আপনি আপনার বাচ্চাদের কে ভীতু বানিয়ে ফেলছেন না তো?
শিশুকে নানা কারণেই ভয় দেখানো হয়ে থাকে। শিশু হয়তো সময়মতো খেতে চাইছে না, এদিকে তার জন্য আটকে আছে অভিভাবকের অন্যান্য কাজ। তাড়াহুড়া করতে গিয়েই বলা—‘না খেলে কিন্তু মামদো ভূত চলে আসবে।’ এমন বাক্যে শিশু হয়তো নিমরাজি হয়ে আপনার ‘কার্যোদ্ধার’ করে দেবে, কিন্তু এ রকম ‘সামান্য’ কথাতেই শিশুর কোমল মনে দাগ পড়তে পারে প্রবলভাবে।
জন্ম থেকেই ভয় থাকে না, বরং ভয় সৃষ্টি করা হয়। ভয়ের আবহ সৃষ্টি করা হয় জেনে কিংবা না জেনে পরিবারে বা প্রতিষ্ঠানে। সহপাঠীদের কাছে ভূত বা অন্ধকারের গল্প শিশুমনে ভয় জাগাতে পারে। ভীতিতে সৃষ্টি হয় নেতিবাচকতা, যার ছাপ পড়ে শিশুর ব্যক্তিত্বে। ভয়ভীতির কারণে ভীরু ও হীনম্মন্য হয়ে গড়ে ওঠে শিশু, তার মধ্যে আর বীরত্ব,সাহসিকতা থাকে না।
ভয় দেখালে
অহেতুক আতঙ্কে ভোগার প্রবণতা দেখা যায়। আত্মবিশ্বাস গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভীতু শিশু সবার সামনে নিজেকে প্রকাশ করতেও ভয় পায়, আচরণে আসে অস্বাভাবিকতা। অবিশ্বাস বাসা বাঁধতে পারে শিশুমনে। কোমল মন অশান্তিতে ভোগে, অল্পতেই কাঁদে। ভয়ভীতি দেখিয়ে চৌকস শিশু গড়ে তোলা যায় না। আবার ভীতি নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলে শিশু মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। নিজের মনের ভয়ের কারণে অন্যের সঙ্গে মিশতে সংকোচ করতে পারে সে, শুধু তাই না সে যদি একটু রক্ত ইত্যাদি কিছু দেখে তাহলে বেহুঁশ ও হয়ে যায়,এর পিছনে অধিকাংশ কারণ ছোট কালের ভয় হয়ে থাকে, জিহাদের কথা তো বাদই দিলাম।
ভয়ের বীজ বোনা
‘অন্ধকারে ভয় আছে’, ‘কুকুরের কাছে যেয়ো না, কুকুর কামড়ে দেবে’, ‘তেলাপোকা কামড় দেবে’—এমন সব কথাও বলা হয়, যা শিশুমনে সৃষ্টি করে অযাচিত ভয়। ফলে শিশু ভয় পেতে পারে অন্ধকারে, এমনকি পাশের ঘরে যেতেও। কোনো প্রাণী ও পতঙ্গ দেখলেই অকারণে ভয় পেতে পারে। আবার অভিভাবকেরা এগুলো থেকে ভয় পেলে শিশুও ভয় পেতে পারে। রোমহর্ষক গল্প শুনলে বা পড়লে তা যেন বাস্তব ভেবে না ফেলে শিশু।
তাই :- ভয় না দেখিয়ে বরং শিশুকে তার মতো করে বুঝিয়ে দিন ঠিক আর ভুল। শিশুর পছন্দের কাজটি যদি তার জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে ক্ষতির দিকগুলো বোঝান। যেমন ধারালো জিনিস নিয়ে খেলা, ছাদের প্রান্তে হুটোপুটি করার মতো কাজে যেসব বিপদ রয়েছে, তা ব্যাখ্যা করা জরুরি। তেমনিভাবেই তার অপছন্দের কাজে মঙ্গল নিহিত থাকলে সেটাও বোঝান। একবার বললেই শিশু সব বুঝবে না। বোঝার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। ভালোবেসে, আদর করে বোঝাতে হবে।
তার কিছু মতামত মেনেও নিন। আবেগের অবদমন শিশুর বিকাশের অন্তরায়।
