Announcement

Collapse
No announcement yet.

ওপেন দাওয়াহ বনাম টার্গেট ভিত্তিক গোপন দাওয়াহ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ওপেন দাওয়াহ বনাম টার্গেট ভিত্তিক গোপন দাওয়াহ

    ওপেন দাওয়াহ বনাম টার্গেট ভিত্তিক গোপন দাওয়াহ


    অনেক সমস্যা এবং অনেক সমাধান।
    আমরা যারা কথা বলি সবাই কিন্তু জনগনের পেছনে লাগাতার ধারাবাহিক মেহনত করিনা। বেশির চেয়ে বেশি ওয়াজের ময়দানে অনেক আহলে ইলম কিছু বলেন। তাও অনেকে ইচ্ছে স্বত্বেও পারেননা।
    কিন্তু এই আমিই যদি কোন এলাকায় জমে থেকে ব্যক্তি বিশেষ টার্গেট করে করে কাজ করি তবে ফিল্ডের কর্মি তৈরি হবে।
    জনগণ ২ প্রকার।
    ১। সমর্থক।
    ২। কর্মী।
    ওপেন দাওয়াহ বা আমাদের সমাজে প্রচলিত সিস্টেমে যেই দাওয়াহটা মূলত হয় তা হল ওপেন দাওয়াহ বলা চলে। ওপেন দাওয়াহতে সাধারণত কর্মী তৈরি হয়না। যদিও এখান থেকে যোগ্য অনেক কর্মীই রুক্রুট করার মত (যোগ্যতার ভিত্তিতে, তবুও) কর্মী এভাবে তৈরি হয়না। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
    ১) ওপেন দাওয়াহতে দায়ী ও মাদউর মাঝে দূরত থাকে। ফলে রুহানী একটি বিষয় রয়েছে যা এখানে অনুপস্থিত থাকে।
    ২) মুহাসাবা বা আত্মসমালোচনার বিষয়টিও গোপন থাকে। কারণ এমন দায়ীগন আজকে এই অঞ্চলে তো কালকে ওই অঞ্চলে, ফলে তার মাদউগনে ব্যক্তিগত ইলমি আমলি উন্নতি অবনতির বিষয়টির হিসাবনিকাশ আর হয়ে উঠেনা।
    ৩) সংশয় নিরসনের বিষয়টি অনুপস্থিত থাকে। কারণ মাদউর ভেতর বহু সংশয় থাকে, সরাসরি দায়ীর সাথে কথা না বলতে পারার কারণে এসব সংশয় থেকে বহু ভাই পক্ষ থেকে বিপক্ষে অবস্থান নেয়া শুরু করে।
    ৪) মাদউর ফিকরি স্বচ্ছতার বিষয়েও ওপেন দাওয়াহ ততটা কার্যকর নয়।
    এরকম লিস্টি করলে তো বিশাল গ্রন্থ হয়ে যাবে।
    মূল যেই কথা সেটি হল দায়ীর জন্য মাদউকে বিশেষ কর্মী হওয়ার যোগ্য করা পর্যন্ত তার পেছনে চুম্বকের মত লেগে থাকা। আর ওপেন কাজে এটা হয়ে উঠেনা। বরং সন্দেহের তীর গিয়ে যদি একবার বিদ্ধ হয় তাহলে তো ফিল্ডে কাজই করা মুশকিল।
    নিরসন: কোন বিষয়ে পর্যালোচনা করতে হলে আপাতদৃষ্টিতে তূলনামূলক একটি বিষয়লে তারজিহ বা প্রাধান্য দিতে গেলে অপরটি তূলনামূলক একটু ছোট হয়ে যায়। সেই দৃষ্টিতে 'ওপেন দাওয়াহ'র বিষয়টি হয়তো আপনাদের কারো কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এবং কতেকের কাছে এমনও মনে হতে পারে আমি হয়তো ওপেন দাওয়াহকে রদ্দ করছি।
    আসলে সঠিক কথা হল এগুলোর কোনোটিই নয়। বরং প্রত্যেক কাজ ও পন্থার সফলতা ও পরিধি নির্ধারিত আছে। ওপেন দাওয়হার সফলতা ও পরিধির সর্বোচ্চ স্তর হল-
    ব্যপকভাবে উম্মাহর নিকট বিশুদ্ধ বার্তা পৌঁছে যাওয়া।
    সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়া।
    হক বাতিল স্পষ্ট হওয়া, যেন হল আসলে আর দ্বিধাদ্বন্দে থাকতে না হয়।
    হক জামাতের সমর্থক হওয়া ও এতে আগ্রী হওয়া।
    মোটামুটি এই কাজ যদি আমাদেরও ওপেন দায়ীগন করে ফেলতে পারেন, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ফিল্ডের ভাইয়েরা সহজেই দাওয়াহ দিয়ে রিক্রুট করে ফেলতে পারবেন।
    কিন্তু ওপেন দায়ীদের বিষয় যদি আপনি বলেন-
    তারাই কর্মী তৈরি করবে, তারাই সাথী রিক্রুট করবে, তাহলে ভাই আমি বলবো এদেশের ভূরাজনৈতিক হালত সম্পর্কে আপনি অনেক দূরে আছেন। কারণ এসব কারণে দাঈদের সকল পথই বন্ধ হয়ে যাবে।
    তাই বিষয়গুলো ভাবুন। আমাদের কথার বিরোধিতা করা যাবেনা, বিষয়টি কিন্তু এমন নয়, বরং আমরা বলি বিরোধিতা কিংবা বিপরীতে কিছু বলতে হলেও আগে আমাদের কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন, আমাদের মাকসাদগুলো বোঝার চেষ্টা করুন, মাসলাহাত-মানফায়াতগুলো দেখার চেষ্টা করুন, এরপর যদি মনে হয় না পর্যালোচনা দরকার৷ তবে বিশুদ্ধ কোন দিকনির্দেশনা দিন, আমরা তা আমলে নিবো ইনশাআল্লাহ।
    ............

