Tweet
গতকাল [১২ রবিউস-সানী ১৪৪৪ হিজরী /১২নভেম্বর ২০২২ঈঃ] দক্ষিণ ও মধ্য সোমালিয়ার ইসলামিক উলায়াত (প্রদেশ) সোমালি উপজাতির নেতাদের সাথে হারাকাতুশ শাবাব নেতৃবৃন্দ একটি পরামর্শমূলক সম্মেলন করেন।
"ওয়াকালাতুশ শাহাদাহ" কর্তৃক বিবৃতি থেকে ফুটে ওঠে হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের হৃদয়জুড়ানো কর্মতৎপরতা, অন্তর প্রশান্তকারী অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে জানা যায় “সোমালিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আক্রমণে ক্রুসেডার এবং তাদের মুরতাদ সহযোগী যাদের লক্ষ্য ছিল আল্লাহর আলো নিভিয়ে দেওয়া। কিন্তু সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম সত্ত্বেও তাদের পরাজয় ও ব্যর্থতার পর. এই ক্রুসেডার এবং তাদের সহযোগীরা আজ ধর্মত্যাগী মিলিশিয়া, চোর এবং অপরাধী দস্যুদের সংগঠিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, যারা আগে মুজাহিদিনদের হাতে নির্মূল হয়েছিল। তারা এই ধারনা করছে যে এই চোর ডাকাত মিলিশিয়ারা সফল হবে। অথচ সেখানে আফ্রিকান সৈন্যরা 15 বছর যাবৎ ব্যর্থ হয়ে এসেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছেঃ "আক্রমণকারী ক্রুসেডার এবং তাদের মুরতাদ সহযোগীদের এই পদক্ষেপই হক্বের সঙ্গে তাদের লড়াইয়ে পরাজয়ের প্রমাণ। এবং আমরা আল্লাহর কাছে আশা রাখি শীগ্রই যেনো তিনি আমাদের এবং শত্রুদের মধ্যে ফয়সালা করে দেন। আর এই নবপ্রচেষ্টা – তাদের সাথে আমাদের শেষ প্রচেষ্টা, যা শত্রুকর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই কুফুরি প্রশাসনকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে বি ইযনিল্লাহ।
ইসলামী শরীয়াহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান, শত্রু-নিযুক্ত নতুন মিলিশিয়ারা শরীয়াহর বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানোর ঘোষণা করেছে, যার অধীনে রয়েছে দক্ষিণ ও মধ্য সোমালিয়ায় বসবাসকারী লাখ লাখ মুসলমান। দেশের এই বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ইসলামিক উলায়াত শুরা কাউন্সিল নতুন এই পরিস্থিতির মোকাবেলা এবং তাদের অবস্থান পর্যালোচনাপূর্বক নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য একটি সম্মেলন করেছে।
🟠 উল্লেখ্য যে: “এই সম্মেলনটি 28 রবিউল-আউয়াল 1444 হিজরিতে ইসলামী উলায়াতের ওলামায়ে কেরাম দ্বারা অনুষ্ঠিত সম্মেলনের অনুসরণ করে।যেটা হয়েছিল মুরতাদ দলকর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধের প্রতি তাদের অবস্থান প্রকাশ করার জন্য- যেই কুলাঙ্গারদের লক্ষ্য আল্লাহর আইনের প্রয়োগকে নিঃশেষ করা- সেই ফতোয়াকে সমর্থন করার জন্য সেখানে ইসলামী উলায়াতের ক্যাপ্টেন কাউন্সিলের 60 জন শুরা সদস্য ওলামায়ে কেরাম অংশগ্রহণ করেছিলেন।
🟠সম্মেলনের সারাংশ বিবৃতি অনুসারে, দেশের নতুন পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ কয়েক দিন ধরে দীর্ঘ আলোচনা এবং চিন্তাভাবনার পরে, উলায়াত ক্যাপ্টেন কাউন্সিল নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে একমত হয়েছেন:
💠কাউন্সিল ইসলামিক উলায়াত সম্মানিত আলেমগনের সম্মেলনকে মোবারক মনে করেন, যেটি 28 রবিউল আউয়াল, 1444 হিজরিতে হয়েছিলো।এটিকে সম্পূর্ণ আস্থার সাথে সমর্থন করে এবং এই বরকতময় সম্মেলনে আলেমদের দ্বারা জারি করা আইনি ফতোয়া গ্রহণ করে। আমরা আমাদের আলেমদের কাছে পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছি যে আমরাই প্রথম যারা ফতোয়ায় উল্লিখিত বিধান এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব। বি ইযনিল্লাহ আমরা উম্মাহর কাছে তাদের এসব আমানত পৌঁছে দেব, আমরা যাদের দায়িত্ব নেব এবং প্রতিনিধিত্ব করব।
💠 ইসলামি কাউন্সিল- মুরতাদ দলের নেতা কর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধের প্রতি একক অবস্থান নিতে সম্মত হয়েছে। কাউন্সিল বিশ্বাস করে যে এই যুদ্ধটি আল্লাহর আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলির বিরুদ্ধে একটি নির্লজ্জ আগ্রাসন, আর আমরা তাদের সকলকে আশ্বস্ত করছি যারা এই বিষয়ে উৎসাহী। এই যুদ্ধে আমরা আমাদের রক্ত দিয়ে আল্লাহর আইন দ্বারা পরিচালিত সেই অঞ্চলগুলিকে সুরক্ষা দেব এবং আমরা তাদের রক্ষার স্বার্থে আল্লাহর জন্য আমাদের জীবন উৎসর্গ করব ইনশাআল্লাহ।
💠 ইসলামিক কাউন্সিলের সদস্যরা, তারা যে উপজাতিদের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের বক্তব্য তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা মুরতাদ সরকার এবং উপজাতিদের সাথে হাতমেলানো মিলিশিয়াদের থেকে নির্দোষ ও মুক্ত। তারা ক্রুসেডার এবং মুরতাদদের বিপক্ষে। সোমালি উপজাতিরা অঙ্গীকার করেছে যে আল্লাহর আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে আক্রমণ হলে আগে বেড়ে তাদের গুলি করবে।
