Announcement

Collapse
No announcement yet.

একিউ দাইশঃ পার্থক্য পর্যালোচনা ৪ / ​​​​​​​একিউ ও দাইশ বিরোধের কারণসমূহঃ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একিউ দাইশঃ পার্থক্য পর্যালোচনা ৪ / ​​​​​​​একিউ ও দাইশ বিরোধের কারণসমূহঃ

    একিউ দাইশঃ পার্থক্য পর্যালোচনা ৪


    একিউ ও দাইশ বিরোধের কারণসমূহঃ


    ☞ তাকফিরের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা। উক্ত তাকফিরের ভিত্তিতে হত্যা করা ও লড়াই করা।
    ☞ খেলাফতের ঘোষণা।
    ☞ আস-সিয়াসাতুশ শারইয়্যাহ (রাষ্ট্রনীতি)।
    ☞ রণকৌশল।

    ১. তাকফিরের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা :

    উক্ত তাকফিরের ভিত্তিতে হত্যা করা ও লড়াই করা।
    অন্যসব বিষয়ের মতো তাকফির করার ক্ষেত্রেও একিউ আহলে সুন্নাহর নীতি অনুসরণ করে।

    অজ্ঞতা, তাবীলের অবকাশ, ইকরাহ (বাধ্যকরণ) এবং ভুলক্রমে কোনো কিছু ঘটে যাওয়াকে ওজর হিসেবে গণ্য করে। রক্তপাত ও মানুষের ধন-সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে আল-কায়েদা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে।

    অপরদিকে, খাওয়ারিজুদ দাওলাহ তথা দাইশের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো ‘নির্বিচারে তাকফির করা’। এক্ষেত্রে আহলে সুন্নাহর নীতিমালার কোনও বালাই তাদের কাছে নেই। মুসলমানের রক্তের এবং তাঁর ধন-সম্পদের কানাকড়ি মূল্য তাদের কাছে আছে বলে মনে হয় না।

    ‘কতলুল মাসলাহাহ’ দাইশের নিজস্ব পরিভাষা। যখন কোনও ব্যক্তির অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হয় তখন তারা তাকে হত্যা করে দেয়। এটি তাদের মাঝে ‘কতলুল মাসলাহাহ’ নামে পরিচিত।

    সন্দেহ নেই, গণতন্ত্র একটি কুফরি মতবাদ। তবে যারাই গণতন্ত্র করে তাদের সকলেই দাইশের দৃষ্টিতে কাফের। মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডকে তারা তাকফির করেছে। এক্ষেত্রে তাকফিরের শর্তাবলী ও প্রতিবন্ধকসমূহের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেনি।

    অপরদিকে একিউ যেহেতু আহলে সুন্নাহর অনুসারী, তাই তারা মুসলিম ব্রাদারহুডকে তাকফির করা থেকে বিরত থেকেছে। জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস মনে করা, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে কুরআন সুন্নাহর উপর প্রাধান্য দেওয়া, চার স্বাধীনতার (বিশ্বাসের স্বাধীনতা,মত প্রকাশের স্বাধীনতা,অবাধ ব্যক্তি মালিকানার স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা) বিশ্বাস করা বা না করার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকদের ক্ষেত্রে তাকফিরের ফতোয়া ভিন্ন হতে পারে।

    যারা গণতন্ত্রের উপরোক্ত নীতিমালায় বিশ্বাসী তারা সুস্পষ্ট কুফরে লিপ্ত হওয়ার কারণে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। অপরদিকে যারা গণতন্ত্রকে কেবল রাষ্ট্রক্ষমতা লাভের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে তাদেরকে তাকফির করার সুযোগ কোথায়?! উভয় শ্রেণির মাঝে অবশ্যই পার্থক্য আছে।

