গাযওয়াতুল ম্যানহাটন
৯/১১ হামলার টাইমলাইন
সকাল ৭:৫৯ – ৯২ জন যাত্রী নিয়ে বোস্টন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে যাত্রা শুরু করলো আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১। এটি ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান। বিমানে থাকা মু!জা!হিদিনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গাযওয়াতুল ম্যানহাটনের আমীর মুহাম্মাদ আত্তা রাহিমাহুল্লাহ। এই দলে ছিলেন ৫ জন মু!জাহিদ।
সকাল ৮:১৪ – মু!জাহিদ ভাইদের দ্বিতীয় দল ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭৫ এ। এটিও ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান। বিমানটি বোস্টন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে আসছিল। দলনেতা হিসেবে ছিলেন মারওয়ান আশশিহি রাহিমাহুল্লাহ। ৬৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৫ জন ছিলেন মু/জাহিদ।
সকাল ৮:১৯ – কয়েকজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ফ্লাইট ১১ হাইজ্যাক হবার বিষয়টি কন্ট্রোলরুমে জানায়। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি এফবিআই-কে অবহিত করে।
সকাল ৮:২০ – তৃতীয় ফ্লাইটটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৭। ওয়াশিংটনের বাইরে ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে যাত্রা শুরু করে ৬৪ জন যাত্রী নিয়ে। বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৫৭। এই ফ্লাইটের মু/জা/হিদ ভাইদের নেতৃত্বে ছিলেন হানি হানজুর রাহিমাহুল্লাহ।
সকাল ৮:২৪ – কন্ট্রোলরুম এই সময় ফ্লাইট ১১ এর পাইলটের আসনে থাকা মুহাম্মাদ আত্তার একটি মেসেজ শুনতে পায়।
সকাল ৮:৪০ – ফ্লাইট ১১ হাইজ্যাক হবার বিষয়টি মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ফ্লাইট ১১-কে খোঁজার জন্য দুটি ফাইটার জেটকে প্রস্তুত হবার নির্দেশ দেয়া হয়।
সকাল ৮:৪১ – গাযওয়াতুল ম্যানহাটনের অধীনে শেষ ফ্লাইটটি ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৩। বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৫৭। ফ্লাইটটি ৪৪ জন যাত্রী নিয়ে নিউজার্সির নেওয়ার্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সান ফ্রান্সিসকোর দিকে আসার কথা ছিল। এই ফ্লাইটে মুজাহিদগণের দলনেতা ছিলেন মু/জাহিদ যিয়াদ জাররাহ রাহিমাহুল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন আরো ৩ জন মু/জাহিদ।
সকাল ৮:৪৬ – ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর টাওয়ারের ৯৩-৯৯ তলায় ফ্লাইট ১১ আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় বিমানটির গতি ছিল ঘন্টায় ৭৯০ কি.মি.। গাযওয়ার আমীর মুহাম্মাদ আত্তা রাহিমাহুল্লাহ-সহ তাঁর দলের সকল সদস্য শহিদ হয়ে যান।
দাম্ভিক আমেরিকার অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি টাওয়ার পুড়ছে।
সকাল ৮:৪৭ – নিউইয়র্কের পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর লোকজন উত্তর টাওয়ার খালি করার উদ্যোগ নেয়।
সকাল ৮:৫০ – হোয়াইট হাউসের চিফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ-কে হামলা সম্পর্কে অবগত করে। বুশ তখন ফ্লোরিডাতে একটি স্কুল পরিদর্শন করছিল।
সকাল ৯:০২ – প্রাথমিকভাবে উত্তর টাওয়ার খালি করার উদ্যোগের পর উত্তর এবং দক্ষিণ উভয় টাওয়ার খালি করার নির্দেশ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ১৪,০০০ মানুষ ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া জারি ছিল।
বিমান আঘাত হানছে
সকাল ৯:০৩ – এবার দ্বিতীয় আঘাত। দলনেতা মারওয়ান আশশিহি-এর নেতৃত্বে ফ্লাইট ১৭৫ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ টাওয়ারের ৭৫-৮৫ তলায় আঘাত হানে। আঘাতের সময় বিমানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৫০ কি.মি.। দ্বিতীয় মুজাহিদিন দলটি শাহাদাতবরণ করেন।
সকাল ৯:০৮ – এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্কগামী সকল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে।
সকাল ৯:২১ – বন্দর কর্তৃপক্ষ নিউ ইয়র্ক শহর অঞ্চলে সমস্ত সেতু এবং টানেল বন্ধ করে দেয়।
