Tweet
প্লিজ, সাপোর্ট ইউর লাইফ।
নিজেই যদি নিজের লাইফকে মূল্যায়িত করতে না পারো!......
- "এত্ত অভিমান নিজের উপর! নিজের বিবেকের কাছে বারংবার লজ্জিত হতে হয় কেন! হতাশার চাদর কবে সরাবে? কেনইবা হতাশ হবে, এটা কি ম্যাচ হয় তুমার সাথে? তুমার প্রব্লেমগুলো একটু শুনাবে কি? থাক, বলতে হবেনা। আমিই বলে দিচ্ছি......."
ভুলে ভরা জীবন তুমাকে অপরাধী হিসেবেই সাব্যস্ত করে যাচ্ছে।
আশাপাশের পাবলিকপ্লেস তুমাকে আড়চোখে দেখছে! সামনে পেলে বিরক্তিবোধ করছে!
কখনো বা মালামাত করছে! পৃথিবীকে তুমার জন্য সংকোচিত করতে পায়তারা করছে।
ফ্যামিলিতে তুমার অবস্থান খাটো করছে। তুমার সামনের পথকে রক্তিম কাঁটাযুক্ত গিরিপথ বানিয়ে দিচ্ছে।
একে একে তুমার থেকে সাপোট তুলে নিচ্ছে। তানহ্যা করনেকা সিস্টেমের একাধিক টিপস হাতে নিচ্ছে।
আর্থিক সাপ্লাই রোড কেটে দিতে আপ-লাই করছে কিংবা অবরোধ আরোপ করছে।
প্রতি সময়ে সময়ে মেনটালিটি এট্যাক করছে। তুমার গতিবিধি মনিটরিং করছে, স্বাধিনতার উপর নজরদারি করছে।
এরাকাম শতশত প্রব্লেমে ভরাক্রান্ত তুমার হৃদয়। প্রাটেস্ট বেল্ট ধিরে ধিরে শক্তি হারাচ্ছে, মানসিক ডিপ্রেসন বৃদ্ধি পাচ্ছে! লাইফকে নিয়ে কোঁয়াশাচ্চন্ন এক প্লাটফর্মের দিকে দ্রুত ঝোঁকে পড়ছ! এমন কত কল্পনা, যোগ-বিয়োগের ফল হতাশা বা অনুতপ্ত। এমনই হচ্ছে...তাইনা?
একটি কথা বলো-তো, সর্বোচ্চ কী ক্ষতি করতে পারবে ওরা, যারা প্রতিনিয়ত তুমার খেলাফ চক্রান্তে লিপ্ত।
হয়তো, এমন নানাজাল জিঞ্জির দিয়ে তুমার অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিবে, বায়তুল মাক্বদিসের বিজয়ের স্বপ্ন কেড়ে নিবে, কাশ্মিরের বিচরণকে স্তিমিত করে নিবে। তুমাকে কিলিং মিশনের স্টেপ নিবে। অথাবা দেশান্তর করে ভিনকাফির বোয়ালদের হাতে সোপর্স করবে। এগুলোই-তো।
কিন্তু, এগুলো যে, হবে তা তো কোর'আন জানিয়ে দিয়েছে ব্যাহুকাল পূর্বে। ইরশাদ হুয়া...
" وإذ يمكر بك الذين كفروا ليثبتوك او يقتلوك او يخرجوك، ويمكرون ويمكر الله، والله خير الماكرين"
-"ইসলামের শত্রুরা প্রতিনিয় করে যায় চক্রান্ত, কিভাবে দেয়া যায় থামিয়ে, ধমনির শ্বাস কিভাবে বন্ধ করে দেয়া যায়, কিভাবেবা বিতারিত করা যায়, তারা প্রতিনিয়ত নিকৃষ্ট ফাঁদ ক্রেট করে, এদিকে তুমার রাব্ব এদের চক্রান্তের সমোচিত জবাব দিতে উত্তম কৌশল দিয়ে যাচ্ছেন। আর জানোই-তো কৌশল সেটাপের দিক থেকে সর্বোর্ধ্বে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা।" -সূরা আনফালঃ ৩০
ছোট্ট থেকে ছোট্ট কষ্ট আসলে তা কি তুমার মালিকের জ্ঞানের বাহিরে?! কভু না।
"ما أصاب من مصيبة إلا بإذن الله، ومن يؤمن به يهد قلبه، والله بكل شئ عليم."