আরেকটা জিনিস করা যায়, তাদের কে ভূত, কুকুর ইত্যাদি র ভয় না দেখিয়ে আল্লাহর ভয় দেখান, জাহান্নামে র ভয় দেখান, আল্লাহর আযাবের ভয় দেখান, তাতে শিশু ছোট থেকে তাকওয়া বান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে ইনশাআল্লাহ।
ভীতি সৃষ্টি হলে
শিশুর মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হলে, তা কাটিয়ে উঠতে স্নেহপূর্ণ পরিবেশ দিন। তার ভয় নিয়ে লজ্জা দেবেন না। অনেকটা সময় দিতে হবে ভয় কাটাতে। উদাহরণস্বরূপ, অন্ধকারে শিশু ভয় পেলে অন্ধকারে প্রতিদিন খানিকক্ষণ কাটাতে পারেন তার সঙ্গে। আস্তে আস্তে ভয় কমবে। জিন ইত্যাদি র ভয় হলে তাকে বলুন আল্লাহ ছাড়া তোমার কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না,কারো কোন ক্ষমতা নেই তোমার ক্ষতি করার যদি আল্লাহ না চাই , তা শিশুকে শিখিয়ে দিন। এতে শিশুর ক্ষতি তো হবেই না, বরং দয়ামায়া ও ভালোবাসার সুকোমল অনুভূতির মিশেলে মানবিক বীরত্ব সাহসিকতা গুণসম্পন্ন মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে সে।
শিশু কে বীর হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে তাকে ছোট কাল থেকেই বীরদের বীরত্বের গল্প শুনান,তাতেও অনেক সাহসিকতার খোরাক মিলবে ইনশাআল্লাহ, এর মধ্যে তাঁর ভীতুতাও কেটে যাবে ইনশাল্লাহ।
তাই আসুন আমরা নিজের বাচ্চাদের কে ছোট থেকে একজন মুজাহিদ,বীর যোদ্ধা,সাহসী, সত্য নিষ্ঠা হিসেবে গড়ে তুলি!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন।
শিশুকে নানা কারণেই ভয় দেখানো হয়ে থাকে। শিশু হয়তো সময়মতো খেতে চাইছে না, এদিকে তার জন্য আটকে আছে অভিভাবকের অন্যান্য কাজ। তাড়াহুড়া করতে গিয়েই বলা—‘না খেলে কিন্তু মামদো ভূত চলে আসবে।’ এমন বাক্যে শিশু হয়তো নিমরাজি হয়ে আপনার ‘কার্যোদ্ধার’ করে দেবে, কিন্তু এ রকম ‘সামান্য’ কথাতেই শিশুর কোমল মনে দাগ পড়তে পারে প্রবলভাবে।
জন্ম থেকেই ভয় থাকে না, বরং ভয় সৃষ্টি করা হয়। ভয়ের আবহ সৃষ্টি করা হয় জেনে কিংবা না জেনে পরিবারে বা প্রতিষ্ঠানে। সহপাঠীদের কাছে ভূত বা অন্ধকারের গল্প শিশুমনে ভয় জাগাতে পারে। ভীতিতে সৃষ্টি হয় নেতিবাচকতা, যার ছাপ পড়ে শিশুর ব্যক্তিত্বে। ভয়ভীতির কারণে ভীরু ও হীনম্মন্য হয়ে গড়ে ওঠে শিশু, তার মধ্যে আর বীরত্ব,সাহসিকতা থাকে না।
ভয় দেখালে
অহেতুক আতঙ্কে ভোগার প্রবণতা দেখা যায়। আত্মবিশ্বাস গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভীতু শিশু সবার সামনে নিজেকে প্রকাশ করতেও ভয় পায়, আচরণে আসে অস্বাভাবিকতা। অবিশ্বাস বাসা বাঁধতে পারে শিশুমনে। কোমল মন অশান্তিতে ভোগে, অল্পতেই কাঁদে। ভয়ভীতি দেখিয়ে চৌকস শিশু গড়ে তোলা যায় না। আবার ভীতি নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলে শিশু মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। নিজের মনের ভয়ের কারণে অন্যের সঙ্গে মিশতে সংকোচ করতে পারে সে, শুধু তাই না সে যদি একটু রক্ত ইত্যাদি কিছু দেখে তাহলে বেহুঁশ ও হয়ে যায়,এর পিছনে অধিকাংশ কারণ ছোট কালের ভয় হয়ে থাকে, জিহাদের কথা তো বাদই দিলাম।
