বোকা সাজাও বোকামী! চাই সর্বত্র হিকমাহ-র সদ্ব্যবহার!
---------------------------------------------------------
আমরা অনেকে শত্রুকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে মনে করি সে এখন আমার শত্রু নেই। শত্রু হলে তো শত্রুতার কিছু না কিছু করতো।
আমি আপনাকে বোকা মনে করি না। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি বোকা সেজেছেন। বোকাদের দিয়ে যেমন কোন কাজ হয় না ঠিক যারা বোকা সাজে তাদের দিয়েও কোন কাজ হয় না।
শত্রুকে চুপ-চাপ দেখে আপনার তাকে বাস্তবেই চুপ আছে বলেমনে করার কোন কারণ নেই। কারণ, অনেক সময় চুপ থাকাও একটা শত্রুতার অংশ হয়। যখন কেউ সাক্ষ্য দিতে যায় তখন যদি সে সাক্ষ্য না দিয়ে চুপ থাকে তাহলে আপনি আপনার সাক্ষি হারিয়ে পরাজিত হবেন। শত্রুও তেমন। সময় পেলে আপনাকে ঘায়েল করার জন্য কোন সুযোগই হাতছাড়া করবে না। এযাবৎকাল পর্যন্ত যারাই শত্রুর নীরবতাকে নিরাপদ মনে করেছে তারা সর্বদাই হেরেছে। আর এমন হওয়াই স্বাভাবিক।
আল্লাহ বান্দাকে হিকমাহ শিক্ষা করার যোগ্যতা দিয়েছেন। কোন বান্দা যখন তার উদ্ভাবনী শক্তিকে হিকমাহ হিসেবে ব্যবহার করবে তখন বড় বড় হিকমতওয়ালা শত্রুও তার কাছে পরাজিত হবে। এটাই আল্লাহর নিযাম।
ছোট থেকে ছোট হিকমাহ-ও অনেক বড় সফলতা আনতে পারে। যুদ্ধের ময়দানে লম্বা সিরিয়াল দিয়ে ওয়াশরুমে যাতায়াত ছিলো ছোট একটি হিকমাহ কিন্তু আল্লাহ এর সুফলে বিজয় দান করেছেন।
গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা ছিলো ছোট একটি হিকমাহ কিন্তু শত্রুদের মনে ভীতিসঞ্চার ও তাদের পালায়নের জন্য এটাকেই কারণ বানিয়ে দিয়েছেন।
অনেক সময় ছোট ছোট হিকমাহপূর্ণ কথা বড় বড় সমস্যাকে সমাধান কেরে দিতে পারে।
আজ আমরা হিকমাহ-র ব্যবহার ভুলে গিয়েছি। লক্ষ্য ছেড়ে পিছিয়ে পড়ার নাম দিয়েছি হিকমাহ। যেমনটা মুনাফিকরা তাবুক যুদ্ধের সময় বলেছিলো। জিহাদকে তারা ফিতনার কারণ বলেছিলো। অথচ জিহাদে শরীক হতে না পারাই ছিলো ফিতনা। আর জিহাদে শরীক হওয়ার নামই ছিলো হিকমাহ। সাহাবায়ে কেরাম রাযি. আল্লাহর রাসূলের আদেশ পালনের জন্য নিজেদের হিকমাহ ব্যবহার করেছেন। আর মুনাফিকরা তাদের হিকমাহ ব্যবহার করেছিলো আল্লাহর হুকুম অনাদায়ের জন্য। হিকমাহ কিন্তু উভয় শ্রেণীই ব্যবহার করেছিলো। কিন্তু কারো হিকমাহ ব্যবহার হয়েছে কল্যাণে আর কারো হিকমাহ ব্যবহার হয়েছে অকল্যাণে।
বর্তমানে আমাদের এক শ্রেণীর আলেম সমাজ শত্রুর শত্রুতাকে হিকমাহর অজুহাতে শত্রুতা মনে করে না। মনে করে তারা তো সৎ পরামর্শই দিচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানী তো ভালো কথা নয়। মাদ্রাসায় ছাত্রদের জন্য জিহাদের কোন বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ততাকে ফেতনা মনে করছে। আবার কেউ কেউ হাজার হাজার শহীদের শত্রুকে কওমী জননী আখ্যা দিয়ে স্বীকৃতি নামক মূলো উপহার দেওয়ার ফলে শোকরানা মাহফিলকে বড় হিকমতী কাজ মনে করছে।
এদের আর কিছু থাক বা না থাক, তারা প্রকৃত হিকমাহ থেকে বঞ্চিত এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। হিকমাহ-র ব্যবহার কিভাবে করতে হয় এর প্রকৃত ধারনাই তাদের নেই। ইল্লা-মা-শা-আল্লাহ।
এদের মত বোকা সেজে কোন লাভ নাই। নিজের হিকমাহকে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর কালিমা বুলন্দির জন্য ব্যবহার করুন।