💠 ক্যাপ্টেনস কাউন্সিল সোমালি উপজাতিদেরকে আল্লাহর কিতাব রক্ষার জন্য নিজেদের জান এবং তাদের মাল ব্যয় করতে বলে, যেই কিতাবুল্লাহর কারণে তাদের রক্ত সংরক্ষিত হয়েছিল এবং তারা সম্মান এবং নিরাপত্তা লাভ করেছিল এবং আমরা তাদের তাদের বালেগ সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করতে দ্বিধা না করার পরামর্শ দিই। মুজাহিদীনদের দল যাতে একসাথে আমরা আল্লাহর আইন রক্ষা করতে এবং কাফেরদের হাত থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে পারি।
💠 আমাদের ইসলামী পরিষদ মুরতাদ দলের প্রধান কর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোমালি উপজাতিদের গৃহীত অবস্থানের প্রশংসা করে এবং আমরা প্রত্যেক উপজাতিকে ধন্যবাদ জানাই যারা মুরতাদ প্রেসিডেন্ট হাসান শেখের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। মুজাহিদীনদের সমর্থন করেছিল এবং তাদের সাথে দাঁড়িয়েছিল। আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করি সেসব উপজাতি যারা লড়াইয়ে যোগ দেয় এবং তাদের অঞ্চলে শত্রুদের অভিযানের মুখে সুদৃঢ় প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
💠 ইসলামি কাউন্সিল সোমালি গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে একটি বার্তা পাঠায় যারা শত্রু নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রয়েছে। আমরা সেই উপজাতিদের কাছে একটি বার্তা পাঠাই যারা হাসান শেখ মাহমুদের প্রতিশ্রুত মিথ্যা প্রতিজ্ঞার দ্বারা প্রতারিত হয়েছিল। যারা আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল, এবং আমরা তাদের বলি যে আপনার কাছে এখনও মূল্যবান সুযোগ রয়েছে, তাই আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হন এবং আল্লাহর দ্বীনের সাথে যুদ্ধ করা বন্ধ করুন, কারণ শত্রুরা আজ আপনাকে এমন একটি যুদ্ধে ব্যবহার করছে যেটাতে ক্রুসেডার হানাদাররা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং তাদের সহযোগীবাহিনী যারা 15 বছর ধরে চলা যুদ্ধের পরে তাদের পরাজয় ঘোষণা করতে চলেছে এবং দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
💠 কাউন্সিল স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে যে সোমালিয়ায় ক্রুসেডার এবং মুরতাদ সৈন্যরা যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের আগুন জ্বালাচ্ছে তার থেকে এটি নির্দোষ, এবং উপজাতিদেরকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলে যা 30 বছর ধরে দেশকে ক্লান্ত করে রাখছে।
💠 কাউন্সিল আবারও স্পষ্ট করে দেয় যে এটি বিদেশী হস্তক্ষেপ এবং ধূর্ত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যে শত্রুরা শত কিলোমিটার দূর থেকে এসে আমাদের ধর্ম, আমাদের ভূমি এবং আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
💠 কাউন্সিল মাদকের ধ্বংসাত্বক ব্যাধি সম্পর্কে সতর্ক করে যা বিদেশ থেকে অপ্রীতিকরভাবে আমদানি করা হয়, যার মধ্যে অ্যালকোহল, তামাক, হাশিশ, কাত এবং অন্যান্য রয়েছে, যেগুলি কুফরি রাষ্ট্র ও সেসব সংস্থাগুলি দ্বারা আমদানি করা হয় যারা মুরতাদদের নেতাদের সাথে চুক্তি করেছে, যাতে আমাদের তরুণদের মাদকে অচেতন রেখে তারা বেঁচে যেতে পারে।
💠 কাউন্সিল সতর্ক করে আজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ফিসক ও ফাসাদের বিরুদ্ধেও। যারা সমাজের সদস্যদের মধ্যে পাপাচার ছড়ায়, যেমন ব্যভিচার, অনৈতিকতা, খারাপ আচরণ ইত্যাদি প্রচার করে,আমরা দৃঢ়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই। আমরা আলেম ও মুজাহিদীনদের আহ্বান জানাই যে সমস্ত আইনী উপায় অবলম্বন করে দেশে ছড়িয়ে থাকা অনিষ্ট দূর করতে সহযোগিতা করুন।
💠 কাউন্সিল মুরতাদ দলের সৈন্যদেরকে আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হওয়ার জন্য এবং হানাদার ক্রুসেডারদের গোলামি করে এমন ধর্মত্যাগীদের র্যাঙ্ক ত্যাগ করার আহ্বান জানায়, যা আলেমরা সম্প্রতি এবং তাদের পূর্ববর্তী কনফারেন্সে জারি করা ফতোয়ায় স্পষ্ট করেছেন।
💠 কাউন্সিল উলামায়ে সূ তথা দরবারি আলেমদের আল্লাহর কাছে তওবার আহ্বান জানায়, আল্লাহর সামনে তাদের অবস্থান স্মরণ করতে বলে, এবং জাতিকে ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইরত আগ্রাসী শত্রুর হাতে তুলে না দেওয়ার জন্য যারা অন্যায়ভাবে মুসলিমদের জমি দখল করে।
💠 কাউন্সিল সোমালি জাতির অর্থনীতির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর যুদ্ধের মোকাবিলা করার আহ্বান জানায়, যার মাধ্যমে সোমালিয়ায় মুসলমানদের অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে এবং তাদের পণ্য ও উৎপাদন ধ্বংস করা হচ্ছে। মুরতাদ সরকার কর্তৃক জারি করা হুমকি এবং ভীতিপ্রদর্শন এবং সোমালি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি সোমালি জাতির থেকে লুণ্ঠনের সেরা প্রমাণ।