সকাল ৯:২৪ – ফ্লাইট ৭৭ এর যাত্রীরা তাদের পরিবারের কাছে মোবাইলে মেসেজ পাঠাতে সক্ষম হয়। এর প্রেক্ষিতে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিমান প্রতিরক্ষা সেক্টরকে ফ্লাইট ৭৭ হাইজ্যাক হওয়ার ব্যাপারটি জানায়।
সকাল ৯:৩১ – ফ্লোরিডা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের বক্তব্য, “দেশে আপাত সন্ত্রাসী হামলা”।
সকাল ৯:৩৭ – তৃতীয় আঘাতটির লক্ষ্যস্থল ছিল আমেরিকার সামরিক শক্তির কেন্দ্র – পেন্টাগন, ওয়াশিংটন ডিসি। ফ্লাইট ৭৭ টি ঘণ্টায় ৮৫৩ কি.মি. বেগে আঘাত হানে পেন্টাগনের পূর্বদিকে। হানি হানজুর ও সাথি ভাইয়েরা এই আঘাত হানার মাধ্যমে ১২৫ জন মিলিটারি ও সিভিলিয়ানকে হত্যা করতে সক্ষম হন। তৃতীয় মুজাহিদিন দলটিও শাহাদাতবরণ করেন।
সকাল ৯:৪২ – ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমেরিকার সমস্ত ফ্লাইটকে বন্ধ করে। পরের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৩,৩০০ বাণিজ্যিক বিমান এবং ১,২০০ বেসরকারী বিমান কানাডা এবং আমেরিকার বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য অর্ডার করা হয়।
সকাল ৯:৪৫ – অন্যান্য হামলার ক্রমবর্ধমান গুজবগুলোর মধ্যে হোয়াইট হাউস এবং অন্যান্য ভবন খালি করা হয়(অনেক হাই-প্রোফাইল ভবন, ল্যান্ডমার্কস এবং পাবলিক স্পেসসহ খালি করে দেয়া হয়)।
সকাল ১০:০৭ – ফ্লাইট ৯৩ এর টার্গেট ছিল – ক্যাপিটল বিল্ডিং (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ সদস্য ও সেনেটেরদের জন্য তৈরি বিল্ডিং)। কিন্তু ফ্লাইট ৯৩ এর যাত্রীরা ইতোমধ্যে তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে জেনে যায় যে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলা হয়েছে। ফ্লাইটের ৪০ এর বেশি যাত্রী মুজাহিদিনের কাছ থেকে বিমানের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয়ার মরিয়া চেষ্টা চালায়। বিমানের নিয়ন্ত্রণ হাত ছাড়া হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকায় দলনেতা যিয়াদ যাররাহ রাহিমাহুল্লাহ, পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশ অনুযায়ী মূল টার্গেটে পৌঁছানোর আগেই বিমানটি অন্য কোনো স্থাপনায় ক্র্যাশ করার চেষ্টা করেন। অবশেষে পেনসিলভেনিয়ার সামারসেট কাউন্টিতে একটি মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
সকাল ১০:২৮ – এবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর উত্তর টাওয়ার পুরোপুরি ধসে পড়ে। হামলার প্রায় ১ ঘন্টা ৪২ মিনিট পর এ ঘটনা ঘটে।
৯/১১ এর পরবর্তী অধ্যায়
সেপ্টেম্বর ১২, ২০০১ – তান/জিম কা/য়ে/দাতুল জি/হাদকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষণা। বুশের ভাষায়- ‘আল কা/য়ে/দা দিয়ে শুরু হলো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ।’
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০ – প্রায় দুই দশক ধরে চলে আসা যুদ্ধে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয় যুক্তরাষ্ট্রের। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা তা/লি/বানদের সাথে চুক্তি করে এবং ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়ে পিছু হটে আফগানিস্তান থেকে।
৯/১১ এর বরকতময় হামলার ১৯ বছর পর আজ কা/য়ে/দাতুল জি/হাদের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত ৩টি মহাদেশে। ৪টির বেশি শাখা কাজ করছে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা এবং আগ্রাসী কাফেরদেরকে প্রতিহত করার লক্ষ্য নিয়ে। আল্লাহর ইচ্ছায়, জি/হাদী আন্দোলন আজ সম্প্রসারিত হচ্ছে। অন্যদিকে ইরাক ও আফগানিস্তানে মুজাহিদিনের কাছে উপুর্যপরি পরাজিত হবার পর আমেরিকা বিশ্বজুড়ে সামরিক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনছে, তার অর্থনীতি আরেক মন্দার দোড়গোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে, আর অভ্যন্তরীণভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আমেরিকা আজ গত একশো বছরের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
৯/১১ এর বরকতময় হামলার ফলাফল আজ স্পষ্ট।
নিশ্চয় সকল প্রশংসা কেবলই আল্লাহর।
