Announcement

Collapse
No announcement yet.

জঙ্গিবাদের পোস্টমর্টেম

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জঙ্গিবাদের পোস্টমর্টেম

    আজ সমাজের সর্বস্তরের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গী ও জঙ্গিবাদ। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদ। সরকারপক্ষ তার মিডিয়া শক্তিকে ব্যবহার করে অধিকাংশ জনগণকে এ কথা বুঝাতে সক্ষম ও সফল হয়েছে যে, জঙ্গী ও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদ এর সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা জঙ্গী ও সন্ত্রাসী তারা মুসলিম নয়, তারা নরকের কীট। আরো বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা যা করে, তা ধর্মে অনুমোদিত নয়। সরকারের অনুগ্রহ ভিখারী, শীর্ষ পর্যায়ের দরবারী আলেম, শোলাকিয়া ও শাহবাগের ইমাম আল্লামা ...'মানব কল্যাণে শান্তির ফাতওয়া' শিরোনামে এক লক্ষ স্বাক্ষর সম্বলিত জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী একটি ফতওয়াও (?) প্রকাশ করেছেন। যে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আজ সমাজ ও দেশ অস্থির সে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদটা আসলে কী? বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা ও তার গোলামরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দ্বারা কি বুঝায়? তারা যাদেরকে জঙ্গী বলছে, যাদেরকে সন্ত্রাসী বলছে তারা বাস্তবেই ইসলামী শরীয়তের আলোকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কিনা? এ বিষয়গুলো পরিষ্কার হওয়া উচিত। যদি তাদের বলা জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা ইসলামী শরীয়তের আলোকেও জঙ্গী ও সন্ত্রাসী প্রমাণিত হয়, তাহলে আমাদের আপামর মুসলিম জনসাধারণেরও তাদেরকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী বলা উচিত। আমেরিকা ও তার গোলামরা তাদেরকে যেমন ঘৃণা ও বিদ্বেষের চোখে দেখে, আমাদেরও তাদেরকে তেমন ঘৃণা ও বিদ্বেষের চোখে দেখা উচিত। আর যদি আমেরিকা ও তার গোলামদের বলা জঙ্গী ও সন্ত্রাসীরা ইসলামী শরীয়তের আলোকে জঙ্গী সন্ত্রাসী ও ঘৃণিত প্রমাণিত না হয়, তাহলে যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে, কমপক্ষে তাদের জন্য প্রচলিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদেরকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী বলে ঘৃণা করা ও অবজ্ঞা করা জায়েয হবে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে তাদের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ ও শক্রতা পোষণ করার কারণে ঈমান ভেঙ্গে যাওয়া প্রবল আশংকা রয়েছে। তাই আসুন, ইসলামী শরীয়ত ও যুক্তির আলোকে একটু তলিয়ে দেখি। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হাকীকত খুঁজে দেখি।


    জঙ্গী ও সন্ত্রাসীর অর্থ

    আভিধানিক অর্থ: জঙ্গী শব্দটি মূলত ফারসী 'জঙ্গ' শব্দ থেকে এসেছে। জঙ্গ এর শাব্দিক অর্থ যুদ্ধ। আর 'জঙ্গী' হল যোদ্ধা। এ অর্থে যেকোনো যোদ্ধাকেই জঙ্গী বলা যায়। কিন্তু বলা গেলেও বলা হয় না। কারণ, জঙ্গী শব্দটি বর্তমান বিশ্বে একটি বিশেষ অর্থের জন্য নির্ধারিত হয়ে গেছে। তাই আমাদের দেশের সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশের সদস্যরা যদিও আভিধানিক অর্থে জঙ্গী, কিন্তু জঙ্গীর পারিভাষিক সংজ্ঞার মধ্যে তারা পড়ে না, তাই সশস্ত্র যোদ্ধা হওয়ার পরও তাদেরকে জঙ্গী বলা হয় না।