💠 কাউন্সিল সোমালি ব্যবসায়ী ভাইদের তাদের অর্থ রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানায়। যেটি জাতির ধর্ম, অর্থ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে এবং স্বরণ করিয়ে দেয় যে নিজেকে এবং নিজের অর্থ রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয় সেও একজন শহীদ।
💠 কাউন্সিল ব্যবসায়ি এবং সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে দেশের মুক্ত বাজারের হুমকি রোধ করার উপায়ে হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনকে সহযোগিতা করার জন্য এবং বিদেশী সংস্থা ও কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানায় যারা দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সম্পদ লুণ্ঠন করতে চায়।
🟠 সেক্যুলার ধর্মনিরপেক্ষ শত্রুঃ "সোমালি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু হল তুর্কি ধর্মনিরপেক্ষ দল যারা আমাদের ভূমি সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছে, এবং এটি এমন একটি রাষ্ট্র যা ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, এবং যখনই এটি মুসলমানদের বাস্তব অগ্রগতি অর্জন করতে দেখে, এটি চালাকি করে তাদের বাদ দেওয়ার এবং ক্রুসেডার আধিপত্যে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। এটি এমন একটি দেশ যেটি ইসলামের নাম ব্যবহার করে এবং ন্যাটো এবং পশ্চিমা দেশগুলির একটি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। কারণ তারা এদেরকে মুসলিম দেশগুলিতে দখলদারিত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব অর্পণ করেছিল এবং এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাক্ষী হলো লিবিয়া, সিরিয়া এবং আফগানিস্তান, এবং এখন সোমালিয়ায় যা করছে। "গত দশ বছরে, এটি ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি যারা আল্লাহর শরিয়া দ্বারা শাসন করে তাদের বিরুদ্ধে ধূর্ত ষড়যন্ত্র করে চলেছে এবং তাদের ব্যবহার করে ধর্মত্যাগী মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং সমর্থন করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করছে। সোমালিয়ায় মুসলমানদের অর্থ লুট করার জন্য এবং তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেয়। “আমরা সাধারণভাবে সোমালি জাতিকে আহ্বান জানাই, বিশেষ করে যে উপজাতিগুলিকে আমরা প্রতিনিধিত্ব করি, এবং তাদের নির্দেশ দিই নিজেদের এবং আমাদের অর্থকে দুর্নীতিবাজ চোর মুরতাদদের থেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য, এবং আমরা তাদের পরাজিত করব বি ইযনিল্লাহ, ঠিক যেমন আমরা তাদের সামনে দখলদারদের পরাজিত করেছি।"
🟠 মুজাহিদীনদের প্রতি পূর্ণ সমর্থনঃ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে: “ইসলামি কাউন্সিল- সীমান্তের মুজাহিদিনদের উদ্বুদ্ধ করে এবং সম্পূর্ণ সমর্থন করে, যারা আল্লাহর কালিমা সমুন্নত রাখতে এবং দারুল-ইসলামকে রক্ষা করার জন্য তাদের রক্ত ঝরাচ্ছেন। হে আমাদের বীরগণ, ধৈর্য ধরুন, ধৈর্য ধরুন এবং অবিচল থাকুন, এবং শত্রুদের চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং তাদের অনুসন্ধান করতে দেরি করবেন না এবং জেনে রাখুন যে আল্লাহ তাঁর বিশ্বস্ত বান্দাদের সাহায্য করবেন যারা তাঁর ধর্মকে সাহায্য করে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন: (হে ঈমানদারগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, তবে তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ় করবেন)।
🟠 বক্তব্যের উপসংহার
উপসংহারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “ইসলামী ওয়ালায়াতের ক্যাপ্টেনস কাউন্সিল - হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের খরা ত্রাণ কমিটির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায় যারা ইসলামী প্রদেশগুলিতে খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা তাদের বলছি– উম্মাহকে বাঁচানোর জন্য আপনারা যা করেছেন তার জন্য আল্লাহ আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করুন। কাউন্সিল- এই বছর খরা দ্বারা প্রভাবিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলিকে স্বাগত জানায় এবং সেগুলো প্রকাশ করার আহ্বান জানায়, যেমনঃ বোলোভলে শহরকে বাঁধ দেওয়ার প্রকল্প, শবেলে নদীর সম্প্রসারণ, যা কার্তনোয়ারি শহর থেকে বিস্তৃত ছিল। সাবালি শহর, এবং আরবো শহরে জল সরবরাহের প্রকল্প, যা জাতিকে