Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০২ || দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত || উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ|| পর্ব- ২৩

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০২ || দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত || উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ|| পর্ব- ২৩

    আল হিকমাহ মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত
    দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদী মানহাজের হেফাযত
    শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ.

    এর থেকে
    পর্ব- ২

    ==================================================
    ===============================


    ইন্টারনেটের ষড়যন্ত্র এবং জিহাদ মুজাহিদীনের
    হেফাযতের গুরুত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক





    জিহাদের দাঈদের খেদমতে কিছু কথা



    আমরা আবার দাওয়াত বিষয়ে ফিরে আসি। জিহাদের দাওয়াত ও মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ভাইদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলবো ইনশা আল্লাহ। আশা করি এই কথাগুলো জিহাদি মানহাজের উন্নতি ও হেফাযতের ক্ষেত্রে সাহায্যকারী হবে।

    ৩১. জিহাদের দাঈর জন্য শরয়ি ইলমের পর জরুরি ইলম হল ইতিহাসের ইলম। যদি দাঈ ইতিহাস সম্পর্কে অবগত থাকে এবং তা থেকে খোলা মনে শিক্ষা গ্রহণ করে, তাহলে আশা করা যায় সে ভুলভ্রান্তি থেকে অনেকাংশে মুক্ত থাকবে। একজন জিহাদি বুজুর্গ আলেম বলেছেন ‘ঐ ব্যক্তি জিহাদি আন্দোলনের নেতৃত্বের যোগ্য নয়, যে ইতিহাসের জ্ঞান রাখে না’
    নেতৃত্ব ও দাওয়াত ভিন্ন। কিন্তু জিহাদি আন্দোলনকে একটি পর্যায়ে উঠানোর ক্ষেত্রে পুরোপুরি আলাদাও নয়ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন: “যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা ভাগ্যবান করতে চান তাকে অন্যদের থেকে শিক্ষা অর্জনের তাওফিক দান করেন। তারপর ঐ ব্যক্তি ঐ বিশেষ রাস্তায় চলে যে রাস্তায় আল্লাহ পূর্ববর্তীদের নুছরত ও সাহায্য করেছেন। আর ঐ রাস্তা থেকে বেঁচে থাকে যে রাস্তায় চলে পূর্ববর্তীরা ব্যর্থ হয়েছে


    বিগত সময় এই জিহাদের কাফেলা যেই গলি, রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করেছে, জিহাদের দাঈর সে গলি ঘুপচির কথা জানতে হবে। তার জানতে হবে, দাওয়াত ও জিহাদের ক্ষেত্রে কোন কথা-কাজের কারণে সফলতা অর্জন করেছে। আর কোন কারণে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে এবং মুজাহিদরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা থেকে মাহরূম হয়ে গেছে। এটা জানা এই কারণে প্রয়োজন যে, কালকের ব্যর্থতার কারণ আজকের বিজয়ের কারণ হতে পারে না। যেই দাওয়াত ও জিহাদের পদ্ধতি দ্বারা পূর্বে ব্যর্থ হতে হয়েছে, আজও যদি সেই পদ্ধতিতে পথ চলা হয় তাহলে এর ফলাফল বিজয় হবে না। আজ আমাদের সামনে যেই সমস্যাবলি উপস্থিত এগুলোর সব না হোক অনেকগুলোই তাদের সামনেও এসেছিলো। তারপর আফগানিস্তান থেকে মালি, আলজেরিয়া, শাম ও ইরাক পর্যন্ত জিহাদি আন্দোলনের অভিজ্ঞতাও কম নয়। জিহাদের দাঈ যদি হক পাওয়ার জন্য অস্থির থাকে এবং তার অন্তরে স্বজনপ্রতির জং না লেগে থাকে, তাহলে আশা করা যায় জিহাদি আন্দোলনের ইতিহাস ও অভিজ্ঞতার মধ্যে তার জন্য অনেক খোরাক রয়েছে এবং এই ইলম তাকে উপকার করবে।

    ৩২. নিজেদের ইন্টারনেট পেইজগুলোতে শুধুমাত্র ঐ খবরগুলোই প্রচার করা উচিৎ যা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে ওলামায়ে জিহাদ একমত। এমন কোন খবর প্রচার করা যাবে না যার ব্যাপারে ওলামায়ে জিহাদ একমত নন

