Announcement

Collapse
No announcement yet.

শায়খ ওসামা বিন লাদেন (রহ) এর বজ্র লিখনি...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শায়খ ওসামা বিন লাদেন (রহ) এর বজ্র লিখনি...

    (ঋদ্ধিমান মুজাহিদ লেখক লুইস আতিয়াতুল্লাহ রাহ. শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহ.'র বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে একটি পুস্তক রচনা করেন। ওই পুস্তক 'আন-নিজামুল আলামিল জাদীদ.. বি কালামি উসামা বিন লাদেন' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ সঙ্কলন করেন। সেখানে শায়খের অবস্থা নিজেই বর্ণনা করেন।)

    আমি যখন জন্ম গ্রহণ করি তখন পুরো পৃথিবী দু'টি কাফির পরাশক্তি দ্বারা সামরিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিলো। প্রথমটি সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং দ্বিতীয়টি আমেরিকা। উসমানি সাম্রাজ্যের পতনের পর আনুমানিক পঞ্চাশ বছর পূর্বে আমাদের ইসলামি বিশ্ব পরাজিত অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদে আকসা যে ফিলিস্তিনে বিদ্যমান, সেখানে ব্রিটিশরা মুসলমানদের পরিবর্তে ইয়াহুদীদের জন্য মাতৃভূমি বানিয়ে দেয়। যেমনিভাবে ২য় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ীরা উন্নয়নের নামে অনেক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, আর এগুলোর নাম দিয়েছে ইসলামি ও আরব রাষ্ট্র। পশ্চিমারা যখন ইসলামি বিশ্ব দখল করে, এর মধ্যে যখন সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে এবং প্রতিটি জায়গায় এগুলো ছড়িয়ে দেয় তখন যে সব ট্র্যাজেডি এবং হত্যাযজ্ঞ মুসলিম বিশ্বে আপতিত হয়েছে, আমি এর বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন অনুভব করছি না। তারা মুসলিম বিশ্বে এমন সব মুনাফিক শাসক বসায়, যারা তাদের অনুসরণে, তাদের সামনে এবং তাদের বানানো আইন-কানুনের সামনে বিনা দ্বিধায় নতজানু হয়ে যায়। এই সব রাষ্ট্র এবং কৃত্রিম শাসকরা মুসলমানদের চরিত্র নষ্ট করা, তাদেরকে দূর্বল করা এবং তাদেরকে অপদস্থ করার কারণ। এরা হচ্ছে এমন সব শাসকবর্গ, প্রকৃতপক্ষে যাদেরকে বসানো হয়েছে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের যেকোনো আগ্রাসন থেকে ইসলামি বিশ্বকে মুক্ত করার সব ধরনের প্রচেষ্টাকে নির্মূল করার জন্যে। এই সব রাষ্ট্র সমূহের প্রধানরা হচ্ছে এমন কঠোর স্বভাব ও রুক্ষ মনোভাবের ব্যক্তিরা, যাদের প্রথম চাওয়া হচ্ছে, নিজেদের বিশেষ ব্যক্তি স্বার্থ অথবা এমন সব গণবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদেরকে এসব রাষ্ট্রে বসানো হয়েছে যারা শিক্ষা-দীক্ষা, সভ্যতা-সংস্কৃতি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অর্জন করেছে। তারা এমন চরিত্রে প্রকাশিত হয়েছে যার বাহ্যিক হচ্ছে কোমলতা এবং আভ্যন্তরীণ হচ্ছে কঠোরতায় পরিপূর্ণ।

    আমি যখন জন্ম গ্রহণ করি, তখন এই ছিল পুরো মুসলিম বিশ্বের অবস্থা। যখন একটু বড় হলাম এবং যুবক হলাম তখন আমি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করলাম, এমন সব ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং অপমান, যা আমাদের ইসলামি উম্মাহকে ঘিরে রেখেছে, এগুলো হচ্ছে এইসব শাসকদের নতজানুর ফলাফল। আমি নিজের অন্তরে এমন সব সংশয় ও বিকৃত মনোভাব অনুভব করলাম, যা তারা মুসলমানদের অন্তরসমূহকে প্রভাবিত করেছে, তারা আমাদের সামনে এমন সব অবকাঠামো দাঁড় করালো, যারা নিজেদের পরিচয়ে ইসলামি নাম ধারণ করে, অথচ শরীরে এমন সব অন্তর লালন করে যা কুফুরের ক্ষেত্রে আসলি কাফির চেয়েও ভয়ানক।