উপকৃত করেছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: (তোমরা কি শুধু তোমাদের দুর্বলদের সাহায্য ও জীবিকা প্রদান কর) বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে: "আমরা সোমালিয়ায় আমাদের জনগণকে এবং খরা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের বলছি: এটি একটি বিপর্যয় যা আমরা আমাদের হাতে কামাই করেছি, তাই আমাদের আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হতে হবে, তবে সেই কষ্ট এবং কঠোর অবস্থার জন্য ক্রুসেডারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শরণার্থী শিবিরে আমাদের অপমানিত করবেন না, আমাদেরকে সবরের দ্বারা আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে এবং তাঁর উপর ভরসা করতে হবে, এমনকি যদি শত্রু এবং তার ত্রাণ সংস্থাগুলি কাউকে সমর্থন করেও। আল্লাহ ছাড়া কোনো সাহায্যকারী নেই। আল্লাহ তার নেক বান্দাদের দ্বারা দুর্বল ও দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান করেছিলেন যারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তিনি মুমিনের সাহায্যকারী। রাজধানী মোগাদিশুতে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের আশেপাশের ক্যাম্পে এবং যারা রাজধানীর আশেপাশের এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে যারা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন। তিনি পবিত্র: (এবং যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য একটি পথ তৈরি করে দেবেন * এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে আশাও করেনি, এবং যে আল্লাহর উপর নির্ভর করে সে তার জন্য যথেষ্ট। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তার বিষয়ে উচ্চ মহিমান্বিত)। এবং কিছু প্রদেশে বর্ষাকালের শুরু থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদেরকে যা দিয়েছেন তার জন্য আমরা শুকরিয়া আদায় করি। আমরা সর্বশক্তিমান রবের কাছে এটিকে আমাদের জন্য স্থায়ী করার জন্য এবং এটিকে উপকারী এবং ক্ষতিকর না করার জন্য প্রার্থনা করি।"
🟠 কনফারেন্সে সোমালিদের উদ্দেশে একটি বক্তৃতা দিয়ে বলা হয়: “আমরা সোমালিদের সর্বত্রই বলি, তারা দেশে হোক বা বিদেশ হোক: লাখ লাখ মানুষ ইসলামের ভিতর ও বাইরে থেকে ন্যায়বিচারের জন্য এবং আল্লাহর আইনের প্রয়োগের জন্য আসে। যে দেশটি নিরাপত্তা ও নিরাপত্তায় মানুষের মধ্যে ভাল সহাবস্থানের দিকে পরিচালিত করে। আপনি যদি একটি রাষ্ট্র চান যার দ্বারা আপনার ধর্ম এবং আপনার জমি আপনার জন্য সংরক্ষিত হয় এবং আপনি, আপনার সন্তান, আপনার অর্থ এবং আপনার ভবিষ্যত সংরক্ষিত হয়, তাই দ্বীনের সাহায্য করুন এবং সমর্থন করুন বিদ্যমান ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের ইসলামী আইন বাস্তবায়নের জন্য। এবং আমরা, ইসলামী রাষ্ট্রের নেতাদের কাউন্সিল হিসাবে, আমাদের জনগণ এবং উপজাতিদের প্রতি আহ্বান জানাই -যাদের দায়িত্ব আমরা বহন করি - সেই মুজাহিদীনদের সাথে দাঁড়ানোর জন্য যারা এই দেশে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করতে এবং অত্যাচারী শাসনকে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করে এবং আমরা প্রতিশ্রুতি দিই যে এই দেশে দাঁড়িয়ে ইসলামি আইনের ছায়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে যে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে সেইসব শক্তির বিরুদ্ধে সুদৃঢ় প্রাচীরের ন্যায় লড়াই চালিয়ে যাবো। এটি উল্লেখ্য যে হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের অন্যতম মিডিয়া শাখা আল কাতায়েব নিউজ চ্যানেল আজ রাতে ইসলামী রাষ্ট্রের নেতাদের সম্মেলন সম্পর্কে একটি সংখ্যা প্রকাশ করেছে, যেখানে সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতি পেশ করা হয়েছিল। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা, এবং ব্যবস্থাকারীদের মধ্যে ছিলেন হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের অন্যতম নেতা শাইখ হাসান আফগোয়ে। এই সম্মেলনটি নিশ্চিত করে যে সোমালি উপজাতিরা সোমালিদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব উসকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমা মদদপুষ্ট সোমালি সরকারের প্রচেষ্টার মোকাবিলায় হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিনের সমর্থন করে এবং নিশ্চিত করে যে হারাকাতুশ শাবাব যেখানেই শাসন করেছে, উপজাতিদের মধ্যে কিতাব ও সুন্নাহর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং উপজাতীয় লড়াইয়ের বিরুদ্ধে একটি মানসিকতা গড়ে তোলতে সক্ষম হয়েছেন। ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
তথ্যসূত্রঃ
............
