এই লেখাটা পড়ার পরে নিজেকে একটু মনের কাঠ গড়ায় দাড় করাবেন এবং ভাববেন যে,আসলেই কি আপনি বর্তমান যুগের সকল ফেরকা এবং ফিতনা ও মানসিক-শারীরিক দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন ? আপনি কি আসলেই স্বাধীন নাকি না ?
সূরা বাকারা আয়াত ৬১, আল্লাহ্ বনী ইসরাইলদের উদ্দেশ্য করে বলেন,
“(স্মরণ করো) যখন তোমরা বললে, হে মূসা! (প্রতিদিন) একই ধরনের খাবারের ওপর আমরা কিছুতেই (আর) ধৈর্যধারণ করতে পারি না, তুমি আমাদের পক্ষ থেকে তোমার রবের নিকটপ্রার্থনা কর, তিনি যেন
আমাদের জন্য এমন খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করেন যাজমিন থেকে উৎপন্ন হয়, যেমন তরিতরকারি, পেয়াজ, রসুন,গম, ভুট্টা, ডাল। তিনিবললেন, তোমরা কি (আল্লাহ্র পাঠানো) এ উৎকৃষ্ট জিনিসের সাথে একটি তুচ্ছ
(ধরনের) জিনিসকে বদলে নিতে চাও? (যদি তাই হয়) তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরেনেমে যাও, সেখানে তোমরা যা কামনা করছো তা পাবে, (আল্লাহ্ তা’আলার আদেশঅমান্য করার ফলে) শেষ পর্যন্ত অপমান
ও দারিদ্র্যতা তাদের ওপর ছেয়ে গেল; …”
কোন গোষ্ঠী বা জাতি দীর্ঘদিন যাবত অন্যায়-অবিচার এর শিকার হতে হতে একসময় সেই অবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘায়িত হয় তবে এই হীনম্মন্যতার গ্লানি তাদের অন্তরকে গভীরভাবে আচ্ছন্ন
করে ফেলে।
ফির’আউনের অত্যাচার এবং অনাচার বনী ইসরাইলের মন-মননকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলো এবং তাদের চরিত্রে দাসত্বের বীজ বপন করেছিল। আল্লাহ্ মূসাকে (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাইলদের রক্ষা করে
মিশর থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল বনী ইসরাইল সম্প্রদায়কে দাসত্বের লাঞ্ছনা থেকে পরিত্রাণ দেওয়া এবং সম্মানিত ও গৌরবময় এক জাতিতে পরিণত করা। কিন্তু মিশর ত্যাগ করে
কিছু দূর যাওয়ার পরই তারা ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা মূসাকে (আলাইহিস সালাম) দোষারোপ করতে লাগলো। এক্সোডাস ১৬:৩ এ আছে যে, তারা মূসা (আলাইহিস সালাম) এবং হারুন (আলাইহিস
সালাম) কে বলেছিল,
“হায়! যদি আমরা কেবল মিশরে আমাদেরপ্রভুর হাতে নিহত হতে সম্মত হতাম, সেখানে আমরা মাংসের পাত্রের পাশে বসেথাকতাম আর ইচ্ছামতো রুটি খেতে পারতাম; কিন্তু তোমরা আমাদেরকে এই বিরানএলাকায় এনে
মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছ”।
একটা বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পরও এরকম একটি অবস্থায় তারা আরও নানা রকম খাদ্য উপকরণ চেয়ে আল্লাহ্র কাছে অভিযোগ করছিলো! সেই কথাই সূরা বাকারার এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে।
মিশরে কঠিন দুর্দশা ভোগ করা সত্ত্বেও কেবল এইসব দুনিয়াবী ভোগের সামগ্রীর জন্য তারা সেই অতীত জীবনের কথা ভেবে আক্ষেপ করছিলো! এছাড়াও যখন মূসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহ্র সাথে কথা বলতে
কয়েকদিনের জন্য তাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন, তখন তারা তাদের কাছে সঞ্চিত ফির’আউনের অলংকারগুলো দিয়ে স্বর্ণের বাছুর নির্মাণ করে তার ইবাদাত করা আরম্ভ করে দেয়! তাদের মনে তাদের মিথ্যে প্রভুদের ভক্তি