    আমি দেখি এমন সব অন্তর, যারা অপদস্থ হয়েছে, নতজানু হয়েছে এবং পরাজিত মনোভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, অথচ তারা প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করে 'ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল-আ'লা' (পড় তোমার মহান প্রভুর নামে), কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে বিশ্বাস করতো যে, কুফর হচ্ছে মহান এবং পশ্চিমা জাতি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ, অথচ তারা ভুলে গেছে যে, সব শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মান হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার জন্য।

    আমি ওই সময় নিজেকে প্রশ্ন করলাম, যে, একজন মুসলিম হিসাবে আমার দ্বারা কি সম্ভব হবে এসব কিছু পরিবর্তন করার? আমার দ্বারা কি সম্ভব হবে কোটি কোটি মুসলিমের ভিতর থেকে একটি সংখ্যা হিসেবে এমন কিছু করার যা আমার উম্মতের অবস্থার পরিবর্তন করবে এবং তাদের হারিয়ে যাওয়া সম্মান ফিরিয়ে আনবে? কুরআন আমাকে বলে দেয়, যে, আমার দ্বারা তখন কিছু করা সম্ভব হবে এবং আমার চারপাশ পরিবর্তন করা সম্ভব হবে, যখন আমি নিজে পরিবর্তিত হবো।

    কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
    'আল্লাহ তা'আলা সেই জাতিকে ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরা পরিবর্তিত হয়'।

    ঠিক একই সময় কুরআন এবং সুন্নাহ আমাকে শরয়ি বিষয়ে আদেশ দেয়, আমাকে বিভিন্ন বিষয় থেকে নিষেধ করে এবং আমাকে বলে যে, যদি আমি এসব বিষয়াদি শক্তভাবে ধরে রাখি এবং নিজের এবং নিজের আশপাশের মধ্যে ছড়িয়ে দেই, তাহলে আল্লাহ তা'আলা আমার দ্বারা পরিবর্তন করার সফলতার দায়িত্ব নিয়ে নিবেন এবং আমাকে বলে, যে, যদি আমি আল্লাহর দলভুক্ত হই তাহলে আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে। আমাকে আরো বিবৃত করে, যে, বাতিল যতই শক্তিশালী হোক, যতই প্রতাপশালী হোক এবং যতই দাম্ভিক হোক, আমি যদি আল্লাহ তা'আলার রশিকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরি, তাহলে তা আমাকে বাতিল থেকে মুক্ত করবে এবং তার বিপক্ষে বিজয়ী হতে সাহায্য করবে। আমি কুরআনের এমন সব নির্দেশাবলী পেয়েছি, যেথায় একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে আল্লাহ তা'আলা আমাকে সম্বোধন করেন, প্রকৃতপক্ষে যেটি ছিল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সম্বোধন, কিন্তু এটা আমার প্রতিও যেহেতু আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একজন অনুসারী,

    আল্লাহ তা'আলা বলেন,
    "কাজেই হে নবী! তুমি আল্লাহর পথে লড়াই করো। তুমি নিজের সত্তা ছাড়া আর কারো জন্য দায়ী নও। অবশ্যই ঈমানদারদেরকে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করো। আল্লাহ শীঘ্রই কাফেরদের শক্তির মস্তক চূর্ণ করে দেবেন। আল্লাহর শক্তি সবচেয়ে জবরদস্ত এবং তাঁর শাস্তি সবচেয়ে বেশী কঠোর।"
    [আন-নিসা,:আয়াত: ৮৪]

    এই আয়াত আমার সামনে সুস্পষ্ট করে দেয় যে ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহকে আমার শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে, যদিও আমি একা হই, কেননা আমি অন্যের ব্যাপারে দায়িত্বশীল নই অর্থাৎ এই ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ আমাদেরকে কাফেরদের শক্তির মস্তক চূর্ণ করে দিবে। আমরা এই উম্মতরা আমাদের জীবনে কাফেরদের কঠোরতা এবং তাদের আধিপত্যের চেয়ে বড় কোনো মুসিবতে নেই, তাদের আধিপত্য এবং শক্তির প্রদর্শন আমাদের দ্বীন এবং অর্থনীতি সহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।

