আমারা জানি যে, বর্তমান কুফ্ফারদের অত্যাধুনিক নিত্য-নতুন অস্ত্র-স্বস্রে সুসজ্জিত বাহিনী ও মিডিয়া ইত্যাদির সামনে মুখোমুখি যুদ্ধে মুজাহিদগণের টিকে থাকা বড় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে, কারণ দুনিয়া হলো "দারুল আসবাব" বাহ্যিক উপকরণ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় -যা (পরিপূর্ণ ভাবে) মুজাহিদদের নিকট অনুপস্থিত!!
তাই অভিজ্ঞ সমরবিদ মুজাহিদগণ এই সুবিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে বেছে নিয়েছেন অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ একটি পদ্ধতি তথা গেরিলা যুদ্ধ...যেই পদ্ধতিতে (ছোট একটি বাহিনী কতৃক) সুবিশাল বাহিনীর সাথে মুকাবিলা করে আল্লাহর সাহায্যে বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব -যা আমাদের সামনে (আফগান সহ বিভিন্ন ফ্রন্টে) দৃশ্যমান আলহামদুলিল্লাহ....
আর এই পদ্ধতির যুদ্ধ অন্যান্য সাধারন যুদ্ধের মত নয় -বরং তাতে প্রয়োজন বহু বিচক্ষণ, দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ব্যাক্তি বর্গের....
এই গেরিলা যুদ্ধের প্রত্যেকটা সেক্টরেই পরিপূর্ণ অভিজ্ঞ দক্ষ কারিগর প্রয়োজন -যারা নিজেদের তিক্ষ্ণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আঞ্জাম দিবেন -তাতে কোন প্রকারের ত্রুটি করবেননা...
তাই আমাদের কর্তব্য হলো; প্রত্যেকটি সেক্টরর জন্য প্রত্যেক এমন (বাছাই করা) ব্যাক্তিকে দাওয়াহ’র ক্ষেত্রে টার্গেট করা -যিনি সে সেক্টরে পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা রাখেন ও তীক্ষ্ণ মেধাবী....
উদাহরণ সরূপ কোন ভাই শরয়ী বা ফাতাওয়া বোর্ড ইত্যাদি পরিচালনার জন্য আলেম খুঁজছেন -তাহলে ভাই এমন আলেমকেই দাওয়াহ’র জন্য টার্গেট বা বাছাই করতে হবে যিনি তীক্ষ্ণ মেধাবী ও মুহাক্কিক খোদা ভীরু আলেম এবং প্রত্যেক ফনে (বিষয়ে) যার বাস্তব দক্ষতা রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি(এরকম আরো বহু গুণাবলী রয়েছে)....
-তাহলে আশা করা যায় এমন আলেমদের মাধ্যমেই (গেরিলাদের) শরয়ী বোর্ড খুব উত্তম রূপে পরিচালিত হবে -সেখানে কোন ধরনের শরিয়াহ বহির্ভূত ত্রুটি-বিচ্যুতি হবেনা ইনশাআল্লাহ....
কিন্তু বিপরিতে যদি যাচাই বাছাই ছাড়া সাধারণ আলেম উলামাদের'কে সেই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটিতে নিয়োগ দেওয়া হয় -তাহলে তাদের থেকে শরিয়াহ বহির্ভূত গর্হিত কর্মকাণ্ড ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার অধিক সম্ভবনা রয়েছে -যা (সর্বদিক থেকে) গেরিলাদের অধঃপাতের কারন হয়ে দাঁড়াবে!! (মাআযাল্লাহ)
তদ্রূপ গেরিলাদের প্রত্যেকটি সেক্টরের ব্যাপারে একই কথা....
এর মানি এটা নয় যে, তাতে অন্যান্য দূর্বল বা বোধ সম্পূর্ণ নিরক্ষর লোকদের'কে শরিক করা যাবেনা এবং তাদের উপর জিহাদ ফরজ নয়.... না বিষয়টি এমন নয় -বরং বর্তমান এই গেরিলা পদ্ধতির যুদ্ধ থেকে (কুরআন-সুন্নাহতে বর্নিত) মা'জুরগণ-ও ছাড় পাবেন না। কারণ তারা এই যুদ্ধে কোন না কোন ভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারবে...
