অত্যাচারিত ইসলামী পরিভাষার ক্রন্দন!
ইসলামি শরিয়তে পরিভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সালাফগণ। পরিভাষার আলোচনার প্রতি খুব গুরুত্ব প্রদান করতেন। পরিভাষাশাস্ত্র নিয়ে অনেকে আলাদা গ্রন্থও রচনা করেছেন। প্রতিটি শাস্ত্র ও মতবাদ বুঝানোর জন্য পরিভাষা বুঝা প্রথম শর্ত। পরিভাষা নির্জীব নয়; বরং জীবন্ত ও প্রভাবক। পরিভাষা মানুষের চিন্তাগঠনের হাতিয়ার, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অস্ত্র।
কোনো শব্দকে তার পারিভাষিক অর্থ থেকে বের করে অন্য অর্থে ব্যবহার করা একটি ভয়াবহ ফেতনা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমন এক সময় আসবে যখন আমার উম্মতের কিছু মানুষ মদকে ভিন্ন নাম দিয়ে পান করবে।' [1]
এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের কেউ আঙুরকে (বুঝাবার জন্য) الكرم বলবে না। কারণ, الكرم তথা বদান্যতা ও মর্যাদা মুসলিমদের জন্য।[2] হাদিসটি পরিভাষার আগ্রাসন বুঝতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইমাম নওভী রহিমাহুল্লাহ এর একটি সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি এই নিষেধাজ্ঞার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আরবরা ‘কারম’ শব্দটি আঙুরের গাছ, আঙুর এবং আঙুর দিয়ে তৈরি মদের জন্য ব্যবহার করত। যেহেতু মদটা আঙুর থেকে তৈরি; তাই মদের ক্ষেত্রেও এই শব্দ ব্যবহার করত। এখন। ইসলামি শরিয়ত আঙুর ও তার গাছের জন্যও এই শব্দের ব্যবহারকে অপছন্দ করল। কারণ যখনই তারা এই শব্দ শুনবে, তখন তাদের মদের কথা মনে পড়বে। তাদের মন সেদিকে ধাবিত হবে এবং শেষমেশ মদের নেশায় পড়ে যাবে কিংবা কাছাকাছি কিছু হয়ে যাবে।”[3]
পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতও এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। মহান আল্লাহ সুরা বাকারার ১০৪ নং আয়াতে মুসলিমদের راعنا, (রা-ঈনা) শব্দ উচ্চারণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ ইহুদিদের সমাজে এই শব্দের ভিন্ন একটি অর্থ ছিল। কাউকে বোকা বুঝানোর জন্য তারা এই বলে সম্বোধন করত। কিন্তু সাহাবিরা এই শব্দ ব্যবহার করত আরেক অর্থে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য সাহাবিগণ ‘রা ঈনা’ বলত। মানে আমাদের কথা শুনুন কিংবা আমাদের প্রতি লক্ষ করুন। এই সুযোগে ইহুদিরা হাসি-তামাশা করত। এতদিন যে তারা বলাবলি করত- মুহাম্মদ বোকা (নাউযুবিল্লাহ) এখন তার অনুসারীরাই তাকে প্রকাশ্যে এই কথা বলছে; এজন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
নাজিল করে এই শব্দ ব্যবহার করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিনি বলেন,
ايها الزين آمنوا لا تقولوا راعنا وقولوا انظرنا واسمعوا وللكفرين عذاب اليم
হে মুমিনগণ, তোমরা মুহাম্মাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তাকে) ‘রা-ঈনা’ বলবে না; বলবে ‘উনযুরনা’ (আমাদের প্রতি খেয়াল করুন)। এবং (তার নির্দেশ) শুনে নাও। আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।[4]