    সন্ত্রাসী এর মূল ধাতু ত্রাস। ত্রাস অর্থ ভয়-ভীতি। যে কেউ কাউকে ভীতি প্রদর্শন করে শাব্দিক অর্থের বিবেচনায় তাকেই সন্ত্রাসী বলা যায়। আমাদের দেশে একটা সময় পর্যন্ত অস্ত্র ঠেকিয়ে, মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে যারা ছিনতাই করত ও চাঁদাবাজী করত তাদেরকেই সন্ত্রাসী বলা হত। 'সন্ত্রাসী' বলতে আমরা বিগত ১৮/২০ বছর পূর্বেও এলাকার ছিচকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদেরকে বুঝতাম। কিন্তু এখন পরিভাষা পাল্টে গেছে। এখন আর এলাকার চাঁদাবাজদেরকে সন্ত্রাসী বলা হয় না। বরং তাদেরকে বিভিন্ন সম্মানজনক উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এটা নির্ধারিত হয়ে গেছে। তাই জঙ্গী ও সন্ত্রাসী এখন সম-অর্থবোধক শব্দে পরিণত হয়েছে। যে জঙ্গী সেই সন্ত্রাসী আর যে সন্ত্রাসী সেই জঙ্গী।



    জঙ্গীর পারিভাষিক অর্থ

    জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা: বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতা এবং বাংলাদেশ সরকারের কর্মপন্থা মোতাবেক জঙ্গিবাদের সংজ্ঞা হল, “কোনো মুসলিম কর্তৃক হাতে অস্ত্র ধারণ করা- আরেক নির্যাতিত মুসলিমকে সাহায্য করণার্থে কিংবা খিলাফত আলা মিনহাজিন নাবুয়্যাহ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে, অথবা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের ইজ্জত রক্ষার্থে।” জঙ্গিবাদের এই সংজ্ঞা হয়তো আপনি কোথাও খুঁজে পাবেন না। তাই এই সংজ্ঞা হয়তো আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে। আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করে সংজ্ঞার বাস্তবতা উপলব্ধি করতে সাহায্য করছি।

    প্রশ্ন: যে কেউ অস্ত্র, বোমা-বারুদ নিজের কাছে রাখে সে কি জঙ্গী?

    উত্তর: না। কারণ, প্রত্যেক দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে অস্ত্র থাকে। তাদের কাছে অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার মজুত থাকে, এমনকি দুনিয়াকে কয়েকবার ধ্বংস করার মত বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রও তাদের হাতে আছে তবুও তাদেরকে কেউ জঙ্গী/সন্ত্রাসী বলে না।

    প্রশ্ন: যারা অস্ত্রে শস্ত্রে সুসজ্জিত, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, জীবন বিলিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত সৈন্য রাখে তারা কি জঙ্গী?

    জবাব: না। তারা জঙ্গী না। কারণ যারা দুনিয়াকে জঙ্গীমুক্ত করতে চায় সেই আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ও ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা অস্ত্রে সজ্জিত সুশিক্ষিত, দেশের জন্য সদা জীবন বিলাতে প্রস্তুত লক্ষ লক্ষ সৈন্য রয়েছে। আর তাদেরকে কেউ জঙ্গী বলে না।

    প্রশ্ন: যারা নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করে তারা কি জঙ্গী বা সন্ত্রাসী?

    উত্তর: না। যারা নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করে তারা জঙ্গী বা সন্ত্রাসী নয়। কারণ, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমেরিকা ও তার মিত্র ৪৮টা দেশের সমন্বয়ে গঠিত 'ন্যাটো জোট' আজ ১৭ বছর ধরে আফগানের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে, ইরাকের লক্ষাধিক সাধারণ মানুষকে মেরেছে, চিরতরে পঙ্গু বানিয়েছে। সিরিয়াতে বিগত সাত বছর ধরে তিন লক্ষাধিক মানুষ হত্যা করেছে, আরাকানে বৌদ্ধ সেনাবাহিনী নিরীহ মুসলিমদেরকে গণহারে কচুকাটা করছে। হিন্দুরা ভারতের কাশ্মীরে ১৯৪৭ থেকে এ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে মেরেছে, এরপরও কেউ তাদেরকে জঙ্গী বলে না এবং জঙ্গী নির্মূলের কোনো অভিযান তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় না। তাই বুঝা গেল সাধারণ মানুষকে হত্যা করা জঙ্গী হওয়ার নির্দশন নয়।

    প্রশ্ন: যারা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র আন্দোলন করবে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ইসলাম ব্যতীত অন্যকোনো তন্ত্র মন্ত্র দ্বারা রাষ্ট্র কায়েমের জন্য প্রতিপক্ষকে মারবে, কাটবে, ধ্বংস করবে তারা কি জঙ্গী?