    ৩৩. শরিয়তবহির্ভূত কাজের ক্ষেত্রে চুপ থাকা হবে না; বরং জরুরি হলো এমন ক্ষেত্রে স্পষ্ট নিন্দা জানানো। যদি কোন জিহাদি কাফেলা থেকে এমন কাজ প্রকাশ পায় তাহলে তাদের নাম উল্লেখ করা ছাড়া নিন্দা জানানো হবে এবং নিজেদেরকে মুক্ত ঘোষণা করা হবে। আমাদের জন্য রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদর্শ। যখন খালিদ বিন ওয়ালিদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর তো ব্যক্তি থেকে ভুল প্রকাশ পেল তখন রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকেননি; বরং তিনি আল্লাহ ও মানুষের সামনে নিজের এ থেকে মুক্ত থাকার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন হে আল্লাহ! খালিদ যা করেছে তা থেকে আমি মুক্ত

    আমাদের মনে রখতে হবে শরিয়ত বহির্ভুত কাজকে শরয়ী প্রমাণিত করা এবং এর দায় স্বীকার করে ঐ কাজকে মুজাহিদদের দিকে সম্পৃক্ত করা অনেক বড় খারাপ কাজ। আর এ ব্যাপারে চুপ থাকা আল্লাহর শাস্তি আসার কারণ। এর দ্বারা জিহাদি কাজ নিশ্চিতভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এই কাজ যদি মুজাহিদরা না করে থাকে তাহলে এটা তো গোয়েন্দা বিভাগের কাজ, এক্ষেত্রে তো এজন্যও বিরোধিতা করা দরকার যে, এর দ্বারা গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। এই নিন্দা দ্বারা জিহাদ বদনাম থেকেও বাঁচবে এবং জিহাদের গতিও ঠিক থাকবে।

    ৩৪. ইন্টারনেট পেইজে বাড়াবাড়িকারীদের সংশোধন করা। যদি সংশোধন করা সম্ভব না হয় তাহলে তাদেরকে নিজেদের পেইজে জায়গা দেবে না এবং অন্য লোকদেরকেও তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবে। এই উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটে দাওয়াত প্রদানকারীরা একে অপরের সাথে সম্পর্ক রেখে চলবে। খারাবি যে দিক থেকে আসুক, তাকে তখনই বন্ধ করা সম্ভব যখন দাওয়াতের কাজে সম্পৃক্ত ভাইয়েরা পরস্পরে এক থাকবে।

    ৩৫. দাওয়াতের মধ্যে দলীয় স্বজনপ্রীতি দূর করার জন্য খুব চেষ্টা করা হবে। একথা অন্তরে ভালোভাবে বসানোর চেষ্টা করা হবে যে, দল আসল উদ্দেশ্য নয় বরং দল আসল উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছার মাধ্যম। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, শরিয়ত প্রতিষ্ঠা ও শরীয়তের অনুসরণ। আমার দল যদি এই উদ্দেশ্যে পৌঁছতে সাহায্যকারী হয় তাহলে এই দল পছন্দনীআর যদি এই দল আমাকে আমার উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তাহলে এই দলকে মহব্বত করা, তার পক্ষে কথা বলা, তার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কোন কারণ নেই। মোটকথা দলের আসল অবস্থান নিজেও বোঝা, অপরকেও বোঝানো। যাতে জামাতের বৈধ মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না হয় এবং এই পরিমাণ মর্যাদাও না দেয়া হয় যে, দলকেই আসল উদ্দেশ্য মনে করে এবং দলের জন্য শরীয়তের উদ্দেশ্যকে কুরবানি করে নিজ নিজ দলকে ত্রুটিমুক্ত দেখানো হয়।


    আরও পড়ুন
    ২২তম পর্ব ------------------------------------------------------------------ ২৪তম পর্ব

    Last edited by tahsin muhammad; 07-30-2023, 04:44 PM.

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ। সম্মানিত শাইখ অনেক জরুরী কথা পেশ করেছেন।
    আল্লাহ শাইখকে সুদীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা। আমাদের সবার এভাবে মেনে চলা উচিত।
      Last edited by Rakibul Hassan; 07-30-2023, 11:38 PM.

      Comment


      • #4
        ইন্টারনেটের ষড়যন্ত্র থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

        Comment


        • #5
          ইন্টারনেট পেইজে বাড়াবাড়িকারীদের সংশোধন করা। যদি সংশোধন করা সম্ভব না হয় তাহলে তাদেরকে নিজেদের পেইজে জায়গা দেবে না এবং অন্য লোকদেরকেও তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবে। এই উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটে দাওয়াত প্রদানকারীরা একে অপরের সাথে সম্পর্ক রেখে চলবে। খারাবি যে দিক থেকে আসুক, তাকে তখনই বন্ধ করা সম্ভব যখন দাওয়াতের কাজে সম্পৃক্ত ভাইয়েরা পরস্পরে এক থাকবে।
          অতি, অতি গুরুত্বপুর্ণ

          Comment

          Working...
          X