জামাতুল কাইদা সম্পর্কে বেশিরভাগ প্রশ্নগুলো মূলতই অস্পষ্ট বা অপর্যাপ্ত তত্ত্বের কারণে।
চলুন শুরুতেই আমি একটি ঘটনা শুনাই—
আমি তখন দাওরা হাদিস পড়ি। নাসাই শরিফ পড়াতেন আমার ওস্তাজ। কথা প্রসঙ্গে "মানহাজি" বলে জামাতুল কাইদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। তার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো- ❝আলিম ওলামা সহ ব্যপকহারে এই দলটি উম্মাহকে তাকফির করে❞
আমি এই মর্মে তার থেকে কোন প্রুফ চাইলাম কিন্তু তিনি দেখাতে পারেননি।
পরিশেষে তিনি বললেন গনতান্ত্রিক নির্বাচনে যাওয়াতে চরমোনাইকে এই মানহাজিরা [একিউ] কাফের বলে থাকে।
আমি বললাম প্রমাণ?
তিনি শাইখে চরমোনাইয়ের একটি লেকচারের রেফারেন্স দিলেন, যেখানে শাইখে চরমোনাই বলেছেন মানহাজিরা এসমস্ত আলিমদেরকে তাকফির করে। আমি বললাম মুহতারাম আপনি তো একজন মুফতি। চরমোনাইয়ের শাইখ বলেছেন এটাই প্রমাণ হিসেবে পেশ করা কি যৌক্তিক?
আমি আরো বললাম শাইখ একিউর কোন অফিসিয়াল বিবৃতি কী দেখাতে সক্ষম হবেন এই মর্মে যে, তারা আম কাফের বলে?
অথচ আমি একিউর অফিসিয়াল বিবৃতি দেখাতে সক্ষম যা আপনার ধারণাই পাল্টে যাবে।
এরপর কিছু লেখা দিলাম, দুএকটি পিডিএফ দিলাম অফিসিয়াল কিছু বিবৃতি দেখালাম, ওলামাদের ব্যপারে অবস্থান দেখালাম, এবং কোন কোন দলের বিষয়ে কি কি অবস্থান এবং কেন এই অবস্থান তা দেখালাম, বাংলাদেশে ওলামাদের মধ্যে ফরিদ মাসুদকে স্পষ্ট শব্দে কাফের বলা হয়েছে শুধুমাত্র, সেটা দেখা দেখালম আর অন্যান্যদের বিষয়ে যতটুকু ভুল রয়েছে ততটুকুতে নাসিহামূলক অবস্থান দেখালাম ইত্যাদি ইত্যাদি..
এসব দেখে সত্যি সত্যিই জামাতুল কাইদার বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে।
•
বিশুদ্ধ চিন্তার অধিকারী বহু ভাইয়েরাই জামাতুল কাইদার বিষয়ে না জানার কারণেই তারা তাদের সঠিক চিন্তাকে প্রচার করেন আর বলেন জামাতুল কাইদার এই এই গুনগুলোও অর্জন করতে হবে।
অবশ্যই হে প্রিয় ভাই!
আমি আপনাকে কসম করে বলছি, জামাতুল কাইদার মানহাজ স্বচ্ছ বিশুদ্ধ বক্রতামুক্ত। আপনি যে, ব্যপক দাওয়াহর নাসিহা করেছেন এটা জামাতুল কাইদার অবিচ্ছেদ্য অংশ ও মানহাজ।
কিন্তু সমস্যা হলো চরমোনাই, জামাত বা অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর বিষয় কোন খটকা থাকলে তো সরাসরি তাদের কোন নেতাদের সাথে অনলাইন বা অফলাইনে সরাসরি বসে সমাধানে আসা যায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যে মুজাহিদদের বিষয়ে এই প্রক্রিয়াটা প্রয়োগ করা শুধু কঠিনই নয় বরং অসম্ভবও বটে কারণ স্পষ্ট।
তাই আমরা অনুরোধ করবো প্রিয় ভাই! জামাতুল কাইদার অফিসিয়াল আলিমদের বিবৃতিগুলো একটু কষ্ট করে পড়ার বা দেখার চেষ্টা করুন।
•
এখানে অনলাইনে [বিশেষ করে ফেসবুক একটিভিটি] ভাইয়েরা কিছু সমস্যা তৈরী করেন।
আমি জানিনা এই সমস্যাগুলো কী তারা বুঝেশুনে সৃষ্টি করেন নাকি না বুঝেই এমনটি করেন?