    এখানে মুসলিম ব্রাদারহুডের আলোচনা করা হয়েছে দৃষ্টান্তস্বরূপ। অন্যথায় দাইশ প্রায় সকল ইসলামি দলকেই তাকফির করে। আর বিশ্বের সাধারণ মুসলিমদের মধ্য থেকে হাতেগোনা কিছু লোক তাদের তাকফিরের আওতামুক্ত থাকলে থাকতেও পারে।

    অন্যায়ভাবে রক্তপাত করতে দাইশ যে কতটা পারদর্শী, তা কারো অজানা নয়। মসজিদ ও মার্কেটে হামলা চালানো এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ।

    একিউ বরাবরই তাদের এহেন কর্মকাণ্ডের সাথে কোনও ধরণের সম্পর্ক না থাকার ঘোষণা দিয়ে আসছে।

    একিউ কখনোই ভুলের শিকার হয়নি, বিষয়টি এমন নয়। তবে স্বেচ্ছায় এবং জ্ঞাতসারে একিউ তা করে না। সন্দেহ নেই, কোনও কোনও সময় ভুল করা স্বত্বেও সাওয়াব অর্জিত হয়।

    ২. খেলাফতের ঘোষণা:

    খেলাফত সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে একিউ আহলে ‍সুন্নাহর নীতিমালা অনুসরণ করে। যেমন তামকিন (সক্ষমতা), আহলুল হাল ওয়াল আকদের দিকনির্দেশনায় উম্মাহকে খলীফা নির্বাচনের স্বাধীনতা প্রদান ইত্যাদি।

    খাওয়ারেজুদ দাওলাহ (দাইশ) এসব শর্তের পরোয়া করেনি। পরিপূর্ণ তামকিন তথা সক্ষমতা অর্জন ছাড়াই তারা খেলাফত ঘোষণা করেছে এবং এক্ষেত্রে আহলুল হাল ওয়াল আকদের মতামত তারা গ্রহণ করেনি। যারা বাগদাদীকে খলীফা বানিয়েছে তারা উম্মাহর প্রতিনিধি নয় এবং তারা কোনও কালে অনুসরণীয় ব্যক্তি ছিল না।

    ইমামতে উযমা তথা খলিফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান নিয়ে এই হলো তাদের অবহেলা ও অবজ্ঞার চিত্র।

    একিউ মনে করে, যে অঞ্চলে খেলাফত ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে শত্রুদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তারা মুসলিমদের যে কোনও উত্থানের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করতে পারছে। তাই সেখানে প্রকৃত তামকিন তথা সক্ষমতা অনুপস্থিত। সুতরাং যেখানে উম্মাহর কর্তৃত্ব নেই সেখানে খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয় কীভাবে!

    উপরন্ত খেলাফত ঘোষণার পর উম্মাহ শাসিত হচ্ছে এমন সব দুরাচারীদের মাধ্যমে, যারা উম্মাহর স্বার্থের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না। তাইতো তাদের ওখানে আহলুল হাল ওয়াল আকদের অস্তিত্ব নেই। সুতরাং খলীফা নির্বাচিত হয় কীভাবে!

    সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

    أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الزِّنَادِ، مِمَّا حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجُ، مِمَّا ذَكَرَ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّمَا الْإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ، فَإِنْ أَمَرَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَعَدَلَ فَإِنَّ لَهُ بِذَلِكَ أَجْرًا، وَإِنْ أَمَرَ بِغَيْرِهِ فَإِنَّ عَلَيْهِ وِزْرًا»

    অর্থঃ “আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ

    তিনি বলেনঃ ইমাম ঢাল সদৃশ, যার আড়ালে লোকে যুদ্ধ করে এবং তার দ্বারা পরিত্রাণ লাভ করে। যদি ইমাম আল্লাহ্‌র ভয়ের আদেশ করে এবং ইনসাফের সাথে আদেশ করে, তবে এর জন্য তার সওয়াব রয়েছে। আর যদি এর অন্যথা করে, তবে তার উপর এর পরিণতি বর্তাবে”। (সুনানে আন-নাসায়ী - ৪১৯৬)।