    উত্তর: না। যারা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র আন্দোলন করে তারা জঙ্গী না। কারণ, বিগত একশত বছরে পৃথিবীর বহুদেশ সহিংস ও সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কথা উল্লেখযোগ্য।

    স্বাধীনতার জন্য যারা অস্ত্র হাতে নেয় তাদেরকে পৃথিবীময় মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়; জঙ্গী নয়। তাই ইসলাম ছাড়া অন্যকোনো তন্ত্রমন্ত্রের বিশ্বাস লালন করে, যারা স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র হাতে নেয়, তারাও জঙ্গী নয়।



    জঙ্গী হওয়ার শর্ত

    আচ্ছা এবার বলুন, যারা সাধারণ মানুষ মারে তারা জঙ্গী নয়, যারা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন আদর্শ যেমন, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার যুদ্ধ করে তারাও জঙ্গী নয়, যারা দেশের জন্য অস্ত্র মজুত করে এবং সৈন্য প্রতিপালন করে, দেশ রক্ষার্থে অস্ত্র হাতে নেয় তারাও জঙ্গী নয়। তাহলে জঙ্গী কারা? এই বাস্তবতা কি আমাদের সংজ্ঞাকে নির্ভুল প্রমাণিত করে না?


    বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতার আলোকে জঙ্গী হওয়ার শর্তগুলো নিম্নরূপ:

    ক. মুসলমান হওয়া। (কোনো কাফের জঙ্গী হতে পারে না। সে যতবড় জালেম এবং হত্যাকারীই হোক না কেন। কারণ, বুশ, ওবামা, পুতিন, সুচি, বিনইয়ামিন, নেতানিয়াহু ও কসাই মোদি লক্ষ লক্ষ নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেও জঙ্গী হয়নি। অথচ মোল্লা ওমর রহ. শাইখ উসামা রহ. ও তাঁদের মতাদর্শীরা দু'একজন সাধারণ মানুষ হত্যা করলেও জঙ্গী হয়ে যায় (যদিও এ হত্যার শরীয়তগত বৈধতা থাকে)।

    খ. জঙ্গী হওয়ার দ্বিতীয় শর্ত হল, নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে অস্ত্র ধারণ করা। কেউ নির্যাতিত কাফেরদের পক্ষে অস্ত্র ধারণ করলে সে অনেক প্রশংসিত হবে। তাকে কখনো জঙ্গী বলা হবে না। কিন্তু আরাকান, কাশ্মীর, আফগান, ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তীন, সোমালিয়া, ফিলিপাইন, মালিসহ যেসব মুসলিম দেশের মুসলিমরা ইহুদী, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিয়া, নুসাইরী কাফের নামের হায়েনাদের নখরাঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যেসব স্থানে প্রতিনিয়ত নিষ্পাপ শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়, যেখান থেকে সন্ত্রম হারা মুসলিম যুবতীর গোঙ্গানী ভেসে আসে, মুসলিম মায়েদের সন্তান হারানোর আর্তনাদে যেখানের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে, যেখানে সন্তানহারা অচল বৃদ্ধ বাবা নিজের সর্বশেষ অবলম্বনকে হারিয়ে ফরিয়াদ করে বলছে 'হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে উদ্ধার করুন, কারণ এর অধিবাসীরা অত্যাচারী, আর আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে সাহায্যকারী বন্ধু আর উদ্ধারকারী মুজাহিদ পাঠান'। কোন মুসলিম নওজোয়ান যখন সেই নির্যাতিত, নিপীড়িত নারী-পুরুষ আর শিশুদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদেরকে কাফেরদের জুলুম থেকে বাঁচানোর জন্য, তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনার্থে বাধ্য হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়, তখন সেই মুসলিম যুবক জঙ্গী হয়ে যায়। ভিন দেশের কোনো মুসলিম যুবক যদি ধর্মীয় দায়িত্ব পালনার্থে তাদেরকে সাহায্য করতে যেতে চায়, তাকেও জঙ্গী তকমা লাগিয়ে জিন্দান খানায় আটক করে রাখা হয়! কিছুদিন পূর্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিকগুলোতে “আফগান যুদ্ধে অংশ নিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার সময় ৫ জঙ্গীকে র‍্যাব গ্রেফতার করেছে” শিরোনামে সংবাদ ছেপেছিল। হয়তো আপনাদের মনে থাকতে পারে।