@Jabha01_bot
@One_Ummah_Bot
Video link:
https://ok.ru/video/4872316717802
"ওয়াকালাতুশ শাহাদাহ" কর্তৃক বিবৃতি থেকে ফুটে ওঠে হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের হৃদয়জুড়ানো কর্মতৎপরতা, অন্তর প্রশান্তকারী অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ।
বিবৃতিতে জানা যায় “সোমালিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আক্রমণে ক্রুসেডার এবং তাদের মুরতাদ সহযোগী যাদের লক্ষ্য ছিল আল্লাহর আলো নিভিয়ে দেওয়া। কিন্তু সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম সত্ত্বেও তাদের পরাজয় ও ব্যর্থতার পর. এই ক্রুসেডার এবং তাদের সহযোগীরা আজ ধর্মত্যাগী মিলিশিয়া, চোর এবং অপরাধী দস্যুদের সংগঠিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, যারা আগে মুজাহিদিনদের হাতে নির্মূল হয়েছিল। তারা এই ধারনা করছে যে এই চোর ডাকাত মিলিশিয়ারা সফল হবে। অথচ সেখানে আফ্রিকান সৈন্যরা 15 বছর যাবৎ ব্যর্থ হয়ে এসেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছেঃ "আক্রমণকারী ক্রুসেডার এবং তাদের মুরতাদ সহযোগীদের এই পদক্ষেপই হক্বের সঙ্গে তাদের লড়াইয়ে পরাজয়ের প্রমাণ। এবং আমরা আল্লাহর কাছে আশা রাখি শীগ্রই যেনো তিনি আমাদের এবং শত্রুদের মধ্যে ফয়সালা করে দেন। আর এই নবপ্রচেষ্টা – তাদের সাথে আমাদের শেষ প্রচেষ্টা, যা শত্রুকর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই কুফুরি প্রশাসনকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে বি ইযনিল্লাহ।
ইসলামী শরীয়াহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান, শত্রু-নিযুক্ত নতুন মিলিশিয়ারা শরীয়াহর বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানোর ঘোষণা করেছে, যার অধীনে রয়েছে দক্ষিণ ও মধ্য সোমালিয়ায় বসবাসকারী লাখ লাখ মুসলমান। দেশের এই বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ইসলামিক উলায়াত শুরা কাউন্সিল নতুন এই পরিস্থিতির মোকাবেলা এবং তাদের অবস্থান পর্যালোচনাপূর্বক নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য একটি সম্মেলন করেছে।
🟠 উল্লেখ্য যে: “এই সম্মেলনটি 28 রবিউল-আউয়াল 1444 হিজরিতে ইসলামী উলায়াতের ওলামায়ে কেরাম দ্বারা অনুষ্ঠিত সম্মেলনের অনুসরণ করে।যেটা হয়েছিল মুরতাদ দলকর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধের প্রতি তাদের অবস্থান প্রকাশ করার জন্য- যেই কুলাঙ্গারদের লক্ষ্য আল্লাহর আইনের প্রয়োগকে নিঃশেষ করা- সেই ফতোয়াকে সমর্থন করার জন্য সেখানে ইসলামী উলায়াতের ক্যাপ্টেন কাউন্সিলের 60 জন শুরা সদস্য ওলামায়ে কেরাম অংশগ্রহণ করেছিলেন।
🟠সম্মেলনের সারাংশ বিবৃতি অনুসারে, দেশের নতুন পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ কয়েক দিন ধরে দীর্ঘ আলোচনা এবং চিন্তাভাবনার পরে, উলায়াত ক্যাপ্টেন কাউন্সিল নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে একমত হয়েছেন:
💠কাউন্সিল ইসলামিক উলায়াত সম্মানিত আলেমগনের সম্মেলনকে মোবারক মনে করেন, যেটি 28 রবিউল আউয়াল, 1444 হিজরিতে হয়েছিলো।এটিকে সম্পূর্ণ আস্থার সাথে সমর্থন করে এবং এই বরকতময় সম্মেলনে আলেমদের দ্বারা জারি করা আইনি ফতোয়া গ্রহণ করে। আমরা আমাদের আলেমদের কাছে পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছি যে আমরাই প্রথম যারা ফতোয়ায় উল্লিখিত বিধান এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব। বি ইযনিল্লাহ আমরা উম্মাহর কাছে তাদের এসব আমানত পৌঁছে দেব, আমরা যাদের দায়িত্ব নেব এবং প্রতিনিধিত্ব করব।
💠 ইসলামি কাউন্সিল- মুরতাদ দলের নেতা কর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধের প্রতি একক অবস্থান নিতে সম্মত হয়েছে। কাউন্সিল বিশ্বাস করে যে এই যুদ্ধটি আল্লাহর আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলির বিরুদ্ধে একটি নির্লজ্জ আগ্রাসন, আর আমরা তাদের সকলকে আশ্বস্ত করছি যারা এই বিষয়ে উৎসাহী। এই যুদ্ধে আমরা আমাদের রক্ত দিয়ে আল্লাহর আইন দ্বারা পরিচালিত সেই অঞ্চলগুলিকে সুরক্ষা দেব এবং আমরা তাদের রক্ষার স্বার্থে আল্লাহর জন্য আমাদের জীবন উৎসর্গ করব ইনশাআল্লাহ।
💠 ইসলামিক কাউন্সিলের সদস্যরা, তারা যে উপজাতিদের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের বক্তব্য তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা মুরতাদ সরকার এবং উপজাতিদের সাথে হাতমেলানো মিলিশিয়াদের থেকে নির্দোষ ও মুক্ত। তারা ক্রুসেডার এবং মুরতাদদের বিপক্ষে। সোমালি উপজাতিরা অঙ্গীকার করেছে যে আল্লাহর আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে আক্রমণ হলে আগে বেড়ে তাদের গুলি করবে।