কেউ জামাতুল কাইদাকে কোন নেগেটিভ কিছু বললে এই ভাইয়েরা জামাতুল কায়দার পক্ষে কথা বলার সুরতে বরং জামাতুল কাইদাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তার কমেন্টে উগ্রতা ছড়ানো, অশালীন বাক্যালাপ সহ ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার তো স্মরণ রাখা উচিত জামাতুল কাইদার শাইখগন ফেসবুকে থাকেননা।
বরং বিরুদ্ধাচারণকারী শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়েরা আপনাদের দ্বারাই জামাতুল কাইদাকে মেপে থাকে। অথচ আপনার এমন মানহাজ পেশ করছেন ঢ়ার সাথে না কাইদার কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে না কাইদার সমর্থন রয়েছে।
দাওয়াহইলাল্লাহ ফোরাম রয়েছে।কোন ক্রিটিকাল প্রশ্ন আসলে সেখানে পেশ করুন, দেখুন দায়িত্বশীলগন কী জওয়াব দেন, সেটাই ফেসবুকে শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইদের জওয়াবে লিখে দিন বা আপনি পোস্ট করুন। তা না করে আমরা চলছি এমন পথে যাতে বরং মুজাহিদিনগনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন।
কিছুদিন আগে জিহাদ ফোবিয়ায় ভুগতে থাকা এক মুফতি সাহেব গোটা দুনিয়ার মুজাহিদিনদের খারিজি তাকফিরি বানাতে উঠে পড়ে লেগে গেলেন।
তারও আগে মাজারপুজারীদের সমর্থক এক খিয়ানতকারী মুজাহিদদের খারিজি তাকফিরি বলতে উঠে পড়ে লাগলো।
কিন্তু আমরা দেখলাম জামাতুল কাইদার সমর্থনকারী কিছু ভাইদের এমন কমেন্ট যা শুধু অসঙ্গতি বললেও হক আদায় হবেনা বরং তা ছিলো চরম.....[আল্লাহর আশ্রয়]
আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আজই এখনই।
চলুন শুরুতেই আমি একটি ঘটনা শুনাই—
আমি তখন দাওরা হাদিস পড়ি। নাসাই শরিফ পড়াতেন আমার ওস্তাজ। কথা প্রসঙ্গে "মানহাজি" বলে জামাতুল কাইদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। তার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো- ❝আলিম ওলামা সহ ব্যপকহারে এই দলটি উম্মাহকে তাকফির করে❞
আমি এই মর্মে তার থেকে কোন প্রুফ চাইলাম কিন্তু তিনি দেখাতে পারেননি।
পরিশেষে তিনি বললেন গনতান্ত্রিক নির্বাচনে যাওয়াতে চরমোনাইকে এই মানহাজিরা [একিউ] কাফের বলে থাকে।
আমি বললাম প্রমাণ?
তিনি শাইখে চরমোনাইয়ের একটি লেকচারের রেফারেন্স দিলেন, যেখানে শাইখে চরমোনাই বলেছেন মানহাজিরা এসমস্ত আলিমদেরকে তাকফির করে। আমি বললাম মুহতারাম আপনি তো একজন মুফতি। চরমোনাইয়ের শাইখ বলেছেন এটাই প্রমাণ হিসেবে পেশ করা কি যৌক্তিক?
আমি আরো বললাম শাইখ একিউর কোন অফিসিয়াল বিবৃতি কী দেখাতে সক্ষম হবেন এই মর্মে যে, তারা আম কাফের বলে?
অথচ আমি একিউর অফিসিয়াল বিবৃতি দেখাতে সক্ষম যা আপনার ধারণাই পাল্টে যাবে।
এরপর কিছু লেখা দিলাম, দুএকটি পিডিএফ দিলাম অফিসিয়াল কিছু বিবৃতি দেখালাম, ওলামাদের ব্যপারে অবস্থান দেখালাম, এবং কোন কোন দলের বিষয়ে কি কি অবস্থান এবং কেন এই অবস্থান তা দেখালাম, বাংলাদেশে ওলামাদের মধ্যে ফরিদ মাসুদকে স্পষ্ট শব্দে কাফের বলা হয়েছে শুধুমাত্র, সেটা দেখা দেখালম আর অন্যান্যদের বিষয়ে যতটুকু ভুল রয়েছে ততটুকুতে নাসিহামূলক অবস্থান দেখালাম ইত্যাদি ইত্যাদি..