৯/১১ হামলার টাইমলাইন
সকাল ৭:৫৯ – ৯২ জন যাত্রী নিয়ে বোস্টন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে যাত্রা শুরু করলো আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১১। এটি ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান। বিমানে থাকা মু!জা!হিদিনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গাযওয়াতুল ম্যানহাটনের আমীর মুহাম্মাদ আত্তা রাহিমাহুল্লাহ। এই দলে ছিলেন ৫ জন মু!জাহিদ।
সকাল ৮:১৪ – মু!জাহিদ ভাইদের দ্বিতীয় দল ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭৫ এ। এটিও ছিল একটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান। বিমানটি বোস্টন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে আসছিল। দলনেতা হিসেবে ছিলেন মারওয়ান আশশিহি রাহিমাহুল্লাহ। ৬৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৫ জন ছিলেন মু/জাহিদ।
সকাল ৮:১৯ – কয়েকজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ফ্লাইট ১১ হাইজ্যাক হবার বিষয়টি কন্ট্রোলরুমে জানায়। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি এফবিআই-কে অবহিত করে।
সকাল ৮:২০ – তৃতীয় ফ্লাইটটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৭। ওয়াশিংটনের বাইরে ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দিকে যাত্রা শুরু করে ৬৪ জন যাত্রী নিয়ে। বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৫৭। এই ফ্লাইটের মু/জা/হিদ ভাইদের নেতৃত্বে ছিলেন হানি হানজুর রাহিমাহুল্লাহ।
সকাল ৮:২৪ – কন্ট্রোলরুম এই সময় ফ্লাইট ১১ এর পাইলটের আসনে থাকা মুহাম্মাদ আত্তার একটি মেসেজ শুনতে পায়।
সকাল ৮:৪০ – ফ্লাইট ১১ হাইজ্যাক হবার বিষয়টি মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ফ্লাইট ১১-কে খোঁজার জন্য দুটি ফাইটার জেটকে প্রস্তুত হবার নির্দেশ দেয়া হয়।
সকাল ৮:৪১ – গাযওয়াতুল ম্যানহাটনের অধীনে শেষ ফ্লাইটটি ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৩। বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৫৭। ফ্লাইটটি ৪৪ জন যাত্রী নিয়ে নিউজার্সির নেওয়ার্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সান ফ্রান্সিসকোর দিকে আসার কথা ছিল। এই ফ্লাইটে মুজাহিদগণের দলনেতা ছিলেন মু/জাহিদ যিয়াদ জাররাহ রাহিমাহুল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন আরো ৩ জন মু/জাহিদ।
সকাল ৮:৪৬ – ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর টাওয়ারের ৯৩-৯৯ তলায় ফ্লাইট ১১ আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় বিমানটির গতি ছিল ঘন্টায় ৭৯০ কি.মি.। গাযওয়ার আমীর মুহাম্মাদ আত্তা রাহিমাহুল্লাহ-সহ তাঁর দলের সকল সদস্য শহিদ হয়ে যান।
দাম্ভিক আমেরিকার অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি টাওয়ার পুড়ছে।
সকাল ৮:৪৭ – নিউইয়র্কের পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর লোকজন উত্তর টাওয়ার খালি করার উদ্যোগ নেয়।
সকাল ৮:৫০ – হোয়াইট হাউসের চিফ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ-কে হামলা সম্পর্কে অবগত করে। বুশ তখন ফ্লোরিডাতে একটি স্কুল পরিদর্শন করছিল।
সকাল ৯:০২ – প্রাথমিকভাবে উত্তর টাওয়ার খালি করার উদ্যোগের পর উত্তর এবং দক্ষিণ উভয় টাওয়ার খালি করার নির্দেশ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ১৪,০০০ মানুষ ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া জারি ছিল।
বিমান আঘাত হানছে
সকাল ৯:০৩ – এবার দ্বিতীয় আঘাত। দলনেতা মারওয়ান আশশিহি-এর নেতৃত্বে ফ্লাইট ১৭৫ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ টাওয়ারের ৭৫-৮৫ তলায় আঘাত হানে। আঘাতের সময় বিমানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৫০ কি.মি.। দ্বিতীয় মুজাহিদিন দলটি শাহাদাতবরণ করেন।
সকাল ৯:০৮ – এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্কগামী সকল ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে।
সকাল ৯:২১ – বন্দর কর্তৃপক্ষ নিউ ইয়র্ক শহর অঞ্চলে সমস্ত সেতু এবং টানেল বন্ধ করে দেয়।