অতএব তুলনামূলক দূর্বল বা অদক্ষ লোকদের'কে তাদের অবস্থা অনুযায়ী কাজ দেওয়া হবে এবং সাথে সাথে তাদের'কে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে...এটাই ই'তিদালি পন্থা ও নীতি।
-অধম এব্যাপারে "এক ভাইয়ের সাথে তার উস্তাদের ঘটে যাওয়া চমৎকার একটি ঘটনা" -নামক শিরোনামের আলোচনাতে-ও কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ।
তাই বলা হয় যে, -গেরিলা যুদ্ধাদের জন্য (ব্যক্তি কেন্দ্রিক) দাওয়াহ'র ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি হলো; "কাম্মিয়াত (সংখ্যাধিক্যতা) এর চেয়ে কাইফিয়্যাত (মানগত উন্নত) এর প্রতি অধিক লক্ষ্য রাখা"
অতএব আমরা ব্যাক্তি নির্বাচন ও দাওয়াহ’র ক্ষেত্রে কোয়ান্টিটি তথা সংখ্যাধিক্যের চেয়ে কোয়ালিটির (মানগত উন্নত) প্রতি অধিক গুরুত্ব দিবো ইনশাআল্লাহ -তাহলেই একমাত্র এই বরকতময় পবিত্র যুদ্ধ থেকে ভালো ফলাফল লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
মুমূর্ষু দূর্বল, জীর্ণশীর্ণ কয়েকশত সিংহ পর্যন্ত ক্ষুদ্র কয়েকটি কুকুরের সামনে অপারগ -কিন্তু বিপরীতে সুস্থ-সবল সিংহের মত সিংহ একটাই হাজার কুকুরের জন্য যথেষ্ট.... শুধু সংখ্যা দিয়েই সব কিছু হয়না!!
এক শায়েখ বলতেনঃ ""আমাদের অধিক সংখ্যক লোকের প্রয়োজন নেই বরং প্রয়োজন হলো বদরী কোয়ালিটি বিশিষ্ট ৩১৩ জন সেই সোনালী পুরুষদের -যারা পুরো বিশ্ব'কে জয় করে প্রতিটি ইঞ্চি ভূখন্ডে -কুফরের ঝান্ডাকে পদদলিত করে- ইসলামের ঝান্ডা উড্ডীন করবে বি-ইযনিল্লাহ""।
তাই অভিজ্ঞ সমরবিদ মুজাহিদগণ এই সুবিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে বেছে নিয়েছেন অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ একটি পদ্ধতি তথা গেরিলা যুদ্ধ...যেই পদ্ধতিতে (ছোট একটি বাহিনী কতৃক) সুবিশাল বাহিনীর সাথে মুকাবিলা করে আল্লাহর সাহায্যে বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব -যা আমাদের সামনে (আফগান সহ বিভিন্ন ফ্রন্টে) দৃশ্যমান আলহামদুলিল্লাহ....
আর এই পদ্ধতির যুদ্ধ অন্যান্য সাধারন যুদ্ধের মত নয় -বরং তাতে প্রয়োজন বহু বিচক্ষণ, দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ব্যাক্তি বর্গের....
এই গেরিলা যুদ্ধের প্রত্যেকটা সেক্টরেই পরিপূর্ণ অভিজ্ঞ দক্ষ কারিগর প্রয়োজন -যারা নিজেদের তিক্ষ্ণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আঞ্জাম দিবেন -তাতে কোন প্রকারের ত্রুটি করবেননা...
তাই আমাদের কর্তব্য হলো; প্রত্যেকটি সেক্টরর জন্য প্রত্যেক এমন (বাছাই করা) ব্যাক্তিকে দাওয়াহ’র ক্ষেত্রে টার্গেট করা -যিনি সে সেক্টরে পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা রাখেন ও তীক্ষ্ণ মেধাবী....
উদাহরণ সরূপ কোন ভাই শরয়ী বা ফাতাওয়া বোর্ড ইত্যাদি পরিচালনার জন্য আলেম খুঁজছেন -তাহলে ভাই এমন আলেমকেই দাওয়াহ’র জন্য টার্গেট বা বাছাই করতে হবে যিনি তীক্ষ্ণ মেধাবী ও মুহাক্কিক খোদা ভীরু আলেম এবং প্রত্যেক ফনে (বিষয়ে) যার বাস্তব দক্ষতা রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি(এরকম আরো বহু গুণাবলী রয়েছে)....