💠 ক্যাপ্টেনস কাউন্সিল সোমালি উপজাতিদেরকে আল্লাহর কিতাব রক্ষার জন্য নিজেদের জান এবং তাদের মাল ব্যয় করতে বলে, যেই কিতাবুল্লাহর কারণে তাদের রক্ত সংরক্ষিত হয়েছিল এবং তারা সম্মান এবং নিরাপত্তা লাভ করেছিল এবং আমরা তাদের তাদের বালেগ সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করতে দ্বিধা না করার পরামর্শ দিই। মুজাহিদীনদের দল যাতে একসাথে আমরা আল্লাহর আইন রক্ষা করতে এবং কাফেরদের হাত থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে পারি।
💠 আমাদের ইসলামী পরিষদ মুরতাদ দলের প্রধান কর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোমালি উপজাতিদের গৃহীত অবস্থানের প্রশংসা করে এবং আমরা প্রত্যেক উপজাতিকে ধন্যবাদ জানাই যারা মুরতাদ প্রেসিডেন্ট হাসান শেখের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। মুজাহিদীনদের সমর্থন করেছিল এবং তাদের সাথে দাঁড়িয়েছিল। আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করি সেসব উপজাতি যারা লড়াইয়ে যোগ দেয় এবং তাদের অঞ্চলে শত্রুদের অভিযানের মুখে সুদৃঢ় প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
💠 ইসলামি কাউন্সিল সোমালি গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে একটি বার্তা পাঠায় যারা শত্রু নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রয়েছে। আমরা সেই উপজাতিদের কাছে একটি বার্তা পাঠাই যারা হাসান শেখ মাহমুদের প্রতিশ্রুত মিথ্যা প্রতিজ্ঞার দ্বারা প্রতারিত হয়েছিল। যারা আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল, এবং আমরা তাদের বলি যে আপনার কাছে এখনও মূল্যবান সুযোগ রয়েছে, তাই আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হন এবং আল্লাহর দ্বীনের সাথে যুদ্ধ করা বন্ধ করুন, কারণ শত্রুরা আজ আপনাকে এমন একটি যুদ্ধে ব্যবহার করছে যেটাতে ক্রুসেডার হানাদাররা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং তাদের সহযোগীবাহিনী যারা 15 বছর ধরে চলা যুদ্ধের পরে তাদের পরাজয় ঘোষণা করতে চলেছে এবং দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
💠 কাউন্সিল স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে যে সোমালিয়ায় ক্রুসেডার এবং মুরতাদ সৈন্যরা যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের আগুন জ্বালাচ্ছে তার থেকে এটি নির্দোষ, এবং উপজাতিদেরকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলে যা 30 বছর ধরে দেশকে ক্লান্ত করে রাখছে।
💠 কাউন্সিল আবারও স্পষ্ট করে দেয় যে এটি বিদেশী হস্তক্ষেপ এবং ধূর্ত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে যে শত্রুরা শত কিলোমিটার দূর থেকে এসে আমাদের ধর্ম, আমাদের ভূমি এবং আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
💠 কাউন্সিল মাদকের ধ্বংসাত্বক ব্যাধি সম্পর্কে সতর্ক করে যা বিদেশ থেকে অপ্রীতিকরভাবে আমদানি করা হয়, যার মধ্যে অ্যালকোহল, তামাক, হাশিশ, কাত এবং অন্যান্য রয়েছে, যেগুলি কুফরি রাষ্ট্র ও সেসব সংস্থাগুলি দ্বারা আমদানি করা হয় যারা মুরতাদদের নেতাদের সাথে চুক্তি করেছে, যাতে আমাদের তরুণদের মাদকে অচেতন রেখে তারা বেঁচে যেতে পারে।
💠 কাউন্সিল সতর্ক করে আজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ফিসক ও ফাসাদের বিরুদ্ধেও। যারা সমাজের সদস্যদের মধ্যে পাপাচার ছড়ায়, যেমন ব্যভিচার, অনৈতিকতা, খারাপ আচরণ ইত্যাদি প্রচার করে,আমরা দৃঢ়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই। আমরা আলেম ও মুজাহিদীনদের আহ্বান জানাই যে সমস্ত আইনী উপায় অবলম্বন করে দেশে ছড়িয়ে থাকা অনিষ্ট দূর করতে সহযোগিতা করুন।
💠 কাউন্সিল মুরতাদ দলের সৈন্যদেরকে আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হওয়ার জন্য এবং হানাদার ক্রুসেডারদের গোলামি করে এমন ধর্মত্যাগীদের র্যাঙ্ক ত্যাগ করার আহ্বান জানায়, যা আলেমরা সম্প্রতি এবং তাদের পূর্ববর্তী কনফারেন্সে জারি করা ফতোয়ায় স্পষ্ট করেছেন।
💠 কাউন্সিল উলামায়ে সূ তথা দরবারি আলেমদের আল্লাহর কাছে তওবার আহ্বান জানায়, আল্লাহর সামনে তাদের অবস্থান স্মরণ করতে বলে, এবং জাতিকে ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইরত আগ্রাসী শত্রুর হাতে তুলে না দেওয়ার জন্য যারা অন্যায়ভাবে মুসলিমদের জমি দখল করে।
💠 কাউন্সিল সোমালি জাতির অর্থনীতির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর যুদ্ধের মোকাবিলা করার আহ্বান জানায়, যার মাধ্যমে সোমালিয়ায় মুসলমানদের অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে এবং তাদের পণ্য ও উৎপাদন ধ্বংস করা হচ্ছে। মুরতাদ সরকার কর্তৃক জারি করা হুমকি এবং ভীতিপ্রদর্শন এবং সোমালি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি সোমালি জাতির থেকে লুণ্ঠনের সেরা প্রমাণ।