    তাই ভাবতেও অবাক লাগে, পালিয়ে বেড়ানো তথাকথিত খলিফা যিনি নিজের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তিনি কিভাবে দেড় বিলিয়ন মুসলিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন!
    খলীফা নির্বাচনের অধিকার উম্মাহর।

    এ মর্মে উমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র বাণী বুখারি শরীফে নিম্নরূপ বর্ণিত হয়েছে।

    “আমার কাছে একথা পৌঁছেছে যে, তোমাদের কেউ একথা বলেছে যে, আল্লাহর কসম! যদি উমর মারা যায় তাহলে আমি অমুকের হাতে বাইআত দিবো। কেউ যেন একথা বলে ধোঁকায় না পড়ে যে, আবু বকরের বাইআত ছিল আকস্মিক ঘটনা তবুও তা সংঘটিত হয়ে হয়েছে। জেনে রেখো! তা অবশ্যই এমন ছিল, তবে আল্লাহ এ বাইআতের ক্ষতি প্রতিহত করেছেন। তোমাদের কেউ আবু বকর রাযি. এর মর্যাদায় পৌঁছাতে পারবে না। যে কেউ মুসলিমদের পরামর্শ ছাড়া কোনও লোকের হাতে বাইআত দিবে, তার অনুসরণ করা যাবে না। ওই লোকেরও না, যে তার অনুসরণ করবে। কেননা উভয়েরই হত্যার শিকার হওয়ার আশংকা রয়েছে।

    ৩. আস সিয়াসাতুশ শারইয়্যাহ: ইসলামী রাষ্ট্রনীতি

    এ ক্ষেত্রে আল-কায়েদা এমন ভাষা ব্যবহার করে যা সর্বসাধারণের পক্ষে বোঝা সহজ এবং কর্মতৎপরতার জন্য এমন নীতি গ্রহণ করে যা সর্বসাধারণের রুচিবোধ ও বিবেকের সাথে মানানসই। যথাসম্ভব এমন সব বিষয় থেকে দূরে থাকে যা মানুষকে স্বজাতিদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে।

    একিউ বিশ্বাস, সর্বসাধারণকে ব্যাপকভাবে জিহাদে অংশগ্রহণ করানো না গেলে চূড়ান্ত বিজয় সম্ভব হয়ে উঠবে না। এপথেই একিউ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য সকল উপায়ে উম্মাহকে বুঝানোর চেষ্টা করছে যে, পরিবর্তন আনতে হলে জিহাদের বিকল্প নেই।

    উম্মাহর সন্তানদের মাঝে শরিয়তের জ্ঞান কম থাকার বিষয়টি আল-কায়েদা সর্বদা বিবেচনায় রাখে। যে সকল বিষয় বৈধ হওয়া সত্ত্বেও মানুষকে জিহাদ-বিমুখ করতে পারে বলে ধারণা হয়, সেগুলো একিউ পরিহার করে।

    অপরদিকে দাইশকে ঠিক এর উল্টোটি করতে দেখা যায়। বক্তব্যের ক্ষেত্রে তারা এমন দুর্বোধ্য কৌশল গ্রহণ করে যা সর্বসাধারণ বুঝতে সক্ষম নয়। আর কাজের ক্ষেত্রে তাদের নীতি মানুষকে জিহাদবিমুখ করে তোলে। যেমন- আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা, পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা, উঁচু স্থান থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা। এ সকল কর্মকাণ্ড মানুষকে শুধু জিহাদবিমুখই করে না বরং এগুলো শরিয়ত বিরোধীও।
    শরিয়ত সর্বক্ষেত্রে মানুষকে দয়া ও অনুগ্রহশীল হওয়ার আদেশ করে।

