আল হিকমাহ মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত
দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত
শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ.
এর থেকে
পর্ব- ১৫
==================================================
===============================
জিহাদি আন্দোলনের রাস্তায় আসল বাধা
দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত
শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ.
এর থেকে
পর্ব- ১৫
==================================================
===============================
জিহাদি আন্দোলনের রাস্তায় আসল বাধা
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা
আমাদের নিকট গোয়েন্দা ও শত্রুদের অস্ত্রের মোকাবেলা করার এন্তেযাম আছে। কিন্তু জিহাদি আন্দোলনকে সঠিক রাস্তা থেকে সরানোর জন্য যে ছিদ্র করা হয় তা বন্ধ করার কোন ব্যবস্থা নেই। যদি শত্রু কোন মুজাহিদ বাহিনীর মাঝে প্রবেশ করে জীবন শেষ করতে চায়, তাহলে সম্ভাবনা আছে সে গ্রেফতার হবে। কারণ এ উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত আছে। কিন্তু চিন্তাগত সমস্যা দূরীকরণে কোন মজবুত ব্যবস্থা নেই।
অথচ বাস্তবতা হলো চিন্তা চেতনা ধ্বংস করাই হলো বেশি ভয়ানক। কারণ মানুষ ফিকির ও আমলের নাম। আর আমল ফিকিরের অনুগামী হয়। যদি ফিকির সঠিক হয় তাহলে আমলও উপকারী হবে। আর যদি ফিকির সঠিক না হয় এবং নিজের লাভ ক্ষতির মানদণ্ড নষ্ট হয়ে যায় তবে যেই জিনিস জিহাদের জন্য উপকারী তা এই ব্যক্তির কাছে খারাপ মনে হবে। আর যেটা জিহাদের জন্য খারাপ, সেটাই তার কাছে ভালো লাগবে। এমন যখন হবে তখন আসলে নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংস করা হবে। আর এ অবস্থায় আন্দোলনকে ধ্বংস করার জন্য কোন বুঝমান শক্তিশালী শত্রুরও প্রয়োজন হবে না। শত্রু তো দূরে বসে নিজের হাতে জিহাদি আন্দোলন ধ্বংস হওয়ার তামাশা দেখবে।
সুতরাং এক্ষেত্রে এমন নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার, যাতে করে কোন ব্যক্তি আলেম বা দাঈ সেজে জিহাদ ধ্বংসকারী চিন্তা চেতনা জিহাদিদের মাঝে ছড়াতে না পারে। তখনই তাদের রাস্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই- বাছাই করার জন্য শুধুমাত্র এতটুকুই যথেষ্ট নয় যে, কে কত পরিমাণ জিহাদের কথা বলে, বা কতটুকু কুফুরি শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বলে, বা কতটুকু মারা ও মরার ওপর উদ্বুদ্ধ করে। যদি কোন ব্যক্তি এর সবগুলো করে, কিন্তু এমন লক্ষ্যের কথা বলে যা সম্পূর্ণ শরিয়ত বহির্ভূত, অথবা জিহাদের আন্দোলনের জন্য খুব ক্ষতিকর, তাহলে কি এই লোকের চিন্তা-ফিকির ছড়ানোর অনুমতি থাকা উচিৎ?
এই ব্যক্তির জন্য নিজের চিন্তা-চেতনার ওপর আমল করা বা করানোর সুযোগ কি থাকা উচিৎ, যদিও সে জিহাদের কথা বলে? জিহাদের ইতিহাস সাক্ষী, এসমস্ত চিন্তা-চেতনা মুজাহিদদের জন্য শত্রুদের অস্ত্র থেকেও বেশি ক্ষতিকর। এসমস্ত ব্যক্তিদের ওপর যদি এমন পাবন্দি না লাগানো হয় তাহলে তারা এমন ক্ষতি করবে যা প্রকাশ্য শত্রুরাও করতে পারে না।
বাস্তবতা হলো, জিহাদর মধ্যে হকপন্থী হওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই একটি আলামতই যথেষ্ট নয় যে, সে শরিয়তে হত্যা জায়েয এমন ব্যক্তিদের হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি একটি আলামত অবশ্যই কিন্তু এটি মোটেও যথেষ্ট নয়।
বরং আহলে হকের বড় একটি আলামত হলো ওই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে হত্যা করা থেকে বাধা দেয়া, যাদেরকে হত্যা করা শরিয়ত ও জিহাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল। যদি কোন ব্যক্তি বাতিল শাসনব্যবস্থার রক্ষকদের ও কাফেরদের হত্যা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে, সাথে সাথে মুসলমানদেরকেও হত্যার রাস্তা দেখায়, তাহলে এটা অবশ্যই চিন্তাগত ছিদ্র যার দ্বারা সর্বদা কাফেররা লাভবান হয়েছে আর মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থা দাওয়াতের পদ্ধতির ক্ষেত্রেও। যদি কেউ এমন পদ্ধতিতে দাওয়াত দেয় যা শরিয়তবহির্ভুত, তাহলে তা বন্ধ করা জরুরি। এজন্যও আমাদের পুরোপুরি ব্যবস্থাপনা থাকা জরুরি। সারকথা হলো এমন কার্যক্রম বন্ধ করা ছাড়া জিহাদের দাওয়াত কখনও উন্নতি লাভ করবে না এবং জিহাদি আন্দোলন কখনও শক্তিশালী হবে না।
আরও পড়ুন
Comment