💠 কাউন্সিল সোমালি ব্যবসায়ী ভাইদের তাদের অর্থ রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানায়। যেটি জাতির ধর্ম, অর্থ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে এবং স্বরণ করিয়ে দেয় যে নিজেকে এবং নিজের অর্থ রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হয় সেও একজন শহীদ।
💠 কাউন্সিল ব্যবসায়ি এবং সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে দেশের মুক্ত বাজারের হুমকি রোধ করার উপায়ে হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনকে সহযোগিতা করার জন্য এবং বিদেশী সংস্থা ও কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানায় যারা দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সম্পদ লুণ্ঠন করতে চায়।
🟠 সেক্যুলার ধর্মনিরপেক্ষ শত্রুঃ "সোমালি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু হল তুর্কি ধর্মনিরপেক্ষ দল যারা আমাদের ভূমি সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছে, এবং এটি এমন একটি রাষ্ট্র যা ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, এবং যখনই এটি মুসলমানদের বাস্তব অগ্রগতি অর্জন করতে দেখে, এটি চালাকি করে তাদের বাদ দেওয়ার এবং ক্রুসেডার আধিপত্যে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। এটি এমন একটি দেশ যেটি ইসলামের নাম ব্যবহার করে এবং ন্যাটো এবং পশ্চিমা দেশগুলির একটি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। কারণ তারা এদেরকে মুসলিম দেশগুলিতে দখলদারিত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব অর্পণ করেছিল এবং এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাক্ষী হলো লিবিয়া, সিরিয়া এবং আফগানিস্তান, এবং এখন সোমালিয়ায় যা করছে। "গত দশ বছরে, এটি ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি যারা আল্লাহর শরিয়া দ্বারা শাসন করে তাদের বিরুদ্ধে ধূর্ত ষড়যন্ত্র করে চলেছে এবং তাদের ব্যবহার করে ধর্মত্যাগী মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং সমর্থন করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করছে। সোমালিয়ায় মুসলমানদের অর্থ লুট করার জন্য এবং তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেয়। “আমরা সাধারণভাবে সোমালি জাতিকে আহ্বান জানাই, বিশেষ করে যে উপজাতিগুলিকে আমরা প্রতিনিধিত্ব করি, এবং তাদের নির্দেশ দিই নিজেদের এবং আমাদের অর্থকে দুর্নীতিবাজ চোর মুরতাদদের থেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য, এবং আমরা তাদের পরাজিত করব বি ইযনিল্লাহ, ঠিক যেমন আমরা তাদের সামনে দখলদারদের পরাজিত করেছি।"
🟠 মুজাহিদীনদের প্রতি পূর্ণ সমর্থনঃ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে: “ইসলামি কাউন্সিল- সীমান্তের মুজাহিদিনদের উদ্বুদ্ধ করে এবং সম্পূর্ণ সমর্থন করে, যারা আল্লাহর কালিমা সমুন্নত রাখতে এবং দারুল-ইসলামকে রক্ষা করার জন্য তাদের রক্ত ঝরাচ্ছেন। হে আমাদের বীরগণ, ধৈর্য ধরুন, ধৈর্য ধরুন এবং অবিচল থাকুন, এবং শত্রুদের চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং তাদের অনুসন্ধান করতে দেরি করবেন না এবং জেনে রাখুন যে আল্লাহ তাঁর বিশ্বস্ত বান্দাদের সাহায্য করবেন যারা তাঁর ধর্মকে সাহায্য করে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন: (হে ঈমানদারগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, তবে তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ় করবেন)।
🟠 বক্তব্যের উপসংহার
উপসংহারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “ইসলামী ওয়ালায়াতের ক্যাপ্টেনস কাউন্সিল - হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের খরা ত্রাণ কমিটির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানায় যারা ইসলামী প্রদেশগুলিতে খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা তাদের বলছি– উম্মাহকে বাঁচানোর জন্য আপনারা যা করেছেন তার জন্য আল্লাহ আপনাদের উত্তম বিনিময় দান করুন। কাউন্সিল- এই বছর খরা দ্বারা প্রভাবিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলিকে স্বাগত জানায় এবং সেগুলো প্রকাশ করার আহ্বান জানায়, যেমনঃ বোলোভলে শহরকে বাঁধ দেওয়ার প্রকল্প, শবেলে নদীর সম্প্রসারণ, যা কার্তনোয়ারি শহর থেকে বিস্তৃত ছিল। সাবালি শহর, এবং আরবো শহরে জল সরবরাহের প্রকল্প, যা জাতিকে উপকৃত করেছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: (তোমরা কি শুধু তোমাদের দুর্বলদের