ইয়াহুদী ইবনে সাবীনাহ, একজন বিশিষ্ট বণিক। মদীনার বনু মাসউদের সঙ্গে নিয়মিত ব্যবসা করে। এই সুবাদে মাসউদ গোত্রের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। খন্দক যুদ্ধের অত্যন্ত নাজুক মূহুর্তে বনু কুরাইযার ইয়াহুদীরা যখন চুক্তি ভঙ্গ করল। রহমতের নবী, মালহামার নবী, হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করলেন, “ من ظفرتم به من رجال يهود فاقتلوه ‘তোমরা ইয়াহুদী প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের যাকেই পাবে হত্যা করবে’।”
তখন বনু মাসউদের মহান সাহাবী হযরত মুহাইসা ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ইবনে সাবীনার ভবলীলা সাঙ্গ করে দিলেন।
মুহাইসা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বড় ভাই হুয়াইসাহ এখনো ইসলাম গ্রহণ করেনি। এ হত্যায় খুবই ব্যথিত হলেন। রাগে অগ্নিশরমা হয়ে মুহাইসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে প্রহার করলেন। আর কর্কষ গলায় বললেন, “ হে আল্লাহর দুশমন! তুমি তাকে হত্যা করে ফেললে! খোদার কসম, তোমার পেটের কিছু চরবি হলেও তার মাল দ্বারা ঘটিত।
মুহাইসা রাদিয়াল্লাহু আনহু তখন ঠাণ্ডা মাথায় বললেন, “ আল্লাহর কসম, তাকে হত্যা করতে আমাকে যিনি আদেশ করেছেন; তিনি যদি তোমাকেও হত্যা করার আদেশ দিতেন; আমি তোমারও গড়দান উড়িয়ে দিতাম।
হুয়াইসাহ এবার আশ্চর্য হয়ে বললেন, ‘হায় হায় ! মুহাম্মাদ যদি আমাকে হত্যার নির্দেশ দিত; তুমি আমাকেও হত্যা করতে?
দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মুহাইসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হ্যাঁ। ওয়াল্লাহি, তিনি যদি তোমার কল্লা ফেলারও আদেশ করতেন; আমি তোমারও কল্লা ফেলে দিতাম। সুবহানাল্লাহ!
হুয়াইসাহ এবার পুলকিত হয়ে বললেন, ‘আল্লাহর শপথ যে দ্বীন তোমার মাঝে এতো দৃঢ়তা লাভ করেছে; নিশ্চয়ই তা চমৎকার’। এবং সাথে সাথে তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন। -মিম মাঈনিস সিরাহ, আল-মাকতাবাতুল ইসলামী, পৃ: ৩২৬
ফায়দা:
১. মুহাইসা রাদিয়াল্লাহু আনহু অত্যন্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠে আপন বড় ভাই-কে বললেন, ‘আমি তোমারও কল্লা ফেলে দিতাম’! পরোওয়া করেননি ভ্রাতৃত্বে সম্পর্কের। রক্তের সম্পর্কের। কারণ ঈমান সবার আগে। ইসলাম সবার আগে।
২. হুয়াইসাহ যখন দেখলেন, তারই ছোট ভাই সকল কিছুর উপর নিজ আদর্শকে প্রধান্য দিচ্ছে। ভাবলেন কি সেই আদর্শ যা সকল কিছুর উর্ধে। যার সামনে রক্তের সম্পর্কও তুচ্ছ; এবং পুলকিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন। এটি আদর্শের উপর দৃঢ়তারই ফলাফল।
৩. একজন প্রকৃত মুমিনের দৃঢ়তা অবিচলতা অন্য সবার চেয়ে মুমতায। আর তাই তো তাদের প্রতিটি আচরণই ইসলামের দাওয়াত।
৪. তার সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক। সে বেঁচে থাকলে আমাদের অর্থনীতি উন্নত হবে। এমন কোনো ভাবনাই বিরত রাখতে পারেনি মুহাইসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে, প্রিয়ো রাসূলের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা থেকে।
তখন বনু মাসউদের মহান সাহাবী হযরত মুহাইসা ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ইবনে সাবীনার ভবলীলা সাঙ্গ করে দিলেন।
মুহাইসা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বড় ভাই হুয়াইসাহ এখনো ইসলাম গ্রহণ করেনি। এ হত্যায় খুবই ব্যথিত হলেন। রাগে অগ্নিশরমা হয়ে মুহাইসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে প্রহার করলেন। আর কর্কষ গলায় বললেন, “ হে আল্লাহর দুশমন! তুমি তাকে হত্যা করে ফেললে! খোদার কসম, তোমার পেটের কিছু চরবি হলেও তার মাল দ্বারা ঘটিত।
মুহাইসা রাদিয়াল্লাহু আনহু তখন ঠাণ্ডা মাথায় বললেন, “ আল্লাহর কসম, তাকে হত্যা করতে আমাকে যিনি আদেশ করেছেন; তিনি যদি তোমাকেও হত্যা করার আদেশ দিতেন; আমি তোমারও গড়দান উড়িয়ে দিতাম।
হুয়াইসাহ এবার আশ্চর্য হয়ে বললেন, ‘হায় হায় ! মুহাম্মাদ যদি আমাকে হত্যার নির্দেশ দিত; তুমি আমাকেও হত্যা করতে?
দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মুহাইসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হ্যাঁ। ওয়াল্লাহি, তিনি যদি তোমার কল্লা ফেলারও আদেশ করতেন; আমি তোমারও কল্লা ফেলে দিতাম। সুবহানাল্লাহ!
হুয়াইসাহ এবার পুলকিত হয়ে বললেন, ‘আল্লাহর শপথ যে দ্বীন তোমার মাঝে এতো দৃঢ়তা লাভ করেছে; নিশ্চয়ই তা চমৎকার’। এবং সাথে সাথে তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন। -মিম মাঈনিস সিরাহ, আল-মাকতাবাতুল ইসলামী, পৃ: ৩২৬
ফায়দা:
১. মুহাইসা রাদিয়াল্লাহু আনহু অত্যন্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠে আপন বড় ভাই-কে বললেন, ‘আমি তোমারও কল্লা ফেলে দিতাম’! পরোওয়া করেননি ভ্রাতৃত্বে সম্পর্কের। রক্তের সম্পর্কের। কারণ ঈমান সবার আগে। ইসলাম সবার আগে।
২. হুয়াইসাহ যখন দেখলেন, তারই ছোট ভাই সকল কিছুর উপর নিজ আদর্শকে প্রধান্য দিচ্ছে। ভাবলেন কি সেই আদর্শ যা সকল কিছুর উর্ধে। যার সামনে রক্তের সম্পর্কও তুচ্ছ; এবং পুলকিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন। এটি আদর্শের উপর দৃঢ়তারই ফলাফল।
৩. একজন প্রকৃত মুমিনের দৃঢ়তা অবিচলতা অন্য সবার চেয়ে মুমতায। আর তাই তো তাদের প্রতিটি আচরণই ইসলামের দাওয়াত।
৪. তার সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক। সে বেঁচে থাকলে আমাদের অর্থনীতি উন্নত হবে। এমন কোনো ভাবনাই বিরত রাখতে পারেনি মুহাইসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে, প্রিয়ো রাসূলের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা থেকে।
Comment