Announcement

Collapse
No announcement yet.

হেফাজতের মিছিলে কালিমা খচিত পতাকা; তরুণদের চিন্তা-চেতানায় জাগরণের নতুন মোড়।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হেফাজতের মিছিলে কালিমা খচিত পতাকা; তরুণদের চিন্তা-চেতানায় জাগরণের নতুন মোড়।

    হেফাজতের মিছিলে কালিমা খচিত পতাকা; তরুণদের চিন্তা-চেতানায় জাগরণের নতুন মোড়।

    কোরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেন,
    يُرِيدُونَ لِيُطْفِؤُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ○
    “তারা মুখের ফুঁ দিয়ে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়, অথচ আল্লাহ তাঁর আলো প্রজ্বলিত করবেনই। যদিও কাফেররা তা কিছুতেই চায় না! [সূরা ছফ-৮]
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَلاَ يَخَافُونَ لَوْمَةَ لآئِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاء وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ○
    হে ঐসকল লোক, যারা ঈমান এনেছো! যদি তোমরা তাঁর দীন থেকে ফিরে যাও তবে আল্লাহ (তোমাদের পরিবর্তে) এমন লোকদের নিয়ে আসবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসেন এবং তাঁরাও তাকে ভালোবাসে। তাঁরা মুমিনদের প্রতি সদয় ও কাফিরদের প্রতি কঠোর। তাঁরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে এবং তাতে কোন নিন্দুকের নিন্দাকে পরোয়া করবে না। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাদেরকে ইচ্ছা তা দান করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল ও সর্বজ্ঞানী। [সূরা মায়িদাহ-৫৪]
    *عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ:*قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:«وَلَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ○
    আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা হকের পক্ষে (শত্রুদের উপর) বিজয়ী থাকবে, কিয়ামত পর্যন্ত তাঁদের পরিত্যাগকারী তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [মুসনাদু আহমাদ-২২৪০৩]

    الإسلام يعلو ولا يعلى○
    ইসলাম (সর্বদা) কর্তৃত্বশীল হয়, অধীন নয়। [বুখারী-১৩৫৩]

    এমন অসংখ্য আয়াত ও হাদীসে কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম অবিকৃত নিরেট ও খাঁটি অবস্থায় তার দীপ্তি ও মহিমা নিয়ে টিকে থাকার কথা জানানো হয়েছে। ইতিহাসও আমাদেরকে একথাই জানায়। প্রতিটি যুগেই মুসলিম উম্মাহর কিছু না কিছু সন্তান ইসলামের মূল ও কান্ডকে আঁকড়ে ধরেই থাকবে। তাঁরা ইসলামের পতাকাকে উড্ডিন করে সামনে থেকে সামনে অগ্রসর হতেই থাকবে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে পথভোলা উম্মাহ কখনও তাদের ভুল বুঝে, আবার ঠিকই পরে তাদের ভুল বুঝতে পারে। তবে সর্বাবস্থায় একাফেলা এগিয়ে চলে আপন অবিচলতার সাথে।

    শতাব্দী ধরে পরাধীনতার গ্লানি কাটিয়ে মুসলিম উম্মাহ এখন বুঝতে শুরু করেছে নিজের ভুলগুলো। আর তাই তো, আজ ঘর থেকে মাঠ সর্বত্র চলছে শুদ্ধি-অভিযান। উম্মাহর সন্তানদের মাঝে বয়ে যাচ্ছে ইসলামী বসন্তের উত্তাল ঝড়। সবার মুখে মুখে গুঞ্জরিত হচ্ছে “এশতাব্দী বিজয়ের শতাব্দী।” কি মাদরাসা আর কি কলেজ-ভার্সিটি! সবখানেই নজরে পড়ছে নতুন এক জাগরণ! বিশেষ এক উদ্দীপনা। ২০১৩ থেকে ২০২০, এই সাত-আট বছরে মুসলিম জনসাধারণ ও উলামায়ে কেরামের মাঝেও স্পষ্টতই পরিলক্ষিত হচ্ছে ব্যাপক পরিবর্তন ও অভূতপূর্ব জাগরণ।

    মুসলিম তরুণরা এখন প্রথার পরিবর্তে দলিল ও প্রমাণের প্রতি অধিক আস্থাশীল। কল্পিত গল্প-উপন্যাসের বই থেকে তাদের আগ্রহ এখন নিজেদের গৌরবদীপ্ত সোনালী ইতিহাস জানার প্রতি। টিভি-সিরিয়াল ও নাটক-মুভি থেকে তাদের ঝোঁক এখন কোরআন-সুন্নাহর দলিল ভিত্তিক বয়ান-লেকচারের প্রতি। এই পরিবর্তন, এই জাগরণ কেবল সান্ত্বনার বাণী নয়। বাস্তবতারই চিত্রায়ণ!