    আমি কুরআন এবং সুন্নাহে আরো বেশি চিন্তা করার পর লক্ষ্য করলাম, যে, জিহাদের বিষয় এবং কাফেরদেরকে প্রতিহত করার বিষয় কুরআনের এক বিশাল অংশ জুড়ে বিদ্যমান রয়েছে। যে সব আয়াতে জিহাদের হুকুমের আলোচনা এবং জিহাদের আনুষাঙ্গিক আলোচনা বিদ্যমান রয়েছে, সে সব আয়াতের সংখ্যা আনুমানিক পাঁচশো'র মতো হবে।

    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী থেকে পেলাম, শরীয়তের হুকুমের বিশাল ভান্ডার যুদ্ধ সময়ে সংগঠিত হয়েছে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মদীনার জীবনের বিশাল অংশ কাফিরদের বিরুদ্ধে কিতাল ও জিহাদে অতিবাহিত হয়েছে।

    এসব লক্ষণীয় বিষয় থাকা সত্ত্বেও আমি দেখতে পাই, দাঈ এবং আহলে ইলমদের একটা অংশ জিহাদের গুরুত্বকে কম করে উল্লেখ করেন, তারা বলেন, এই সময় জিহাদের সময় নয়। এর কারণ হচ্ছে যে, তারা দেখতে পান, বাতিলের অনেক শক্তি, তারা উম্মাহের আদর্শ থেকে জিহাদকে ব্যর্থ করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছে। কেননা তাদের ইজতিহাদ তাদের মনে এই ধারণার জন্ম দেয়, যে, এইসব সমস্যা জর্জরিত বিষয়াদি বাতিলের সাথে মিলে শান্তিপূর্ণ পন্থায় পরিবর্তন করা সম্ভব। আমি নিজেকে প্রশ্ন করি, তাহলে কেনো জিহাদের বিষয় এবং এর শরয়ী হুকুম এতো বৃহৎ আকারে আসলো? এতো ব্যাপক আকারে আসলো? এটাকে বর্ণনা করা হলো ভাষার বৈচিত্র্য শিল্পে, কখনো কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে, কখনো যোদ্ধাদের প্রশংসা করে, কখনো তাদের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি উল্লেখ করে, কখনো পশ্চাদপদকারী এবং এমন সব মুনাফিকদের অপকর্মের নিন্দা করে যারা জিহাদ থেকে পলায়ন করে, কখনো শহীদ ব্যক্তির মৃত না হওয়ার কথা উল্লেখ করে, বিভিন্ন বর্ণনায় বৈচিত্র্য শিল্পে এবং যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে তাদেরকে ইলাহির প্রতিশ্রুতির দ্বারা সম্মানিত করার দ্বারা। এমনকি নামায, যা কি না ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ, যখন মুমিনরা যুদ্ধরত থাকে তখন তা ভিন্নভাবে আদায় করার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।

    এরপর আমি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একজন মহান ইমামকে খুঁজে পাই, তিনি হচ্ছেন শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া রাহ.। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন, যে, দ্বীনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দুটি, নামাজ এবং জিহাদ। এজন্য শরীয়তের বিভিন্ন নস (বর্ণনা) এ দুটির ব্যাপারে ব্যাপকভাবে এসেছে এবং এ দুটির হুকুমের ব্যাপারে নসসমূহের বিস্তারিত বিবরণও এসেছে বরং জিহাদের বিস্তারিত বিবরণ এবং এর হুকুমসমূহ এমনভাবে কুরআনে উল্লেখ হয়েছে যা নামাজের ক্ষেত্রেও হয়নি বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যুদ্ধরত অবস্থায় নামায পড়ার পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন।

    অন্যদিকে শরীয়তে নামাযের বর্ণনা অন্যান্য হুকুমের মতো সুন্নাহে(হাদীসে) বিস্তারিত বিবরণ এসেছে, যুদ্ধরত অবস্থায় নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যে, আমরা যেনো সতর্ক অবস্থায় নামায আদায় করি, তিনি বলে দিয়েছেন, আমরা নামাজে ব্যস্ত হওয়ার দরুন আমরা নিজেদের অস্ত্রের ব্যাপারে বেখবর হয়ে যাব তখন তারা আমাদের ওপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