সকাল ৯:২৪ – ফ্লাইট ৭৭ এর যাত্রীরা তাদের পরিবারের কাছে মোবাইলে মেসেজ পাঠাতে সক্ষম হয়। এর প্রেক্ষিতে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিমান প্রতিরক্ষা সেক্টরকে ফ্লাইট ৭৭ হাইজ্যাক হওয়ার ব্যাপারটি জানায়।
সকাল ৯:৩১ – ফ্লোরিডা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশের বক্তব্য, “দেশে আপাত সন্ত্রাসী হামলা”।
সকাল ৯:৩৭ – তৃতীয় আঘাতটির লক্ষ্যস্থল ছিল আমেরিকার সামরিক শক্তির কেন্দ্র – পেন্টাগন, ওয়াশিংটন ডিসি। ফ্লাইট ৭৭ টি ঘণ্টায় ৮৫৩ কি.মি. বেগে আঘাত হানে পেন্টাগনের পূর্বদিকে। হানি হানজুর ও সাথি ভাইয়েরা এই আঘাত হানার মাধ্যমে ১২৫ জন মিলিটারি ও সিভিলিয়ানকে হত্যা করতে সক্ষম হন। তৃতীয় মুজাহিদিন দলটিও শাহাদাতবরণ করেন।
সকাল ৯:৪২ – ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমেরিকার সমস্ত ফ্লাইটকে বন্ধ করে। পরের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৩,৩০০ বাণিজ্যিক বিমান এবং ১,২০০ বেসরকারী বিমান কানাডা এবং আমেরিকার বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য অর্ডার করা হয়।
সকাল ৯:৪৫ – অন্যান্য হামলার ক্রমবর্ধমান গুজবগুলোর মধ্যে হোয়াইট হাউস এবং অন্যান্য ভবন খালি করা হয়(অনেক হাই-প্রোফাইল ভবন, ল্যান্ডমার্কস এবং পাবলিক স্পেসসহ খালি করে দেয়া হয়)।
সকাল ১০:০৭ – ফ্লাইট ৯৩ এর টার্গেট ছিল – ক্যাপিটল বিল্ডিং (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ সদস্য ও সেনেটেরদের জন্য তৈরি বিল্ডিং)। কিন্তু ফ্লাইট ৯৩ এর যাত্রীরা ইতোমধ্যে তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে জেনে যায় যে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলা হয়েছে। ফ্লাইটের ৪০ এর বেশি যাত্রী মুজাহিদিনের কাছ থেকে বিমানের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয়ার মরিয়া চেষ্টা চালায়। বিমানের নিয়ন্ত্রণ হাত ছাড়া হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকায় দলনেতা যিয়াদ যাররাহ রাহিমাহুল্লাহ, পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশ অনুযায়ী মূল টার্গেটে পৌঁছানোর আগেই বিমানটি অন্য কোনো স্থাপনায় ক্র্যাশ করার চেষ্টা করেন। অবশেষে পেনসিলভেনিয়ার সামারসেট কাউন্টিতে একটি মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
সকাল ১০:২৮ – এবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর উত্তর টাওয়ার পুরোপুরি ধসে পড়ে। হামলার প্রায় ১ ঘন্টা ৪২ মিনিট পর এ ঘটনা ঘটে।
৯/১১ এর পরবর্তী অধ্যায়
সেপ্টেম্বর ১২, ২০০১ – তান/জিম কা/য়ে/দাতুল জি/হাদকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষণা। বুশের ভাষায়- ‘আল কা/য়ে/দা দিয়ে শুরু হলো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ।’
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০ – প্রায় দুই দশক ধরে চলে আসা যুদ্ধে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয় যুক্তরাষ্ট্রের। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা তা/লি/বানদের সাথে চুক্তি করে এবং ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়ে পিছু হটে আফগানিস্তান থেকে।
৯/১১ এর বরকতময় হামলার ১৯ বছর পর আজ কা/য়ে/দাতুল জি/হাদের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত ৩টি মহাদেশে। ৪টির বেশি শাখা কাজ করছে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা এবং আগ্রাসী কাফেরদেরকে প্রতিহত করার লক্ষ্য নিয়ে। আল্লাহর ইচ্ছায়, জি/হাদী আন্দোলন আজ সম্প্রসারিত হচ্ছে। অন্যদিকে ইরাক ও আফগানিস্তানে মুজাহিদিনের কাছে উপুর্যপরি পরাজিত হবার পর আমেরিকা বিশ্বজুড়ে সামরিক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনছে, তার অর্থনীতি আরেক মন্দার দোড়গোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে, আর অভ্যন্তরীণভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আমেরিকা আজ গত একশো বছরের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
৯/১১ এর বরকতময় হামলার ফলাফল আজ স্পষ্ট।
নিশ্চয় সকল প্রশংসা কেবলই আল্লাহর।
Comment