এতটাই তীব্র ছিলো, যে তারা আক্ষরিক অর্থেই সেই প্রভুদের দাসে পরিণত হয়েছিল।
অর্থাৎ বাহ্যত মুক্ত হলেও বনী ইসরাইল জাতি হীনম্মন্যতা ও মানসিক দাসত্বের বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল। আর এই দাসত্ব এমন মারাত্মক পর্যায়ের ছিল যে, যখন তাদেরকে প্রতিশ্রুত জেরুজালেমে প্রবেশ করতে বলা হল তখন
তারা উত্তরে মূসা (আলাইহিস সালাম) কে বলে বসে, “তুমি আর তোমার প্রতিপালক গিয়ে যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসে থাকব।” তাদের আত্মসম্মানবোধ বলে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
যে ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা জাতি দীর্ঘদিন ধরে অবিচার, অন্যায় আর পরাজয়ের শিকার হয়ে আসছে তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রথম পদক্ষেপ হল তাদের মধ্যে মুক্ত, স্বাধীন এবং মর্যাদাভিত্তিক গুণাবলী আর মানসিকতার উন্মেষ
ঘটানো, যেটাকে আমরা বলে থাকি “হার-না-মানা-মানসিকতা”। দ্বিতীয় ধাপে আসবে জ্ঞান অর্জন, এ ধাপে সাহসী ব্যক্তিত্বের মাঝে শরীয়াহর জ্ঞানের উন্মেষ ঘটাতে হবে এবং তারপরের ধাপে আসবে সে জ্ঞানের প্রয়োগ।
অজ্ঞতা এবং বিপথগামীতাই কেবল আমাদের একমাত্র সমস্যা নয়। আজ আমরা অনেক দা’য়ী আর ইমামদের দেখি যারা অনেক শিক্ষিত এবং সুন্নাহর উপর অনেক জ্ঞান রাখেন অথচ তাদের মাঝে কি যেন একটা নেই।
একজন মানুষ যে আদর্শ বা বিশ্বাসই গ্রহণ করুক বা সে অনুসারে জীবনযাপন করুক না কেন, তার পক্ষে বিস্ময়কর কিছু করে দেখানো সম্ভব হয় তখনই, যখন সে শারীরিক ও মানসিক উভয়বলয়ে মুক্ত আর স্বাধীন
থাকে। আমাদের এই সত্যটি অনুধাবন করতে হবে। পৃথিবীতে এই পদ্ধতিতেই সফলতা আসে। সুতরাং বনী ইসরাইলের জন্য এবং অনুরূপভাবে আমাদের জন্যও প্রথম লক্ষ্য – জ্ঞানার্জন অথবা ইবাদাতে নিমগ্ন হওয়া নয়।
বরং আমাদের প্রথম করণীয় হচ্ছে একজন সত্যিকার মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। নিজের মর্যাদা অনুধাবন করা। নিজেদেরকে মনস্তাত্ত্বিক দাসত্ব থেকে মুক্ত করা। ইসলামের মাঝে জীবন খুঁজে পাওয়ার লক্ষণ মূলত
এগুলোই- দুর্বলতা আর হীনম্মন্যতা হটিয়ে শৌর্যের সাথে উঠে দাঁড়িয়ে আত্মসম্মানবোধকে জাগ্রত করা। অন্যথায় আমরা শুধুই চলমান লাশ।
অতএব আমাদের প্রথম সমস্যা এবং তার প্রথম সমাধান হওয়া উচিত এই আভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের মাধ্যমে। (প্রাতিষ্ঠানিক) অজ্ঞতা, গৌণ বিষয়ে বিচ্যুতি, ঐক্যের অভাব ইত্যাদি মুসলিম উম্মাহর বড় বড় সমস্যা ঠিকই কিন্তু
মৌলিক সমস্যা নয়। আমাদেরকে অবশ্যই একেবারে প্রাথমিক, সার্বজনীন ও জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো থেকে আরম্ভ করতে হবে। নতুবা সত্যিকারের দা’ওয়াহ কার্যক্রম এবং মুসলিম হিসেবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আমরা খুব
বেশিদূর যেতে পারবো না। বনী ইসরাইলের মানুষেরা আল্লাহ্কে বিশ্বাস করত, ইবাদাত করত। কিন্তু মানসিকভাবে তারা তাদের পুরাতন প্রভুদের গোলামী থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তাই স্বাধীন জীবনের সম্মানজনক
ক্ষুৎপিপাসার চেয়ে অপমানজনক দাসত্বের সাথে আসা উচ্ছিষ্ট ভালো খাবারকেই তারা শ্রেয় মনে করা শুরু করে।
তারিক মেহান্না,