    এসব বিষয় দ্বারা এই ফলাফল অত্যন্ত চূড়ান্ত ও ধ্রুবভাবে প্রকাশিত হয়, যে, জিহাদ হচ্ছে মুসলমানদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, জিহাদ হচ্ছে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যে, অন্য যে কোনো শরয়ী এবং দাওয়াতি প্রচেষ্টার আড়ালে জিহাদ থেকে অসচেতন হওয়ার ফলাফল শুভ হবে না, ঠিক এমনটাই আল্লাহ তা'আলা আমাদের থেকে চান।

    জিহাদ হচ্ছে মুসলমানদের অবস্থা পরিবর্তনের চাবিকাঠি বরং জিহাদ দ্বারা আমাদের জন্য সম্ভব হবে সমস্ত পৃথিবীর বুক থেকে ফাসাদ বিদূরিত করা, শুধুমাত্র মুসলিম দেশসমূহ থেকে নয়। এটা হচ্ছে আলিমদের নিকট এমন সুস্পষ্ট বিষয়, যে, তারা বলেছেন, যখন কাফিররা মুসলমানদেরকে ঢাল হিসেবে উপস্থাপন করে এবং কাফেরদেরকে নির্মূল করার জন্য এসব মুসলমানদেরকে হত্যা করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর থাকে না, তখন ওই সব মুসলমানদেরকে হত্যা করা বৈধ। এগুলো ছিল বিশ্বাস ও চিন্তা করার বিষয়।

    কিন্তু আমি চিন্তা করলাম কীভাবে এসব বিষয় সম্ভব হবে? এবং কীভাবে আমি জিহাদ শুরু করবো? আমি বিশ্বাস করতে থাকি, যে, চিন্তা ও বাস্তবতার জায়গায় অনেক পার্থক্য বিদ্যমান। এরকম অনেক বিষয় আছে, যা যুক্তির আলোকে তোমার সামনে সুবিন্যস্তভাবে প্রকাশিত হবে, যখন তুমি এইসব বিষয় কাজে রূপান্তরের চেষ্টায় লিপ্ত হবে তখন তোমার সামনে প্রকৃত বিষয় সুস্পষ্ট হবে। যেমনিভাবে অনেক আহলে ইলম ও দাঈরা বিশ্বাস করেন, যে, বুদ্ধিগত দিক দিয়ে (আজকাল) কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা অসম্ভব। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি পরীক্ষা স্বরূপ জড়িয়ে পড়বো। কেননা আমার প্রতি আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে, কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করা, এটি একটি অবশ্য পালনীয় নির্দেশ, আল্লাহ তা'আলা আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি আমার ও আমার অবস্থার ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞাত। মানুষের বুদ্ধিসমূহের ফলাফল কখনো সঠিক হতে পারে আবার কখনো ভুল হতে পারে, কিন্তু আল্লাহ তা'আলা আমার সামনে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে স্পষ্ট করে দিলেন, তিনি আমার ওপর জিহাদ ফরজ করে দিয়েছেন এবং তিনি জানেন এটা অন্তরসমূহের নিকট অপছন্দনীয় বিষয়, তিনি আমাকে বলেছেন যে, 'আসা আন আকরাহাল ক্বিতাল' অর্থাৎ, 'যুদ্ধ অবশ্যই আমার জন্যে অপছন্দীয়, অথচ এটা আমার জন্য কল্যাণকর', মুফাসসিরগণ বলেন, কুরআনে আরবি অব্যয় 'আসা' সুনিশ্চিত বিষয়ের জন্যে এসেছে, কামনা বা আকাঙ্ক্ষার জন্যে উল্লেখ হয় নি, কেননা এটা সর্বস্রষ্টা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।