-তাহলে আশা করা যায় এমন আলেমদের মাধ্যমেই (গেরিলাদের) শরয়ী বোর্ড খুব উত্তম রূপে পরিচালিত হবে -সেখানে কোন ধরনের শরিয়াহ বহির্ভূত ত্রুটি-বিচ্যুতি হবেনা ইনশাআল্লাহ....
কিন্তু বিপরিতে যদি যাচাই বাছাই ছাড়া সাধারণ আলেম উলামাদের'কে সেই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটিতে নিয়োগ দেওয়া হয় -তাহলে তাদের থেকে শরিয়াহ বহির্ভূত গর্হিত কর্মকাণ্ড ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার অধিক সম্ভবনা রয়েছে -যা (সর্বদিক থেকে) গেরিলাদের অধঃপাতের কারন হয়ে দাঁড়াবে!! (মাআযাল্লাহ)
তদ্রূপ গেরিলাদের প্রত্যেকটি সেক্টরের ব্যাপারে একই কথা....
এর মানি এটা নয় যে, তাতে অন্যান্য দূর্বল বা বোধ সম্পূর্ণ নিরক্ষর লোকদের'কে শরিক করা যাবেনা এবং তাদের উপর জিহাদ ফরজ নয়.... না বিষয়টি এমন নয় -বরং বর্তমান এই গেরিলা পদ্ধতির যুদ্ধ থেকে (কুরআন-সুন্নাহতে বর্নিত) মা'জুরগণ-ও ছাড় পাবেন না। কারণ তারা এই যুদ্ধে কোন না কোন ভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারবে...
অতএব তুলনামূলক দূর্বল বা অদক্ষ লোকদের'কে তাদের অবস্থা অনুযায়ী কাজ দেওয়া হবে এবং সাথে সাথে তাদের'কে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে...এটাই ই'তিদালি পন্থা ও নীতি।
-অধম এব্যাপারে "এক ভাইয়ের সাথে তার উস্তাদের ঘটে যাওয়া চমৎকার একটি ঘটনা" -নামক শিরোনামের আলোচনাতে-ও কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ।
তাই বলা হয় যে, -গেরিলা যুদ্ধাদের জন্য (ব্যক্তি কেন্দ্রিক) দাওয়াহ'র ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি হলো; "কাম্মিয়াত (সংখ্যাধিক্যতা) এর চেয়ে কাইফিয়্যাত (মানগত উন্নত) এর প্রতি অধিক লক্ষ্য রাখা"
অতএব আমরা ব্যাক্তি নির্বাচন ও দাওয়াহ’র ক্ষেত্রে কোয়ান্টিটি তথা সংখ্যাধিক্যের চেয়ে কোয়ালিটির (মানগত উন্নত) প্রতি অধিক গুরুত্ব দিবো ইনশাআল্লাহ -তাহলেই একমাত্র এই বরকতময় পবিত্র যুদ্ধ থেকে ভালো ফলাফল লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
মুমূর্ষু দূর্বল, জীর্ণশীর্ণ কয়েকশত সিংহ পর্যন্ত ক্ষুদ্র কয়েকটি কুকুরের সামনে অপারগ -কিন্তু বিপরীতে সুস্থ-সবল সিংহের মত সিংহ একটাই হাজার কুকুরের জন্য যথেষ্ট.... শুধু সংখ্যা দিয়েই সব কিছু হয়না!!
এক শায়েখ বলতেনঃ ""আমাদের অধিক সংখ্যক লোকের প্রয়োজন নেই বরং প্রয়োজন হলো বদরী কোয়ালিটি বিশিষ্ট ৩১৩ জন সেই সোনালী পুরুষদের -যারা পুরো বিশ্ব'কে জয় করে প্রতিটি ইঞ্চি ভূখন্ডে -কুফরের ঝান্ডাকে পদদলিত করে- ইসলামের ঝান্ডা উড্ডীন করবে বি-ইযনিল্লাহ""।
Comment