Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০২ || দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত || উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ|| পর্ব- ১১

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০২ || দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত || উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ|| পর্ব- ১১

    আল হিকমাহ মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত
    দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত
    শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ.

    এর থেকে
    পর্ব- ১

    ==================================================
    ===============================
    জিহাদি আন্দোলনের রাস্তায় আসল বাধা







    তাকফীর ও তুচ্ছ করা ছাড়াও সমালোচনা ও সংশোধন সম্ভব


    মাসআলা হলো; এই কুফুরি শাসনব্যবস্থায় শরয়ী তাবীলের মাধ্যমে, দ্বীনের খেদমতের নামে কেউ যদি অংশ গ্রহণ করে তাহলে জিহাদের আলেমদের মতে এটি বাড়াবাড়ি, গুনাহের কাজ এবং হারামতার পুরোপুরি বিরোধিতা করা হবে এবং দাওয়াতের ভাষায় এই ব্যক্তিদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করা হবেকিন্তু তাদেরকে কাফের বলা হবে নাএই ব্যক্তিরা সবাই এক স্তরের নয়কোন বিশেষ নেতা এমনও থাকতে পারে, যে দ্বীন ও জিহাদের ক্ষতি করায় অনেক অগ্রসর অথবা তার ব্যক্তিগত কোন কাজ তার ঈমানের দাবির বিপরীতকিন্তু তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিকে কাফের ফতোয়া দেয়া থেকে আমাদের ভাষাকে সংযত করবোতার বিরুদ্ধে এ ধরণের ফতোয়া দেয়া জিহাদের দাওয়াতের জন্য ক্ষতির কারণ

    আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পূর্ববর্তী আলেমগণ সর্বদা কোন বিশেষ ব্যক্তি অথবা গ্রুপকে কাফের ফতোয়া দেয়ার পূর্বে দাওয়াতের লাভ-ক্ষতির দিকটি বিবেচনায় রাখতেনযদি কোন ব্যক্তি ইসলামের পোশাক গায়ে জড়াতো অর্থাৎ মুসলিম দাবী করত অথচ সে কুফুরি গ্রহণ করেছে, তাহলে পূর্ববর্তী আলেমগণ দেখতেন তাকে স্পষ্ট কাফের ফতোয়া দেয়া বা হত্যা করা দ্বারা দাওয়াতের ক্ষতি হবে নাকি লাভ হবে? যদি ক্ষতি হওয়ার আশংকা বেশি থাকত তাহলে নাম ধরা ছাড়া তার সমালোচনা করা হতসংশোধনের চেষ্টা করা হততার খারাবী বন্ধ করে দেয়া হতকিন্তু তাকে নির্দিষ্ট করে তাকফিরও করা হত নাতাকে হত্যা করাও হত না

    আমরা রঈসুল মুনাফেকীন আব্দুল্লাহ বিন উবাই’র সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আচরণের দিকে লক্ষ করি সাহাবীগণ যখন বললেন, ‘আমরা তাকে হত্যা করি?’ তখন তিনি বললেন, ‘তাকে ছাড়, মানুষ বলবে মুহাম্মদ তাঁর সাথীদের হত্যা করে’

    আরেকটি বিষয় লক্ষ করি, ইবনে উবাই আনসারিদের খাজরাজ গোত্রের ছিলএক গোত্র হওয়ার কারণে খাজরাজের সরদার সাআদ বিন উবাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু সাহাবী হওয়া সত্ত্বেও এটা সহ্য করেননি যে, অন্য গোত্রের কোন লোক তাকে (ইবনে উবাইকে) হত্যা করবেএই কারণেই আউস গোত্রের সরদার সাআদ বিন মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আব্দুল্লাহ বিন উবাইকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন, তখন সাআদ বিন উবাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু তার ওপর রাগ করলেন এবং এমন কাজ করতে নিষেধ করলেন

    এই ঘটনা সহীহ মুসলিমে এসেছে সেখানে আয়শা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর একটি কথা বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন, “সাআদ বিন উবাদা ভালো মানুষ ছিলেনকিন্তু ওই সময় তার আত্মমর্যাদাবোধ জেগে উঠেছিলতিনি চাচ্ছিলেন যদি হত্যা করার আদেশ দেয়া হয় তাহলে যেন তাদেরকে আল্লাহর রাসুল আদেশ দেন তারাই ইবনে উবাইকে হত্যা করবেঅন্য গোত্রের কেউ হত্যা করবে এটা তারা চাচ্ছিলেন নাঠিক এমন কথাই বলেছিলেন ইবনে উবাই এর মুসলমান ছেলে ‘আব্দুল্লাহ’ রাদিয়াল্লাহু আনহু

    যখন ইবনে উবাই এর খারাবী বেড়ে গেলো, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কষ্টের বিষয়টি তিনি বুঝতে পারলেন, তখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমার পিতাকে হত্যা করতে চান তাহলে আমাকে আদেশ করুন আমিই তার মাথা এনে আপনার সামনে রাখব কিন্তু অন্য কেউ হত্যা করলে আমার আত্মমর্যাদাবোধে আঘাত লাগবে

    সম্মানিত ভাইয়েরা!