-" আদনা থেকে আদনা মুসিবাতও আসে আল্লাহর হুকুমেই, এমন কঠিন সিচিয়েসনে যে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ইয়াক্বিন ও ঈমান রাখে, তাকে অবশ্যই তিনি উত্তরণের পথ দেখান। সবকিছুই তিনি জানেন।" -সূরা তাগাবুনঃ ১১
মিশকাতে নাবাবি কি ব্যতিক্রম কিছু বলবে?-না।
"وعلم ان الأمة لو اجتمعت علي ان ينفعوك بشئ لم ينفعوك إلا بشئ قد كتبه الله لك، ولو اجتمعت علي ان يضروك بشئ لم يضروك بشئ إلا قد كتبه الله عليك"
-"পুরো জগত ততটুকুই উপকারার্থে আসবে যা আল্লাহ লিখে রেখেছেন, ক্ষতিসাধন ততটুকুই হবে যা লিপিবদ্ধ আছে"
নুসুসাতের প্রতি তুমার আমার ই'তিক্বাদ ই'তিমাদ অবশ্যই আছে। তাহলে এখন বলো, তুমার চলমান হালাত কি কেহ জানেনা, বুঝেনা, দেখেনা? কারো পরিকল্পিত চঁকেই চলছেনা এসব? তুমার পরিকল্পিত সুতো ধরে লাইফের সব চলবেনা! এটা নিয়ন্ত্রনের বাহিরে! অদৃশ্য এক শক্তি কন্ট্রোল করছে। তাহলে, যেদিকে যাবার যাচ্ছে, ধৈর্য ধরো, অবিচল থাকো, ইয়াক্বিন রাখো। সামনে চলো.……।
তো এতে বিচলিত হবার কী পেলে? এই কথা কি সত্যনয় যে, "হক্বের রাহে চলতে মালামাতকারীদের দিকে ফের থাকানো যাবেনা" এম কিছু আসুক-না, থাকুক-না। কিছু সমালোচক তুমাকে এগিয়ে দিবে! ভুলগুলো ইসলাহ করার মাধ্যম হবে, এতে ক্ষতি কিসের। চলমান ফিকির ভুল হলে, সমালোচনার কাঁটা তুমাকে নতুন করে ভাবাবে, ফিকির করাবে, ডিফেন্স শক্তিতে দৃঢ় করবে। সো এতে হারানোর নয়, পাবার আছে ব্যাহুত কুচ।
তুমার লাইফকে অন্যকেহ সাপোর্ট না দিলে, তুমিও কি দিবেনা?
তাহলে কিভাবে মেনটালিটি ভালো থাকবে?
এত্ত লোকের ইজদিহামে নেগেটিভ মোভমেন্টস নিয়ে ভীষণ্ণ থাকছো! অথচ হায়াতের বহুল পজিটিভ হারাকাতগুলো কেন স্কিপ দিচ্ছো?
মনকে ফ্রেশ রাখুন, নিজেকে সাপোট দিন। পিছনের মিস্টেইকগুলোকে ইসতিক্ববালের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করুন। স্বার্থপর এই ল্যান্ডে আপন একমাত্র তুমার সৃষ্টিকর্তাই। স্বার্থবিহীন অগণিত অনুগ্রহ দিয়ে বেষ্ঠিত রেখেছেন তুমায়, তাঁকে আপন করে নেয়া যায়না একটু? দেখো-না, একটি এদিকে এগিয়ে! জান্নাত তুমার কত কাছে। জিহাদের পথ সে তো জান্নাতের বাইপাস রোড।
Comment