ইসলামের ইতিহাসে এরকম অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে। এজন্য ইসলামের কোনো বিধানের জন্য পাশ্চাত্যের পরিভাষা বা শব্দের ব্যবহার। এবং পাশ্চাত্যের কোনো বিষয়ের জন্য ইসলামি পরিভাষার ব্যবহার উভয়ই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ ও তার রাসুল এই ধরনের কাজ পছন্দ করেননি। আমাদের সালাফগণও ছিলেন এব্যাপারে খুব সতর্ক। গ্রিক কিংবা রোমান সভ্যতার কোনো বিষয়ের জন্য সালাফরা ইসলামি পরিভাষা প্রয়োগ করেননি এবং নিজস্ব পরিভাষাও কখনো বর্জন করেননি। এটা খুবই জঘন্য কাজ। ইসলামি দর্শনের সাথে পরিপূর্ণ সাংঘর্ষিক একটি বিষয়। এবং আদর্শিক পরাজয়ের নিদর্শন। পশ্চিমা পরিভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন দীনের বিকৃতি ঘটানো হচ্ছে অপরদিকে পশ্চিমা মাপকাঠিগুলো আমাদের সমাজে সর্বজনীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আর নিজেদের মাপকাঠি আমাদের কল্পনা থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে, দাবি তো অনেক দূরের কথা। আর এভাবেই আমরা পরিভাষার চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছি শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে।
এরই যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আজ আমরা ইসলামের অনেক পরিভাষাকে পরিবর্তিত করে নিজেদের ইচ্ছেমত পশ্চিমাদের সন্তুষ্টি ও চাহিদার আদলে গড়ে তুলছি নতুন নতুন ইসলামী ও পশ্চিমা সংমিশ্রনে পরিত্যাজ্য কিছু পরিভাষা। যেমন, আবরাহাম লিংকনের আবিষ্কৃত গণতন্ত্রের সংমিশ্রণে ইসলামী খিলাফতের মূলে কুঠারাঘাত করে গড়ে তোলো হয়েছে ইসলামী গণতন্ত্র। যার কোন ধারনা ইসলামে নেই। অনুরূপ, জিহাদকে যখন চেষ্টা ও অন্তর পরিষ্কার করার সাথে আবদ্ধ করা হবে তখথন ইসলাম রক্ষার পরিবর্তে ধ্বংস করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া হবে। স্বয়ং রাসূল স. জিহাদের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা ভিন্ন অন্য সংজ্ঞা প্রদান করা, তার পক্ষে রাসূল স. এর হাদীস ও পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে জিহাদের মূলে কুঠাকারাঘাত করা ও তা ইসলামী করণের জন্য ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন পন্থীরা ভূমিকরা রাখতে পারে না। যাদের কাছে পরিচর্যার জন্য কিছু দেওয়া হলো তারাই এখন তার ভক্ষকে রূপান্তর হয়ে গেছে- এমন হলে স্বাধীনতার নামে পরাধীনতা দাবী করা, সত্যের নামে মিথ্যা প্রতিস্থাপন করাই হবে কালো চশমা দিয়ে সাদা দেখার মত।
এভাবে ইসলামীরা যখন মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে পরাজিত মানসিকতা লালন করবে তাদেরকে পরাজিত করার জন্য কোন অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। ইসলামপন্থীরাই ইসলামকে বলি দিতে দ্বিধা করবে না। যেমনটা আমরা প্রকাশ্যে প্রত্যক্ষ করছি। এসব পয়জন থেকে বের হতে না পারলে শুধু লেবাস ও কাফেরদের কিছু সহনীয় আমল করলেই ইসলামী, মুসলমান ও ঈমানদার হওয়া যায় না। ইসলাম চিরস্থায়ী, স্বতন্ত্র ও পরিপূর্ণ ধর্ম ও মানবজীবন পরিচালনার নীতিমালার নাম। এক্ষেত্রে অন্যদের তাড়নায় পরিবর্তন ঘটানো ইসলাম থেকে ছিটকে পড়ার নামান্তর। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন,
যারা ইসলামভিন্ন অন্য কোন পথ অন্বেষণ করবে তাদের থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। উপরন্তু সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।[5]
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন!
