আল হিকমাহ মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত
দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত
শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ.
এর থেকে
পর্ব- ১৮
==================================================
===============================
দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত
শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ.
এর থেকে
পর্ব- ১৮
==================================================
===============================
ইন্টারনেটের ষড়যন্ত্র এবং জিহাদ ও মুজাহিদীনের
হেফাযতের গুরুত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক
হেফাযতের গুরুত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক
ষড়যন্ত্র মোকাবেলার তিনটি পদ্ধতি
নেট ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা তিনভাবে করা যায়-
এক. জিহাদি মানহাজের বুঝ পরিপূর্ণরূপে অর্জন করা। এই মানহাজ কী? কোথা থেকে এই মানহাজকে নেব? দাওয়াত ও জিহাদের প্রত্যেক বাঁক, ধ্বংসাত্মক গর্ত এবং প্রত্যেক দুই রাস্তাকে চেনা। যাতে পা ফসকে না যায়, আর ভুল রাস্তায় চলা শুরু না করে। এবিষয়ে পূর্বেও আলোচনা হয়েছে যে, জিহাদি ফিকির, মানহাজ, জায়েয-নাজায়েয, উপকার-ক্ষতির ইলম জিহাদি আন্দোলনের গ্রহণযোগ্য ওলামা ও উমারা থেকে নেওয়া।
তেমনিভাবে জিহাদের দাঈ ও মুজাহিদের এমন যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করতে থাকা, যাতে করে সঠিক-ভুল, উপকারী-অপকারী ফিকির ও আমলের মাঝে বিচক্ষণতার সাথে পার্থক্য করতে পারে। আর যখনই কোন জিহাদের শত্রু জিহাদের দাঈ বা মুজাহিদ সেজে জিহাদের মানহাজের মাঝে ছিদ্র তৈরি করতে চায়, তখনই যাতে সাথে সাথে তাকে পাকড়াও করতে পারে। এমন ব্যক্তি থেকে নিজে পৃথক হয়ে যাওয়া, অন্যকে তার ব্যাপারে সতর্ক করা এবং তাদেরকে একদম একঘরে করে ফেলা জরুরি। এটা নাহি আনিল মুনকার। আর জিহাদি দলগুলোর মাঝে এই ব্যাপারে অবহেলা আছে যার কারণে শাম, ইরাক থেকে খোরাসান পর্যন্ত অনেক খেসারত দিতে হয়েছে।
দুই. জিহাদের নেতা ও ময়দানের প্রতিনিধিদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা। এজন্য নেটের সাধারণ মাধ্যম পরিহার করে এমন মাধ্যম ব্যবহার করা যাতে কোন সন্দেহজনক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ সম্ভব নয়। আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালোভাবেই এই ব্যবস্থাপনা করা আছে। মুজাহিদদের পরিভাষায় একে তাযকিয়া নেয়া বলে। আলহামদুলিল্লাহ খোরাসান থেকে ইয়েমেন, মালি পর্যন্ত জিহাদি আন্দোলন এই মাধ্যমে খুব জোরেশোরে চলছে।
সুতরাং ইন্টারনেটে যদি কোন জিহাদের দাঈ বা মুজাহিদ সরাসরি সাক্ষাৎ বা জিহাদি কাজে সাহায্য করতে চায় অথবা জিহাদি গোপন বিষয় জানার চেষ্টা করে তাহলে এই ব্যক্তির সাথে চলাফেরার ব্যাপারে খুব বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই ব্যক্তির ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ খবর নেবে। আমি আবারও বলছি, ওই ব্যক্তির ব্যাপারে জিহাদের আসল ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেবে। তাযকিয়া নেবে। তাযকিয়া অর্জন হলে তার সাথে সরাসরি সাক্ষাতে কিংবা অন্যান্য বিষয়ে সমস্যা নেই। এই তাযকিয়া অর্জন করা কোন কঠিন কিছু নয়।[1] ইন্টারনেটে আলহামদুলিল্লাহ মুজাহিদদের প্রতিনিধিত্বকারী পেইজ, ওয়েবসাইট ও চ্যানেল বিদ্যমান আছে। যার এডমিনশিপ (Adminship) গ্রহণযোগ্য মুজাহিদদের হাতে আছে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
তিন. মুজাহিদদের কাতারে গোয়েন্দা বিভাগ, Intelligence System কে প্রশস্ত ও শক্তিশালী করা। এই ব্যবস্থাপনাও আলহামদুলিল্লা্হ বিদ্যমান আছে। কিন্তু একে অভিজ্ঞ ও আলেমদের হতে এমন ব্যক্তিদের অধীনে হওয়া উচিৎ যারা দূরদর্শী এবং যাদের নেগরানিতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তির ক্ষতি হয় না এবং কোন অপরাধী সহজে পার পায় না।
যদি উপরে উল্লেখিত তিনটি বিষয়ে গুরত্বারোপ করা হয় তাহলে আশা করা যায় জিহাদের মানহাজও হেফাযতে থাকবে এবং গোয়েন্দাদের জন্য জমিন সংকীর্ণ হবে। আল্লাহর ইচ্ছায় বড় বড় দাবাড়ুও মুজাহিদদের বড় কোন ক্ষতি করতে পারবে না। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, “আমি ধোঁকাবাজ নই, আর আমাকে ধোঁকা দেয়া সম্ভব নয়”।
এটা তো জীবনের সকল বিষয়ে হওয়া উচিৎ। আর জিহাদের ক্ষেত্রে তো আরও বেশি এ বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। আর এই ধরণের সতর্কতাই জিহাদি ঈমানের চাহিদা।
[1] এই নীতি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, এখানের জন্য নীতি হল- আমরা অনলাইনে কোন সাথী রিক্রুট করি না এবং শুধুমাত্র অনলাইনে পরিচিত হয়ে অফলাইনে সরাসরি সাক্ষাত সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করি, চাই ব্যক্তি অনলাইন তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতই পরিচিত ও বিশ্বস্ত বলে বিবেচিত হন না কেন!
আরও পড়ুন
১৭ তম পর্ব ----------------------------------------------------------------- ১৯ তম পর্ব
Comment