    > সংগ্রহীত
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-01-2023, 10:00 AM.
    “কখনো ভাববেন না ইসলাম আপনাকে কি দিয়েছে? বরং, চিন্তা করুন আপনি ইসলামকে কি দিয়েছেন?”
    -শায়খ আহমাদ মুসা জিবরীল (হাফিযাহুল্লাহ)

  • #2
    লেখাটা বেশ ভালোই হয়েছে মুহতারাম ভাই। আল্লাহ পাক লেখক ও তৎসংশ্লিষ্ট সবাইকে উত্তম জাযা দান করুন।
    তবে একটা জিনিস খেয়াল করুন ভাই,
    ফেসবুকের দ্বাঈ ভাইদের লেখাগুলো ফোরামে প্রচার করার সময় তাদের নাম না নিয়ে প্রচার করাই ভালো। কারণ এতে তাদের সিকিউরিটি রিস্ক সারফেস বেড়ে যায়। তাদের যখন ফলাও করে ফোরামে প্রচার করা হবে স্বাভাবিকভাবে ত্বাগুত তাদের কাছে গুরুত্বপুর্ণ কিছু আছে ভেবে তাদের পিছু নেবে। এবং একটা পর্য়ায়ে তাদের বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করবে।

    দ্বিতীয় কথা হলো ভাই, ফোরামে নরমালি যাদের উস্তায বা শাইখ বলে প্রচার করা হয় তারা বাস্তবে জামাঅহসংশ্লিষ্ট মেহনতের সংযুক্তই হয়ে থাকেন। যেমন, উস্তায আবু আনওয়ার আল হিন্দী, উস্তায আবু যুবাইদা। কিন্তু ফেসবুকে বিচ্ছিন্নভাবে দাওয়াহরত ভাইদের সাধারণত এরকম উস্তায হিসেবে প্রচার করতে দেখিনি ফোরামে। কাজেই আমাদের সতর্কতা কাম্য।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, Omayer Binyameen ভাই খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
      ভাইয়ের কমেন্ট এর সাথে সহমত পোষণ করছি। বারাকাল্লাহু ফিকা ভাই।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের উভয় ময়দানের গুরুত্ব অনুধাবন করার তাওফিক দিন, এবং উভয় ময়দানে যথাসাধ্য মেহনত করার তাওফিক দিন, আমীন

        Comment

        Working...
        X