[1] ইবনে মাজাহ, কিতাবুল ফিতান- ৪০২০
[2] সহিহ মুসলিম (ইফা ৫৬৭২)
[3] * আল-মিনহাজ, ৫/১৫, বৈরুত, দারু ইয়াহইয়াউত তুরাসিল আরাবিয়্যাহ
[4] সূরা বাকারা, আয়াত ১০৪
[5] সূরা আলে ইমরান, আয়াত-৮৫
ইসলামি শরিয়তে পরিভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সালাফগণ। পরিভাষার আলোচনার প্রতি খুব গুরুত্ব প্রদান করতেন। পরিভাষাশাস্ত্র নিয়ে অনেকে আলাদা গ্রন্থও রচনা করেছেন। প্রতিটি শাস্ত্র ও মতবাদ বুঝানোর জন্য পরিভাষা বুঝা প্রথম শর্ত। পরিভাষা নির্জীব নয়; বরং জীবন্ত ও প্রভাবক। পরিভাষা মানুষের চিন্তাগঠনের হাতিয়ার, মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অস্ত্র।
কোনো শব্দকে তার পারিভাষিক অর্থ থেকে বের করে অন্য অর্থে ব্যবহার করা একটি ভয়াবহ ফেতনা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমন এক সময় আসবে যখন আমার উম্মতের কিছু মানুষ মদকে ভিন্ন নাম দিয়ে পান করবে।' [1]
এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের কেউ আঙুরকে (বুঝাবার জন্য) الكرم বলবে না। কারণ, الكرم তথা বদান্যতা ও মর্যাদা মুসলিমদের জন্য।[2] হাদিসটি পরিভাষার আগ্রাসন বুঝতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইমাম নওভী রহিমাহুল্লাহ এর একটি সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি এই নিষেধাজ্ঞার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আরবরা ‘কারম’ শব্দটি আঙুরের গাছ, আঙুর এবং আঙুর দিয়ে তৈরি মদের জন্য ব্যবহার করত। যেহেতু মদটা আঙুর থেকে তৈরি; তাই মদের ক্ষেত্রেও এই শব্দ ব্যবহার করত। এখন। ইসলামি শরিয়ত আঙুর ও তার গাছের জন্যও এই শব্দের ব্যবহারকে অপছন্দ করল। কারণ যখনই তারা এই শব্দ শুনবে, তখন তাদের মদের কথা মনে পড়বে। তাদের মন সেদিকে ধাবিত হবে এবং শেষমেশ মদের নেশায় পড়ে যাবে কিংবা কাছাকাছি কিছু হয়ে যাবে।”[3]
পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতও এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। মহান আল্লাহ সুরা বাকারার ১০৪ নং আয়াতে মুসলিমদের راعنا, (রা-ঈনা) শব্দ উচ্চারণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ ইহুদিদের সমাজে এই শব্দের ভিন্ন একটি অর্থ ছিল। কাউকে বোকা বুঝানোর জন্য তারা এই বলে সম্বোধন করত। কিন্তু সাহাবিরা এই শব্দ ব্যবহার করত আরেক অর্থে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য সাহাবিগণ ‘রা ঈনা’ বলত। মানে আমাদের কথা শুনুন কিংবা আমাদের প্রতি লক্ষ করুন। এই সুযোগে ইহুদিরা হাসি-তামাশা করত। এতদিন যে তারা বলাবলি করত- মুহাম্মদ বোকা (নাউযুবিল্লাহ) এখন তার অনুসারীরাই তাকে প্রকাশ্যে এই কথা বলছে; এজন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
নাজিল করে এই শব্দ ব্যবহার করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিনি বলেন,
ايها الزين آمنوا لا تقولوا راعنا وقولوا انظرنا واسمعوا وللكفرين عذاب اليم
হে মুমিনগণ, তোমরা মুহাম্মাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তাকে) ‘রা-ঈনা’ বলবে না; বলবে ‘উনযুরনা’ (আমাদের প্রতি খেয়াল করুন)। এবং (তার নির্দেশ) শুনে নাও। আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।[4]
