বড় বড় পরাজয়ের কারণও ক্ষুদ্র বিষয়!
মানুষ যখন ভুল করে তখন সেটাকে সে খুব ছোট মনে করেই করে। ভাবে এই ছোট ভুলে আর কী হবে। এইটুকুই তো হবে। কিছু বিষয় তো ধারনার অনুকূলেই হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বড় বড় ভুলের করণ এই সামান্য অবহেলা মাত্র।
মালাজগ্রিড যুদ্ধের ময়দানে সুলতান আল্প আরসালানের বিরুদ্ধে বাইজেন্টাইন সম্রাট যে বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে েএসেছিলো তাতে সুলতানের বিজয়ের কোন কারণই ছিলো না। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা, সম্রাট তার বাহিনীর বিশালতা দেখে এত আত্মভরসায় ছিলো যে, সে কোনভাবেই হারবে না। তাই যুদ্ধ চলাকালে সে একটু বিশ্রামের জন্য ময়দান থেকে শিবিরে চলে গেলো। এই সুযোগে সুলতানের বাহনী এই সংবাদ ছড়িয়ে দিলো যে, সম্রাট পালায়ন করেছে। সম্রাটের বাহিনীও দেখলো যে, সম্রাট ময়দানে নেই। ফলে তারা সত্যই ভেবেছিলো যে, সম্রাট পরাজিত হয়ে পালায়ন করেছে। ফলে তার পুরো সৈন্যবাহিনী এত বিশাল হওয়ার পরেও পালায়ন করতে বাধ্য হলো। পরে সম্রাট সুলতানের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
বদর যুদ্ধের সময় মক্কার বাহিনী মনে করেছিলো অন্ন-বস্ত্রহীন লোকদের সাথে যুদ্ধে আমাদের পরাজয়ের কোন কারণই নেই। কিন্তু তারা যখন আল্লাহর রাসূল স.ও তাঁর সাহাবী রাযি.দেরকে ক্ষুদ্র ভেবে ময়দানে অবতীর্ণ হলো আল্লাহ এই ক্ষুদ্র বাহিনীর হাতেই তাদেরকে ক্ষুদ্র, হীন ও লাঞ্ছিত করলেন।
ঠিক তেমনিভাবে মুসলিমরা যখন তাদের ইবাদতকে ছোট গুনাহ মনে ছেড়ে দেয় এর ফলে সে যে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হলো তা তার অনুমানের একেবারেই বাইরে।
বুখারা-সমরকন্দে যখন আলেম-উলামাগণ কাফেরদের অস্ত্রকে নিজেদের কিতাব ও দরসের সামনে ছোট ও হালকা মনে করলো তখন তাদেরকে কাফেররা পিপড়ের মত পিষে মেরেছিলো।
জিহাদ একটি বড় আমল ও সকল অনাচার থেকে মুক্তির উপায়। যখন মুমিনরা এই জিহাদেকে না করলেও চলে ভেবে ছেড়ে দিয়েছে তখন তাদের গলে এমন শিকল আটকেছে যা থেকে বের হওয়ার এখন কোন উপায় পাচ্ছে না।
স্পেনের পরাজয়ের দিন খ্রিষ্টানদের কথায় স্পেনের মুসলমানরা আশ্বস্ত হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর ফলাফলকে হালকা ও ছোট মনে করেছিলো কিন্তু এর ফলাফল যে কত তিক্ত যা হাজার বছর পরেও আমরা তার তিক্ততা অনুভব করছি।
ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশরা বনিক হিসেবে প্রবেশ করেছিলো। কিন্তু তাদের মিশন সম্পর্কে মুসলমানদের ধারনা হালকা ও তাদেরকে সাধারণ কেউ মনে করার কুফলে হাজার হাজার গাছে আলেমদের লাশ ঝুলেছিলো।
বর্তমানেও আমরা অনেকে কাফেরদের তৎপরতা, জালিম হাসিনা ও গোমূত্রখোর হিন্দুদেরকে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও বিশৃঙ্খলার অজুহাতে অশনি সংকতেকে হালকা ও তমন কিছু না –সময় হলে ঠিক হয়ে যাবে মনে করছি এর ফলাফল কিন্তু মোটেও ভালো হবে না। প্রতিটি ভুলের মাশুল আমাদের আনা-গণ্ডায় পাই-পাই করে গুনতে হবে।
তাই ইসলামে যে বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে চলার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন।