সাহায্য ও জীবিকা প্রদান কর) বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে: "আমরা সোমালিয়ায় আমাদের জনগণকে এবং খরা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের বলছি: এটি একটি বিপর্যয় যা আমরা আমাদের হাতে কামাই করেছি, তাই আমাদের আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হতে হবে, তবে সেই কষ্ট এবং কঠোর অবস্থার জন্য ক্রুসেডারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শরণার্থী শিবিরে আমাদের অপমানিত করবেন না, আমাদেরকে সবরের দ্বারা আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে এবং তাঁর উপর ভরসা করতে হবে, এমনকি যদি শত্রু এবং তার ত্রাণ সংস্থাগুলি কাউকে সমর্থন করেও। আল্লাহ ছাড়া কোনো সাহায্যকারী নেই। আল্লাহ তার নেক বান্দাদের দ্বারা দুর্বল ও দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান করেছিলেন যারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তিনি মুমিনের সাহায্যকারী। রাজধানী মোগাদিশুতে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের আশেপাশের ক্যাম্পে এবং যারা রাজধানীর আশেপাশের এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে যারা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন। তিনি পবিত্র: (এবং যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য একটি পথ তৈরি করে দেবেন * এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে আশাও করেনি, এবং যে আল্লাহর উপর নির্ভর করে সে তার জন্য যথেষ্ট। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তার বিষয়ে উচ্চ মহিমান্বিত)। এবং কিছু প্রদেশে বর্ষাকালের শুরু থেকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদেরকে যা দিয়েছেন তার জন্য আমরা শুকরিয়া আদায় করি। আমরা সর্বশক্তিমান রবের কাছে এটিকে আমাদের জন্য স্থায়ী করার জন্য এবং এটিকে উপকারী এবং ক্ষতিকর না করার জন্য প্রার্থনা করি।"
🟠 কনফারেন্সে সোমালিদের উদ্দেশে একটি বক্তৃতা দিয়ে বলা হয়: “আমরা সোমালিদের সর্বত্রই বলি, তারা দেশে হোক বা বিদেশ হোক: লাখ লাখ মানুষ ইসলামের ভিতর ও বাইরে থেকে ন্যায়বিচারের জন্য এবং আল্লাহর আইনের প্রয়োগের জন্য আসে। যে দেশটি নিরাপত্তা ও নিরাপত্তায় মানুষের মধ্যে ভাল সহাবস্থানের দিকে পরিচালিত করে। আপনি যদি একটি রাষ্ট্র চান যার দ্বারা আপনার ধর্ম এবং আপনার জমি আপনার জন্য সংরক্ষিত হয় এবং আপনি, আপনার সন্তান, আপনার অর্থ এবং আপনার ভবিষ্যত সংরক্ষিত হয়, তাই দ্বীনের সাহায্য করুন এবং সমর্থন করুন বিদ্যমান ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের ইসলামী আইন বাস্তবায়নের জন্য। এবং আমরা, ইসলামী রাষ্ট্রের নেতাদের কাউন্সিল হিসাবে, আমাদের জনগণ এবং উপজাতিদের প্রতি আহ্বান জানাই -যাদের দায়িত্ব আমরা বহন করি - সেই মুজাহিদীনদের সাথে দাঁড়ানোর জন্য যারা এই দেশে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করতে এবং অত্যাচারী শাসনকে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করে এবং আমরা প্রতিশ্রুতি দিই যে এই দেশে দাঁড়িয়ে ইসলামি আইনের ছায়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে যে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে সেইসব শক্তির বিরুদ্ধে সুদৃঢ় প্রাচীরের ন্যায় লড়াই চালিয়ে যাবো। এটি উল্লেখ্য যে হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের অন্যতম মিডিয়া শাখা আল কাতায়েব নিউজ চ্যানেল আজ রাতে ইসলামী রাষ্ট্রের নেতাদের সম্মেলন সম্পর্কে একটি সংখ্যা প্রকাশ করেছে, যেখানে সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতি পেশ করা হয়েছিল। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা, এবং ব্যবস্থাকারীদের মধ্যে ছিলেন হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদীনের অন্যতম নেতা শাইখ হাসান আফগোয়ে। এই সম্মেলনটি নিশ্চিত করে যে সোমালি উপজাতিরা সোমালিদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব উসকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমা মদদপুষ্ট সোমালি সরকারের প্রচেষ্টার মোকাবিলায় হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিনের সমর্থন করে এবং নিশ্চিত করে যে হারাকাতুশ শাবাব যেখানেই শাসন করেছে, উপজাতিদের মধ্যে কিতাব ও সুন্নাহর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং উপজাতীয় লড়াইয়ের বিরুদ্ধে একটি মানসিকতা গড়ে তোলতে সক্ষম হয়েছেন। ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
তথ্যসূত্রঃ
............
@Jabha01_bot
@One_Ummah_Bot
Video link:
https://ok.ru/video/4872316717802