ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত হাতে ব্যানার-ফেষ্টুন সহ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন এক দল আলেম এবং ত্বলাবা। ওদিকে দুপুরের প্রচন্ড গরমে জমায়েত হয়ে, গরম গরম বক্তৃতা করে যাচ্ছেন আরেক দল উলামা-ত্বলাবা। মাথার উপর সূর্য, নিচে পিচ ঢালা রাস্তার তাপ, চতুর্পার্শ্বের মানুষের শরীরের তাপ, গা বেয়ে ঘাম ঝরছে, বেহাল এক অবস্তা সবার! কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের। তাদের সবার দাবী একটাই, ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’
এভাবেই বিক্রি হয়ে চলছি আমরা। নিজেদের অজান্তেই তাদের দাবার গুটি হয়ে চলছি আমরা।
আচ্ছা, ইসলামে কি ধর্ষকদের কোন শাস্তি নেই ? তাহলে সেই শাস্তিকে মানুষের আড়াল করে কেন আমরা ধর্ষকদের ফাঁসি চাব? ফাঁসি তো মানব রচিত বিধান। আর আমরা নিজেদের অজান্তেই তাদের ক্রীড়নক হয়ে মানব রচিত আইন রচনা করতে সাহায্য করে যাচ্ছি। তারপর যখন তাগুত হাসিনা ধর্ষকের শাস্তি বিধান মৃত্যু দন্ড ঘোষণা করল, তখন আমরা আমাদের কাজ শেষ মনে করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলার প্রয়াস পাচ্ছি! পুনরায় মাঠ গরম করার জন্য, কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নতুন ইস্যুর অপেক্ষায় আছি। এভাবে ইস্যুর পর ইস্যু আসে, আর আমরাও ইস্যুর গোলাম হয়ে থাকি। মিডিয়া আমাদের সামনে যতটুকু তথ্য পরিবেশন করে আমরা সেই পরিমাণেই উত্তেজিত হই। আবার একই ঘটনার তথ্য যদি মিডিয়া আমাদের থেকে গোপন করে, তাহলে আমাদের উত্তেজনা মাটির সাথে লেপ্টে থাকে। কোন প্রতিবাদ হয়না, এ ধরণের ঘটনা নিজের চোখে দেখলেও না। তবে যখনই মিডিয়া হাইলাইট করে তখন আমরা প্রতিবাদের ফেটে পড়ি, দেশ অচল করে দেয়ার হুমকি দেই !! এভাবেই মূলত আমরা মিডিয়া গুলোর হাতে বন্দী হয়ে আছি। তারা একবার আমাদেরকে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত অনেক উপরে তুলে দেয়, তখন আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলি, আবার অনেক নিচে নামিয়ে দেয়, তখন আমরা গর্তের শিয়াল সেজে বসে থাকি।
অথচ এখানে আমাদের দরকার ছিল, তাদের উপর পালটা জোরালো আক্রমণ করা, তাদেরকে দেখিয়ে দেয়া তাদের রচিত আইনের ব্যর্থতা । আর জনগণকে বুঝিয়ে দেয়া ইসলামী আইনের সৌন্দর্য আর স্বকীয়তা এবং মানব রচিত আইনের নোংরামি আর কদর্যতা। কিন্তু আমরা বারবার ভুল করি । একই গর্তে দ্বিতীয়বার না বরং বারংবার পা ফেলে হোঁচট খেয়ে আছড়ে পড়ি। তবুও হুশ হয়না, বোধদয় হয়না। এভাবেই চলছে এভাবেই চলতে থাকবে।
এরকম অদূরদর্শীতাপূর্ণ কাজের কারণেই আজ আমরা পিছিয়ে। আমাদের মনে রাখতে হবে এই যুদ্ধটা যতটা না শারীরিক তার চেয়ে বেশী হচ্ছে ‘আদর্শিক এবং মনস্তাত্তিক’। এটা পরিভাষার যুদ্ধ। এটা মনস্তাত্তিক যুদ্ধ।
এভাবেই বিক্রি হয়ে চলছি আমরা। নিজেদের অজান্তেই তাদের দাবার গুটি হয়ে চলছি আমরা।
আচ্ছা, ইসলামে কি ধর্ষকদের কোন শাস্তি নেই ? তাহলে সেই শাস্তিকে মানুষের আড়াল করে কেন আমরা ধর্ষকদের ফাঁসি চাব? ফাঁসি তো মানব রচিত বিধান। আর আমরা নিজেদের অজান্তেই তাদের ক্রীড়নক হয়ে মানব রচিত আইন রচনা করতে সাহায্য করে যাচ্ছি। তারপর যখন তাগুত হাসিনা ধর্ষকের শাস্তি বিধান মৃত্যু দন্ড ঘোষণা করল, তখন আমরা আমাদের কাজ শেষ মনে করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলার প্রয়াস পাচ্ছি! পুনরায় মাঠ গরম করার জন্য, কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নতুন ইস্যুর অপেক্ষায় আছি। এভাবে ইস্যুর পর ইস্যু আসে, আর আমরাও ইস্যুর গোলাম হয়ে থাকি। মিডিয়া আমাদের সামনে যতটুকু তথ্য পরিবেশন করে আমরা সেই পরিমাণেই উত্তেজিত হই। আবার একই ঘটনার তথ্য যদি মিডিয়া আমাদের থেকে গোপন করে, তাহলে আমাদের উত্তেজনা মাটির সাথে লেপ্টে থাকে। কোন প্রতিবাদ হয়না, এ ধরণের ঘটনা নিজের চোখে দেখলেও না। তবে যখনই মিডিয়া হাইলাইট করে তখন আমরা প্রতিবাদের ফেটে পড়ি, দেশ অচল করে দেয়ার হুমকি দেই !! এভাবেই মূলত আমরা মিডিয়া গুলোর হাতে বন্দী হয়ে আছি। তারা একবার আমাদেরকে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত অনেক উপরে তুলে দেয়, তখন আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলি, আবার অনেক নিচে নামিয়ে দেয়, তখন আমরা গর্তের শিয়াল সেজে বসে থাকি।
অথচ এখানে আমাদের দরকার ছিল, তাদের উপর পালটা জোরালো আক্রমণ করা, তাদেরকে দেখিয়ে দেয়া তাদের রচিত আইনের ব্যর্থতা । আর জনগণকে বুঝিয়ে দেয়া ইসলামী আইনের সৌন্দর্য আর স্বকীয়তা এবং মানব রচিত আইনের নোংরামি আর কদর্যতা। কিন্তু আমরা বারবার ভুল করি । একই গর্তে দ্বিতীয়বার না বরং বারংবার পা ফেলে হোঁচট খেয়ে আছড়ে পড়ি। তবুও হুশ হয়না, বোধদয় হয়না। এভাবেই চলছে এভাবেই চলতে থাকবে।
এরকম অদূরদর্শীতাপূর্ণ কাজের কারণেই আজ আমরা পিছিয়ে। আমাদের মনে রাখতে হবে এই যুদ্ধটা যতটা না শারীরিক তার চেয়ে বেশী হচ্ছে ‘আদর্শিক এবং মনস্তাত্তিক’। এটা পরিভাষার যুদ্ধ। এটা মনস্তাত্তিক যুদ্ধ।
Comment