আসসালামু আলাইকুম সম্মানীত দ্বীনি ভায়েরা।
আমরা জানি একটি সফল তানজিমের জন্য কিছু উপাদান জরুরী তার মধ্যে একটি হচ্ছে তানজিমের এমন সদস্য থাকা যাদের তিন টি গুন থাকবেঃ--
১। পর্যাপ্ত পরিমাণ সদস্য থাকা।
২। সাথীরা যোগ্য ও দক্ষ হওয়া।
৩। সদস্যগণ পূর্ণ আনুগত্যশীল হওয়া।
অদক্ষ সদস্যের আধিক্য তানযীমের জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে। সংগঠন জনবলের ক্ষেত্রে অতি প্রসারতার ফাঁদে পড়ে থাকে।
অদক্ষ সদস্য পংগু অংগের মত। যার দ্বারা কোন কাজ হয় না। সুতরাং আমাদের প্রত্যেক সদস্যকে দক্ষতা অর্জন করা জরুরী।
## জিহাদী তানযিমের সদস্যদের জন্য আম ভাবে যেসব দক্ষতা, যোগ্যতা ও গুণাবলি থাকা জরুরী বা গুরুত্বপূর্ণঃ-
১. ইলম কেন্দ্রিক দক্ষতাঃ
আকীদাহ ও তাওহীদ সংক্রান্ত মৌলিক ইলম।
সহীহ-শুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত।
ফরয পরিমাণ ইলমূল ফিকহ।
নির্বাচিত নুসূস(আয়াত হাদিস) মুখস্ত থাকা।
সীরাতে রাসুল, ইসলামী তারিখ ও সালাফদের জিবনী।
২. আমাল-আখলাক কেন্দ্রিক দক্ষতাঃ
ফরজ, ওয়াজিব যথাযথ আদায় করা। সুনানের(সুন্নতসমুহের) ব্যাপারে যত্নবান হওয়া।
কবীরা গুনাহ একদম ত্যাগ করা , সগিরা গোনাহ থেকেও বেঁচে থাকা।
আত্মিক ব্যধি সমূহের ব্যাপারে সজাগ থাকা ও অন্তর মুহাসাবায় রাখা।
ইসলামিক ও মানবিক গুণাবলী কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নত থাকা এবং উন্নতি জারি রাখা।
ইসলামিক গুণাবলী, যেমন- তাক্বওয়া, ইখলাস, ইয়াকীন, সবর, তাওবা, আল-হুব্বু ফিল্লাহ ওয়াল বুগযু ফিল্লাহ, তাওয়াযু, তাওাক্কুল ও হুসনুয যন বিল্লাহ, আনুগত্যশীলতা।
মানবিক গুণাবলী, যেমন- সাহসিকতা, নম্রতা, উদারতা, সহানুভূতিশীলতা, লজ্জাশীলতা, দায়িত্বশীলতা, সততা, সত্যবাদিতা। )
৩. সাধারণ যোগ্যতা কেন্দ্রিক দক্ষতাঃ
নির্ধারিত দায়িত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতা ও পারদর্শিতা থাকা।
শারীরিক ফিটনেস ঠিক রাখা।
সাঁতার ও ড্রাইভিং জানা থাকা।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত মূলনীতি হালনাগাদ থাকা।
কাজের ডিভাইসের নিরাপদ ব্যবহার জানা।
প্রাথমিক সামরিক জ্ঞান থাকা।
কাজে ধারাবাহিক ও স্থিরচিত্তের হওয়া।
অন্যান্য
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকা।
দিনী ও পার্থিব ইলম অর্জনের প্রতি আগ্রহী থাকা।
উম্মতে মুসলিমার প্রতি সহানুভূতিশীল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর হওয়া।
দীনী ও দুনিয়াবী সকল বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ মেজাযের অধিকারী হওয়া
এগুলো আমরা এমন গুণাবলির কথা উল্লেখ করছি যা আম ভাবে সকলের মাঝে থাকা চাই।
এই গুণাবলীর ক্ষেত্রে যে ভাই যত এগিয়ে থাকবেন ইনশাআল্লাহ্ তাকে দিয়ে তত বেশি কাজ এগিয়ে নেয়া যাবে। তবে ন্যুনতম পরিমাণ সকলের মাঝে চলে আসা জরুরী।