প্লাইমাউথ কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি,
আইসোলেশন ইউনিট, সেল #১০৮,
************************************************** ************************************************** *
সূরা বাকারা আয়াত ৬১, আল্লাহ্ বনী ইসরাইলদের উদ্দেশ্য করে বলেন,
“(স্মরণ করো) যখন তোমরা বললে, হে মূসা! (প্রতিদিন) একই ধরনের খাবারের ওপর আমরা কিছুতেই (আর) ধৈর্যধারণ করতে পারি না, তুমি আমাদের পক্ষ থেকে তোমার রবের নিকটপ্রার্থনা কর, তিনি যেন
আমাদের জন্য এমন খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করেন যাজমিন থেকে উৎপন্ন হয়, যেমন তরিতরকারি, পেয়াজ, রসুন,গম, ভুট্টা, ডাল। তিনিবললেন, তোমরা কি (আল্লাহ্র পাঠানো) এ উৎকৃষ্ট জিনিসের সাথে একটি তুচ্ছ
(ধরনের) জিনিসকে বদলে নিতে চাও? (যদি তাই হয়) তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরেনেমে যাও, সেখানে তোমরা যা কামনা করছো তা পাবে, (আল্লাহ্ তা’আলার আদেশঅমান্য করার ফলে) শেষ পর্যন্ত অপমান
ও দারিদ্র্যতা তাদের ওপর ছেয়ে গেল; …”
কোন গোষ্ঠী বা জাতি দীর্ঘদিন যাবত অন্যায়-অবিচার এর শিকার হতে হতে একসময় সেই অবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘায়িত হয় তবে এই হীনম্মন্যতার গ্লানি তাদের অন্তরকে গভীরভাবে আচ্ছন্ন
করে ফেলে।
ফির’আউনের অত্যাচার এবং অনাচার বনী ইসরাইলের মন-মননকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলো এবং তাদের চরিত্রে দাসত্বের বীজ বপন করেছিল। আল্লাহ্ মূসাকে (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাইলদের রক্ষা করে
মিশর থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল বনী ইসরাইল সম্প্রদায়কে দাসত্বের লাঞ্ছনা থেকে পরিত্রাণ দেওয়া এবং সম্মানিত ও গৌরবময় এক জাতিতে পরিণত করা। কিন্তু মিশর ত্যাগ করে
কিছু দূর যাওয়ার পরই তারা ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। তখন তারা মূসাকে (আলাইহিস সালাম) দোষারোপ করতে লাগলো। এক্সোডাস ১৬:৩ এ আছে যে, তারা মূসা (আলাইহিস সালাম) এবং হারুন (আলাইহিস
সালাম) কে বলেছিল,
“হায়! যদি আমরা কেবল মিশরে আমাদেরপ্রভুর হাতে নিহত হতে সম্মত হতাম, সেখানে আমরা মাংসের পাত্রের পাশে বসেথাকতাম আর ইচ্ছামতো রুটি খেতে পারতাম; কিন্তু তোমরা আমাদেরকে এই বিরানএলাকায় এনে
মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছ”।
একটা বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পরও এরকম একটি অবস্থায় তারা আরও নানা রকম খাদ্য উপকরণ চেয়ে আল্লাহ্র কাছে অভিযোগ করছিলো! সেই কথাই সূরা বাকারার এই আয়াতটিতে বলা হয়েছে।
মিশরে কঠিন দুর্দশা ভোগ করা সত্ত্বেও কেবল এইসব দুনিয়াবী ভোগের সামগ্রীর জন্য তারা সেই অতীত জীবনের কথা ভেবে আক্ষেপ করছিলো! এছাড়াও যখন মূসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহ্র সাথে কথা বলতে
কয়েকদিনের জন্য তাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন, তখন তারা তাদের কাছে সঞ্চিত ফির’আউনের অলংকারগুলো দিয়ে স্বর্ণের বাছুর নির্মাণ করে তার ইবাদাত করা আরম্ভ করে দেয়! তাদের মনে তাদের মিথ্যে প্রভুদের ভক্তি
এতটাই তীব্র ছিলো, যে তারা আক্ষরিক অর্থেই সেই প্রভুদের দাসে পরিণত হয়েছিল।
