরবের বহু আলেম এসব নিয়ে অনেকেই মতানৈক্য করেছেন
কিন্তু খারেজী বলার সাহস পাননি। কারণ তারা জানেন খারেজী শব্দটা খুবই ভয়ংকর।
আল কায়দাকে এমন ট্যাগে ট্যাগায়িত করাটা নিঃসন্দেহে কয়েকশ বছর ক্রুসেডার ও ত্বাগুতের আন্ডারে কাটিয়ে আসা গোঁড়াদের আবেগ, খাহেশাত ও হটকারী মনোভাবের ফল
যাই হোক এই মূলনীতিগুলোর ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হওয়া উচিত এবং এগুলোর স্বপক্ষে শক্তিশালী প্রমাণ হাজির করতে হবে।
এক্ষেত্রে হকপন্থী উলামায়ে কেরাম কর্তৃক প্রদত্ত দলিল ও প্রমানসমুহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন।
✍️ এক মুওয়াহিদ