    বেশি না, হেফাজতের বা ইদানিং কালের অন্যান্য ইসলামপন্থীদের বিক্ষোভ-মিছিলগুলোর প্রতি একটু চোখ বুলালেও বিষয়টি পরিষ্কার। তাদের অঙ্কিত ফেস্টুন, মাথায় বাঁধা বেইজ ও হাতে নিয়ে থাকা পতাকাগুলোই বলে দেয় তাদের ভিতরে এখন কী কাজ করছে! কালো-সাদা মিলিয়ে ব্যাপক হারে তাদের সাথে ছিল কালিমা খচিত পতাকা ও বেইজ! তাদের সিংহভাগ স্লোগান ছিল খোলাখুলি জিহাদ ও শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক! এক্ষেত্রে জেনারেল ঘরানার ছেলেদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো।

    এবিষয়গুলোকে আবেগের বশে সাময়িক উত্তেজনা বলে উড়িয়ে দেয়া হয়তো সম্ভব, কিন্তু এসতর্ক-সংকেত যাদের নেয়ার তাদের চোখে-মুখে ইতোমধ্যে লালবাতি জ্বলে গেছে! লক্ষ লক্ষ লোকের এই সমাগম হয়তো রাবার বুলেট অথবা সরাসরি বুলেট ব্যবহার করে ভেস্তে দেয়া যাবে, কিন্তু আদর্শিক ও চিন্তাগত এইযে পরিবর্তন এটার শিকড় তো গেড়ে গেছে বহু গভীরে! ক্রমবর্ধমান বিকাশমুখী এই চেতনা যে তাদের পতনের ঘণ্টাধ্বনি বাজাচ্ছে তা তারা ইতোমধ্যেই টের পেয়ে গেছে। আর তাই তো তথাকথিত “জঙ্গীবাদ-বিরোধী” প্রচারণায় তারা এখন আদা-জল খেয়ে নেমেছে! মূলতঃ এসবের দ্বারা মুমিনদের বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় হয়। আর সাধারণ জনগণ ব্যাপকভাবে ঈমান ও জিহাদের দীক্ষা পায়।
    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
    وَلَمَّا رَأَى الْمُؤْمِنُونَ الْأَحْزَابَ قَالُوا هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا○
    “মুমিনরা যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখতে পেল তাঁরা বলল, এতো দেখছি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের যে ওয়াদা দিয়েছেন তা, আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্যই বলেছেন! (এঘটনাকে প্রত্যক্ষ করা) তাদের ঈমান ও বিশ্বাসকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিল।” [সূরা আহযাব-২২]

    সুতরাং তাগুতের চেলা-বাহিনী প্রস্তুত। প্রস্তুত আল্লাহর সিংহ-শার্দূলেরাও! আর শুনে রাখো, বিজয় তো কেবল আল্লাহর বাহিনীর জন্যই নির্ধারিত! [সূরা মুজাদালাহ-২২]
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 11-07-2020, 06:21 PM.

  • #2
    ..........
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 11-07-2020, 06:21 PM.

    Comment


    • #3
      লক্ষ লক্ষ লোকের এই সমাগম হয়তো রাবার বুলেট অথবা সরাসরি বুলেট ব্যবহার করে ভেস্তে দেয়া যাবে, কিন্তু আদর্শিক ও চিন্তাগত এইযে পরিবর্তন এটার শিকড় তো গেড়ে গেছে বহু গভীরে!
      আলহামদু লিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ
      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 11-07-2020, 06:23 PM.
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা মুসলিম উম্মাহর তরুণদের চিন্তা- চেতনার এই জাগরণী ধারাকে বহাল রাখুন , আমীন।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আপনি আমাদের জাগিয়ে দিন আমীন।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment


          • #6
            আলহামদু লিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ

            Comment


            • #7
              আলহামদু লিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ

              Comment


              • #8
                আশা করি হিফাযত একদিন খেলাফতের পথে ফিরে আসবে।
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ্।

                  Comment


                  • #10
                    যাঁদের অফুরন্ত ত্যাগ আর কুরবানীতে আজকের এই জাগরণ তাঁদের কৃতজ্ঞতা আমরা কী দিয়ে আদায় করবো যারা নিজেদের সর্বস্ব বিলীন করেছেন কিন্তু বিনিময়ে কিছুই নেননি আমাদের থেকে। তাঁদের কেও হয়তো শাহাদাতের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে চলেগেছেন প্রিয়তমের সান্বিধ্যে। কেও অপেক্ষায় আছেন তাগুতের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। আরো আছেন যাদেরকে আমরা চিনিনা তবে তাঁদেরকে চিনেন যিনি আসমান জমিনের মালিক। তারা হচ্ছেন গুরাবা। আল্লাহ তায়ালা সকল ভাইদের কবুল করুন। শুহাদাদেরকে জান্নাতের উঁচা মাকাম দান করুন। কারাগারের নির্যাতিত ভাইদের মুক্তি তরান্বিত করুন। সকল ভাইদেরকে আল্লাহর রাস্তায় অবিচল থেকে সামনে অগ্রসর হওয়ার তৌফিক দান করুন! আমীন!

                    Comment

                    Working...
                    X