ভয়ের বীজ বোনা
‘অন্ধকারে ভয় আছে’, ‘কুকুরের কাছে যেয়ো না, কুকুর কামড়ে দেবে’, ‘তেলাপোকা কামড় দেবে’—এমন সব কথাও বলা হয়, যা শিশুমনে সৃষ্টি করে অযাচিত ভয়। ফলে শিশু ভয় পেতে পারে অন্ধকারে, এমনকি পাশের ঘরে যেতেও। কোনো প্রাণী ও পতঙ্গ দেখলেই অকারণে ভয় পেতে পারে। আবার অভিভাবকেরা এগুলো থেকে ভয় পেলে শিশুও ভয় পেতে পারে। রোমহর্ষক গল্প শুনলে বা পড়লে তা যেন বাস্তব ভেবে না ফেলে শিশু।
তাই :- ভয় না দেখিয়ে বরং শিশুকে তার মতো করে বুঝিয়ে দিন ঠিক আর ভুল। শিশুর পছন্দের কাজটি যদি তার জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে ক্ষতির দিকগুলো বোঝান। যেমন ধারালো জিনিস নিয়ে খেলা, ছাদের প্রান্তে হুটোপুটি করার মতো কাজে যেসব বিপদ রয়েছে, তা ব্যাখ্যা করা জরুরি। তেমনিভাবেই তার অপছন্দের কাজে মঙ্গল নিহিত থাকলে সেটাও বোঝান। একবার বললেই শিশু সব বুঝবে না। বোঝার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। ভালোবেসে, আদর করে বোঝাতে হবে।
তার কিছু মতামত মেনেও নিন। আবেগের অবদমন শিশুর বিকাশের অন্তরায়।
আরেকটা জিনিস করা যায়, তাদের কে ভূত, কুকুর ইত্যাদি র ভয় না দেখিয়ে আল্লাহর ভয় দেখান, জাহান্নামে র ভয় দেখান, আল্লাহর আযাবের ভয় দেখান, তাতে শিশু ছোট থেকে তাকওয়া বান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে ইনশাআল্লাহ।
ভীতি সৃষ্টি হলে
শিশুর মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হলে, তা কাটিয়ে উঠতে স্নেহপূর্ণ পরিবেশ দিন। তার ভয় নিয়ে লজ্জা দেবেন না। অনেকটা সময় দিতে হবে ভয় কাটাতে। উদাহরণস্বরূপ, অন্ধকারে শিশু ভয় পেলে অন্ধকারে প্রতিদিন খানিকক্ষণ কাটাতে পারেন তার সঙ্গে। আস্তে আস্তে ভয় কমবে। জিন ইত্যাদি র ভয় হলে তাকে বলুন আল্লাহ ছাড়া তোমার কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না,কারো কোন ক্ষমতা নেই তোমার ক্ষতি করার যদি আল্লাহ না চাই , তা শিশুকে শিখিয়ে দিন। এতে শিশুর ক্ষতি তো হবেই না, বরং দয়ামায়া ও ভালোবাসার সুকোমল অনুভূতির মিশেলে মানবিক বীরত্ব সাহসিকতা গুণসম্পন্ন মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে সে।
শিশু কে বীর হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে তাকে ছোট কাল থেকেই বীরদের বীরত্বের গল্প শুনান,তাতেও অনেক সাহসিকতার খোরাক মিলবে ইনশাআল্লাহ, এর মধ্যে তাঁর ভীতুতাও কেটে যাবে ইনশাল্লাহ।
তাই আসুন আমরা নিজের বাচ্চাদের কে ছোট থেকে একজন মুজাহিদ,বীর যোদ্ধা,সাহসী, সত্য নিষ্ঠা হিসেবে গড়ে তুলি!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন।
Comment