    বংশীয় এবং দলীয় সম্পর্ক খুব নাযুক নিজের দলের কোন নেতার সাথে দলের কোন সদস্যের মতবিরোধ থাকতে পারে - কোন এক পর্যায়ে সে তাকে খারাবও মনে করতে পারেকিন্তু দলের বাহিরের কেউ ওই নেতার নামে কোন খারাপ কথা বললে তার দলীয় অনুভূতি জেগে উঠেবিশেষ করে দলটি যখন দ্বীনী দল হয় তখন অনুভূতিও তীব্র হয়তাই এই নাজুকতার প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি

    এই দ্বীনী দলের মধ্যে ভালো মানুষও আছেতারা তাদের নেতাদের ভালোবাসে নেতাদের দুনিয়া পূজার কারণে নয়, বরং নেতাদের দ্বীনী খেদমতের কারণে বা দ্বীনী খেদমতের ওয়াদার কারণেসুতরাং এই নেতাদেরকে কাফের ফতোয়া দিয়ে আমরা কীভাবে ধারণা করতে পারি যে, তার দলের লোকেরা আমাদের কথা শুনবে? আর তাদেরকে কাফের ফতোয়া দেয়ার দ্বারা অন্য দ্বীনদার ও জনসাধারণকে মোটেও প্রভাবিত করা যায় না

    সুতরাং আপনি যদি চান যে, তাদের এই রোগের চিকিৎসা করবেন, তাদেরকে গণতন্ত্রের কুফুরি বোঝাবেন, তাদেরকে দাওয়াত দিয়ে নববী মানহাজে নিয়ে আসবেন, তাদেরকে এই খারাপ পথ থেকে ফিরাবেন, তাহলে সিরাতের অনুসরণ করুনকাজের সমালোচনা করুনকারো নাম উল্লেখ ব্যতীত, কাউকে কাফের ফতোয়া দেয়া ব্যতীত গণতন্ত্রের ভ্রান্ত হওয়ার দলিলাদি বর্ণনা করুন


    আরও পড়ুন




    ১০ম পর্ব ---------------------------------------------------------------------------- ১২তমপর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 07-23-2023, 05:36 PM.

  • #2
    বংশীয় এবং দলীয় সম্পর্ক খুব নাযুক নিজের দলের কোন নেতার সাথে দলের কোন সদস্যের মতবিরোধ থাকতে পারে - কোন এক পর্যায়ে সে তাকে খারাবও মনে করতে পারেকিন্তু দলের বাহিরের কেউ ওই নেতার নামে কোন খারাপ কথা বললে তার দলীয় অনুভূতি জেগে উঠেবিশেষ করে দলটি যখন দ্বীনী দল হয় তখন অনুভূতিও তীব্র হয়তাই এই নাজুকতার প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি

    Comment


    • #3
      মাশা-আল্লাহ চমৎকার আলোচনা!

      আল্লাহ পাক আমাদের সকল বাড়াবাড়ি থেকে হেফাজত করুন।হিকমাহর সাথে কাজ করার তাওফিক দিন। আমীন।

      Comment


      • #4
        মাশা আল্লাহ,, খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ, আমাদেরকে মেনে চলার তাওফিক দান করুন আমিন।

        Comment


        • #5

          সুতরাং আপনি যদি চান যে, তাদের এই রোগের চিকিৎসা করবেন, তাদেরকে গণতন্ত্রের কুফুরি বোঝাবেন, তাদেরকে দাওয়াত দিয়ে নববী মানহাজে নিয়ে আসবেন, তাদেরকে এই খারাপ পথ থেকে ফিরাবেন, তাহলে সিরাতের অনুসরণ করুন। কাজের সমালোচনা করুন। কারো নাম উল্লেখ ব্যতীত, কাউকে কাফের ফতোয়া দেয়া ব্যতীত গণতন্ত্রের ভ্রান্ত হওয়ার দলিলাদি বর্ণনা করুন।

          আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পূর্ববর্তী আলেমগণ সর্বদা কোন বিশেষ ব্যক্তি অথবা গ্রুপকে কাফের ফতোয়া দেয়ার পূর্বে দাওয়াতের লাভ-ক্ষতির দিকটি বিবেচনায় রাখতেন।

          মাশা আল্লাহ,, খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ পাক আমাদের সকল বাড়াবাড়ি থেকে হেফাজত করুন।হিকমাহর সাথে কাজ করার তাওফিক দিন। আমীন।

          Comment


          • #6
            এখানে যাকে দাওয়াত বা সৎকাজের আদেশ কিংবা অসৎ কাজের নিষেধ করা হবে তার প্রতি অনেক ভালবাসা এবং মমতা থাকতে হবে। রেষারেষি করলে চলবে না। অন্যথায় সব কিছু উল্টো দিকে চলেযাবে যাবে । তখন সবকিছুর জন্য বিষয়টি আরো অনেক ক্ষতিকর হবে। কারণ আব্দুল্লাহ বিন উবাই যখন ইন্তেকাল করেছেন তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য অনেক ইস্তেগফারো করে ছিলেন। তাই যেখানে ক্ষমতা খাটিয়ে কোন কিছু করা যাবে সেখানে উত্তম ভাবে ক্ষমতা খাটাতে হবে । এবং যেখানে কোন ক্ষমতা খাটানো যাবে না তখন দাওয়াতের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ কোমল আচরণ করতে হবে এবং উত্তম বাকবিতন্ডা করতে হবে।
            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

            Comment


            • #7
              আলহামদুলিল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের ইসলামের দাওয়াতের পদ্ধতি এটা।

              Comment

              Working...
              X