    যখন আমি জিহাদে জড়িয়ে পড়ি তখন আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে, এই রাস্তা আমার প্রতি আল্লাহ তা'আলা এবং তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির পথ, সুতরাং এর চূড়ান্ত ফলাফল হবে যে, আমার প্রতি আল্লাহর প্রতিশ্রুতি শত্রুর ওপর বিজয়ী হওয়া দ্বারা অথবা শাহাদাত অর্জন করার দ্বারা এবং জান্নাত প্রাপ্তির দ্বারা বাস্তবায়িত হবে, যদি আমি এ পথে চলি ওই সব বিষয়ে না লিপ্ত হয়ে যে সব বিষয়ের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সতর্ক করেছেন; যেমন পরস্পরের ঝগড়া, মতানৈক্য, দলবাজি এবং এখলাস না হওয়া ইত্যাদি। যা জিহাদ কবুল এবং সঠিক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়, যেমনি আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্ল এবং তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্পষ্টভাবে বলেছেন।

    সূত্র- উসামা বিন লাদেন: মুজাদ্দিদুয জামান ও কাহিরুল আমরিকান, পৃঃ১১৩-১১৫/
    লেখকঃ আবু জান্দাল আল-আযদি(ফারিস আয-যাহরানি) রাহ.

  • #2
    সুন্দর আলোচনা। প্রেরণা মূলক লিখা। জাযাকাল্লাহ।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমদের প্রিয় শায়েখকে শাহিদ হিসেবে কবুল করুন

      Comment


      • #4
        ২০০৯ সালে শাইখ মাকদিসির একটি প্রবন্ধের দুটো অনুচ্ছেদ এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য -
        "শাইখ উসামা বিন লাদেন হলেন এই যুগের মুজাহিদদের ইমাম। তিনি তাঁর দ্বীনকে সহায়তা করার জন্য যা কিছু করেছেন, তা কেবল কাফিররা এবং জালিম শাসকদের আনুগত্যকারী স্বার্থান্বেষী মুনাফিকরা ছাড়া আর কেউ অস্বীকার করতে পারে না। এহেন সত্য তো কেবল সেইসমস্ত মূর্খ ভীরুরাই অস্বীকার করতে পারে যারা নিজেদের দ্বীন এবং এর অবিচ্ছেদ্য অংশ জিহাদ সম্পর্কে অজ্ঞ, যারা দ্বীনের প্রতি উসামা বিন লাদেনের আন্তরিকতার জন্য আল্লাহ তাঁকে যে মর্যাদা ও বিজয় দিয়েছেন তা নিয়ে ঈর্ষান্বিত। শাইখ উসামা বিন লাদেনের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য কখনও আমার হয়নি; যদিও আফগানিস্তানে আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠার পর আমি সংগঠনটির ক্যাম্পে এবং পরবর্তী এক সময়ে পেশাওয়ারে এর আইনশাস্ত্র কেন্দ্রের লেকচারগুলোতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। [725] শাইখ উসামা বিন লাদেন আল্লাহর বিধানকে প্রতিষ্ঠা করতে চান এবং সেই সমস্ত কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চান, যারা উম্মাহর ভূমি দখল করেছে এবং সম্পদ লুটপাট করেছে। তিনি নিপীড়িত নারী ও শিশুদের সুরক্ষা দিতে চান এবং বন্দীদের মুক্ত করতে চান। তিনি কুরআনের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উম্মাহকে সম্মান এনে দিতে চান। তিনি হোয়াইট হাউসের উপরে সেই পতাকা উত্তোলন করতে চান, যেখানে লিখা থাকবে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"।
        তিনি সেই ইহুদি-ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে লড়তে চান, যারা মুসলিমদের কাছ থেকে আল-আকসাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত, যারা এখনও শিশুহত্যা এবং আমাদের মা-বোনদের সম্মানহানি করার মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত। সহজ ভাষায় বললে, শাইখ উসামা নববী পন্থায় এক হাতে কুরআন এবং অপর হাতে অস্ত্র নিয়ে একটি ন্যায়নিষ্ঠ খিলাফাত প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।" [726]


        Comment


        • #5
          মা শা আল্লাহ, উত্তম পোস্ট,

          মুজাদ্দেদে জিহাদ উসামা বীন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ, যেভাবে গ্লোবাল জিহাদের কার্যক্রম চালু করে গেছেন, ইন শা আল্লাহ কোন একদিন বিশ্ব শাসন করবে "তার তৈরি করা তানজিম আল কায়েদাতুল জিহাদ,


          গ্লোবাল জিহাদ আল কায়দা জিন্দাবাদ
          সর্বোত্তম আমল হলো
          আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
          আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

          Comment

          Working...
          X