অর্থাৎ বাহ্যত মুক্ত হলেও বনী ইসরাইল জাতি হীনম্মন্যতা ও মানসিক দাসত্বের বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল। আর এই দাসত্ব এমন মারাত্মক পর্যায়ের ছিল যে, যখন তাদেরকে প্রতিশ্রুত জেরুজালেমে প্রবেশ করতে বলা হল তখন
তারা উত্তরে মূসা (আলাইহিস সালাম) কে বলে বসে, “তুমি আর তোমার প্রতিপালক গিয়ে যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসে থাকব।” তাদের আত্মসম্মানবোধ বলে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
যে ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা জাতি দীর্ঘদিন ধরে অবিচার, অন্যায় আর পরাজয়ের শিকার হয়ে আসছে তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রথম পদক্ষেপ হল তাদের মধ্যে মুক্ত, স্বাধীন এবং মর্যাদাভিত্তিক গুণাবলী আর মানসিকতার উন্মেষ
ঘটানো, যেটাকে আমরা বলে থাকি “হার-না-মানা-মানসিকতা”। দ্বিতীয় ধাপে আসবে জ্ঞান অর্জন, এ ধাপে সাহসী ব্যক্তিত্বের মাঝে শরীয়াহর জ্ঞানের উন্মেষ ঘটাতে হবে এবং তারপরের ধাপে আসবে সে জ্ঞানের প্রয়োগ।
অজ্ঞতা এবং বিপথগামীতাই কেবল আমাদের একমাত্র সমস্যা নয়। আজ আমরা অনেক দা’য়ী আর ইমামদের দেখি যারা অনেক শিক্ষিত এবং সুন্নাহর উপর অনেক জ্ঞান রাখেন অথচ তাদের মাঝে কি যেন একটা নেই।
একজন মানুষ যে আদর্শ বা বিশ্বাসই গ্রহণ করুক বা সে অনুসারে জীবনযাপন করুক না কেন, তার পক্ষে বিস্ময়কর কিছু করে দেখানো সম্ভব হয় তখনই, যখন সে শারীরিক ও মানসিক উভয়বলয়ে মুক্ত আর স্বাধীন
থাকে। আমাদের এই সত্যটি অনুধাবন করতে হবে। পৃথিবীতে এই পদ্ধতিতেই সফলতা আসে। সুতরাং বনী ইসরাইলের জন্য এবং অনুরূপভাবে আমাদের জন্যও প্রথম লক্ষ্য – জ্ঞানার্জন অথবা ইবাদাতে নিমগ্ন হওয়া নয়।
বরং আমাদের প্রথম করণীয় হচ্ছে একজন সত্যিকার মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। নিজের মর্যাদা অনুধাবন করা। নিজেদেরকে মনস্তাত্ত্বিক দাসত্ব থেকে মুক্ত করা। ইসলামের মাঝে জীবন খুঁজে পাওয়ার লক্ষণ মূলত
এগুলোই- দুর্বলতা আর হীনম্মন্যতা হটিয়ে শৌর্যের সাথে উঠে দাঁড়িয়ে আত্মসম্মানবোধকে জাগ্রত করা। অন্যথায় আমরা শুধুই চলমান লাশ।
অতএব আমাদের প্রথম সমস্যা এবং তার প্রথম সমাধান হওয়া উচিত এই আভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের মাধ্যমে। (প্রাতিষ্ঠানিক) অজ্ঞতা, গৌণ বিষয়ে বিচ্যুতি, ঐক্যের অভাব ইত্যাদি মুসলিম উম্মাহর বড় বড় সমস্যা ঠিকই কিন্তু
মৌলিক সমস্যা নয়। আমাদেরকে অবশ্যই একেবারে প্রাথমিক, সার্বজনীন ও জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো থেকে আরম্ভ করতে হবে। নতুবা সত্যিকারের দা’ওয়াহ কার্যক্রম এবং মুসলিম হিসেবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আমরা খুব
বেশিদূর যেতে পারবো না। বনী ইসরাইলের মানুষেরা আল্লাহ্কে বিশ্বাস করত, ইবাদাত করত। কিন্তু মানসিকভাবে তারা তাদের পুরাতন প্রভুদের গোলামী থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তাই স্বাধীন জীবনের সম্মানজনক
ক্ষুৎপিপাসার চেয়ে অপমানজনক দাসত্বের সাথে আসা উচ্ছিষ্ট ভালো খাবারকেই তারা শ্রেয় মনে করা শুরু করে।
তারিক মেহান্না,
প্লাইমাউথ কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি,
আইসোলেশন ইউনিট, সেল #১০৮,