---------------------------------------------------------
আমরা অনেকে শত্রুকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে মনে করি সে এখন আমার শত্রু নেই। শত্রু হলে তো শত্রুতার কিছু না কিছু করতো।
আমি আপনাকে বোকা মনে করি না। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি বোকা সেজেছেন। বোকাদের দিয়ে যেমন কোন কাজ হয় না ঠিক যারা বোকা সাজে তাদের দিয়েও কোন কাজ হয় না।
শত্রুকে চুপ-চাপ দেখে আপনার তাকে বাস্তবেই চুপ আছে বলেমনে করার কোন কারণ নেই। কারণ, অনেক সময় চুপ থাকাও একটা শত্রুতার অংশ হয়। যখন কেউ সাক্ষ্য দিতে যায় তখন যদি সে সাক্ষ্য না দিয়ে চুপ থাকে তাহলে আপনি আপনার সাক্ষি হারিয়ে পরাজিত হবেন। শত্রুও তেমন। সময় পেলে আপনাকে ঘায়েল করার জন্য কোন সুযোগই হাতছাড়া করবে না। এযাবৎকাল পর্যন্ত যারাই শত্রুর নীরবতাকে নিরাপদ মনে করেছে তারা সর্বদাই হেরেছে। আর এমন হওয়াই স্বাভাবিক।
আল্লাহ বান্দাকে হিকমাহ শিক্ষা করার যোগ্যতা দিয়েছেন। কোন বান্দা যখন তার উদ্ভাবনী শক্তিকে হিকমাহ হিসেবে ব্যবহার করবে তখন বড় বড় হিকমতওয়ালা শত্রুও তার কাছে পরাজিত হবে। এটাই আল্লাহর নিযাম।
ছোট থেকে ছোট হিকমাহ-ও অনেক বড় সফলতা আনতে পারে। যুদ্ধের ময়দানে লম্বা সিরিয়াল দিয়ে ওয়াশরুমে যাতায়াত ছিলো ছোট একটি হিকমাহ কিন্তু আল্লাহ এর সুফলে বিজয় দান করেছেন।
গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা ছিলো ছোট একটি হিকমাহ কিন্তু শত্রুদের মনে ভীতিসঞ্চার ও তাদের পালায়নের জন্য এটাকেই কারণ বানিয়ে দিয়েছেন।
অনেক সময় ছোট ছোট হিকমাহপূর্ণ কথা বড় বড় সমস্যাকে সমাধান কেরে দিতে পারে।
আজ আমরা হিকমাহ-র ব্যবহার ভুলে গিয়েছি। লক্ষ্য ছেড়ে পিছিয়ে পড়ার নাম দিয়েছি হিকমাহ। যেমনটা মুনাফিকরা তাবুক যুদ্ধের সময় বলেছিলো। জিহাদকে তারা ফিতনার কারণ বলেছিলো। অথচ জিহাদে শরীক হতে না পারাই ছিলো ফিতনা। আর জিহাদে শরীক হওয়ার নামই ছিলো হিকমাহ। সাহাবায়ে কেরাম রাযি. আল্লাহর রাসূলের আদেশ পালনের জন্য নিজেদের হিকমাহ ব্যবহার করেছেন। আর মুনাফিকরা তাদের হিকমাহ ব্যবহার করেছিলো আল্লাহর হুকুম অনাদায়ের জন্য। হিকমাহ কিন্তু উভয় শ্রেণীই ব্যবহার করেছিলো। কিন্তু কারো হিকমাহ ব্যবহার হয়েছে কল্যাণে আর কারো হিকমাহ ব্যবহার হয়েছে অকল্যাণে।
বর্তমানে আমাদের এক শ্রেণীর আলেম সমাজ শত্রুর শত্রুতাকে হিকমাহর অজুহাতে শত্রুতা মনে করে না। মনে করে তারা তো সৎ পরামর্শই দিচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানী তো ভালো কথা নয়। মাদ্রাসায় ছাত্রদের জন্য জিহাদের কোন বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ততাকে ফেতনা মনে করছে। আবার কেউ কেউ হাজার হাজার শহীদের শত্রুকে কওমী জননী আখ্যা দিয়ে স্বীকৃতি নামক মূলো উপহার দেওয়ার ফলে শোকরানা মাহফিলকে বড় হিকমতী কাজ মনে করছে।
এদের আর কিছু থাক বা না থাক, তারা প্রকৃত হিকমাহ থেকে বঞ্চিত এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। হিকমাহ-র ব্যবহার কিভাবে করতে হয় এর প্রকৃত ধারনাই তাদের নেই। ইল্লা-মা-শা-আল্লাহ।
এদের মত বোকা সেজে কোন লাভ নাই। নিজের হিকমাহকে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর কালিমা বুলন্দির জন্য ব্যবহার করুন।
Comment