    মুসলিম সহ অন্যান্য হাদিসে এসেছে –
    أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: اثْنَتَانِ حَفِظْتُهُمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ، وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذِّبْحَةَ، وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ، وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ»
    অর্থঃ “শাদ্দাদ ইবনে আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ
    তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দু’টি বিষয় স্মরণ রেখেছি। তিনি বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক বস্তুর প্রতি সদয় আচরণ (ইহসান করা) ফরয করেছেন। অতএব তোমরা যখন কাউকে হত্যা করবে, তখন উত্তমরূপে হত্যা করবে। আর যখন কোন জন্তু যবেহ করবে, তখন উত্তম পন্থায় যবেহ করবে এবং তোমাদের প্রত্যেকে যেন ছুরি ধার দিয়ে নেয়। আর যবেহকৃত পশুকে ঠান্ডা হতে দেয়”। (সুনানে আন-নাসায়ী - ৪৪০৫)

    এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে হত্যা করার ক্ষেত্রে এবং পশু জবেহের ক্ষেত্রে দয়াশীল হওয়ার আদেশ করেছেন। আর আইএস বেশি কষ্ট দেয়ার জন্য পাশবিক ও নির্মমভাবে হত্যা করে।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলা করতে (নিহত ব্যক্তির নাক-কান ইত্যাদি কাটতে) নিষেধ করেছেন। আর বাগদাদীর দল হত্যার পর মাথাকে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তার ছবি গর্বের সঙ্গে প্রচার করে।
    তাদের অনেকে দাহ্য পদার্থ দিয়েও মানুষ হত্যা করেছে। সুতরাং রাসূলের শরিয়ত কোথায় আর তারা কোথায়? তারা কি এসব পন্থায় শরিয়ত প্রতিষ্ঠা করছে?!

    ৪. রণকৌশল:

    একিউ স্থানীয় শাসকদের পরিবর্তে বহিঃশত্রু তথা আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করাকে প্রাধান্য দেয়। আত্মরক্ষার্থে বা এদেরকে (স্থানীয় শাসকবর্গকে) শায়েস্তা করা জরুরি হয়ে পড়লেই কেবল আঞ্চলিক তাবেদারদের সাথে লড়াই করে।
    বহিঃশত্রু হচ্ছে মূল চালিকাশক্তি। স্থানীয় সরকারগুলো তাদের স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার। বহিঃশত্রুর সাহায্য ছাড়া এরা নিতান্তই দুর্বল। বহিঃশত্রুকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানোর রহস্য এখানেই।

    অপরদিকে দাইশের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্থানীয় শত্রুরা। নির্বোধের মতো তারা ভাবছে, তারা এমন কিছু করতে পেরেছে যা পূর্ববর্তীরা পারেনি।

    কে জানে, হয়তো তারা ভাবছে, আমেরিকার সাথে জিহাদে না জড়িয়ে স্থানীয় শত্রুদের নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আমেরিকা তাদেরকে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দেবে না!!

    বাস্তবতাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ না করাই তাদের নির্বুদ্ধিতার কারণ। টিনের চশমাটা খুলে যদি ডানে-বামে একটু তাকাত তাহলে তারা বুঝতে পারত যে, গোটা পৃথিবী ইহুদি ও খৃস্টানদের যৌথ সিস্টেমে আবদ্ধ। যে কেউ এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সে তাদের দৃষ্টিতে বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

    আশাকরি এমন চিন্তা কেউ করবে না যে, তারা তাদের মোড়লগিরীর শৃঙ্খল ভাঙ্গাতেও নিশ্চুপ হয়ে থাকবে। এমন চিন্তা কেবল সেই করতে পারে যার মাথায় দাইশেরর মগজ ঢুকানো হয়েছে।

    অবশ্য আমেরিকার প্রতি দাইশের সুধারণা যে ভুল ছিল তা বুঝতে তাদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। তারা নিজেদের তথাকথিত খেলাফত সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। আর এখন তাদের খেলাফতের ধ্বংসাবশেষটুকুই কেবল অবশিষ্ট আছে।
    আর এই তথাকথিত খেলাফত অস্তিত্বের সংকটের মুখে পড়েছে।




    লেখকঃ- যুবায়ের মুশরিফ
Working...
X