ইসলামের ইতিহাসে এরকম অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে। এজন্য ইসলামের কোনো বিধানের জন্য পাশ্চাত্যের পরিভাষা বা শব্দের ব্যবহার। এবং পাশ্চাত্যের কোনো বিষয়ের জন্য ইসলামি পরিভাষার ব্যবহার উভয়ই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ ও তার রাসুল এই ধরনের কাজ পছন্দ করেননি। আমাদের সালাফগণও ছিলেন এব্যাপারে খুব সতর্ক। গ্রিক কিংবা রোমান সভ্যতার কোনো বিষয়ের জন্য সালাফরা ইসলামি পরিভাষা প্রয়োগ করেননি এবং নিজস্ব পরিভাষাও কখনো বর্জন করেননি। এটা খুবই জঘন্য কাজ। ইসলামি দর্শনের সাথে পরিপূর্ণ সাংঘর্ষিক একটি বিষয়। এবং আদর্শিক পরাজয়ের নিদর্শন। পশ্চিমা পরিভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন দীনের বিকৃতি ঘটানো হচ্ছে অপরদিকে পশ্চিমা মাপকাঠিগুলো আমাদের সমাজে সর্বজনীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আর নিজেদের মাপকাঠি আমাদের কল্পনা থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে, দাবি তো অনেক দূরের কথা। আর এভাবেই আমরা পরিভাষার চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছি শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে।
এরই যাতাকলে পিষ্ট হয়ে আজ আমরা ইসলামের অনেক পরিভাষাকে পরিবর্তিত করে নিজেদের ইচ্ছেমত পশ্চিমাদের সন্তুষ্টি ও চাহিদার আদলে গড়ে তুলছি নতুন নতুন ইসলামী ও পশ্চিমা সংমিশ্রনে পরিত্যাজ্য কিছু পরিভাষা। যেমন, আবরাহাম লিংকনের আবিষ্কৃত গণতন্ত্রের সংমিশ্রণে ইসলামী খিলাফতের মূলে কুঠারাঘাত করে গড়ে তোলো হয়েছে ইসলামী গণতন্ত্র। যার কোন ধারনা ইসলামে নেই। অনুরূপ, জিহাদকে যখন চেষ্টা ও অন্তর পরিষ্কার করার সাথে আবদ্ধ করা হবে তখথন ইসলাম রক্ষার পরিবর্তে ধ্বংস করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া হবে। স্বয়ং রাসূল স. জিহাদের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা ভিন্ন অন্য সংজ্ঞা প্রদান করা, তার পক্ষে রাসূল স. এর হাদীস ও পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে জিহাদের মূলে কুঠাকারাঘাত করা ও তা ইসলামী করণের জন্য ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন পন্থীরা ভূমিকরা রাখতে পারে না। যাদের কাছে পরিচর্যার জন্য কিছু দেওয়া হলো তারাই এখন তার ভক্ষকে রূপান্তর হয়ে গেছে- এমন হলে স্বাধীনতার নামে পরাধীনতা দাবী করা, সত্যের নামে মিথ্যা প্রতিস্থাপন করাই হবে কালো চশমা দিয়ে সাদা দেখার মত।
এভাবে ইসলামীরা যখন মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে পরাজিত মানসিকতা লালন করবে তাদেরকে পরাজিত করার জন্য কোন অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। ইসলামপন্থীরাই ইসলামকে বলি দিতে দ্বিধা করবে না। যেমনটা আমরা প্রকাশ্যে প্রত্যক্ষ করছি। এসব পয়জন থেকে বের হতে না পারলে শুধু লেবাস ও কাফেরদের কিছু সহনীয় আমল করলেই ইসলামী, মুসলমান ও ঈমানদার হওয়া যায় না। ইসলাম চিরস্থায়ী, স্বতন্ত্র ও পরিপূর্ণ ধর্ম ও মানবজীবন পরিচালনার নীতিমালার নাম। এক্ষেত্রে অন্যদের তাড়নায় পরিবর্তন ঘটানো ইসলাম থেকে ছিটকে পড়ার নামান্তর। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন,
যারা ইসলামভিন্ন অন্য কোন পথ অন্বেষণ করবে তাদের থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। উপরন্তু সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।[5]
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন!
[1] ইবনে মাজাহ, কিতাবুল ফিতান- ৪০২০
[2] সহিহ মুসলিম (ইফা ৫৬৭২)
[3] * আল-মিনহাজ, ৫/১৫, বৈরুত, দারু ইয়াহইয়াউত তুরাসিল আরাবিয়্যাহ
[4] সূরা বাকারা, আয়াত ১০৪
[5] সূরা আলে ইমরান, আয়াত-৮৫