মানুষ যখন ভুল করে তখন সেটাকে সে খুব ছোট মনে করেই করে। ভাবে এই ছোট ভুলে আর কী হবে। এইটুকুই তো হবে। কিছু বিষয় তো ধারনার অনুকূলেই হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বড় বড় ভুলের করণ এই সামান্য অবহেলা মাত্র।
মালাজগ্রিড যুদ্ধের ময়দানে সুলতান আল্প আরসালানের বিরুদ্ধে বাইজেন্টাইন সম্রাট যে বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে েএসেছিলো তাতে সুলতানের বিজয়ের কোন কারণই ছিলো না। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা, সম্রাট তার বাহিনীর বিশালতা দেখে এত আত্মভরসায় ছিলো যে, সে কোনভাবেই হারবে না। তাই যুদ্ধ চলাকালে সে একটু বিশ্রামের জন্য ময়দান থেকে শিবিরে চলে গেলো। এই সুযোগে সুলতানের বাহনী এই সংবাদ ছড়িয়ে দিলো যে, সম্রাট পালায়ন করেছে। সম্রাটের বাহিনীও দেখলো যে, সম্রাট ময়দানে নেই। ফলে তারা সত্যই ভেবেছিলো যে, সম্রাট পরাজিত হয়ে পালায়ন করেছে। ফলে তার পুরো সৈন্যবাহিনী এত বিশাল হওয়ার পরেও পালায়ন করতে বাধ্য হলো। পরে সম্রাট সুলতানের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
বদর যুদ্ধের সময় মক্কার বাহিনী মনে করেছিলো অন্ন-বস্ত্রহীন লোকদের সাথে যুদ্ধে আমাদের পরাজয়ের কোন কারণই নেই। কিন্তু তারা যখন আল্লাহর রাসূল স.ও তাঁর সাহাবী রাযি.দেরকে ক্ষুদ্র ভেবে ময়দানে অবতীর্ণ হলো আল্লাহ এই ক্ষুদ্র বাহিনীর হাতেই তাদেরকে ক্ষুদ্র, হীন ও লাঞ্ছিত করলেন।
ঠিক তেমনিভাবে মুসলিমরা যখন তাদের ইবাদতকে ছোট গুনাহ মনে ছেড়ে দেয় এর ফলে সে যে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হলো তা তার অনুমানের একেবারেই বাইরে।
বুখারা-সমরকন্দে যখন আলেম-উলামাগণ কাফেরদের অস্ত্রকে নিজেদের কিতাব ও দরসের সামনে ছোট ও হালকা মনে করলো তখন তাদেরকে কাফেররা পিপড়ের মত পিষে মেরেছিলো।
জিহাদ একটি বড় আমল ও সকল অনাচার থেকে মুক্তির উপায়। যখন মুমিনরা এই জিহাদেকে না করলেও চলে ভেবে ছেড়ে দিয়েছে তখন তাদের গলে এমন শিকল আটকেছে যা থেকে বের হওয়ার এখন কোন উপায় পাচ্ছে না।
স্পেনের পরাজয়ের দিন খ্রিষ্টানদের কথায় স্পেনের মুসলমানরা আশ্বস্ত হয়েছিলো। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর ফলাফলকে হালকা ও ছোট মনে করেছিলো কিন্তু এর ফলাফল যে কত তিক্ত যা হাজার বছর পরেও আমরা তার তিক্ততা অনুভব করছি।
ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশরা বনিক হিসেবে প্রবেশ করেছিলো। কিন্তু তাদের মিশন সম্পর্কে মুসলমানদের ধারনা হালকা ও তাদেরকে সাধারণ কেউ মনে করার কুফলে হাজার হাজার গাছে আলেমদের লাশ ঝুলেছিলো।
বর্তমানেও আমরা অনেকে কাফেরদের তৎপরতা, জালিম হাসিনা ও গোমূত্রখোর হিন্দুদেরকে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও বিশৃঙ্খলার অজুহাতে অশনি সংকতেকে হালকা ও তমন কিছু না –সময় হলে ঠিক হয়ে যাবে মনে করছি এর ফলাফল কিন্তু মোটেও ভালো হবে না। প্রতিটি ভুলের মাশুল আমাদের আনা-গণ্ডায় পাই-পাই করে গুনতে হবে।
তাই ইসলামে যে বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে চলার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন।
Comment