আবেদন ঃঃ মুহতারাম ভাই, পৃথিবীতে কেও যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে জন্ম নেয়না। সবাই দুনিয়ায় এসেই ধীরে ধীরে সব দক্ষতা অর্জন করে। চাকরি বা ব্যাবসা সহ সব রিজিকের দক্ষতাই মানুষ অর্জন করে ও সারাজীবন দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে। অফিসের কেও একজন প্রমোশন পেলে আমরা আফসোস করি ও তার চেয়েও বেশি দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করি। পাশের কেও ব্যাবসায় ভালো উপার্জন করলে আমরাও চেষ্টা করি কিভাবে নিজের ব্যাবসা বৃদ্ধি করা যায় ও নিজের যোগ্যতা বৃদ্ধি করা যায়।
কিন্তু হায় আফসোস, শুধু দাওয়াত ও জিহাদের কাজে আমরা নিজেদের অযোগ্য প্রমাণ করে সহজেই জান্নাতে যেতে চাই। আল্লাহ বলেছেন, " যদি তারা জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করত, তবে তারা অবশ্যই প্রস্তুতি গ্রহণ করত"।
এই প্রস্তুতির ভিতর ত নিজের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সব দক্ষতা বৃদ্ধি করাই বোজায়, তাই নয় কি ভাই? কিন্তু আমরা ইসলামের কাজেই নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করি। এটা ত তাহলে নিজেই নিজেকে ধোঁকা দিচ্ছি, তাই নয় কি??
তাই, আমাদের সবার উচিত দক্ষতা অর্জন এর চেষ্টা করা। কারণ, অদক্ষ সদস্যের আধিক্য তানযীমের জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অদক্ষ সদস্য পংগু অংগের মত। যার দ্বারা কোন কাজ হয় না। সুতরাং আমাদের প্রত্যেক সদস্যকে দক্ষতা অর্জন করা জরুরী।
আল্লাহ আমাদের জিহাদের কাজের উপযুক্ত ও দক্ষ করে দিন।আমিন, ইয়া রাব্বাল আলামিন।
আমরা জানি একটি সফল তানজিমের জন্য কিছু উপাদান জরুরী তার মধ্যে একটি হচ্ছে তানজিমের এমন সদস্য থাকা যাদের তিন টি গুন থাকবেঃ--
১। পর্যাপ্ত পরিমাণ সদস্য থাকা।
২। সাথীরা যোগ্য ও দক্ষ হওয়া।
৩। সদস্যগণ পূর্ণ আনুগত্যশীল হওয়া।
অদক্ষ সদস্যের আধিক্য তানযীমের জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে। সংগঠন জনবলের ক্ষেত্রে অতি প্রসারতার ফাঁদে পড়ে থাকে।
অদক্ষ সদস্য পংগু অংগের মত। যার দ্বারা কোন কাজ হয় না। সুতরাং আমাদের প্রত্যেক সদস্যকে দক্ষতা অর্জন করা জরুরী।
## জিহাদী তানযিমের সদস্যদের জন্য আম ভাবে যেসব দক্ষতা, যোগ্যতা ও গুণাবলি থাকা জরুরী বা গুরুত্বপূর্ণঃ-
১. ইলম কেন্দ্রিক দক্ষতাঃ
আকীদাহ ও তাওহীদ সংক্রান্ত মৌলিক ইলম।
সহীহ-শুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত।
ফরয পরিমাণ ইলমূল ফিকহ।
নির্বাচিত নুসূস(আয়াত হাদিস) মুখস্ত থাকা।
সীরাতে রাসুল, ইসলামী তারিখ ও সালাফদের জিবনী।
২. আমাল-আখলাক কেন্দ্রিক দক্ষতাঃ
ফরজ, ওয়াজিব যথাযথ আদায় করা। সুনানের(সুন্নতসমুহের) ব্যাপারে যত্নবান হওয়া।
কবীরা গুনাহ একদম ত্যাগ করা , সগিরা গোনাহ থেকেও বেঁচে থাকা।
আত্মিক ব্যধি সমূহের ব্যাপারে সজাগ থাকা ও অন্তর মুহাসাবায় রাখা।
ইসলামিক ও মানবিক গুণাবলী কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নত থাকা এবং উন্নতি জারি রাখা।