এসব দেখে সত্যি সত্যিই জামাতুল কাইদার বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে।
•
বিশুদ্ধ চিন্তার অধিকারী বহু ভাইয়েরাই জামাতুল কাইদার বিষয়ে না জানার কারণেই তারা তাদের সঠিক চিন্তাকে প্রচার করেন আর বলেন জামাতুল কাইদার এই এই গুনগুলোও অর্জন করতে হবে।
অবশ্যই হে প্রিয় ভাই!
আমি আপনাকে কসম করে বলছি, জামাতুল কাইদার মানহাজ স্বচ্ছ বিশুদ্ধ বক্রতামুক্ত। আপনি যে, ব্যপক দাওয়াহর নাসিহা করেছেন এটা জামাতুল কাইদার অবিচ্ছেদ্য অংশ ও মানহাজ।
কিন্তু সমস্যা হলো চরমোনাই, জামাত বা অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর বিষয় কোন খটকা থাকলে তো সরাসরি তাদের কোন নেতাদের সাথে অনলাইন বা অফলাইনে সরাসরি বসে সমাধানে আসা যায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যে মুজাহিদদের বিষয়ে এই প্রক্রিয়াটা প্রয়োগ করা শুধু কঠিনই নয় বরং অসম্ভবও বটে কারণ স্পষ্ট।
তাই আমরা অনুরোধ করবো প্রিয় ভাই! জামাতুল কাইদার অফিসিয়াল আলিমদের বিবৃতিগুলো একটু কষ্ট করে পড়ার বা দেখার চেষ্টা করুন।
•
এখানে অনলাইনে [বিশেষ করে ফেসবুক একটিভিটি] ভাইয়েরা কিছু সমস্যা তৈরী করেন।
আমি জানিনা এই সমস্যাগুলো কী তারা বুঝেশুনে সৃষ্টি করেন নাকি না বুঝেই এমনটি করেন?
কেউ জামাতুল কাইদাকে কোন নেগেটিভ কিছু বললে এই ভাইয়েরা জামাতুল কায়দার পক্ষে কথা বলার সুরতে বরং জামাতুল কাইদাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তার কমেন্টে উগ্রতা ছড়ানো, অশালীন বাক্যালাপ সহ ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার তো স্মরণ রাখা উচিত জামাতুল কাইদার শাইখগন ফেসবুকে থাকেননা।
বরং বিরুদ্ধাচারণকারী শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়েরা আপনাদের দ্বারাই জামাতুল কাইদাকে মেপে থাকে। অথচ আপনার এমন মানহাজ পেশ করছেন ঢ়ার সাথে না কাইদার কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে না কাইদার সমর্থন রয়েছে।
দাওয়াহইলাল্লাহ ফোরাম রয়েছে।কোন ক্রিটিকাল প্রশ্ন আসলে সেখানে পেশ করুন, দেখুন দায়িত্বশীলগন কী জওয়াব দেন, সেটাই ফেসবুকে শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইদের জওয়াবে লিখে দিন বা আপনি পোস্ট করুন। তা না করে আমরা চলছি এমন পথে যাতে বরং মুজাহিদিনগনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন।
কিছুদিন আগে জিহাদ ফোবিয়ায় ভুগতে থাকা এক মুফতি সাহেব গোটা দুনিয়ার মুজাহিদিনদের খারিজি তাকফিরি বানাতে উঠে পড়ে লেগে গেলেন।
তারও আগে মাজারপুজারীদের সমর্থক এক খিয়ানতকারী মুজাহিদদের খারিজি তাকফিরি বলতে উঠে পড়ে লাগলো।
কিন্তু আমরা দেখলাম জামাতুল কাইদার সমর্থনকারী কিছু ভাইদের এমন কমেন্ট যা শুধু অসঙ্গতি বললেও হক আদায় হবেনা বরং তা ছিলো চরম.....[আল্লাহর আশ্রয়]
আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আজই এখনই।
Comment