    গ. আল্লাহ তা'আলার শরীয়ত কায়েমের জন্য অস্ত্র ধারণ করা। কেউ যদি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্র ধারণ করে তাহলে সে ভুয়সী প্রশংসার উপযুক্ত হবে। তাকে জঙ্গী ট্যাগ দেওয়া হবে না। কিন্তু যদি কেউ আল্লাহর তৈরি পৃথিবীতে আল্লাহর দেওয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় আমল করতে শুরু করে, তখনই সে জঙ্গী হয়ে যায়। সে চরমপন্থী, উগ্রপন্থী, সন্ত্রাসীসহ আরো বিভিন্ন বিশেষণে বিশেষিত হতে থাকে। কিন্তু সমাজতন্ত্রীরা যখন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে শহীদ করে দিয়েছিল তখন কেউ তাদেরকে জঙ্গী বলেনি। বিগত শতাব্দীর সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন এর জ্বলন্ত উদাহরণ। আর আমাদের দেশের গণতন্ত্রীরা গণতন্ত্রের নামে যে এ পর্যন্ত কত শত মুসলিমকে হত্যা করল তারপরও কেউ তাদেরকে জঙ্গী বলল না! কিন্তু আফগানের তালেবান মুজাহিদগণ আমেরিকা কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে নিজেদের রক্ষার জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য আজ ১৭ বছর ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছে, তাদেরকে কেউ মুক্তিযোদ্ধা বলছে না, কারণ, তারা তো আল্লাহর শরীয়ত কায়েম করতে চায়। আল্লাহর শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্যই তারা যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তাই তারা জঙ্গী। আরাকানের সর্বহারা মানুষগুলো যখন নির্যাতন সইতে না পেরে হাতে অস্ত্র তুলে নিল। তখন ভারত, মায়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ তাদের উপর জঙ্গী তকমা লাগিয়ে দিল। কারণ, প্রথমত তারা মুসলিম, দ্বিতীয়ত বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে স্বাধীনতার পর তারাও ইসলাম কায়েমের স্বপ্ন দেখে।

    ঘ. আল্লাহ কিংবা আল্লাহর রাসূলের সম্মান রক্ষার্থে অস্ত্র ধারণ করা। কোনো মুসলিম সিংহ শাবক যদি আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূলের প্রেমের তাড়নায়, কোনো শাতেমকে জাহান্নামে পৌঁছে দেয়, তাহলে সে জঙ্গী অভিধায় অভিহিত হবে। কিন্তু জাতির পিতা (?) বঙ্গবন্ধুকে গালিদাতাকে বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পাগল কেউ যদি হত্যা করে ফেলে তাহলে সে বীর খেতাবে ভূষিত হবে।

    নেদায়ে তাওহীদ বইয়ের একটি আলোচনার চুম্বক অংশ থেকে নেওয়া
    Last edited by Rakibul Hassan; 08-15-2023, 11:22 AM.
    হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

  • #2
    যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা কখনো জঙ্গি হতে পারে না। বরঞ্চ এটা উত্তম আদর্শের পরিচয়। তাহলে যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ রত রয়েছে তারা জঙ্গি নয় কেন? যদি জঙ্গি হয় তাহলে মুসলমান কাফের উভয় দল জঙ্গি হবে। আর যদি জঙ্গি না হয় তাহলে মুসলমানরাও জঙ্গি হবে না।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে আলহামদুলিল্লাহ্‌

      Comment


      • #4
        আচ্ছা হইলাম আমি জঙ্গী। সমস্যা কি? মানবতার স্বার্থে যদি জঙ্গী হতে হয় আমার কোন আপত্তি নাই। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে আমি উগ্র। কুফরের প্রতি আমি উগ্র। যারা আমার আল্লাহকে স্বীকার করে না, যারা আমার নবীকেও মানে না, দুনিয়াতে গাইরুল্লাহর আইন মানে ও প্রচার করে তাদের জন্য আমি অবশ্যই উগ্র। এতে আমার কোন আফসোস নেই।
        হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

        Comment

        Working...
        X