ইসলামিক গুণাবলী, যেমন- তাক্বওয়া, ইখলাস, ইয়াকীন, সবর, তাওবা, আল-হুব্বু ফিল্লাহ ওয়াল বুগযু ফিল্লাহ, তাওয়াযু, তাওাক্কুল ও হুসনুয যন বিল্লাহ, আনুগত্যশীলতা।
মানবিক গুণাবলী, যেমন- সাহসিকতা, নম্রতা, উদারতা, সহানুভূতিশীলতা, লজ্জাশীলতা, দায়িত্বশীলতা, সততা, সত্যবাদিতা। )
৩. সাধারণ যোগ্যতা কেন্দ্রিক দক্ষতাঃ
নির্ধারিত দায়িত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতা ও পারদর্শিতা থাকা।
শারীরিক ফিটনেস ঠিক রাখা।
সাঁতার ও ড্রাইভিং জানা থাকা।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত মূলনীতি হালনাগাদ থাকা।
কাজের ডিভাইসের নিরাপদ ব্যবহার জানা।
প্রাথমিক সামরিক জ্ঞান থাকা।
কাজে ধারাবাহিক ও স্থিরচিত্তের হওয়া।
অন্যান্য
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকা।
দিনী ও পার্থিব ইলম অর্জনের প্রতি আগ্রহী থাকা।
উম্মতে মুসলিমার প্রতি সহানুভূতিশীল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর হওয়া।
দীনী ও দুনিয়াবী সকল বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ মেজাযের অধিকারী হওয়া
এগুলো আমরা এমন গুণাবলির কথা উল্লেখ করছি যা আম ভাবে সকলের মাঝে থাকা চাই।
এই গুণাবলীর ক্ষেত্রে যে ভাই যত এগিয়ে থাকবেন ইনশাআল্লাহ্ তাকে দিয়ে তত বেশি কাজ এগিয়ে নেয়া যাবে। তবে ন্যুনতম পরিমাণ সকলের মাঝে চলে আসা জরুরী।
আবেদন ঃঃ মুহতারাম ভাই, পৃথিবীতে কেও যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে জন্ম নেয়না। সবাই দুনিয়ায় এসেই ধীরে ধীরে সব দক্ষতা অর্জন করে। চাকরি বা ব্যাবসা সহ সব রিজিকের দক্ষতাই মানুষ অর্জন করে ও সারাজীবন দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে। অফিসের কেও একজন প্রমোশন পেলে আমরা আফসোস করি ও তার চেয়েও বেশি দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করি। পাশের কেও ব্যাবসায় ভালো উপার্জন করলে আমরাও চেষ্টা করি কিভাবে নিজের ব্যাবসা বৃদ্ধি করা যায় ও নিজের যোগ্যতা বৃদ্ধি করা যায়।
কিন্তু হায় আফসোস, শুধু দাওয়াত ও জিহাদের কাজে আমরা নিজেদের অযোগ্য প্রমাণ করে সহজেই জান্নাতে যেতে চাই। আল্লাহ বলেছেন, " যদি তারা জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করত, তবে তারা অবশ্যই প্রস্তুতি গ্রহণ করত"।
এই প্রস্তুতির ভিতর ত নিজের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সব দক্ষতা বৃদ্ধি করাই বোজায়, তাই নয় কি ভাই? কিন্তু আমরা ইসলামের কাজেই নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করি। এটা ত তাহলে নিজেই নিজেকে ধোঁকা দিচ্ছি, তাই নয় কি??
তাই, আমাদের সবার উচিত দক্ষতা অর্জন এর চেষ্টা করা। কারণ, অদক্ষ সদস্যের আধিক্য তানযীমের জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অদক্ষ সদস্য পংগু অংগের মত। যার দ্বারা কোন কাজ হয় না। সুতরাং আমাদের প্রত্যেক সদস্যকে দক্ষতা অর্জন করা জরুরী।
আল্লাহ আমাদের জিহাদের কাজের উপযুক্ত ও দক্ষ করে দিন।আমিন, ইয়া রাব্বাল আলামিন।
Comment